![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
এক সময় কৃষিই ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল নিয়ামক। এ খাতের সঙ্গে যুক্ত ছিল প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমিক। কিন্তু সেই চিত্র এখন আর নেই। ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে দেশের অথর্নীতির ধরন। কৃষি থেকে শিল্পের পথে হাঁটছে অর্থনীতি। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। সেখানে শেষে ২০১২-১৩ অর্থবছরে জিডিপিতে এ অবদান কমে দাঁড়িয়েছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। বাংলাদেশ ধীরগতিতে দৃঢ় ও স্থিতিশীল কৃষি প্রধান অর্থনীতি থেকে একটি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে রূপান্তর হচ্ছে। এ অবস্থাকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির সিঁড়িতে উঠেছে। কৃষি তার আগের অবস্থানেই রয়েছে, কিন্তু এগিয়ে গেছে অন্য দুই খাত (শিল্প ও সেবা)। যে সমস্ত দেশ (পশ্চিমা দেশ) অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করেছে সব অর্থনীতির একই ধরনের কাঠামো ছিল। প্রথম দিকে অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর, তারপর শিল্পের দিকে যাত্রা করেছে। বিশেষ করে শিল্পের অগ্রগতির শুরুটা আবার বস্ত্র খাতের উন্নতি দিয়ে হয়। যেমন ইংল্যান্ডে হয়েছিল। বাংলাদেশও সেই পথেই যাচ্ছে।
বাংলাদেশের অগ্রগতির ধরনটা জাপানের মতোই। কেননা বাংলাদেশের শ্রম ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ বলে তেমন কিছুই নেই। জাপানও শ্রম দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে রফতানির মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন অগ্রগতির সিঁড়িতে উঠেছে। চলমান ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ করতে অবশ্যই শিল্পের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, কৃষিকে অবহেলা করা হয়েছে। কৃষি তার অবস্থানেই ছিল। কিন্তু শিল্প এগিয়ে গেছে দ্রুত, যা কৃষির পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কৃষির বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছিল চলমান ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়, যাতে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনীতি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সমৃদ্ধ, বিস্তৃত, স্থিতিশীল ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুক্ত। অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে অগ্রসরমান, যা অতীতের যে কোনো বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে অনেক বেশি গতিময়। বাংলাদেশ ধীরগতিতে দৃঢ় ও স্থিতিশীল কৃষি প্রধান অর্থনীতি থেকে একটি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত হচ্ছে, যা মধ্য আয়ের অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হওয়ার অন্যতম পথ।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪২
নিলু বলেছেন: ভালো , লিখতে থাকুন
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
বাংলাদেশের অগ্রগতির ধরনটা জাপানের মতোই। কেননা বাংলাদেশের শ্রম ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ বলে তেমন কিছুই নেই। জাপানও শ্রম দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে রফতানির মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন অগ্রগতির সিঁড়িতে উঠেছে ।
দেশ আগাইয়া যাক কামনা করি ।