![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
দেশে চাল উৎপাদনের প্রধান মৌসুম বোরো পড়েছে অবরোধ আর হরতালের কবলে। প্রতিবছর জানুয়ারির শুরুর দিকে বোরো আবাদ শুরু হয়, চলে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তবে এ টানা অবরোধ-হরতালে বীজ, সার ও ডিজেল সংকটের কারণে বোরো ধান আবাদ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বরং এখন পর্যন্ত যা আবাদ হয়েছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের মোট চালের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে বোরো থেকে। গত বোরো মৌসুমে এক কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছিল। আবাদ হয়েছিল ৪৭ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি। কোনো কারণে বোরো ক্ষতিগ্রস্ত হলে চালের জন্য বিদেশ-নির্ভরতা বেড়ে যায়।গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। অবরোধে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ও ট্রাকভাড়া বেড়ে গেছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। ফলে সার, বীজ ও ডিজেল পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়ে বোরোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। আরো একটি আশঙ্কা ছিল-অবরোধের কারণে আমন ধানের ভালো দাম না পেয়ে কৃষক বোরোতে নিরুৎসাহী হবেন। কিন্তু এসব আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির হিসাবে গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বোরো আবাদ হয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর একই সময় পর্যন্ত প্রায় ৪৬ লাখ ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর বা প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বোরো বেশি আবাদ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ৪৭ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে। উত্তরের কিছু আলু ও সরিষা তোলার পর এখন বোরো আবাদ হচ্ছে। দক্ষিণের জেলাগুলোতেও কিছু জমিতে শেষ দিকে আবাদ হয়। সব মিলিয়ে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত বোরো আবাদ চলবে। বীজ, সার ও ডিজেলের অবস্থা গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ভালো। কোথাও সরবরাহে সংকট নেই। আবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে।
©somewhere in net ltd.