নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন কোনো গবেষণা হচ্ছে?

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৪

প্রতিদিন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান কিসিমের প্রতিবাদ, মানববন্ধন, অনশন, মিছিল, পাল্টা-মিছিল, হামলা, মামলা হচ্ছে। এই দৈনিক চিত্রগুলো এখন অনেকটা ফ্যাশন পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু যাদের কাছে দাবি চাওয়া হয় বা প্রতিকার চাওয়া হয়, সেই সরকার বাহাদুর প্রায়ই মুখে কুলুপ এটে নাকে শর্সের তেল লাগিয়ে পাছা উপরের দিকে দিয়ে নাক ডেকে ঘুমান।
কিন্তু একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট, এই দৈনিক চিত্রগুলো বর্তমান সময়ের ইতিহাসের এক জলজ্যান্ত ইমেজ। ইতিহাসের এই চলমান ট্রেন্ড নিয়ে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কোনো ধরনের গবেষণা হচ্ছে?

বর্তমান সময়ে এই যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, এই যে বিচারহীনতার প্রাকটিস, এই যে স্বেচ্চাচারিতা, এই যে লুটপাট, এই যে ডোন্ট-কেয়ার অ্যাটিচুড, এই যে জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করা, এসব মিলিয়েই বর্তমান সময়ের যে সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্রটি সুস্পষ্ট, যে সামাজিক অবক্ষয়ের মুখোমুখি আমাদের মন-মনন-মানসিকতা-মানবতা, এই যে পশ্চাৎমুখী যাত্রা, এই সম্মিলিত সমাজ-কাঠামোর এই যে ট্রেন্ড, এসব নিয়ে কি কেউ কোথাও কোনো গবেষণা করছেন? বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সময়ের এই প‌্যাটার্ন নিয়ে কি ক্লাশে ছাত্রছাত্রীদের কোনো ধারণা দেওয়া হয়? বা ছাত্রছাত্রীদের এই বিষয়ে চোখ খুলে দেবার জন্য কোনো শিক্ষক কি দায়িত্বরত আছেন?

যদি থাকেন, তাহলে সেই বিষয়ে কোনো প্রকাশনা বা বই চোখে পড়ে না কেন? আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, সমাজ-গবেষক, রাজনীতি-গবেষক এরা তাহলে দেশে কি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান? নাকি এরাও এসব লোটাকম্বলের ভাগবাটোয়ারা পাবার জন্য নানান কিসিমের দৌড়ঝাপে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত? এই বিষয়ে ভালো কোনো গবেষণা নেই কেন?

এ ধরনের গবেষণা থেকে আমি সরকার বাহাদুরের ভালো কাজের সুনিরপেক্ষ বিচার-বিশ্লেষণ যেমন দেখতে চাই, সেই বিশ্লেষণ থেকে দেশের সত্যিকারভাবে কতটুকু উন্নয়ন হচ্ছে, সেই চিত্রটি যেমন আন্দাজ করতে চাই। পাশাপাশি সরকার বাহাদুরের ফুলিয়ে ফাফিয়ে বলার ও বাস্তবের উন্নয়ন চিত্রের মধ্যে যে 'উন্নয়ন ফাকাবাজী'র চিত্র, সেই সরকারি অর্থের অপচয়ের বিশ্লেষণও দেখতে চাই।

আবার যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করছে, তাদের সেই দাবি কতোটা যৌক্তিক, সেই দাবি নিয়ে সুনিরপেক্ষ বিশ্লেষণ সম্মলিত গবেষণা দেখতে চাই। সেসব দাবির মেরিট-ডিমেরিট কতোটা তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেখতে চাই। নাকি দেশে ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান বা ফ্রিডম অব প্রেসের বিপরীতে অলিখিত-ছদ্মবেশি কোনো টেকনিক্যাল বাধা সরকারি তরফে চালু আছে। যা টপকে আমাদের গবেষকদের করার মতো কোনো মুরোদ নাই?

যে কোনো দেশের শাসক গোষ্ঠী অন্তত শতকরা ৭০ ভাগ ফাঁকা বুলি ছাড়েন। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত গরীব দেশগুলোর শাসকরা যুগে যুগে ফাঁকা বুলি দিয়ে এক ধরনের মিথ্যা মিডিয়াবাজি করে। বাস্তবের সমাজ বা কমিউনগুলোতে সেই সব উন্নয়ন বা সংস্কারপ্রথার তেমন একটা উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না। অন্যদিকে সত্যিকারভাবে যে উন্নয়নটুকু চোখে পড়ে, সেটুকুর আবার টেকসই বা স্থায়িত্ব বড়ই ভঙ্গুর। ফলে সমাজের পরিবর্তনের সত্যিকার চিত্রটি কোথাও পাওয়া যায় না। উন্নয়ন যেন কাজীর গরু হারানোর মতো বছর শেষে হারিয়ে যায়।

আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের গবেষকরা যদি নিরপেক্ষভা্বেই এসব চিত্র তুলে ধরার দায়িত্ব নিতেন এবং সরকার বাহাদুর যদি সেই চিত্র থেকে নিজেদের সংশোধন বা পরিবর্তন করার সুযোগ পেতেন, তাহলে সেটা সামগ্রিক অর্থেই দেশের জন্য মঙ্গলজনক ব্যাপার হতো। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন ধরনের গবেষণা করায় কোথাও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। যা সত্যিই বড় পীড়াদায়ক। বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের সমাজ গবেষণাচিত্র থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারতো আমাদের সরকার। সর্বপরি আমাদের এই দেশ। কিন্তু বিড়ালের গলায় সেই ঘণ্টা বাঁধবে কে? বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের কাছে আমার এই বিনীত জিজ্ঞাসা থাকলো!

-------------------
২০ জুলাই ২০১৮


মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে যদি গবেষক থাকে, আপনাকে জানাবেন; অপেক্ষা করেন।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

বিষক্ষয় বলেছেন: বাংলাদেশে এখন কোন নিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেই। কারন গত পনেরো বিশ বছর ধরে শুধু দলকানা দলদাসরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার মতো মেধাবী ও নিরপেক্ষ ছিলেন তারা সব বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে গেছেন। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমনই হবার কথা ছিল।

দেশের আমজনতার উপকার হতো।

কিন্তু মহোদয় ভিসি যখন তল্পিবাহক, তখন হা হতোম্মি!

পোষ্টে+

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: তথ্য কমিশনে গিয়ে খোজ নিতে পারেন।
তথ্য কমিশনে গেলে তারা তথ্য দিতে বাধ থাকে।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪১

আবদুল মমিন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: তথ্য কমিশনে গিয়ে খোজ নিতে পারেন।
তথ্য কমিশনে গেলে তারা তথ্য দিতে বাধ থাকে।[/sb


আমিও সে কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.