নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও আমার কিছু অভিজ্ঞতা!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ পাড়ি দিলেন অনন্তলোকে। খালেদ সাহেবের সাথে আমার একটামাত্র স্মৃতি আছে। যদিও সেটি খুব সুবিধার নয়। ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে বা ২০০০ সালের শুরুর দিকের ঘটনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (সহকারী পরিচালক) পদে'র জন্য আমি প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে ভাইভা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তখনকার ডেপুটি গভর্নর জনাব খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ছিলেন আমার ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান। এছাড়া আরো চার/পাঁচ জন সেখানে বোর্ডে ছিলেন।

আমার সিরিয়াল আসার পর আমি ভাইভা দিতে ভেতরে ঢুকেছি। প্রশ্নকর্তারা পড়াশুনা এবং রেজাল্ট নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলেন। তারপর ব্যাংকিং নিয়ে নানান কিসিমের প্রশ্ন! চার-পাঁচ মিনিট পর ডেপুটি গভর্নর সাহেবের কাছে তিন জন গেস্ট আসলেন। তিন জনের মাথায় টুপি ছিল। তারা সবাই পাশের সোফায় বসলেন। খালেদ সাহেব আমাদের টেবিল থেকে উঠে ওনার গেস্টদের সাথে আলোচনায় যোগ দিলেন।

প্রশ্ন কর্তারা নানাভাবে আমাকে প্রশ্ন করে যাচাই বাছাই করলেন। একসময় খালেদ সাহেব গেস্ট বিদায় করে আমাদের টেবিলে ফিরে আসলেন। ততক্ষণে প্রশ্ন কর্তাদের তেমন কোনো প্রশ্ন করার আর ইচ্ছে নেই! এবার একজন প্রশ্ন করলেন- আপনি কী বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন? আমি জবাবে বলেছিলাম, হ্যা ২০তম বিসিএস ভাইভা দিয়েছি গত পরসু দিন। তখন খালেদ সাহেব আমাকে একটি প্রশ্ন করলেন- বিসিএস ক্যাডার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক দুটোতেই আপনার চাকরি হলে আপনি কোনটি করবেন? আমি জবাবে বলেছিলাম- অবশ্যই বিসিএস ক্যাডার-এ করব। তারপর খালেদ সাহেব বললেন- থ্যাংক ইউ। আমিও 'থ্যাংক ইউ অ্যান্ড থ্যাংক ইউ অল' বলে বিদায় নিয়েছিলাম।

অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের ১৫/১৬ মিনিট করে রাখলেও আমাকে ভাইভা বোর্ডে থাকতে হয়েছিল প্রায় ২৪/২৫ মিনিট। তার একটা প্রধান কারণ ছিল খালেদ সাহেবের জন্য অন্যান্য প্রশ্ন কর্তাদের অপেক্ষা। এমনি এমনি তো আর আমাকে বসিয়ে রাখা যায় না। তাই তারা দুনিয়ার নানান কিসিমের প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন। আর আমি তখন সাধ্যমত জবাব দিচ্ছিলাম। কারণ সবগুলো প্রশ্নের জবাব আমার তখন জানা ছিল। এখানে একটা বিষয় বলতে চাই- ১৭, ১৮ ও ২০তম বিসিএস-এ আমি তিন বার ভাইভা থেকে বাদ পড়ি। যদিও আমার প্রস্তুতি ছিল তখন দুর্দান্ত!

তিন বার বিসিএস ভাইভা দিয়ে এদেশে আমার বিসিএস ক্যাডার হয়নি, তার একটি মাত্র কারণ আমি কোনো দলীয় প্রার্থী ছিলাম না। তখন বাজারে আমার লেখা বিসিএস গাইড, ব্যাংকিং রিক্রুটমেন্ট গাইড পড়ে অন্যান্য ছেলেমেয়েরা প্রস্তুতি নিত। ওই সময়ে দুনিয়ার যে কোনো খবর ছিল আমার একেবারে নখদর্পনে। আর আমার প্রস্তুতি ছিল তখন তুঙ্গে। তাই ভাইভাতে কোনো প্রশ্ন করে আমাকে আটকানো মোটেও সহজ ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষার জন্য আমি মানিটারি পলিসি ও ফিসক্যাল পলিসি নিয়ে নিজের মতামত তৈরি করেছিলাম। আর ভাইভাতে মানিটারি পলিসি নিয়ে প্রশ্ন করায় তার যথাযথ জবাব দিয়েছিলাম।

আমি চাকুরির জন্য যতবার যেখানে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি, সবগুলোতে পাশ করেছি। কোনো পরীক্ষায় আমি কোনোদিন ফেল করি নাই! আর ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো- চাকুরির ভাইভাতে সবগুলোতে ফেল করেছি। তাই আমার বিসিএস হয় নাই। বাংলাদেশ ব্যাংকেও হয় নাই। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাইভা ছিল আমার সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সর্বশেষ পরীক্ষা। সেদিন থেকেই বাংলাদেশের সরকারি চাকরির সিস্টেম সম্পর্কে আমি খুব ভালোভাবেই অবগত।

সেদিন জনাব খালেদ সাহেবের উপর আমার খুব রাগ হয়েছিল। ভাইভা শেষে লিফটে নামার সময় আমি মনে মনে আমার রেজাল্ট পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রশ্ন হলো- একটি ভাইভা বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান ভাইভা চলাকালীন সেখানে গেস্ট এলাউ করতে পারেন কিনা? জরুরি কিছু হলে ভাইভা বিরতি দিয়ে গেস্ট এলাউ করা যেত! কিন্তু উনি সেদিন আমার ভাইভা বোর্ডে এরকম একটি জঘন্য কাজ করেছিলেন। আমি মনে করি এটা একজন চাকুরিপ্রার্থীর জন্য জঘন্য রকমের অভিজ্ঞতা। আমার বক্তব্য খালেদ সাহেব পুরোটা শুনলে হয়তো আমার চাকরি হলেও হতে পারতো। অন্তত সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু উনি অনুপস্থিত থেকে সেই সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দিয়েছিলেন!

এরপর থেকে খালেদ সাহেবের অনেক লেখা আমি পত্রিকায় পড়তাম। কিন্তু উনি আমার সাথে যে ব্যবহার সেদিন করেছিলেন, সেটি ছিল নীতি বহির্ভুত। কারণ ভাইভা বোর্ডে আমি আমার যেসব বক্তব্য দিয়েছিলাম, তা উনি বলতে গেলে কিছুই শোনেননি। কিন্তু যে চূড়ান্ত প্রশ্নটি উনি করেছিলেন, যা ছিল আমার চাকরি না হবার মূল কারণ!

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই পরীক্ষার পর আমি আর কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করিনি। আর এ কারণে পরবর্তী সময়ে আমার পরিবারের সাথে নানান কিসিমের ক্যাচাল আমাকে ফেস করতে হয়েছে। অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স করে আমি কেন চাকরি করব না, এটা ছিল পরিবারের প্রধান আক্রমণ। আর আমি জানি, আমি আসলে চাকরির ক্ষেত্রে এদেশের কী কী অব্যবস্থাপনা ফেস করেছি। ভবিষ্যতে এসব ঘটনার একেবারে টু দ্য পয়েন্ট আমি লিখব। কারণ এর পরেই আমি লেখক হবার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করি। আর লেখালেখিতে হাত পাকিয়েছি নব্বই দশকের শুরু থেকেই।

১৭তম ও ১৮তম বিসিএস-এ আমার ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি এএসএম ফায়েজ স্যার আর ২০তম বিসিএস-এ ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারক জনাব গোলাম রসুল স্যার। ২০-তম বিসিএস পরীক্ষা ছিল আমার সার্টিফিকেট অনুযায়ী সর্বশেষ বিসিএস। তাই আমার প্রস্তুতি ছিল ১৭ ও ১৮-এর চেয়েও অনেক ভালো। যেদিন আমি ২০-তম বিসিএস ভাইভা দিতে যাই, সেদিন আমি পেকেটে করে একটি কাচের পেপার ওয়েট নিয়ে গিয়েছিলাম।

আমাকে ভাইভা বোর্ডে কোনো ধরণের উল্টাপাল্টা বা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করলেই আমি ওই পেপার ওয়েট দিয়ে প্রশ্ন কর্তার মাথা ফাটিয়ে দেব, এটাই ছিল আমার তখন পরিকল্পনা। ভাইভা বোর্ডে গরুর রচনা নিয়ে যে প্রশ্ন করা উচিত নয়, তা বোঝানোর জন্য ওটা ছিল আমার এক ধরনের প্রতিবাদমূলক প্রস্তুতি। কারণ আমার সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর আর আমাকে উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে বাদ দেওয়া হবে, তা আমি তখন মানব কেন?

যা হবার হবে, ভাইভা বোর্ডকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য আমি পকেটে করে সেদিন পেটার ওয়েট নিয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন পিএসসিতে গিয়ে দেখি- অন্যান্য বোর্ডগুলোর সামনে কোনো পুলিশ নাই। কিন্তু আমার যে বোর্ড সেখানে দরজার বাইরে একজন গানম্যান! আমি আমার সিরিয়াল জানলাম- সবার শেষে আমি। তখন ১৫ জন করে একটি বোর্ডে বিসিএস ভাইভা হতো। তো আমার হাতে তখন প্রচুর সময়।

পিএসসি'র নিচে এসে আমি অপেক্ষা করতে থাকি। কেউ ভাইভা দিয়ে বাইরে আসলে তার কাছে জানতে চাই কেমন প্রশ্ন করছে! আমি তখন বুঝতে পারছিলাম না যে, পকেট থেকে পেপার ওয়েটটা ফেলে দেব কিনা। ঘণ্টাখানেক পরে একটা সুযোগ পেলাম। দেখি- সেই গানম্যান পিএসসি'র ক্যান্টিনে নাস্তা করতে এসেছেন। আমি সিঙ্গারা নিয়ে তক্কে তক্কে তার টেবিলে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কার গানম্যান? গানম্যান বললো- গোলাম রসুল স্যারের। আমি জিজ্ঞেস করলাম- উনি কী বঙ্গবন্ধু'র বিচারক সেই গোলাম রসুল? উনি বললেন হ্যা। জিগাইলাইম- আপনার হাতের ওইটা ফোটে কিনা? উনি জানতে চাইলেন কী? কইলাম- আপনার ওই এসএলআর!

উনি মিটমিট করে হাসলেন। আমি আবার জিগাইলাম- ওইটা দিয়ে গুলি করতে কতক্ষণ লাগে আপনার? উনি কইলেন- গুলি করতে একটু সময় তো লাগে। জিগাইলাম- কয়টা গুলি বের হয়? উনি আবারো হাসলেন! তারপর কইলাম- আপনার স্যার লোক কেমন? উনি কইলেন- স্যার লোক খুব ভালো। কিন্তু! আমি জিগাইলাম কিন্তু কী? উনি কইলেন- ম্যাডাম খুব ঝামেলার। আমি জিগাইলাম কী নিয়ে ঝামেলা? উনি কইলেন- খালি মার্কেটে যাইব শপিং করতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ম্যাডামের সাথে ঘোরা লাগে। আমি কইলাম- আপনি তো আপনার স্যারের গানম্যান, ম্যাডামের সাথে মার্কেটে যান কেন? উনি কইলেন- স্যার ঘুমাইলে ম্যাডাম মার্কেটে যায়। আমারে নিয়া যায় সাথে, কী করব!

না, সেদিন আমি পকেট থেকে পেপার ওয়েট ফেলিনি। ভাইভা বোর্ড ছিল চমৎকার। আমার ভাইভা হয়েছিল লাঞ্চের পর বিকালে। আমি সবশেষ ক্যান্ডিডেট হওয়ায় ওনারা তিন জন মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রশ্ন করেছেন আর আমি উত্তর দিয়েছিলাম। ওনাদের প্রধান কৌতুহল ছিল বিসিএস-এ এতগুলো ক্যাডার থাকতে আমি কেন শুধু বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা চয়েস দিয়েছি? জবাবে আমি বিশাল উত্তর করেছিলাম। আমি আমার বক্তবে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা জনসংখ্যা। জনসংখ্যা নিয়ংন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবই প্রধান কারণ। আমি সেই অভাব দূর করতে নেতৃত্ব দেবার জন্য একটিমাত্র ক্যাডার চয়েস করেছি।

বাংলাদেশের সরকারি চাকুরিতে আপনি দলের প্রার্থী না হলে আপনার কপালে ফুটা পয়সা লাগান। আর যদি টাকা পয়সা দিয়ে কোনো লাইনঘাট করতে পারেন, তাহলে অন্য আলাপ। কিন্তু আপনি কোনো ধরনের যোগসূত্র ছাড়া বিসিএস ক্যাডার বাগিয়ে নেবেন, এই আশা এখনো যারা করেন, তাদের জন্য আমার করুণা! বাংলাদেশের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে দুর্নীতি বাসা বাঁধেনি!

সরকারি অফিস মানে আপনার জন্য দুর্ভোগ একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। চাকরিবাকরি না করে তারপর আমি গবেষণা করতে থাকলাম। লেখালেখি'র একপর্যায়ে সিনেমা বানাতে আসলাম। আবারো সরকারি অফিস ফেস করতে গিয়ে দেখি, আমাদের সরকারি প্রশাসনের সেই মগের মুল্লুক এখনো সেই তালেই আছে। এখন আবার এটা নতুন সিস্টেমে চলে। টেহা নেই তো কাম আটকে থাকবে!

আমি 'হরিবোল' নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়ে ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে যথাযথ নিয়ম মেনেই জমা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির সেন্সর হয়নি। কারণ কী? কাগজে কলমে কোনো সুযোগ নাই আমার সিনেমা আটকানোর। কিন্তু ওই যে বললাম, এদেশে দুর্নীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তা আপনি ঠাওর করতে পারবেন না। চলচ্চিত্র সেন্সর আবেদনপত্রের কোথাও এফডিসি'র ছাড়পত্র জমা দেবার কোনো নিয়ম নাই। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এফডিসি'র ছাড়পত্র চেয়ে আমার সিনেমা আটকে রেখেছে। আর এফডিসি থেকে ওই ছাড়পত্র আনতে মাত্র তিন লাখ টাকার মামলা।

এফডিসি থেকে ছাড়পত্রের বিষয়টি তাহলে সেন্সর বোর্ডের আবেদনপত্রে উল্লেখ নাই কেন? কারণ ওটা সেন্সরের জন্য লাগে না, তাই উল্লেখ নাই। আমরা এমন একটি নষ্ট দেশে জন্মগ্রহণ করেছি যে, জন্মই এখানে আজন্ম পাপ। আমি সেন্সর বোর্ডকে বলে এসেছি, আর কোনো সিনেমা বানালে কোনোদিন আপনাদের এই নষ্ট সেন্সর বোর্ডে আসব না। কারণ আপনারা সবাই দুর্নীতিতে জড়িত! আপনাদের সাথে আমার কোনো আপোষ নাই! স্যালামালাইকুম!

জনাব খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সাহেব আপনার মৃত্যুতে আমিও শোকাহত। কারণ আপনি বাংলাদেশের জন্য একজন সম্পদ ছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে আপনার অবদান সীমাহীন। কিন্তু ঘটনাচক্রে আমার সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে, ওটি ওই সময় আমার পরিবর্তে অন্য যে কোনো পরীক্ষার্থীর বেলায়ও ঘটতে পারতো। তাই এটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নাই। কিন্তু আমাদের সিস্টেমের যে দোষ, তা আপনি একা হয়তো দূর করতে পারেননি। কারণ সিস্টেম এলাউ করেছে ভাইভা বোর্ড চলাকালীন গেস্ট সেখানে খোশগপ্পো করতে যেতে পারে। এ আর নতুন কী যখন দেশটার নাম বাংলাদেশ!
------------
রেজা ঘটক
কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাইভাতে পাশ করতে হলে টাকা দিতে হয় ভাই।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: সাম্প্রতিক অতীতে ব্যাংকিং বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্যে আমার মনে হয়েছে তাঁর মোরাল স্টেংথ উঁচুমানের ছিলো। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু কথা বলেছেন।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

জগতারন বলেছেন:
আমার জীবনের বিশ্ববিদ্বিশ্ববিদ্যালয় আরম্ভকালেই বিদেশে এসেছিলাম এই সমস্ত কারনেই।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৮

জগতারন বলেছেন:
বিশ্ববিদ্বিশ্ববিদ্যালয় = বিশ্ববিদ্যালয়।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৮

জগতারন বলেছেন:
বিশ্ববিদ্বিশ্ববিদ্যালয় = বিশ্ববিদ্যালয়।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আজীবন

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার মতো অভিজ্ঞতা আমার ও হয়েছে ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি তো হয়নি । বরং পিএসসির সদস্য মহব্বত খানের জন্য আমার ভাইভাতে সম্ভবত শূন্য পেয়েছিলাম।
বলেই আমার মনে হয়েছে।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার কেন যেন মনে হয়, উনি পুরা সময় ভাইভাতে থাকলেও আপনার চাকরিটা হতোই না।
আরেকদিক দিয়ে ভাবলে বলতে হয়, চাকরিটা না হয়ে বেঁচে গেছেন।
যাইহোক, জনসংখ্যা সমস্যা যে অন্যতম বড়ো সমস্যা এটা আমিও বিশ্বাস করি।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৪

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: হাতে ক্ষমতা থাকলে নীতির সাথে আপোষ হয়ে যায়।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আমার কাজিন দুর্দান্ত একটা ভাইবা দিয়ে কাজ হয়নি, ওভার কনফিডেন্স নিয়ে বলেছিল কোন টাকা লাগবেনা, কিন্তু বারো লাখ টাকার অফার ছিল।
বিসিএস নিয়ে বান্ধুবির খুব স্বপ্ন দেখে বলেছিলাম মিনিমাম দশ লাখ টাকা হাতে নিয়ে প্রিলির চিন্তা কর, সে স্রেফ আমার কথাটাকে তুবড়ি মেরে উড়িয়ে দিল। ভবিষ্যতে তাকে দেখার আমার খুব ইচ্ছে, বাংলাদেশের সব থেকে ফেয়ার সেক্টর নাকি বিসিএস B-)

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: কী ভয়ংকর কাহিনী... সমাজের শিক্ষিত, মার্জিত লোকেদের এমন অমার্জিত ব্যবহার!! একটা তরুণ কতটা স্বপ্ন নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে যায়, আর এই মানুষগুলো নির্বিকার ভাবে তরুণের স্বপ্নকে হত্যা করে...

যদিও পড়ে মনখারাপ হয়েছে, কিন্তু আপনার এই লেখা না পড়লে জানা হতো না দায়িত্বপ্রাপ্তরা কতটা দায়িত্বহীন হতে পারেন!! আপনার জন্য শুভকামনা।

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪১

ডাব্বা বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো। বাংলাদেশ নিয়ে অনেক হা হুতাশ করেছি অতীতে, এখন আর করি না। তবে আশাবাদী।

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: গেট ওয়েল সোন।
আপনার দূর্ভাগ্য- এই দেশে জন্মেছেন।

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

রেজা ঘটক বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: তার শেয়ার বাজার লুটের তদন্ত প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
নামী লোকরা অনেকেই অনেকের সাথে অন্যায় আচরণ করেন, যেটা প্রকাশ হয় না।
ঢাকা কলেজের শিক্ষকদের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র আমাকেই ইতিহাসে এমএ'তে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ লাভের পরও মৌখিকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছিলো-যার সব প্রমাণ আমার কাছে আছে।
দেশ-জাতি পরিবর্তন করতে এভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫৭

রাজীব বলেছেন: আমার মনে হয়, সরকারী চাকুরীর নিয়োগ এখন অনেকটাই ফেয়ার হয়। কারন, একই লোককে ৭ টা চাকরীতে সিলেকটেড হতেও দেখেছি। তার মানে কি সে ৭ টা অফিসে ঘুষ দিয়েছে?
আমি নিজেও একটি সরকারি চাকরি করি। প্রতিদিন আমার অফিসে এক বা একাধিক ব্যাক্তিকে ইস্তফা দিতে দেখি। কারন অন্য কোন সরকারী অফিসে তাদের চাকরী হয়েছে।

১৭| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.