![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
মানুষের শরীরের যেমন লাইফলাইন থাকে তেমনি ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রকল্প হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। এদেশের অর্থনীতি বাণিজ্যভিত্তিক, অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরের জন্য বা বিদেশে জন্য পণ্য উৎপাদনে দু’ক্ষেত্রেই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। বন্দরের সঙ্গে ঢাকার ও দেশের বাইরের যোগাযোগ অপরিহার্য। তাই চলতি বছর শেষ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ)। ইতোমধ্যেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১০৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে। শুরুর দিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যেমন প্রকল্প এলাকার পাশে কবরস্থান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনা ছিল, সেই সাথে ছিল মামলাও। এগুলোর সব সমাধান করেছে বর্তমান সরকার। তাই বলা যায়, বাস্তবায়নটি শেষ করতে সরকারের আর বেশিক্ষন লাগবে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৩ হাজার ১৯০ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় সড়ক ও ৩টি সেতু নির্মাণ প্যাকেজে ১৯২ দশমিক ৩০ কি.মি দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ২০ দশমিক ৪৬ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার ২ লেনের সড়ক চার লেনে উন্নীত করা, ৩২ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রিএ্যালাইনমেন্ট সড়ক নির্মাণ, এক হাজার ৫০ মিটার সেতু নির্মাণ, ২৪৪টি কালভার্ট নির্মাণ, ৯৩০ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ, ৩৪ মিটার আন্ডারপাস নির্মাণ, যানবাহন ক্রয়, ইউটিলিটি অপসারণ, অফিস যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক কাজ করা হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যেমন, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্প, পদ্মা সেতু, ঢাকা- ময়মনসিংহ হাইওয়ে, ডাবল ট্রাক অব ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে, মেট্রোরেল, বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফল হবে বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.