দি দি ও দি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

দি এই দি একটা গল্প শোনা না, ঠিক যেমনটি মা শুনাতো । দি আকাশের নীল পরীর গল্প শোনা না, কী ভুলে গেলি ?আরে ওই যে যার নীল নীল পাখনা থাকত, জাদুর ছোয়ায় সব কস্ট গায়েব করে দিতো । আজব তোর বুঝি এখনো মনে পড়ে নি, মা গেলো আজ কয়দিন হল এর মাঝেই সব ভুলে বসে আসিস ।



এই দি উঠ না, আমাকে নীল পরীর গল্প শুনা । ওকে বল না আমাদের কস্ট গুলো ধুয়ে মুছে দেক ।



কী বলবি না ?



দি প্লিজ উঠ না, আমার কিছুই ভালো লাগছে না । এই ভাবে শুয়ে থাকিস না । দি লোকে কী বলবে । মা তোকে এভাবে দেখলে তো রাতে ভাত দিবে না । ওহ আমি এতো ভুলোমন কেন ? মা তো চলে গেছে ।



দি আমি কিন্তু সত্যি সত্যি এবার রাগ করবো । তোর সাথে আর কথা বলবো না । আর কোন দিন বলবো না ।



দি দি



দি আমার চুলে একটু বিলি করে দে না, কেমন যেন লাগছে । মাথা মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে



আচ্ছা ঘরে এতো শীত কেনরে ? বলতে পারিস ? আমার না ভীষন ঠান্ডা লাগছে ।



বুঝলি বিশটা খেতে না অনেক বিশ্রী ।



প্রথমে বুকটা অনেক জ্বল্ছিলো, ফুসফুসটাকে মনে হয়েছিলো আগুনের গোলা ।



আচ্ছা দি বলতো আমি যদি মার কাছে চলে যাই তাহলে কেমন হবে । হা হা হা, অনেক মজা হবে তাই না ?তুই সারাদিন ইচ্ছে মত ঘুমাতে পারবি । কেউ তোকে জ্বালাতে আসবে না ।



সিকুয়েন্স ধরে রাখবো কি না, বুঝতাছি না । দি কে উঠিয়ে দি, নাকি ঘুমিয়ে রাখবো । উঠিয়ে দি



- বাবু এই বাবু কী হয়েছে তোর ? তুই এমন করিস কেন ? এই বাবু তুই কি খেয়েছিস ? তোর হাতে এইটা কিসের বোতল । এই বাবু কথা বলিস না কেন ? বাবা তাড়াতাড়ি এয়ম্বুলেন্স ডাকো বাবু বিশ খেয়েছে



নাহ দি ঘুমিয়েই থাক, বাবু মরে যাক । কস্টের দুনিয়া থেকে যত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় ততোই ভালো



দি আমার অনেক কস্টরে, আমি মুক্তি চাই । তোকে অনেক জ্বালিয়েছি । এইবার আমি আসি । আবার দেখা হবে ।

১ টি +০/-০