নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যেমন

রিজওয়ান উল আলম

জীবন আসলেই সহজ, আমরাই জীবনকে কঠিন করে তুলেছি।

রিজওয়ান উল আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কি নির্বাচনের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩০

উপরোক্ত শিরোনামে ২০১৮ সালে একটি লেখা লিখেছিলাম বিদেশী এক ব্লগে (Click This Link)| আজ ঢাকার সিটি নির্বাচন উপলক্ষে তার একটা বাংলা ভাবানুবাদ তুলে ধরছি:

আমি এখনও আমার নিজের দেশে কোন নির্বাচনে ভোট দেই নি। ১৯৯৫ সালে লন্ডনে পড়াশুনার সময় স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে একবার ভোট দিয়েছিলাম। ২০০১ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে এক মাসের জন্য কাজ করেছিলাম। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সময় অবাক বিস্ময়ে আবিস্কার করলাম, রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ভিতরে ঘোড়ার আস্তাবলের নম্বরটি ছিল এক ভোটারের ঠিকানা। ১৯৯৮ সালে এক জাতীয় উপনির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে সমর্থকরা স্থানীয় সংসদ সদস্যকে চিনতে না পারায় আমার উপর প্রায় মারমুখী হয়ে পড়েছিল| আমি তার সমর্থকদের ব্যালট বাক্স ভর্তিতে বাঁধা দিয়েছিলাম|
বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক সপ্তাহেরও বেশি সময় বাকি। আমার ধারনায় এখন একটাই প্রশ্ন: বাংলাদেশে বা বিশ্বে কোথাও কি আমাদের সত্যিই নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে?
বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও রাজনীতিবিদদের প্রতি জনআস্থা কমে যাচ্ছে। আমরা পারস্পরিক অবিশ্বাসের রাজ্যে বসবাস করি। রাষ্ট্র, উন্নয়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন এবং যে কোনও বিষয়ের উপরে লোকের আস্থা আর বিশ্বাস আর আগের মত নেই। এটি মুদ্রার একটি দিক। মুদ্রার অপর পিঠটি দেখুন: রাজনীতিবিদরা একে অপরকে বিশ্বাস করেন না, আসলে সমস্ত ক্ষমতাসীন মহল একে অপরকে নিয়ে চরম অবিশ্বাস পোষণ করে। প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং ক্ষমতার জন্য নিরন্তর লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তা প্রতিফলিত হয়। মিউজিকাল চেয়ারগুলির মতো ক্ষমতার হাত বদল হয় বটে তবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন অসম্পূর্ণ থাকে।
তাহলে এমন নির্বাচনের প্রয়োজন কেন যখন তা সমাজে বিভাজনের বিস্তার ঘটায়? কেন প্রতি পাঁচ বা চার বছরে কেবল লোকদেখানো পরিবর্তন ঘটে? সব জানার পরও দুর্নীতিবাজদের আমরা ভোট দেই কেন, যখন জানাই আছে যে তারা ব্যর্থ হবে? গণতান্ত্রিক নীতি ও মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনায় এত সময়ক্ষেপন ও শক্তির অপচয় কেন, যখন আমরা জানি যে এইগুলি মানুষকে বোকা বানানোর উপাদান মাত্র?
আমার বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী সকল সমস্যার মূলে আসলে জনগণ, যার মধ্যে আমিও অন্তর্ভুক্ত| আমার একমাত্র সান্ত্বনা হ'ল আমি ভোট দিইনি এবং বোকা হওয়ার জন্য ভোট দেব না।
রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য যখন সম্মতি জ্ঞাপন করেছিল, মানুষ আসলে সেদিনই তাদের স্বাধীনতা হারিয়েছে। জনগণের প্রতিনিধিরা এখন জনগণের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
বলা হয়, আপনি সারাক্ষণ জনগণকে বোকা বানাতে পারবেন না। আমি এখনো নিশ্চিত নই, কেন আমরা এত দীর্ঘ সময় ধরে বোকা-ই রয়ে গেছি|

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের আশাবাদী হতে হবে।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

রিজওয়ান উল আলম বলেছেন: কৌশল হিসেবে শুধু 'আশাবাদ' ফলপ্রসু হবে না|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.