নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
এবারের বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জুড়িবোর্ডে ছিলেন মোট ১২জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় স্বাক্ষর করেননি। তাঁরা হলেন অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল ও শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অবশিষ্ট নয়জন স্বাক্ষর করেছেন। সবচেয়ে মজার যে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখার ব্যাপার সেটি হলো, সেখানে পাঁচজন স্বাক্ষর করেছেন তারিখবিহীন। আমার বদ্ধমূল ধারণা, এই পাঁচজন হয় ২৩ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণার দিন স্বাক্ষর করেননি, বা তাঁদের থেকে পুরস্কার ঘোষণার আগেই ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছেন জনাব শামসুজ্জামান খান। অথবা তাঁরা মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম শুনে। কিন্তু এইা পাঁচজনের তারিখবিহীন স্বাক্ষর করার ভেতরেই বাংলা একাডেমি পুরস্কারের বিকর্তিত ঘটনার সূত্রপাত বলেই আমি মনে করি।
যে পাঁচজন তারিখ ছাড়াই স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সুব্রত বড়ুয়া ও এটিএম জাকারিয়া স্বপন। ওঁনারা কেউ স্বাক্ষরের পর তারিখ দেননি। এই তারিখ না দেওয়ার সুযোগটি নিয়েছেন খান সাহেব!
বাকি যে চারজন ২৩ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণার দিন স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মো. আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (সচিব, বাংলা একাডেমি) ও শামসুজ্জামান খান (মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি)।
অর্থ্যাৎ পুরস্কার ঘোষণার দিন বাংলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক ছাড়া জুড়ি বোর্ডের কেবল দুইজন সদস্য স্বাক্ষর করেছিলেন। এখন যদি বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক সত্যি সত্যি সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সুব্রত বড়ুয়া ও এটিএম জাকারিয়া স্বপন সাহেবদের কাছ থেকে আসল তথ্য বের করে আনতে পারেন, ওঁনারা কবে কখন স্বাক্ষর করেছিলেন, তালিকায় নাম না দেখেই স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা, তাহলে খান সাহেবের আাসল মুখোশটি নিশ্চিত ধরা পড়বে।
কিন্তু ওই পাঁচজন হয়তো এখন আর এই বিষয়ে খান সাহেবের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মত দুঃসাহস দেখাবেন না। এটা প্রায় ৯৯.৯ ভাগ সত্য। অর্থ্যাৎ খান সাহেব ১২ সদস্যে জুড়ি বোর্ডেই বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণায় যে কারিশমা দেখিয়েছেন, সেখানেই সন্দেহের বীজটি সুস্পষ্ট রয়েছে। তাই জুড়ি বোর্ডের ওই পাঁচজন ভোট দিক বা না দিক, খান সাহেব তাঁদের যথাযথভাবে ব্যবহার করেছেন। এটাই আসল সত্য!
প্রশ্ন হলো, জুড়ি বোর্ডের এই পাঁচজন কী এতটা নাবালক যে এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে তারিখবিহীন স্বাক্ষর করে খান সাহেবদের সুযোগ করে দেবেন? আর যদি সত্যি সত্যি তাঁরা নাবালক হন, তাহলে তাঁরা জুড়ি বোর্ডের সদস্য হন কীভাবে? নাকি ওঁনাদের তারিখ ছাড়াই স্বাক্ষর করার পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল?
এই সুযোগে একটি কথা বলে রাখি, নিয়াজ জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। খুব ভালো ইংরেজি লেখেন। সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তিনি জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সময় নানান কিসিমের সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। তিনি যে ডক্টরেট করেছেন ওটা ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে আর সেটা জেনারেল এরশাদের কৃপায়।
এতক্ষণ যারা চোখ ছানাবড়া করেছেন, তাদের জন্য বলছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করার পর যিনি প্রথম বহির্বিশ্বে খুনিদের বেশ সুনাম ও কৃতিত্ব দিয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেছিলেন, তিনিই এই নিয়াজ জামান। এইটুকু তথ্য যারা জানেন, তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে খান সাহেবের উদ্দেশ্য ভালো করে আবিস্কার করতে পেরেছেন।
সবচেয়ে দুঃখ লাগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রশংসাকারী নিয়াজ জামানকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি পুরস্কার গলায় পড়াবেন! আর পাশে দাঁড়িয়ে খান সাহেব তখন খুশিতে হাতে তালি দেবেন। সাধু সাধু!!
..............................
২৫ জানুয়ারি ২০১৭
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৭
পলাশমিঞা বলেছেন: সবচেয়ে দুঃখ লাগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রশংসাকারী নিয়াজ জামানকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি পুরস্কার গলায় পড়াবেন! আর পাশে দাঁড়িয়ে খান সাহেব তখন খুশিতে হাতে তালি দেবেন। সাধু সাধু!!
সত্যাসত্য এখন আর কেউ জানতেও চায় না।