নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
কেউ কী বলতে পারবেন ''বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মায়ানমার নাগরিক শুমারি, ২০১৫'' প্রকল্পটির এখন কী অবস্থা? ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে এই শুমারি শেষ করার কথা ছিল। গৃহীত ওই উদ্যোগে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শুমারির আওতায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালীর রোহিঙ্গাদের গণনা করার কথা ছিল। এজন্য ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল।
বাংলাদেশে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা আছে বলে জাতিসংঘ স্বীকার করে। আর কক্সবাজারের স্থানীয়দের মতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ২ থেকে ৫ লাখের বেশি। বাস্তবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৭ লাখেরও বেশি।
বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সৌদি আরবে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। অর্থ্যাৎ রোহিঙ্গা জাতির অর্ধেকের বেশি বিভিন্ন দেশে উদ্বাস্ত। যার মধ্যে প্রায় ৯০% বাংলাদেশে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে 'গ্যাটো' নামে সরকারিভাবে কিছু জায়গায় রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে মিয়ানমার সরকার। সরকারের অনুমতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের গ্যাটো এলাকা থেকে বের হবার সুযোগ নেই। মিয়ানমারের ভূমি ও সম্পত্তি আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গারা কোনো জমির মালিক হতে পারে না। রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সরকারের দৃষ্টিতে অবৈধ অভিবাসী বা বিদেশী। মিয়ানমার ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেয়নি।
আন্তর্জাতিক মুসলিম জঙ্গী সংগঠনগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলোর জঙ্গি কর্মীদের একটা বড় উৎস হলো রোহিঙ্গা। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের জঙ্গি কর্মী হিসেবে রিক্রুট করছে।
রামুতে বৌদ্ধ বিহারে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সুস্পষ্ট জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চোরাকারবারী, ধর্ষনসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করারও প্রচুর উদাহরণ রয়েছে।
১৯৭৮ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের শাসনামলে মিয়ানমার থেকে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। মুসলিম বিশ্বের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনের কৌশল হিসেবে জিয়ার সামরিক সরকার জাতিসংঘের মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু হিসেবে থাকার সুযোগ প্রদান করে।
রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশের জন্য সেই থেকে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত ঝুলে আছে। নপুংসক জাতিসংঘ মিয়ানমার সরকারকে কিছু বলে না। অথচ যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডের। অথচ জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবার অনুরোধ করার পেছনে পশ্চিমাদের কুটকৌশল জড়িত।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাংলাদেশের প্রতি পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলোর কুনজর বর্তমান সময়ে একটি বড় ধরনের আন্তর্জাতিক ইস্যু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে একটি মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোরও চেষ্টা করছে। যে কারণে বাংলাদেশের পক্ষে নতুন করে সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করানোর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সবসময় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা করেছে। ২০১২ সালে মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গার সময়েও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের উচিত রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত জোড়ালোভাবে উপস্থাপন করা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে থাকা ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফিরিয়ে নেবার জন্য মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে দৌড়ঝাপ না করে, তাহলে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সমূহ ক্ষতি করবে স্থানীয় মৌলবাদী শক্তি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারী শক্তিগুলো। অতএব রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিকতার চেয়েও সরকারকে আরো বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। নতুবা গোদের উপরের বিষফোঁড়া বাংলাদেশের জন্য এক নতুন আপদ তৈরি করবে। অতএব সাধু সাবধান।
.............................
২০ নভেম্বর ২০১৬
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮
নিষ্কর্মা বলেছেন: তুর্কিরা এর আগে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে নিতে চেয়েছিল। এইবারে তারা বড় একটা জাহাজ পাঠাক, টেকনাফ থেকে রোহিঙ্গাদের সেই জাহাজে তুলে দিলেই হয়। আমাদের দেশে রোহিঙ্গারা সম্পদ হবার চাইতে বোঝা হিসাবেই রয়ে গেছে। তাই তাদের আমরা চাই না। এরদোয়ান কিছু একটা করে উম্মাহ্কে দেখিয়ে দিক যে সেও সুলতান সুলেমান [না কি সালমান]-এর চেয়েও কম কিছু না।
আমার দেখা রোহিঙ্গাদের অত্যন্ত বেয়াদব হিসেবেই দেখেছি। তারা উর্দু বলে। আর বাঙালী দেখলেই পাকিস্তানীদের মত করে বলে, তুম উর্দু জান্তা হ্যায়?
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
ইকবাল আসাদ বলেছেন: বুদ্ধদের অমানবিকতা বিশ্বের যে কোন সাম্রদায়ীকতাকে হার মানাবে। মজলুমের জমাট রক্তের বীজ থেকে জিহাদের জন্ম।যদি বার্মা হামলা হয়, উড়িয়ে দেয়া হয় সু সাইড স্কোয়ার্ড দিয়ে, তাহলে বলা হবে জংগী। জিহাদ আর জংগি এক করার যুগে নিরবতা মানে খুব কঠিন কিছু হয়ত অপেক্ষা করছে। যা দেখে খুদ গৌতম দাদা ও ভয়ে কাপবে।এখনি থামানো না গেলে হয়তো নাফ নদির পানি লাল নয়, হলুদ রং ধারন করবে।অমানবিকতার একটা সীমা আছে।ওরা তার শেষ প্রান্তে।
( সব্বি সত্তা সুখিত হন্তা) সকল প্রানী সুখি হোক।( মানুষ ছাড়া)!!!
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাংলাদেশের প্রতি পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলোর কুনজর বর্তমান সময়ে একটি বড় ধরনের আন্তর্জাতিক ইস্যু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে একটি মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোরও চেষ্টা করছে। "
-এটি একটি বেকুবী ধারণা, পশ্চিন সব সময় চেয়ে যে, বাংলাদেশ ভালো করুক! ভুল ধারণা নিয়ে কোনদিন সঠিক কাজ করা সম্ভব নয়।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬
কালীদাস বলেছেন: কোন মহল সাম্প্রদায়িকতার ধান্দায় আছি জানিনা। তবে জাতিগত বিদ্বেষকে সবাই যেভাবে ধর্মীয় বিভেদ হিসাবে মার্ক করছে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। এত জিহাদি জনত ব্লগে আগে কখনও দেখিনি।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭
Mukto Mona বলেছেন: বাংলাদেশের মৌদুদিবাদি ওহাবী এজেন্টরা সিমান্ত পার হয়ে রহিঙ্গা জনবসতি এলাকায় সৌদি-পাকি আইএসাই মদদে মসজিদে মসজিদে, ঘরে ঘরে ধর্মপ্রচারের নামে মৌদুদিবাদি ইসলাম প্রচার সুরু করে। ইসলামি বিধিনিষেধ .. দাড়ী-টুপি হেজাব, কালো বোরখা ... স্থানীয়দের ঘৃনা করতে শিখিয়েছে বছরের পর বছর। সমস্যা সুরু হয় ৯০ দশকের পর। বাংলাদেশের জামাত ও তৎকালীন বিএনপি জোট এরা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল ৯০ দশকের পর - মৌদুদিবাদি ইসলাম ও সৌদি ও আরবদের ফান্ডিং ও বিএনপি সুযোগ করে দেয়ার আরো আগে থেকেই। রহিঙ্গাদের সমস্যার কারন। নবনির্বাচিত বিএনপি না বুঝেই জামাতি কুটকৌশলের ফাদে পরে।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
Mukto Mona বলেছেন: রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বার্মা সরকার। শুধু তাই নয় কয়েকশ বছরের পিতৃভূমিতেই তাদের বলা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসী বাঙ্গালী জাতী। তাই নিজেদের দেশে তাঁরা আজ প্রবাসী। নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। সেই হত্যাযজ্ঞ এখনো চলমান। এমনকি এ পর্যন্ত হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম এর ঘড় বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
Mukto Mona বলেছেন: বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের শক্তিশালী পশ্চিমা দেশগুলোর সু-নজর রয়েছে। তাই আগেও বর্তমান সময়ে ও একটি বড় ধরনের আন্তর্জাতিক ইস্যু ভুল ব্যাখা দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি কুনজর তৈরী করতে বারবার উঠেপড়ে লেগেছে যেমন বাংলাদেশের মৌলবাদী গোষ্ঠী । এমনকি ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে মৌলবাদীর শাষক গোষ্ঠীর একটি মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোরও চেষ্টা করছে। "
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: হুম। কমেন্ট করে গেলুম। উত্তর দিয়েন না।
১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: রোহিঙ্গাদের উপরে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে লংমার্চে নামে জনতা। সেই লংমার্চের শুরুতেই পুলিশ কর্তৃক বাধাপ্রদানের চিত্র। লংমার্চে আসা মানুষদের পল্টন প্রবেশপথে আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
অত:পর বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পল্টন অবরোধ করল জনমানুষ। সেখানে অস্থায়ীভাবে স্টেজ করে শুরু হল সমাবেশ।
সমাবেশে দেশের জাতীয় পতাকা হাতে আমি।
বিস্তারিত ঘটনা পড়তে আমার ব্লগটি ভিজিট করুন। আমি জেনারেল অবস্থায় আছি,তাই আমার পোষ্ট প্রথম পাতায় যাচ্ছে না।
ব্লগ ডে’র শুভেচ্ছা। হ্যাপী ব্লগিং ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
দুর্বার ২২ বলেছেন: তার মানে এই নয় যে, তাদের উলঙ্গ করে গলায় দঁড়ি দিয়ে জবাই করতে হবে