নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বইমেলায় আজ একটু দেরিতে ঢুকেছি। কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর আর আমি মানুষের বিশাল মব ঠেলে বইমেলায় ঢুকে প্রথমে যাই লিটলম্যাগ চত্বরে। সেখানে গিয়েই দেখি সবাই ফুঁসছে। সবাই খুব বিক্ষুদ্ধ। সবাই খুব বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কথাশিল্পী স্বকৃত নোমান আমাদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলেন। শিল্পী চারু পিন্টু ও পেন্ডুলাম প্রকাশক রুম্মান টার্শফিককে পুলিশ লিটলম্যাগ চত্বরে গায়ে হাত দিয়ে নাজেহাল করেছে!
পুলিশ ওদের তুলে নেবার চেষ্টা করলে, কবি-লেখক-লিটলম্যাগ সম্পাদকদের বাধার মুখের পুলিশ লিটলম্যাগ চত্বরে উল্টো ঘেরাও হয়ে আটকা পড়ে যায়। পরবতীতে লিটলম্যাগ চত্বরের দায়িত্বে থাকা বাংলা একাডেমি কর্মকর্তা সুলতান ভাই পরিস্থিতি সামাল দেন। আমরা সুলতান ভাইয়ের কাছে এই ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ করেছি। এবং পুলিশের এমন ঔদ্বত্বপূর্ণ আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে বলেছি।
সুলতান ভাই আমাদের কথা দিয়েছিলেন, সন্ধ্যায় এর একটি আনুষ্ঠানিক সমাধান করবেন। পরে আমাদের অনুরোধে টোকন ঠাকুর বাংলা একাডেমি'র মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী সাহেবের সাথে ফোনে কথা বলেন। সিরাজী ভাই বিষয়টি সন্ধ্যায় মিটিয়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন। আমরা শান্ত হয়ে নিয়মিত আড্ডায় মেতে উঠলাম। ঘণ্টা খানেক পর সুলতান ভাই এসে আমাদের জানালেন, আগামীকাল বিকাল তিনটায় অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে নিয়ে বসবেন। আমরা সবাইকে আগামীকাল বিকাল তিনটা পর্যন্ত সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছি।
আমরা সুস্পষ্টভাবে বাংলা একাডেমিকে বলতে চাই- অমর একুশে গ্রন্থমেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রীয় পুলিশকে আমরা আর দেখতে চাই না। আগামী বছর থেকে বইমেলায় বাংলা একাডেমি'র নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করুক, এটা আমাদের দাবি। বইমেলায় পুলিশ কবি-লেখক-শিল্পী-প্রকাশকদেরকে সম্পূর্ণ চোর/সন্ত্রাসী হিসেবে ট্রিট করে। যা খুবই দৃষ্টিকটু। পুলিশ থাকবে গোটা বইমেলার বাইরে। ভেতরে সবাইকে চেক করে ঢোকানো হয়। তারপর বইমেলায় পুলিশ এভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সাথে এরকম আচরণ করে কোন যুক্তিতে? এদেশটা কী পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেল?
কবি-লেখক-শিল্পী-প্রকাশকদের সাথে ভালো আচরণ করার মত যোগ্যতা রয়েছে এমন পুলিশ কী আমাদের পুলিশ বাহিনীতে নাই? তাহলে বাংলা একাডেমি এমন অসভ্য পুলিশকে এরকম একটি প্রাণের বইমেলায় দায়িত্ব দেয় কী করে? বইমেলায় ঢোকার সময় পুলিশ গায়ে হাত দিয়ে চেক করে। তাহলে গেটের মেটাল ডিটেকটরের কাজটা কী? আজকে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে গেটে পুলিশ কাউকে চেক করেনি কেন? তাহলে অন্য দিনগুলোতে চেক করার কারণ কী? বইমেলায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা তো এমন ভিড়েই আশংকা বেশি থাকে। অথচ আমরা দেখেছি, ভিড় বেশি হলে পুলিশ আর চেক করে না। কিন্তু ভিড় না থাকলে পুলিশের এমন বাজে আচরণ?
আমরা পুলিশের থেকে এরকম অপমানকর আচরণ কোনো ভাবেই প্রত্যাশা করি না। এই দেশ আমাদের সবার। এই প্রাণের বইমেলাও আমাদের সবার। পুলিশকে আমাদের সাথে সহযোগিতার মনোভাব নিয়েই বইমেলায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর পুলিশের এমন আচরণের জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি পুলিশকে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করার অনুরোধ করছি।
আশা করি বাংলা একাডেমি বইমেলায় একটি সুন্দর পরিবেশ রাখার জন্য উদ্ভুত পরিস্থিতিকে সুন্দরভাবে সমাধান করবে। বইমেলায় পুলিশের কোনো ধরনের মাস্তানি আমরা সহ্য করবো না। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু এজন্য তাদেরও সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। লিটলম্যাগ চত্বরে স্থাপিত পুলিশ টাওয়ার নিয়ে আমরা শুরু থেকেই আপত্তি করেছি। বাংলা একাডেমি আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। অথচ শেষ পর্যন্ত আমরা পুলিশের সেই আচরণ দেখলাম।
আগামী দিনের তুর্কী লেখকদের আড্ডা হয় লিটলম্যাগ কর্নারে। বাংলা একাডেমিকে বুঝতে হবে এরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। এদেরকে পুলিশ লেলিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা এই ঘটনার সুষ্টু সমাধান দাবি করছি। আশা করি, সিরাজী ভাই বিষয়টি অত্যন্তু গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন। বাংলা একাডেমি এবং আমাদের পুলিশ ভাইদের সুচিন্তা উদয় হোক।
-----------------------
বইমেলা থেকে ফিরে
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব অন্যায়।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ হলো সবচেয়ে বড় রংবাজ।
এরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন না।
এরা (পুলিশ) মনে করে, আমরা তাদের অধীন।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশের রাজা পুলিশ
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চেতনার ডামাডোলে পুলিশি রাষ্ট্র বহু আগেই হয়ে গেছে দেখতে পান নি! ?
যখন রাতের আঁধারে ভোট কাটাকে চেতনার চশমায় বৈধতায় দিয়েছে
সেদিনই বীজ বপন হয়েছে, লিটল ম্যাগের সেই বিষবৃক্ষের বিষফলের ছোঁয়া লেগেছে মাত্র!
বিএনপিকে পিটানো জায়েজ বলে যারা বগল বাজিয়েছে- তারা ভুলে গেছে পেটোয়া বাহিনীর চর্মচক্ষু নেই!
এই পিটুনি পলকে ঘুরে যায় পেটোয়া বাহিনীর ইচ্ছাতে!
গণতন্ত্রের হত্যা উন্নয়নের অজুহাতে গ্রহণযোগ্য নয়। এই বোধ জাগ্রত না হলে পেটোয়া বাহিনীর আরো ঘাত অপেক্ষমান।
জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু সমাধান হোক। সুষ্ঠু বিচার হোক।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
শেহজাদী১৯ বলেছেন: কি বিষয় নিয়ে গন্ডগোল? কি নিয়ে পুলিশ হেনস্থা করেছিলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
চির-প্রতিবাদী, প্রতিবাদের জন্য প্রতিবাদ?
পুলিশ চেক না করলে, বোমা টোমা ফুটলে, তখন পুলিশকে দায়ী করবেন!