নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ ট্রিবিউট টু জর্জ মাইকেল!!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

Last Christmas, I gave you my heart
But the very next day, you gave it away
This year, to save me from tears
I'll give it to someone special...

'লাস্ট খ্রিস্টমাস' জর্জ মাইকেলের একটি বিখ্যাত গান। গোটা বিশ্ববাসীকে শোকের জলে ভাসিয়ে এবারের খ্রিস্টমাসে চলে গেলেন সবার প্রিয় জর্জ। 'কেয়ারলেস হুইস্পার' খ্যাত ব্রিটিশ পপগায়ক, সুরকার ও গীতিকার জর্জ মাইকেল আর নেই। তাঁর প্রকাশক জানিয়েছেন, ৫৩ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের গোরিং-এ নিজের বাড়িতে মারা গেছেন এই শিল্পী।

থেমস ভ্যালির পুলিশ বলছে, শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো তারা কোন ব্যাখ্যা পাননি। তবে কোন অস্বাভাবিকতাও তাদের চোখে পরেনি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর আসল কারণ বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। জর্জ কিছুদিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে মিডিয়ার খবর থেকে জানা যাচ্ছে।

আশির দশকে তরুণ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জর্জ মাইকেল ও এ্যন্ড্রু রিজলি মিলে গড়েছিলেন হোয়াম! হোয়াম নামের ব্যান্ড দিয়েই জর্জের ক্যারিয়ার শুরু। পরবর্তী সময়ে এই তারকা নিজের একক ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। চার দশকের বেশি সময় ধরে মঞ্চ কাঁপানো এই শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী ড্রাগ এবং পুলিশি ঝামেলার কারণে জীবনে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সারাবিশ্বে তাঁর অ্যালবামের ১০০ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

'কেয়ারলেস হুইস্পার' ছাড়াও তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে লাস্ট ক্রিস্টমাস, ওয়ান মোর ট্রাই, ওয়েক মি আপ বিফোর ইউ গো, ফ্রিডোম, আই অ্যাম ই্য়োর ম্যান, দ্য এজ অব হ্যাভেন, এ ডিফারেন্ট কর্নার, আই নো ইউ ওয়ার ওয়েটিং ফর মি, ডোন্ট লেট দ্য সান গো ডাউন অন মি, জেসাস টু এ চাইল্ড এবং ফাদার ফিগার।

১৯৮৭ সালে প্রকাশিত জর্জের প্রথম সলো আ্যালবাম 'ফেইথ' সারা বিশ্বে ২০ মিলিয়নের অধিক কপি বিক্রি হয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত সারাবিশ্বে তাঁর আ্যালবাম ১০০ মিলিয়নের অধিক বিক্রি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে সফল শিল্পীদের মধ্যে জর্জ অন্যতম। Billboard Hot 100 Top All-Time Artists এর মতে জর্জ বিশ্বের ৪০তম সবচেয়ে সফল শিল্পী। জর্জ মাইকেল তাঁর ৩০ বছরের সঙ্গীত জীবনে অনেক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ডের জন্য জর্জ ৮ বার মনোনীত হন এবং দুইবার জিতে নেন।

১৯৬৩ সালের ২৫ জুন নর্থ লন্ডনের ইস্ট ফিঞ্চলে (East Finchley) তে জর্জ মাইকেল জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম জর্জ কিরিয়াকস পানায়িওতৌ (Georgios Kyriacos Panayiotou)। বাবা Kyriacos Panayiotou ছিলেন গ্রিসের নাগরিক। তিনি ১৯৫০ এর দশকে (জর্জের বাবা) লন্ডনে চলে আসেন এবং নিজের আগের নাম বদলে নাম রাখেন জ্যাক পানোস (Jack Panos)। জর্জের মা লেসলে অ্যানগোল্ড (Lesley Angold, ১৯৩৭-১৯৯৭) ছিলেন একজন ইংরেজ নতর্কী।

জর্জ মাইকেল তাঁর শৈশবের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেন নর্থ ওয়েষ্ট লন্ডনের কিংসবারিতে। জর্জের জন্মের কিছুদিন পরেই যেখানে তাঁর বাবা মা বাড়ি কিনে চলে আসেন। সেখানে কিংসবারি হাই স্কুলে ভর্তি হন জর্জ। এরপর তিনি কৈশরে তাঁর পরিবারের সাথে Radlett, Hertfordshire - চলে আসেন এবং এখানেই তাঁর সঙ্গীত জগতের বন্ধু এ্যন্ড্রু রিজলি (Andrew Ridgeley)-এর সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। পরবর্তী সময়ে মাইকেল সঙ্গীত ব্যবসার সাথে যুক্ত হন এবং ডিজে পার্টিতে কাজ শুরু করেন।

ব্রিটিশ আরেক বিখ্যাত গায়ক ও গীতিকার স্যার এলটন জন নিজের ইনস্টাগ্রামে জর্জ মাইকেলের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোষ্ট করে শোক প্রকাশ করেছেন। এর আগে ২০১১ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মাইকেলের অনেকগুলো কনসার্ট বাতিল হয়েছিল। বর্তমান সময়ে জর্জ মাইকেল ছিলেন বৃটেনের তারকা শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম।

লাভ ইউ জর্জ মাইকেল। নব্বইয়ে আমাদের উচ্ছ্বল তারুণ্যে আমরা যখন ইংলিশ গান শোনা শুরু করেছি, তখন জর্জ মাইকেল ছিল পছন্দের তালিকায় মাইকেল জ্যাকসনের পরেই। দুই মাইকেল আমাদের হৃদয় জয় করেছেন। তখন থেকেই দুই মাইকেলকে আমরা শুনে অভ্যস্থ। ৭ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ জুন (জর্জ মাইকেলের জন্মদিনে) মাত্র ৫০ বছর বয়সে মাইকেল জ্যাকসন মারা যায়। আর গতকাল খ্রিস্টমাসের দিন চলে গেলেন জর্জ মাইকেল। জয়তু মাইকেলস। জয়তু জর্জ মাইকেল। জয়তু লাস্ট খ্রিস্টমাস!

..................................
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কালীদাস বলেছেন: মরা মানুষরে নিয়া কিছু বলা উচিত না। এইটারে এমনেও ভাল লাগতনা অদ্ভুত বেশভুসার জন্য, পরে শুনলাম এই আজব জীবটা গে!!

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

নীল বরফ বলেছেন: প্রিয় গায়ক। বলতে পারেন অলটাইম ফেবারিট। ক্লাস ৮ থাকতে careless whisper বাংলায় অনুবাদ করেছিলাম! মনে পরলে এখনো আনমনে হেসে উঠি। Last christmas এর সুর এতো পপুলার হয়েছিলো যে এটা প্রথমে হিন্দি মুভি akele hum akele tum এ dil mera churaya kyun পুরাই কপি পেস্ট। পরে বাংলা ব্যান্ড আর্ক এর পঞ্চমের গলায় "আকাশের নীলে,হৃদয়ের তুলিতে " ওই গানের সুর ব্যবহার করা হয়েছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.