নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
কীভাবে বিদেশে টাকা পাচার হয়? রাষ্ট্র জানে না বললে ভুল হবে। বলতে হবে রাষ্ট্র খুব ভালো করেই জানে এবং সুযোগ করে দেয় বলেই টাকা পাচার হচ্ছে। ১০ বছরে মাত্র ৭৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। অর্থমন্ত্রী সাহেব হয়তো বলবেন, এইটা তো কোনো টাকাই না। সামান্য কয় টাকা!
১. ইমপোর্টের ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং:
আপনি বিদেশ থেকে ১০০ কোটি টাকার জিনিস কিনবেন বলে ইনভয়েস করলেন। আসলে আপনি কিনলেন ২০ কোটি টাকার জিনিস। কিন্তু বাইরে পাঠিয়ে দিলেন ১০০ কোটি টাকা। তাহলে গেল কত? মাত্র ৮০ কোটি টাকা পাচার হলো।
২. এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং:
আপনার ৫০ লাখ টাকার জিনিস রপ্তানি করার কথা। কিন্তু আপনি তালবাহানা করে ২০ লঅখ টাকার ইনভয়েস দেখালেন। আর মাল পাঠালেন ৫০ লাখ টাকার। কারণ দেখালেন আপনি বিদেশ গেলে বাকি ৩০ লাখ টাকা এক্সপোর্টার দেবেন। আসলে ওই ৩০ লাখ উভয় পক্ষ ভাগাভাগি হবে। দেশ থেকে মাল গেল ৫০ লাখ টাকার। দেশে ঢুকলো ২০ লাখ টাকা। বিদেশে থেকে গেল কত? মাত্র ৩০ লাখ টাকা।
৩. রেমিট্যান্স বনাম হুন্ডি:
আপনি বিদেশ থেকে মাল কিনলেন কিন্তু বিদেশে পেমেন্ট করলেন রেমিট্যান্স দিয়ে। দেশে কিন্তু রেমিট্যান্স ঢুকলো না। কত ঢুকলো না তা ডিপেন্ড করে আপনি কত কোটি টাকার মাল কিনলেন।
আবার দেশে হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করে বিদেশে মাল পাঠিয়ে দিলেন। হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধিত টাকার অংক রাষ্ট্র জানে না। রেমিট্যান্সের সাথে একাট্টা পাকিয়ে কাজটা এমনভাবে করলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আপনার কিছুই টের পেল না। কামের কাম কী হলো? দেশে রেমিট্যান্স ঢুকলো না। কিন্তু দেশের টাকায় (হুন্ডি) পরিশোধ হলো। ব্যাপারটা কী বোঝা গেল!
৪. কালোটাকা বৈদেশিক লেনদেনের নামে পাচার:
কালোটাকা বৈদেশিক লেনদেনের মাধ্যমে খুব সহজেই পাচার করার সুখ্যাতি রয়েছে।
৫. হুণ্ডি:
আপনি কত টাকা পাচার করবেন? হুন্ডির দালালদের কাছে সেই টাকা দিয়ে দেন। যে দেশে টাকা পাচার করতে চান, সেখানে আপনার প্রতিনিধি দালাল থেকে পাওয়া কোড নম্বরটি ঠিকমত বললেই ওই পরিমাণ টাকা বিদেশে আপনার প্রতিনিধির হাতে ঠিকই চলে যাবে।
৬. চোরাচালান:
চোরাচালানের মাধ্যমে টাকা পাচারের কাহিনী কী আর নতুন করে ব্যাখ্যা করতে হবে?
৭. ঋণখেলাপীর মাধ্যমে টাকা পাচার:
ব্যাংকের কাছে আপনি এক হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপী। কিন্তু আপনি এই টাকা বিদেশে যে কোনো উপায়ে পাচার করে দিছেন। টাকা পাচার হয়ে গেল। এবার আপনি লাল-নীল নানান রঙের পাসপোর্ট দেখিয়ে, ভিভিআপি, ভিআইপি, সিআইপি সেজে বিদেশ ভ্রমণে গেলেন। ওম শান্তি! বাংলাদেশ ব্যাংক কী আপনার কৌশল টের পেল?
৮. ট্যাক্স হ্যাভেন:
বিশ্বের যে সব দেশে আপনি নিরাপদে যে কোনো পরিমাণ টাকা নিশ্চিন্তে রাখতে পারবেন, অথচ আপনার টাকার উৎস নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করবে না, এমনকি আপনাকে কোনোরকম ট্যাক্সও দিতে হবে না, সেই দেশ হলো ট্যাক্স হ্যাভেন। বিশ্বের বড় বড় স্মাগলার, কালোবাজারি, ঋণখেলাপী, আদম ব্যবসায়ীরা এসব দেশে টাকা জমায়। সুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ প্রকাশ্যে ট্যাক হ্যাভেন দেশ হিসেবে পরিচিত। আর এদের সাথে দল পাকিয়ে চলা দেশগুলো হলো সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, বারমুডা, কেম্যান আইল্যান্ডস, সাইপ্রাস, ম্যাকাও, মাল্টা, মরিশাস, সেশেলস, পানামা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমাদের দেশের যারা টাকা পাচার করেন, তারা এসব দেশের অবৈধ রুটঘাট খোদ রাষ্ট্রের বুদ্ধিমান চাকুরিজীবীদের চেয়ে অনেক বেশি ভালো চেনেন। সো, ডোন্ট ওরি।
১০ বছরে মাত্র ৭৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। যা দিয়ে বাংলাদেশের পাতাল রেলের খরচ পুরোটা হয়ে যাবার কথা। এবার বুঝুন ঠেলা! উন্নয়ন কিন্তু সবদিকেই হচ্ছে। বিদেশে টাকা পাচারেও বাংলাদেশ বেশ উন্নয়ন করছে বটে!
......................................
৪ মে ২০১৭
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: কীভাবে বিদেশে টাকা পাচার হয়? রাষ্ট্র জানে না বললে ভুল হবে। বলতে হবে রাষ্ট্র খুব ভালো করেই জানে এবং সুযোগ করে দেয় বলেই টাকা পাচার হচ্ছে। ১০ বছরে মাত্র ৭৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। অর্থমন্ত্রী সাহেব হয়তো বলবেন, এইটা তো কোনো টাকাই না। সামান্য কয় টাকা!
রেজা ঘটক ভাই,এই কয় টাকা কি অর্থমন্ত্রী সাহেবের আব্বায় রেখে গেছেন ।
আর সব থেকে বড় কথা হলো যেখানে সুইজ ব্যাংকে গ্রাহক হতে হলে নগদ কোটি কোটি টাকা থাকতে হয়।
সেই হিসেবে আমাদের বাংলাদেশের সরকার এবং বিরোধী অনেকেই সুইজ ব্যাংকের গ্রাহক;এর মানে সহজেই বোঝা যাচ্ছে
এদেশের রাঘব বোয়ালেরা কিভাবে বিদেশে টাকা প্রাচার করছে ।তবে বর্তমান সরকার কিন্তু দুধে ধোয়া তুলসি পাতা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
এম এ কাশেম বলেছেন: ডিজিটেলি পাচার হলো, তারপরও হিসেব পাওয়া গেলো কি ভাবে।