![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের সুর নকল !
হায়রে বাংলাদেশ আর হায়রে রবীন্দ্র ।
কেউ কি একটু বিশ্লেষণ করবেন?
আমি তেমন গান বুঝিনা তবে সুরের মিল পাচ্ছি অনেক । আমার কি শুনতে ভুল হচ্ছে ??
"Amar Shonar Bangla had quintessentially ‘Bengali’ origins. The story goes that the original score was written by Gagan Horkora, a disciple of Lalon Shah who worked as town crier in Shilaidah, Kushtia (now in Bangladesh). Tagore, while he was based in Shilaidah supervising his family’s zamindari estates, apparently took a liking to Horkora’s composition and set it to music with his own lyrics in 1906."
তবে ব্যাপারটা অস্বচ্ছ স্বীকৃত !, রবীন্দ্র নাথ নকল করতেন প্রায়শই স্বীকার করেছেন ।(অস্বচ্ছ, যেহেতু রবীন্দ্র নাথ নিজে কোথাও লেখেন নি তাই বইয়ের লেখকের কথাই মানতে হচ্ছে ।)
মাশাল্লাহ
কবি গগন হরকরা
( অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে উনবিংশ শতকের শুরু )
গগন হরকরা ছিলেন বাউল সম্প্রদায়ের মানুষ | এর বেশী আর কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারি নি |
রবীন্দ্রনাথ এই কবির রচিত গান "আমি কোথায় পাব তারে..." -র সুরকে কেন্দ্র করে রচনা
করেছিলেন "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি..." গানটি | ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে
মুক্তি সংগ্রামের পর, তাঁরা গুরুদেবের এই গানটিকেই তাঁদের জাতীয় সংগীত হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করেন | কাজেই আজ গগন হরকরার গানের মূল্য অপরিসীম |
রবীন্দ্রনাথ নিজেই লিখেছেন - "আমার লেখা যারা পড়েছেন, তাঁরা জানেন, বাউল পদাবলীর প্রতি আমার
অনুরাগ আমি অনেক লেখায় প্রকাশ করেছি | শিলাইদহে যখন ছিলাম, বাউল দলের সঙ্গে আমার সর্বদাই দেখা
সাক্ষাৎ ও আলাপ আলোচনা হত | আমার অনেক গানেই আমি বাউলের সুর গ্রহণ করেছি | এবং অনেক গানে
অন্য রাগরাগিণীর সঙ্গে আমার জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বাউল সুরের মিল ঘটেছে | এর থেকে বোঝা যাবে,
বাউলের সুর ও বাণী কোন্ এক সময়ে আমার মনের মধ্যে সহজ হয়ে মিশে গেছে |..."
উত্স - শান্তিদেব ঘোষ, রবীন্দ্র সংগীত, পৃষ্ঠা-৮৪
গুরুদেবের মন্ত্রশিষ্য ও ছায়া সঙ্গী শান্তিদেব ঘোষ আরও লিখেছেন যে "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায়
ভালবাসি" গানটি তিনি (গুরুদেব) রচনা করেছেন "গগন হরকরার রচনা---
'আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে ||
হারায় সেই মানুষে তার উদ্দিশে
দেশ বিদেশে
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে' গানটির সঙ্গে মিলিয়ে |"
উত্স - শান্তিদেব ঘোষ, রবীন্দ্র সংগীত, পৃষ্ঠা-১৩০
কবি গগন হরকরার গান
সূত্র - Click This Link
বাউল গান
আমি কোথায় পাব তারে
Click This Link
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৭
উদাসপথিক বলেছেন: নকল করতে পারাটাও একটা বড় ধরণের যোগ্যতা।
বিশ্ব নকল প্রতিযোগিতায় বাঙ্গালীরা বরাবরই প্রথম হয়।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫০
নষ্ট কবি বলেছেন: এত দিন পরে জন্ম হল তোমার হে বালক??
বিস্মিত হলে ??
বিস্মিত হয়োনা
এটা বহু পুরোনো আলাপ
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:০২
রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: পুরাতন হলেও আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক। পুরাতন হলেও সত্য সব সময় সত্য, তাই আবার লেখা যাবে না এমনও না।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১০
কদমা বলেছেন: গগন হরকরার মতো বাউলরা আর রবিন্দ্রনাথ নিজেও এজন্য সৌভাগ্যবান ।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১২
মেয়র বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়, ধন ধানে পুষ্পে ভরা গানটি বেশী মানানসই এবং সুন্দর ছিল জাতীয় সংগীত হওয়ার জন্য। 'ধন ধাণে পুষ্পে ভরা' - গানটি গাইতেই যেভাবে মন প্রাণ শিহরিত হয়, 'আমার সোনার বাংলা' তে সেটা পাইনা। আর 'আমার সোনার বাংলা' গানটি মূলত ছিল বঙ্গভঙ্গ হৃদ করার জন্য। আমি শুনেছি রবীন্দ্রনাথ নাকি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও বিপক্ষে ছিলেন। যদিও আমি পুরো ইতিহাস জানিনা্। তো ব্যাপারটা কেউ জানলে শেয়ার করলে ভাল লাগবে।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৯
মহলদার বলেছেন: তো এত হায় হায় করার কি আছে? আজ জানলেন নাকি বিষয় টা? আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হল বিষয়টা আজই ফাঁস হল; এতদিন গোপন ছিল।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৬
আশীষ কুমার বলেছেন: এটা অনেক পুরনো একটা বিষয়। জানা বিষয়। কোন কিছু নিয়ে হায় হায় করার আগে একটু খোঁজ নিন হায় হায় করা যায় কিনা।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৯
শুভ সকাল বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমাদের - বাংলাদেশের মুসলিমদের মধ্যে এক ধরনের অ্যালার্জি আছে। বিষয়টি আলাদা গবেষণার দাবি রাখে। একজন সাহিত্যিক অনেকের লেখা থেকেই অনুপ্রাণিত হতে পারেন। একে নকল বলেনা।
@ মেয়র:রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধী ছিলেন। বঙ্গভঙ্গের অন্যতম বিরোধী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বঙ্গভঙ্গের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এক করে ফেলবেন না। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ঐক্য ও সম্প্রীতি নষ্ট হবে। ব্রিটিশদের উদ্দেশ্যও তাই ছিল। এবং শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশরা সফল হয়। বঙ্গভঙ্গের জন্য মুসলমানদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি করতে ব্রিটিশরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেয়। লক্ষ্য করুন ব্রিটিশদের প্রতিটি ভাল কাজের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের মঙ্গল। রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশদের এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেছিলেন। পূর্ববঙ্গের মানুষদের জন্য বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের নেতারা একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বঙ্গভঙ্গ রদ হবার পর এই প্রতিশ্রুতি পূরণের কোন চেষ্টা তারা কেউই করেননি। তবে রবীন্দ্রনাথ পুরোপুরি নিজের চেষ্টায় বিশ্বভারতীর মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। জালিওয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডর প্রতিবাদে মহারাণীর দেয়া নাইটহুড উপাধি বর্জন করার কারণে বিশ্বভারতীর জন্য কাজ করা তার জন্য বেশ কঠিনই ছিল, তারপরও জগদ্বিখ্যাত অনেক অধ্যাপককে তিনি বিশ্বভারতীতে নিয়ে এসেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের সহকর্মী ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। মুজতবা আলীর প্রবন্ধ সংকলনে বিশ্বভারতীর বিষয়ে আরও তথ্য পাবেন।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৯
গানচিল বলেছেন: রবি ঠাকুরের অনেক গানের সুরই অন্যের গান থেকে নেয়া। যেমন " পুরানো সেই দিনের কথা" গানটা একটা স্কটিশ থেকে নেয়া।( বিটিভির আর্কাইভে মূল স্কটিশ গানটা আছে ও)। আর এটা সবাই জানে। আপনি এত দেরীতে এটা শুনলেন?
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
মেয়র বলেছেন: 'শুভ সকাল' কে ধন্যবাদ, ব্যপারটা পরিষ্কার করে বুঝুয়ে দেওয়ার জন্য।
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪২
বিবর্তন বলেছেন:
শুভ সকালের বাণী শুনে মনে পড়লো "কুমিরের মায়ের পুত্র শোকের কথা"।
ঢাবি বাস্তবায়ন যাতে না হয় রীতিমত রবিন্দ্রনাথ জনসভা করে এর বিরোধীতা করেছিলো। বঙ্গভঙ্গ না হোক সেটা নাহয় মেনে নেয়া গেল, অসহায় চাষাদের এলাকায় একটা বিশ্ববিদ্যালয় হোক সেটার বিরোধীতা করা চরম সম্প্রদায়িকতার লক্ষন।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:০৭
শুভ সকাল বলেছেন: @বিবর্তন: বিশ্বভারতী রাজা-চাষা সবার জন্য করা হয়েছিল। কলকাতা ঢাকার মত কোন বড় শহরে নয় মোটামুটি পাড়া গায়ে বিশ্বভারতীর যাত্রা শুরু। একেবারে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পরিপূর্ণ শিক্ষার ব্যবস্থা সেখানে ছিল। ৪৭ সালে বিভক্ত বাংলায় যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তার বীজ বপন করা হয়েছে বঙ্গভঙ্গের সময়। আর এর একটা অংশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশদের তো আর এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় করার দায় পড়েনি। এই দায় নেবার কথা এদেশের মানুষদের। রবীন্দ্রনাথ বা স্যার সৈয়দ আহমেদ ছাড়া আর কেউ কি সেই দায় নিয়েছে। দেখুন হিন্দু মুসলিম সব নেতারা বঙ্গভঙ্গের সময় বিদেশী পণ্য বর্জন, স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার প্রশংসা করে গেছেন। কিন্তু এর ফলে হিন্দু শাসিত এলাকার ক্ষুদ্র মুসলিম ব্যবসায়ীরা একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। স্বদেশী আন্দোলনের এমন আরো অনেক অন্ধকার অংশ রবীন্দ্রনাথ পরিষ্কার করে লিখে গেছেন ঘরে বাইরে উপন্যাসে। স্বদেশী আন্দোলনের সবচেয়ে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ আপনি রবীন্দ্রনাথের লেখাতে পাবেন। অন্য হিন্দু নেতাদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য এতটা সহানুভূতি থাকলে বাংলার ইতিহাস অন্যরকম হত।
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
অচিনপাখি বলেছেন: নন্দন কানন বলেছেন: এটা নতুন কোন তথ্য নয়। অনেক আগে থেকেই বিষয়টা প্রকাশিত। বরং দেশীয় বাউল সুর থাকার ফলেই গানটি সহজে আমাদের জাতীয় সংগীত হয়ে উঠতে পেরেছে। রাতারাতি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া কোন গানকে আমরা গ্রহণ করিনি।
অন্তত শ খানেক রবীন্দ্রসংগীত পাওয়া যাবে, যেগুলো ভিন্ন দেশের জনপ্রিয় গানের আদলে সৃস্ট। তাই বলে রবীন্দ্রপ্রতিভাকে অস্বীকার করার মতো বোকামী করা উচিত নয়।
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
চাদের কলঙ্ক বলেছেন: রবিন্দ্রনাথ গগণ হরকরার গান থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে তার নতুন গানে সুর করেছেন। এটাকে নকল বললে কিছু বলার নাই। আর "মেয়র" কে বলছি, ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা গানটি সুন্দর। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলা গানে যেভাবে বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে তা অন্য কোন গানে উঠেনি। তাই গানটি এ ব্যাপারে অপ্রতিদ্বন্দী।
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮
হিরম্ময় কারিগর বলেছেন: পাক সার জমিন .. জাতীয় সংগীত হলে ভালো হতো, তাই না? পুরাটাই আসল কোন নকল নেই।
১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৭
সরদাররকস্ বলেছেন: গান টির কারনে কবি গগন হরকরার অবস্থান এখন অনেক উচ্চে এবং সেটা রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের অবদান।
সুতরাং কাউকে খাটো করে দেখা ঠীক হবে না।
১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৪
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন বলে একটি অপপ্রচার রয়েছে। কিন্তু এটা নিছকই অপপ্রচার। এর কোনো ভিত্তি নাই। রবীন্দ্রবিদ্বেষী কিছু ছাগু এটা বানিয়েছে।
১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৯
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: মূল লেখা এখানে : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা কি রবীন্দ্রনাথ করেছিলেন?
সে রকম একটা নমুণা : ২০০০ সনে আহমদ পাবলিশিং হাউস থেকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা’ নামে একটি বইয়ে মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন, বীরপ্রতীক, পিএসসি (তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা) একটি তথ্য জানান যে, ”১৯১২ সালের ২৮শে মার্চ কলিকাতা গড়ের মাঠে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়।” তিনি অভিযোগ করেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন।
এ জেড এম আব্দুল আলী দৈনিক সমকালে লেখেন–শোনা যায়, এই তথ্যটি (লেখক আব্দুল মতিন কর্তৃক উত্থাপিত রবীন্দ্রনাথের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোন বইতে আছে। তিনি অনুসন্ধান করে জানান – রবীন্দ্রনাথ ঐ মিটিংএ উপস্থিত থেকে এবং মিটিংএ সভাপতিত্ব করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছেন বলে একজন লেখক উল্লেখ করেন। লেখকটি এই তথ্যটি কোথায় পেয়েছিলেন তার কোনো সূত্র ব্ইটিতে উল্লেখ করেন নাই। আব্দুল আলী জানান, বইটি ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত হয়। এবং রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এই বানানো গপ্পটি ব্যবহার করা হয়। ঐ তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোলকাতায়ই উপস্থিত ছিলেন না এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করেন নাই।
রবীন্দ্রনাথ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারই বিরোধিতা করবেন—রবীন্দ্রনাথকেই এই বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছর পরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই তিনি বিপুলভাবে সংবর্ধিত হন কিভাবে? ১৯১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। তখনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রস্তাবটি বিরোধিতা করেছিলেন তিন ধরনের লোকজন–
১. পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলমান–তারা মনে করেছিলেন, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কোনো লাভ নেই। পূর্ববঙ্গের মুসলমানদেরই লাভ হবে। তাদের জন্য ঢাকায় নয় পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটাই লাভজনক।
২. পূর্ব বাংলার কিছু মুসলমান–তারা মনে করেছিলেন, পূর্ব বঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে ১০০০০ জনের মধ্যে ১ জন মাত্র স্কুল পর্যায়ে পাশ করতে পারে। কলেজ পর্যায়ে তাদের ছাত্র সংখ্যা খুবই কম। বিশ্ববিদ্যায় হলে সেখানে মুসলমান ছাত্রদের সংখ্যা খুবই কম হবে।
পূর্ববঙ্গে প্রাইমারী এবং হাইস্কুল হলে সেখানে পড়াশুনা করে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়বে। আগে সেটা দরকার। এবং যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মুসলমানদের জন্য যে সরকারী বাজেট বরাদ্দ আছে তা বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যয় হয়ে যাবে। নতুন করে প্রাইমারী বা হাইস্কুল হবে না। যেগুলো আছে সেগুলোও অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় চান নি।
৩. পশ্চিবঙ্গের কিছু হিন্দু মনে করেছিলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ কমে যাবে। সুতরাং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কিভাবে? এই ভয়েই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন।
ইতিহাস ঘেটে এ বিষয়ে যা পাওয়া যায় আসুন একটু দেখা যাক–
কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ব বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত উদীয়মান মুসলমানদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। চব্বিশ পরগণার জেলা মহামেডান এসোসিয়েশন ১৯১২-র ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যায় স্থাপনের বিরোধিতা করে। বলা হয় এর ফলে সমগ্র প্রদেশের মুসলমানদের শিক্ষাগত স্বার্থে পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাব পড়বে এবং তাদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি করবে। (সূত্র : দি মুসলিম পত্রিকা)।
মৌলানা আকরাম খান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করলে সাধারণ মুসলমানদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ সুযোগ-সবিধা দানের ক্ষেত্রে অর্থের ব্যবস্থা করবেন না। মুসলমানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অপেক্ষা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্ত্ব আরোপ করেন। আবদুর রসুল আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় মুসলমানদের পক্ষে ‘বিলাসিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার মতে কয়েকজন ভাগ্যবানের জন্য অর্থ ব্যয় না করে বেশিরভাগ মানুষের জন্য তা ব্যয় করা উচিৎ। দি মুসলমানের মতে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যারয় হবে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান, ফলে বাংলার মুসলমানের বিশেষ কিছু লাভ হবে না। বরং গরীব অথবা যোগ্য মুসলমান ছাত্রদের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা এবং দু-একটি প্রথম শ্রেণীর কলেজ স্থাপন ইত্যাদি করলে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার সম্ভব হবে।
কিন্তু ইস্টার্ন বেঙ্গল এন্ড আসাম মুসলিম লিগ সর্বসম্মতিক্রমে ঐ প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। তাঁরা আশা করেন ঐ কেন্দ্রীয় প্রস্তাব কার্যকরী হলে পূর্ববাংলায় শিক্ষাবিস্তারে নতুন বেগের সঞ্চার হবে। ঐ বছরেই সলিমুল্লাহ সরকারের নিকট বাংলার পূর্বাংশের মুসলমানদের জন্য পৃথক তহবিল সৃষ্টির একটি নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেন। কিন্তু দি মুসলিম পত্রিকায় ঐ দাবী সমর্থিত হয় নি। বলা হয়েছিল ঐ দাবী ‘শিক্ষাগত বিভাগ’ সৃষ্টি করে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বৃদ্ধি করবে। ঐ প্রস্তাবের পরিবর্তে সমগ্র বাংলা প্রেসিডেন্সিতে মুসলিম শিক্ষা বিস্তারে উদ্রোগ গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য এক ‘স্পেশাল মহামেডান এডুকেশন অফিসার’ নিয়োগের দাবী করা হয়।
এ সময়েই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসলমান ছাত্ররা তাঁদের শিক্ষা সংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানের দাবীতে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়েছিলেন। ১৯১৪ সালের এক পরিসংখ্যানে জানা যায় প্রতি ১০,০০০ মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে মাত্র একজন স্কুলস্তর অতিক্রম করে কলেজস্তরে উন্নীত হত। দি মুসলিম পত্রিকায় মুসলমান ছাত্রদের শিক্ষাবিস্তারের সাহায্যার্থে তাদের আনুপাতিক সরকারি অনুদান দারী করা হলে মুসলমান ছাত্র আন্দোলন এক নতুন মাত্রা লাভ করে।
১৯১৩ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ প্রতিবেদনে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত শিক্ষার পরিকল্পনাও পেশ করা হয়েছিল। তাছাড়া উচ্চবিত্ত মুসলমানদের জন্য ঢাকায় একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাবও করা হয়। দি মুসলিম পত্রিকায় উচ্চবিত্তদের জন্য কলেজ স্থাপনের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করা হয়। উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা তাদের সন্তানদের শিক্ষাদানের কোনোই অসুবিধা ভোগ করেন না বলেও যুক্তি দেখানো হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯১৭ সালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি মহামেডান এডুকেশন কনফারেন্সে ঢাকা উইনিভার্সিটি সংক্রান্ত মতবেদের অবসান হলেও ১৯২১ সালের ১ লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯১২ সনের মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যারিস্টার রবার্ট নাথানের নেতৃত্বে নাথান কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির ২৫ টি সাবকমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারত সরকার প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রুপরেখা স্থির করে। ভারত সচিব ১৯১৩ সালে নাথান কমিটির রিপোর্ট অনুমোদন দেন। কিন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পথে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইমপেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্ববান জানান। ১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লর্ড চেমস্jফোর্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিশনের উপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পরামর্শ দেবার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই কমিশনের প্রধান ছিলেন মাইকেল স্যাডলার।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন (স্যাডলার কমিশন) ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। কিন্তু, এ কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারি বা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় করার নাথান কমিটির প্রস্তাব সমর্থন করেনি। কিন্তু, ঢাকা কলেজের আইন বিভাগের সহঅধ্যক্ষ ড. নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তিরূপে অভিহিত করেন। একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানও অর্থনীতির অধ্যাপক টি সি উইলিয়ামস অর্থনৈতিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ন স্বাধীনতা দাবি করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ঢাকা শহরের কলেজ গুলোর পরিবর্তে বিভিন্ন আবাসিক হলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটরুপে গন্য করার সুপারিশ করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল হাউসের পাঁচ মাইল ব্যাসার্ধ এলাকাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অওতাভুক্ত এলাকায় গন্য করার কথাও বলা হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্টার ব্যাপারে তেরটি সুপারিশ করেছিল, এবং কিছু রদবদলসহ তা ১৯২০সালের ভারতীয় আইন সভায় গৃহীত হয়। ভারতের তদানীন্তন গভর্ণর জেনারেল ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ তাতে সম্মতি প্রদান করেন।স্যাডলার কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক রেজিস্টার পি. জে. হার্টগ। তিনি ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বরঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবের কার্যক্রম শুরু করে।
ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ তার ঢাকা সফর শেষে কলকাতা প্রত্যাবর্তন করলে ১৯১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ড. রাশবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তার সাথে সাক্ষৎ এবং ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতামূলক একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বিরোধী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আর রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। ভারতের গভর্ণর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কি মূল্যে অর্থাৎ কিসের বিনিময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা থেকে বিরত থাকবেন? শেষ পর্যন্ত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি নতুন অধ্যাপক পদ সৃষ্টির বিনিময়ে তার বিরোধীতার অবসান করেছিলেন। ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার তার আত্মস্মৃতিতে লিখেছিলেন ১৯১৯ সালের নতুন আইন অনুসারে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী প্রভাসচন্দ্র মিত্র শিক্ষকদের বেতন কমানোর নির্দেশ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্ঠার সময় রিজর্ভ ফান্ডে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ছিল। বাংলা সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত সরকারী ভবন বাবদ সেগুলো কেটে নেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিবছর মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। ফলে শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দিতেহয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় পূর্ব বঙ্গের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদ নানাপ্রকার প্রতিকুলতা অতিক্রম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ঢাকার নবাব নবাব স্যার সলিমুল্লাহ। কিন্তু, হঠাৎ করে ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহের মৃত্যু ঘটলে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী শক্ত হাতে এই উদ্দ্যেগের হাল ধরেন। অন্যান্যদের মধ্যে আবুল কাশেম ফজলুল হক উল্লেখযোগ্য।
২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩৪
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারই বিরোধিতা করবেন—রবীন্দ্রনাথকেই এই বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছর পরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই তিনি বিপুলভাবে সংবর্ধিত হন কিভাবে?
১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা আসেন এবং কার্জন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি দি মিনিং অফ আর্ট এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি দি বিগ এ্যান্ড দি কমপ্লেক্স বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম তিনটি হল থেকে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধণা জানানোর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে রবীন্দ্রনাথ কেবন মুসলিম হলের সংবর্ধণা সভায় যোগদান করতে পেরেছিলেন।
বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ কর্জন হলে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধনা দেয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি. এইচ. ল্যাংলি। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার সংবর্ধনা পত্র পাঠ করেন।
মুসলিম হল ছাত্র ইউনিয়ন কবিকে সংবর্ধনা জানায়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবুল হুসেনের লেখা মানপত্র পাঠ করেন ছাত্র সংসদের তৎকালীন সহসভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমদ।
মুসলিম হলে সংবর্ধনা সম্পর্কে আবুল ফজলের স্মৃতিচারণ-
‘কবি যখন ঢুকলেন......... হল ঘরের প্রবেশ পথ থেকেই কবির উপর শুরু হয়েছে পুষ্পবৃষ্টি।’
সংবর্ধনার জবাবে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন-
‘প্রাচীনকালে আমাদের দেশে রাজারা দিগি¦জয় করে ফিরলে তাঁদের উপর পুষ্পবৃষ্টি অর্পণ করা হতো, আমি কি আমার দেশের জন্য তেমন কিছু জয় করে এনেছি যার জন্য আজ আমাকেও পুষ্প বর্ষণ করে সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে।’
সন্ধ্যায় কার্জন হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাষণ দেন। ভাষণের বিষয় ছিল ‘আর্টের অর্থ’।
১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি (২৭ ও ২৮ মাঘ) অসুস্থতার কারণে রবীন্দ্রনাথ কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন নি।
১৩ ফেব্রুয়ারি (১ ফাগুন) রবীন্দ্রনাথ কার্জন হলে বক্তৃতার করেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল- ‘দ্য রুল অফ দ্য জায়ান্ট’।
আগে উল্লেখ করা হয়েছে, অসুস্থতার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জগন্নাথ হলে ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন নি। ১৫ ফেব্র“য়ারি (৩ ফাল্গুন) বিদায়ী দিনে জগন্নাথ হলের ছাত্রদের অনুরোধে হল বার্ষিকী ‘বাসন্তিকা’র জন্য একটি গান লিখে দেন।
২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
নন্দন কানন বলেছেন: যদি সম্ভব হয় তো জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ছবিটা আর একবার দেখে নেবেন। পাকিস্তান আমল, স্বাধীন বাংলাদেশ কোন দিন আমরা পাব কিনা কেউ জানে না। এরই মধ্যে মুক্তি পেল- জীবন থেকে নেয়া।
ভাই, বোন আর বাড়ির কাজের লোক গ্রামে বেড়াতে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে দু চোখ মেলে দেয়। প্রাণ খুলে গায়... আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
ভেবে দেখুন হল ভর্তি দর্শকের আবেগ কোথায় গিয়ে পৌছঁয়। সবাই জানে, যদি কোন দিন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তো আমার সোনার বাংলা হবে আমাদের প্রানের গান। বেছে নেয়ার দ্বিতীয় কোন সুযোগ আমাদের নেই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০
রিফাত হোসেন বলেছেন: ২য় টি বেছে নিতে বলছি না ।
তবে গানের সুর তৈরীর পর এই বিষয়ে যার থেকে সুর টা ধার নেওয়া হয়েছে তার উপর প্রকাশ্য কৃতজ্ঞ হবার দাবী রাখে ।
যা মহামান্য রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর করেন নাই । তাই বললাম ।
তাই তিনি একের পর একে আরেক অজাতীয় থেকে নকল করবেন আর কৃতজ্ঞ পরিষ্কার ভাবে স্বীকার করবেন না । তাহলে তা মানায় না ।
জাতীয় সঙ্গীত অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র ।
২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫৬
নন্দন কানন বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র
২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫৭
নন্দন কানন বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
নন্দন কানন বলেছেন: এটা নতুন কোন তথ্য নয়। অনেক আগে থেকেই বিষয়টা প্রকাশিত। বরং দেশীয় বাউল সুর থাকার ফলেই গানটি সহজে আমাদের জাতীয় সংগীত হয়ে উঠতে পেরেছে। রাতারাতি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া কোন গানকে আমরা গ্রহণ করিনি।
অন্তত শ খানেক রবীন্দ্রসংগীত পাওয়া যাবে, যেগুলো ভিন্ন দেশের জনপ্রিয় গানের আদলে সৃস্ট। তাই বলে রবীন্দ্রপ্রতিভাকে অস্বীকার করার মতো বোকামী করা উচিত নয়।