নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের মন থেকেই লিখি। কাউকে হেয় করার জন্যও না কাউকে উদ্দেশ্য করেও না। মানুষ মাত্রই ভুল, ভুল হলে শোধরিয়ে দিবেন; আশা করি।

রেযা খান

রেযা খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছুটির ঘন্টা!

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

ঘন্টার আওয়াজ কিংবা শব্দকে বুঝাতে চাইছি না, জীবনের একটা অধ্যায়কে বুঝাতে চাইছি। যে অধ্যায় মানুষের জীবনের মধুর স্মৃতি, সুখগাঁথার সোনালী আবরণে মোড়ানো। যে অধ্যায়ের কথা স্মৃতিপটে ভেসে উঠলে মনের অজান্তেই অশ্রু ঝরে। বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হয়, হৃদয়ে শূন্যতা জাগে। শব্দগত কোন পার্থক্য নেই ;আনন্দ-উল্লাস এবং অনুভূতির ভিত্তিতে ছুটির ঘন্টার পার্থক্য আছে।
১. প্রাথমিক বিদ্যালয় জীবনে ছুটির ঘন্টা।
২. মাধ্যমিক বিদ্যালয় জীবনে ছুটির ঘন্টা।
৩. কলেজ জীবনে ছুটির ঘন্টা।

ছবিঃগুগলের কল্যাণে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় জীবনের ছুটির ঘন্টা ছিলো হৈ হুল্লোড়-আনন্দের চাদরে আচ্ছাদিত। এখানে কোন বিষাদ ছিলো না, দূরে যাওয়ার কোন প্রবণতা ছিলো না। ছিলো কেবল আনন্দ, বাড়ি ফেরার দৌড়, মায়ের হাতের খাবার নেওয়ার টান, পাড়াতো ভাইদের সাথে খেলার প্রবল আগ্রহ। যার কারণেই যখন ছুটির সময় হতো সবাই প্রতিযোগী হতাম একে অপরের আগে দৌড়ে বের হওয়ার। এই দৌড় ছিলো নিজেকে ভেঙ্গে নব রূপে আবিষ্কার করার। এই জীবনের ছুটির ঘন্টা স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে।

এবার আসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জীবনে ছুটির ঘন্টায়। এই ঘন্টার শেষে দৌড় ছিলো না, ছিলো না বাড়ি ফেরার তাড়না; ছিলো রয়ে যাওয়ার বাসনা, পাওয়ার আকুলতা। এই মাধ্যমিক জীবনে প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। স্বপ্নের রাজকুমার কিংবা রাজকুমারী যদি ক্লাসমেট বা অত্র প্রতিষ্ঠানের হয় তাহলে তো এই ঘন্টা যেমন মিলনের তেমন বিষাদের, দূরত্বের, হাহাকারের।ছুটির পর মিলিত হই,বাড়ি ফিরে একা রই। বর্তমান প্রজন্মের কথা বলছি না ,যাদের কাছে যোগাযোগের মাধ্যম হাতের মুঠোয়; তাদের কাছে ছুটির ঘন্টার কোন আয়েস নেই, ভাষা নেই। আমাদের প্রজন্মের কথা বলছি যাদের যোগাযোগ চোখের ভাষায়, চিঠির পাতায়, বিশ্বস্ত সখির ছায়ায়।

কলেজ জীবনের ছুটির ঘন্টা কানে বাজে না। যে শব্দ কানে আসে না, তা হৃদয়ে আঘাত করে না। এই জীবনে ছুটির ঘন্টা কলেজ পক্ষকে বাজাতে হয় না, আমরা নিজেই বাজাই। যার কারণে নিজের ইচ্ছাতে বের হই, নিজের ইচ্ছাতে ঘুরাঘুরি; নিজের ইচ্ছাতে ঘরে ফিরি।

এগুলোর বাইরেও জীবন আছে, ঘন্টা নেই। এই জীবনে ঘন্টার আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হয়, অন্তরে বাজে, ধুলোয় ঢাকা ডাইরিটাকে জাগিয়ে তুলে। সে জীবনটা অনেক দীর্ঘ যার ব্যাপ্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্যু পর্যন্ত । এই জীবন হাহাকারের, স্মৃতিতে কাতর হওয়ার, ভাবনার, দীর্ঘশ্বাসের। হাহাকারের জীবন বুঝি দীর্ঘই হয়।

চলতে পথে কত ছুটির ঘন্টাই তো কানে বাজে, অনুভূত হয় না, হৃদয়ে স্পর্শ করে না। এই ঘন্টা জীবনের একটা অধ্যায় ছিলো। যে অধ্যায় অশ্রুর কালিতে হৃদয়ের ডাইরিতে লিখা থাকবে আমৃত্যু।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়লাম। আমি একটু অন্য প্রসঙ্গে বলি- প্রাইমারী স্কুল গুলোর শিক্ষকদের শিক্ষাদান করার প্রক্রিয়া নিয়ে আমার শংসয় আছে। আরো আধুনিকরন করার দরকার।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রেযা খান বলেছেন: সহমত দাদা

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই ঘন্টার দিনে। আফসোস রেখে গেলাম আপনার পোস্টে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রেযা খান বলেছেন: ভালোবাসা রইলো।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০২

আমিই মুসাফির বলেছেন: আর ফিরা যাইবার পারুম বইলা মনে অয় না।

অশ্রুর কালী কই পাওয়া যায় আমারে একটু খোঁজ দিবার পারবেন?

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রেযা খান বলেছেন: এই এক্কান কথা আর কি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.