নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন তালাক প্রথা \'অসাংবিধানিক\'!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৬


ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের রায়ে তিন তালাক প্রথা 'অসাংবিধানিক' বলে ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এই তিন তালাক প্রথা ইসলাম ধর্মপালনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত নয় বলেও জানিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। পাঁচ সদস্যের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের দুই সদস্য আপাতত তিন তালাক প্রথা বন্ধ রেখে নির্দিষ্ট আইন তৈরির জন্য সরকারকে নির্দেশ দিলেও অন্য তিন বিচারক এই প্রথাকে সরাসরি অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। তাঁরা একে অ-ইসলামিক বলেও ঘোষণা করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের রায়ই আদালতের রায় বলে গণ্য করা হবে।

রায়ের বিস্তারিত:
ভারতের প্রধান বিচারপতি জে.এস. খেহর এবং বিচারপতি এস. আব্দুল নাজির আগামী ছয় মাসের জন্য তিন তালাক প্রথা বন্ধ রেখে সরকারকে সেই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার কথা বলেছেন। অপর তিনজন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, রোহিন্টন এফ. নারিম্যান এবং উদয় উমেশ ললিত তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন। ফলে এখন থেকে ভারতে তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ হয়ে গেল। সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্যরা তিনটি পৃথক রায় দেন এবং আলাদাভাবে নিজেদের রায় আদালতে পড়ে শোনান।

ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ বেঞ্চ এই মামলার বিচার করেছে। তিন তালাক প্রথা ইসলাম ধর্মপালনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত কী না, সেই সাংবিধানিক প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছে এই বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ।

বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ:
বিচারপতিদের ধর্মীয় পরিচয় ভারতের আইন ও বিচারব্যবস্থায় আলাদা কোনো প্রভাব ফেলে না। তবুও বিতর্ক এড়াতে এই পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ-এ পাঁচ ভিন্ন ধর্মী বিচারক ছিলেন। একজন করে মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, পার্শি ও হিন্দু ধর্মের বিচারক ছিলেন এই বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চে। পাঁচ বিচারপতি হলেন প্রধান বিচারপতি জে.এস. খেহর, বিচারপতি এস. আব্দুল নাজির, বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, বিচারপতি রোহিন্টন এফ. নারিম্যান এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত।

মামলার প্রেক্ষিত:
যদিও মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রথা নিয়ে এই মামলা। কিন্তু এক হিন্দু নারীর দায়ের করা একটি মামলা চলাকালীন এর সূত্রপাত হয়েছিল। কর্ণাটকের বাসিন্দা এক হিন্দু নারী তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি চলার সময়েই ওই নারীর বিরোধী পক্ষের আইনজীবী মন্তব্য করেছিলেন- 'যে আদালতে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কথা হচ্ছে কিন্তু মুসলমানদের ধর্মীয় নিয়মে এমন অনেক কিছু রয়েছে, যেগুলোও মুসলমান নারীদের অধিকার হরণ করে।' ওই মন্তব্যের পরেই আদালত তিন তালাক নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার কথা বলে।

স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থে মামলা করেছিল আদালত:
দীর্ঘদিন ধরেই সব ধর্মের মানুষের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানী বিধি প্রণয়নের পক্ষে বিজেপি। সায়রা বানো, আফরিন রহমান, গুলশান পারভিন, ইশরাত জাহান ও আতিয়া সাবরি নামের কয়েকজন তালাকপ্রাপ্ত নারী যেসব পৃথক মামলা দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে, সেগুলোকে একত্রিত করেই সাংবিধানিক বেঞ্চ এই বিশেষ মামলাটি হাতে নিয়েছিল। অনেকগুলো সংগঠন, সরকারি দপ্তর, জাতীয় নারী কমিশন ও অন্যান্য ব্যক্তিরা এই মামলায় অংশ নিয়েছিল।

একরকম নজিরবিহীনভাবে গরমের ছুটির মধ্যে এই মামলার একটানা শুনানি চালানো হয়েছে। তিন তালাক প্রথা নিয়ে ভারতে বিতর্ক অনেকদিনের। তবে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি মুসলিম নারী সংগঠন এবং কয়েকজন তালাক প্রাপ্ত মুসলিম নারীদের দায়ের করা মামলাগুলোর কারণে তিন তালাক প্রথা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ বিজেপি'র শীর্ষ নেতারা বারেবারেই তিন তালাক প্রথা তুলে দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড বলছে, একসঙ্গে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ শরিয়া বিরোধী।

আইন কমিশন:
ভারত সরকার ও আইন কমিশনকে তিন তালাক প্রথা নিয়ে সমস্ত পক্ষের মতামত সংগ্রহ করতে আদেশ দিয়েছিলেন ওই সাংবিধানিক বেঞ্চ। যার প্রেক্ষিতে ভারতের আইন কমিশন ব্যাপকভাবে জনমত সংগ্রহ করে। আলোচনা চালায় বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে। তিন তালাকের পক্ষে-বিপক্ষে দু'ধরনের মতামতই প্রচুর সংখ্যায় জমা পড়ে আইন কমিশনে। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডসহ যারা তিন তালাক প্রথার সমর্থন করেন, তাঁদের কথায় কোনো আদালতই এই প্রথা নিয়ে বিচার করতে পারে না। নিজস্ব ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার যে অধিকার মুসলমানদের রয়েছে, তাতে কোনো আদালতই হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে তাঁদের মত।

মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড তাদের বক্তব্যের সমর্থনে আইন কমিশনে কয়েক লক্ষ মুসলমান নারীর সই করা পিটিশনও দাখিল করেছিল । অন্যদিকে যেসব সংগঠন তিন তালাকের বিরুদ্ধে, তারা মতামত দেন যে, শরিয়ত অনুযায়ী যেভাবে তালাক হওয়ার কথা, তার যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হয়ে থাকে ভারতে।

আইন কমিশনের হাতে পাওয়া সুপারিশ ও ভারতীয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমর্থণ নিয়েই শেষপর্যন্ত ওই সাংবিধানিক বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের রায়ে তিন তালাক প্রথা 'অসাংবিধানিক' বলে ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি তিন তালাক প্রথা ইসলাম ধর্মপালনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত নয় বলেও জানিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

রাজনৈতিক সরকার কেন আইন পরিষদে এই আইন এতদিন করলো না?
ভারতের রাজনৈতিক সরকারগুলো ভোটের হিসাব নিকাশ করে বলেই ধর্মীয় বিষয়ে জনসাধারণের সাথে খুব একটা মতপার্থক্য দেখায় না। উল্টো জনসাধারণের সহজ-সরল ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করেই রাজনীতি করে রাজনৈতিক দলগুলো। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় ইস্যুতে আইন পরিষদে খুব একটা সোচ্চার নয়। বর ধর্মকে পুঁজি করেই তারা মুখে গণতান্ত্রিক- গণতান্ত্রিক বলে নাটক করে। বাস্তবে রাষ্ট্রের ভেতরে ধর্মীয় বৈষম্যকে প্রশ্রয় ও লালন-পালন করে এসব রাজনৈতিক দলগুলো। তাই ধর্মের এই মুখোশ ভেঙ্গে সার্বজনীন আইন করায় রাজনৈতিক সরকারগুলো সবসময় মুখে কুলুপ এটে থাকে।

নতুবা ভারতের স্বাধীনতার ৭০ বছর পার হলেও রাজনৈতিক সরকারগুলো কেন সকল ধর্মের জন্য একটি সার্বজনীন আইন করতে পারলো না। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বলেই এরা ধর্মের এসব বৈষম্যগুলো বাঁচিয়ে রাখতে ভেতরে ভেতরে কাজ করে। নইলে ভারতের মত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সম্পত্তি আইন বজায় থাকে? কেন ভারতের সকল নাগরিকের জন্য এখনো একটি সার্বজনীন সম্পত্তি বণ্টন আইন কার্যকর হয়নি? আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতির খায়েসের কারণেই এটি এতদিন সম্ভব হয়নি।

আদালত বনাম আইন পরিষদ:
তিন তালাক প্রথা 'অসাংবিধানিক' বলে ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এটি আইনে পরিনত করতে হলে ভারতের আইন পরিষদে তা এখন পাশ হতে হবে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে রায় দিল, তা কেন আইন পরিষদ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এতদিন করলো না? সেখানেও ওই ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করার কৌশলকেই বিবেচনায় রাখছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাই আইন পরিষদে এটি এখন কখন কীভাবে আইনে পরিনত করে, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আর সেটি আগামী ছয় মাসে আইন পরিষদ কী করে তার উপর মূলত নির্ভর করছে।

সম্পত্তি আইন কেন ধর্মানুসারে হবে?
একটি রাষ্ট্রে সম্পত্তি আইন কেন ধর্মানুসারে হবে? তাহলে জনকল্যাণ, কল্যাণমুখী রাজনীতি, গণতন্ত্র এসব কী রাজনৈতিক দলগুলোর কেবল লোক দেখানো কেরামতি নয়? একটি রাষ্ট্রে আইন যেমন সকল নাগরিকের জন্য সমান। তেমনি সম্পত্তি আইনও সকল নাগরিকের জন্য সমান হওয়া উচিত। আর সেটি যতক্ষণ সম্ভব না হবে ততক্ষণ নারী স্বাধীনতা, নারীদের সমান অধিকার, শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজের গল্প কেবল লোক দেখানো রাজনীতি বলেই গণ্য হবে।

বাংলাদেশ কী ভারতের এই পদক্ষেপ অনুসরণ করবে?
প্রথমত বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বিচারবিভাগ অনেক বেশি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। তাছাড়া ভারত বহু সম্প্রদায়, গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণের একটি দেশ। যেখানে গণতন্ত্র বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। যে কারণে ভারতের বিচারবিভাগ যেভাবে একটি রায় দিতে পারে, একইভাবে রায় দেবার ইতিহাস বাংলাদেশের বিচারবিভাগের নাই। তাছাড়া ভারতের বিচারবিভাগের সাথে নির্বাহী বিভাগের তেমন দ্বন্দ্ব নাই, যা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করায় প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগের সাথে বিচারবিভাগের একটি সরাসরি সংক্ষুব্ধ অবস্থান দেখা যাচ্ছে। নির্বাহী বিভাগ যেখানে বাহাত্তরের সংবিধানের দোহাই টানছে, সেই আইন পরিষদ আবার বাহাত্তরের সংবিধান পুরোপুরি অনুসরণ করতে চায় না। সংবিধানের দোহাই দিলেও সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যুক্ত রাখার পক্ষে আইন পরিষদ। যা বাহাত্তরের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অথচ আইন পরিষদ বিচারবিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল মানতে অনিচ্ছুক। বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা আইন পরিষদ নিজেদের হাতে রাখতে চায়। এর কারণ বাংলাদেশে বিচারপতিদের সকল নিয়োগ হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারপতি নির্বাচিত হবার পর একজন বিচারপতি সেই আইন পরিষদের ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো দাপুটে মন্ত্রী-এমপিদের অপরাধ চোখ বুজে সহ্য করতে বাধ্য হয়। যে কারণে বাংলাদেশে এক বিচারহীনতার পরিবেশ বিদ্যমান।

বিচারবিভাগকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার হীন স্বার্থের কারণেই নির্বাহী বিভাগ বিচারবিভাগকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিতে চায় না। যে কারণে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের যে ব্যাখ্যা তা কেবল কাগুজে বাঘের বিষয়। বাস্তবে এখানে এক বিচারহীনতার পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখতেই সরকারগুলো পছন্দ করে। নিজেদের অপরাধ এড়ানোর এটা সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

তাছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়ের বিপক্ষে গিয়ে এমন একটি সভ্য ও সার্বজনীন আইন করার জন্য যে পরিমাণ রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন, তার সিকিভাগও আমাদের সরকারগুলো বিগত ৪৬ বছরে অর্জন করতে পারেনি। উল্টো ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য এরা একপায়ে খাঁড়া। তাই ভারতের এই দৃষ্টান্তমূলক রায়কে বাংলাদেশ অনুসরণ করতে ব্যর্থ হবে। তারচেয়ে বড় কথা এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ওই স্তরে নাই।

-----------------------
২৩ আগস্ট ২০১৭

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দেখা যাক কি ঘটনা ঘটে। সুন্দর উপস্থাপন। ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আসলেই তো! মুখে মুখে তিনবার তালাক উচ্চারণ করলেই তালাক হয়ে যাবে - এটা কোরআন হাদীসের কোথায় লেখা আছে, বা রাসুলের (স) কোন সাহাবী এভাবে তালাক দিয়েছেন? জানা আছে কারো? এরকম একটা ঠুনকো জিনিস আদালত পর্যন্ত যেতে হল কেন? নিজ বিবেককে প্রশ্ন করলেই তো জবাব পাওয়া যাবে - এটা একদমই অন্যায়।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা অবাক হবার মত ব্যপার বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশে তাৎখনিক ৩ তালাক আইণ বাতিল হয়েছে বহু আগে অতচ এই আইণ হিন্দু প্রধান দেশ ভারতে বাতিল হলো গত কাল ২২/০৮/২০১৭ । ১৯৬১ সালে আইয়ুব খান এই আইণ বাতিল করে এবং এই এখন আমাদের দেশে বহাল তবুও গ্রাম বাংলায় কওমী মাদ্রাসার মাওলানাদের কারনে এই প্রথা এখনো চালু আছে ।
সুরা আল বাকারাতে তালাক বাস্তবায়নের জন্য ইদ্দত কাল গুনার শর্তের কথা বলা হয়েছে -- কোরানের সেই নির্দেশকে তাচ্ছিল্ল করে তাৎখনিক ৩ তালাকের আইণ চালু ছিল এবং আছে গত ১৪০০ বৎসর ধরে। বিশেষ করে কওমী সালাফী ওহাবী ফেতনার কারনে একে রদ করা যায় নি ।
কি দু:খের বিষয়ে ভারতের ওল ইন্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ড এই আইণ রক্ষা করার জন্য আদালতে লড়াই করেছে এবং পরাজিত হয়েছে । দেখুন কি ভাবে এরা কোরান লংঘন করেছে , তারা জানে এই আইণ কোরান বিরুধী এবং বিশ্বের প্রায় সকল দেশে সরকারি ভাবে এই আইণ বাতিল করা হয়েছে ।
যাদের এই ৩ তালাক আইণের বিস্তারিত ব্যাখা দলিল সহ বুঝতে চান তাহোলে তাদের অনুরোধ করছি নীচের লিংকে গিয়ে ২৫মিনিটের এই নাটকটি দেখুন । নাটকটির নাম হিলা .
HILA HILA movie

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: বাংলাদেশ কী ভারতের এই পদক্ষেপ অনুসরণ করবে?

এই আইণ বাতিল হয়েছে ১৯৬১ সালে , যখন আইয়ুব খান ইসলামি পারিবারিক আইণকে রিফর্ম করে । এই আইণ সরকারি ভাবে আমাদের দেশে বাতিল কিন্তু গ্রাম বাংলায় মুর্খ অর্ধ শিখিত কওমী মাদ্রাসার মাওলাদের জন্য বেসরকারি ভাবে এখনো বলবত আছে । সরকারকে কঠোর হতে হবে তেতুল হুজুরদের অনুসারিদের হাত হতে আমাদের মা বোনদের রক্ষা করার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.