![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে আবারো নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২ হাজার ৩০০ কোটি বা ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে নতুন এ মাইলফলক ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা, বিদেশ থেকে করপোরেট ঋণ গ্রহণ এবং কাঙ্ক্ষিত হারে আমদানি ব্যয় না হওয়া রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ এ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এ রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এর আগে, ২০১৩ সালের ৭ মে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর একের পর এক রেকর্ড অর্জন করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। একই বছরের ৭ আগস্ট ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে রিজার্ভ। রিজার্ভের দিক দিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বিএনপি-জামায়াতের হিংসাত্মক হরতাল-অবরোধের কারণে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ছে। একইসঙ্গে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় খাদ্য আমদানিও আগের তুলনায় কম হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ একের পর এক রেকর্ড অর্জন করছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শুরু জুলাই মাস থেকে চলতি ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ পর্যন্ত দেশে ৯৬২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেশি।
©somewhere in net ltd.