নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাসিয়ে দিয়েছি তরী;আকুল হয়ে দিশার খোঁজে পাথার দিয়েছি পাড়ি।
আস্তে আস্তে সূর্যটা অস্ত যাচ্ছে।চলে যাচ্ছে
চোখের দৃষ্টির বাইরে।হয়তো ছড়িয়ে পড়ছে
পৃথিবীর অন্য কোনো মহাদেশে।
প্রবল আলোকময় দিন ফিকে হতে হতে অন্ধকার
হয়ে গেল।
এই সূর্যই গোটাকয়েক ঘণ্টা পরেই আবার পূর্ব
দিকে দেখা দেবে।শুরু হবে নতুন আরেকটি
দিনের।
দিন যায়,
মাস যায়,
বছর যায়।
এ'তো এক গতিময় চক্রপূরণ।সময়ের পাক খেয়ে
যাওয়া।
এক পাক,
দুই পাক,
তিন পাক।
না না,ঠিক তা না,
এক বছর,
দুই বছর,
তিন বছর।
দীঘির জল শুকোবে।দীঘিতে জল
উপচোবে।কি আশ্চর্য!
এই তো সামনে একটি বৃক্ষ;আম্রবৃক্ষ।কিছুদিন পর
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে যাবে বৃক্ষটি।ফল ধরবে।
একদিন বয়সের ভারে নত হবে বৃক্ষটি।বয়ঃবৃদ্ধ গাছটি
আর ফলবে না।অকার্যকর বৃক্ষটিকে আর রাখবে না
কেউ।প্রয়োজন নেই যে!!
ঐ পুকুরে রাজহাঁসটি এক সময় আর জলকেলি করবে
না।ডানা ঝাঁপটাবে না আর মুগ্ধকর দুটি ডানা মেলে।
কচি পাতাটি ঝরে পড়বে মাটিতে।
সদ্য ফোটা ঘাসফুলটি হয়তো মাড়িয়ে যাবে কেউ।
এ'তো এক গতিময় চক্রপূরণ।সময়ের পাক খেয়ে
যাওয়া।
এক পাক,
দুই পাক,
তিন পাক।
বাড়ির পাশের গোরস্তানে আরো কিছু মরা যোগ
হবে।
আঁতূড় ঘরে জন্মানো শিশুটি দেখবে পৃথিবীর
রঙীন রুপ।
মশারির ফুটোটি একদিন আরো বড় হবে।সেখান
দিয়ে আসবে যাবে মস্ত একেকটি মশা।
(অনর্থ ঘটার আগেই ফুটোটি বন্ধ করতে হবে)
সময় অদ্ভুদ।সময় ছুটে চলে।সময় পাক খায়।
এক পাক,
দুই পাক,
তিন পাক।
না না,ঠিক তা না,
এক বছর,
দুই বছর,
তিন বছর।
তবু শুকতারাটি জায়গা বদলাবে না।বদলাবে না কুয়াশার রঙ।
একই থাকবে গন্ধরাজের ঘ্রাণ।
পাল্টাবে না কালো রঙ।পাল্টাবে না কোকিলের মধু
গান।
থাকবে একই আকাশের নীল।পূর্ণ চাঁদের
জোছনাও থাকবে একই।
সজারুর কাঁটা থাকবে।মেঘ হতে বৃষ্টি হবে।
শ্রাবণের ধারা থাকবে।টিনের চালে বর্ষনের শব্দ
থাকবে।কবির কবিতা থাকবে।
আর কী থাকবে?
আর থাকবে পাগলের প্রলাপ।
সময় যায় তবুও।
দিন যায়,
মাস যায়,
বছর যায়।
বদলায় অনেক কিছুই।চলে যায় অনেকেই।শুধু
রাতের রজনীগন্ধা সুঘ্রাণ ছড়ায় চিরটাকাল।
এসেছে নতুন বছর।কণ্টকাকীর্ণ ফুলের কাঁটাটি
চলে যাক বাড়ির পাশের গোরস্তানে।
কাঁটাবিহীন ফুলটি ছড়িয়ে যাক সুবাস।আজীবন;বন্দী
হয়ে সময়ের পাকে।
সময় পাক খায়,
এক পাক,
দুই পাক,
তিন পাক।
©somewhere in net ltd.