নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
এবার অমর একুশে বইমেলায় আমার তিনটি বই প্রকাশ পেয়েছে। একটি উপন্যাস, একটি গল্প সংকলন আর একটি প্রবন্ধের বই।
১. বইয়ের নাম: 'বসনা'
বইয়ের ধরন: ঐতিহাসিক উপন্যাস
প্রকাশক: মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান খোকা
প্রকাশনা: বিদ্যাপ্রকাশ
প্রচ্ছদ: শিল্পী ধ্রুব এষ
ঘরে বসে বই কিনতে ডায়াল: ১৬২৯৭ নাম্বারে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল নাম্বার: ৩৭০-৩৭১-৩৭২।
১৯৯২ সালে যখন বসনিয়া যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আমি অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। তখন বসনিয়া যুদ্ধের খবরাখবর শুনে ও পত্রিকা পড়ে ডায়েরিতে নোট টুকে রাখতাম। বসনিয়া যুদ্ধের প্রতিটি ঐতিহাসিক ঘটনা পরম্পরা আমার ডায়েরিতে এখনো লিপিবদ্ধ আছে। ২০১০ সালে আমি বসনিয়া যুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধকালীন সময়ের বাস্তব চিত্র নিয়ে এই ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখা শুরু করি।
লিখতে শুরু করেই টের পাই এই যুদ্ধ গোটা পূর্ব ইউরোপে একটি জটিল সমীকরণে বাধা। সেই জটিল সমীকরণ বুঝতে এবং যুদ্ধের প্রতিটি ঘটনা পরম্পার পেছনের কলকব্জা বুঝতে আমি বসনিয়া যুদ্ধের উপর কয়েকশো ডকুমেন্টারি, কয়েক হাজার নিবন্ধ, পেপার ক্লিপ, এবং বসনিয়া যুদ্ধ সরাসরি ফেস করেছে এমন একটি পরিবার থেকে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার স্বার্থ এবং বসনিয়ান সার্ব, ক্রোয়াট ও মুসলিমদের ত্রিপক্ষীয় এই জটিল যুদ্ধের খুটিনাটি আমি নিজের মত বিশ্লেষন করে প্রকৃত সত্য ইতিহাস সন্ধান করার প্রয়াস নিয়েছি। আমার উপন্যাসে গোটা বলকান যুদ্ধের জটিল সমীকরণ বোঝার জন্য সব ধরনের মালমশলা আমি ব্যবহার করেছি। উপন্যাসের সকল চরিত্রই বাস্তব। এখানে কল্পনার কোনো ঘটনা সংযোজন করা হয়নি।
যারা বসনিয়া যুদ্ধ নিয়ে এবং গোটা পূর্ব ইউরোপের পেটের ভেতরে এক-টুকরো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বসনিয়া'র স্বাধীনতা কীভাবে আসলো, কী ত্যাগ ও কৌশলে বসনিয়া স্বাধীনতা অর্জন করলো, ভালো করে বুঝতে চান, সে সকল পাঠকের জন্য আমার 'বসনা' উপন্যাসটি। উপন্যাসটি লিখতে আমার ছয় বছরের বেশি সময় লেগেছে।
বসনিয়ার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের একটি আলাদা হৃদয়ের টান রয়েছে। বসনিয়া যুদ্ধের সময় আমি ঢাকায় যে মিছিল দেখেছি, সেই মিছিলের স্বর আমাকে এই উপন্যাস লিখতে ত্বাড়িত করেছে। এরপর আমি ফিলিস্তিন নিয়ে আমার পরবর্তী উপন্যাস লেখা শুরু করেছি। দেখা যাক কতটুকু করতে পারি।
২. বইয়ের নাম : ফিদেল দ্য গ্রেট কমরেড
বইয়ের ধরন: প্রবন্ধ
প্রকাশক : রবীন আহসান
প্রকাশনা: শ্রাবণ প্রকাশনী
প্রচ্ছদ : শিল্পী রবীন আহসান
প্রাপ্তিস্থান : ১৩২, আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা), ঢাকা-১০০০
ঘরে বসে ফোন করে কিনতে ফোন করুন: ১৬২৯৭ নাম্বারে
বইমেলায় স্টল নং : স্টল নম্বর ২৫৫-২৫৬-২৫৭ ॥
ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি লিটল আইল্যান্ড কিউবা। স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ছোট্ট দেশটি ছিল মার্কিন পুতুল সরকারের অধীন। মার্কিন সমর্থনপুষ্ট জেনারেল ফালজেন্সিও বাতিস্তা সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর পাঁচ মাস ছয় দিনের এক ঐতিহাসিক রক্তক্ষয়ী বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি কিউবাকে পুরোপুরি স্বাধীনতা এনে দেন মহান বিপ্লবী কমরেড ফিদেল ক্যাস্ত্রো। যে কারণে মার্কিন সরকারের কাছে ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও কিউবান বিপ্লব একটি পরাজয়ের নাম। তাই মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কমরেড ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যা করার জন্য মোট ৬৩৮ বার চেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। যদিও কিউবান বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্টি কিউবান রিভ্যুলুশনারি গ্রুপ অ্যাক্টিভ রয়েছে।
মহান বিপ্লবী কমরেড ফিদেল ক্যাস্ত্রো'র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন ফাবিয়ান স্কালান্তে। কমরেড ফিদেলকে সিআইএ'র ৬৩৮টি হত্যা চেষ্টাকে ব্যর্থ করার পেছনে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা ছিল এই স্কালান্তের। সিআইএ'র সেই ৬৩৮টি হত্যা প্রচেষ্টা স্কালান্তে নিজের লেখা চারটি বইতে প্রকাশ করেছেন। ফিদেলকে হত্যা করার সিআইএ'র ৬৩৮ বারের চেষ্টাকে নিয়ে বিবিসি'র চ্যানেল ফোর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছে। কমরেড ফিদেলকে হত্যা প্রচেষ্টার সেই সকল ঘটনা পরম্পরার একটি সংক্ষিপ্ত প্রকাশ থাকবে আমার 'ফিদেল দ্য গ্রেট কমরেড' বইতে।
পাশাপাশি এই বইতে কমরেড ফিদেলের সঙ্গে কিউবার স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান বিপ্লবী হোসে মার্তি, বিপ্লবী কমরেড আর্নেস্ট্রো চে গুয়েভারা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রসঙ্গসহ কিছু ঘটনা আনার চেষ্টা করেছি। একবিংশ শতকের বিশ্ব ব্যবস্থায় বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো আমার একজন মহান শিক্ষক ও গুরু। আমি ফিদেলকে যেভাবে অন্তরে লালন করি, সেভাবেই তুলে আনার চেষ্টা করেছি। যারা ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে, হোসে মার্তিকে, চে গুয়েভারাকে, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, বইটি তাদের ভালো লাগবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
৩. বইয়ের নাম : গল্পেশ্বরী
বইয়ের ধরণ : গল্প
প্রকাশক : শতাব্দী ভব
প্রকাশনা: সব্যসাচী
প্রচ্ছদ : শিল্পী চারু পিন্টু
ঘরে বসে ফোন করে কিনতে ফোন করুন: ১৬২৯৭ নাম্বারে
বইমেলায় স্টল নং : বাংলা একাডেমি লিটল ম্যাগ চত্বর, স্টল নম্বর ৫২, বহেড়াতলায় ॥
'গল্পেশ্বরী' আমার ষষ্ঠ গল্প সংকলন। বইতে মোট সাতটি গল্প রয়েছে। যারা আমার গল্প সম্পর্কে জানে, তাদের নিশ্চয়ই আমার গল্পের বইটি ভালো লাগবে। যারা আমার গল্প এখনো পড়েননি, তাদের জন্য আমি গল্পের বইটি সংগ্রহ করার অনুরোধ করছি। সব্যসাচী থেকে বইটি দু'একদিনের মধ্যেই বইমেলায় আসবে। বাংলা একাডেমি'র লিটল ম্যাগ চত্বরের বহেড়াতলায় সব্যসাচী'র স্টল নাম্বার ৫২।
আমার লেখা যারা পছন্দ করেন, তারা আমার যে কোনো বই সংগ্রহ করতে পারেন। আমি পাঠকের প্রতিক্রিয়া শোনার অপেক্ষায় রইলাম। আমার পাঠকের প্রতিটি আলোচনা, সমালোচনা এবং পরামর্শ আমার লেখার নতুন নতুন ক্রাফট তৈরি করতে সহায়তা করে। বন্ধুরা আপনাদের মতামত জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
রেজা ঘটক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। + +
বসনা কেনার ইচ্ছে ব্যক্ত করে গেলাম, বইমেলা থেকেই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান!
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০১
হাবিব শুভ বলেছেন: লেখকের জন্য শুভ কামনা রইলো
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাবিব শুভ!
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
অভিনন্দন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৪
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১০
কল্পদ্রুম বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভকামনা আপনার জন্য।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৫
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কিছু বই। ধন্যবাদ আপনাকে। বেশি ধন্যবাদ ঘরে বসে বই পাবার প্রক্রিয়াটা বলে দেওয়ার জন্যে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমি বই মেলায় যেতে পারছিনা বলে মন খারাপ হচ্ছিল। আল্লাহ চাহে তো বইগুলো হাতে পাওয়ার ইচ্ছে আছে। আবারও ধন্যবাদ।