![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
সহিংসতা ও নাশকতার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে গ্রামের কৃষকেরই। টানা অবরোধ-হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় পরিবহন সংকটের কারণে কৃষিপণ্য গ্রাম থেকে রাজধানী বা জেলা শহরে পাঠাতে না পেরে কৃষকরা পথে বসছেন। অনেকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। কেউ আবার পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। গ্রামীণ তথা কৃষি অর্থনীতিতে দুই ধরনের প্রভাব পড়ছে। প্রথমত, অবরোধ-হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় পরিবহন সংকটের কারণে উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এ কারণে চাষিরা কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার সবজি তুলছেনই না; খেতেই নষ্ট হচ্ছে। এতে লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচও উঠছে না। আর দ্বিতীয় প্রভাব হচ্ছে- আর্থিক দিক দিয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় দেড়-দুই মাস পর যে বোরো চাষ শুরু হবে- তা করতে পারবে না। ফলে গত কয়েক বছর ধরে বাড়তে থাকা বোরো উৎপাদন ব্যাহত হবে। আর বোরো চাষে ভাল না হলে পরবর্তীতে সবজি চাষেও মনোযোগ দেবে না কৃষক। এভাবে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের কৃষি খাতের ক্ষতি হবে। চলমান ২০ দলীয় জোটের এমন সহিংস রাজনীতিতে কৃষকের উৎপাদন হাত পুড়ে যাচ্ছে। এখন যদি সেই পোড়া হাত সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে ভালো করা না হয় তাহলে সে ধুঁকে ধুঁকে মরে যাবে। আর কৃষক কৃষি-কাজ করতে পারবে না। এতে করে সে নিজেও মরবে, আমাদেরও মরতে হবে এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
©somewhere in net ltd.