নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম এ কবর বা মাজার এর কোন বিষয়গুলি ও কেন নিষিদ্ধ (শিরক) পর্ব-৩

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৯

পর্ব-১



part -2



তারপরও সন্দেহ থাকলে :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::







মৃত ব্যক্তিরা নিজেদের কিংবা অন্য কারো জন্য কিছু করার ক্ষমতা রাখে না।Sonntag, 03. Jänner 2010 01:00সর্ব শক্তিমান আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বলেনঃ

Click This Link







১। হে নবী! মৃত ব্যক্তিকে তুমি কোন কথা (কোন আহ্বান) শুনাতে পারবে না। (সূরা নামল, ২৭ঃ৮০)







২। হে নবী! তোমার সাধ্য নেই যে, তুমি মৃত ব্যক্তিকে কিছু শোনাবে। (সূরা রুম, ৩০ঃ৫২)







৩। জীবিত ও মৃত সমান হতে পারে না, আল্লাহ যাকে চান শুনার, হে নবী! তুমি সেই লোকদেরক শুনাতে পার না যারা ক্ববর সমূহে দাফন হয়ে রয়েছে। (সূরা ফাতির, ৩৫ঃ২২)







৪। তার চেয়ে বেশী গোমরাহী কে হতে পারে যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে ডাকছে সি কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না, আর তাদের (জীবিতদের) দোয়া সম্পর্কে তারা (মৃতরা) খবরও রাখে না। (সূরা আহকাফ, ৪৬ঃ৫)







৫। সমস্ত সত্য আহ্বান একমাত্র তাঁরই (আল্লাহর) জন্য, বস্তুত তাঁকে (আল্লাহকে) ছেড়ে অন্য যাদেরকেই তারা অহ্বান করে, তারা তাদের সে আহ্বান কিছুমাত্র সাড়া দিতে পারে না। (সূরা রা’আদ, ১৩ঃ১৪)







৬। যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদেরকে ডেকে থাকে, তারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনি বরং তাদেরকেও সৃষ্টি করা হয়েছে। মরা লাশ, জীবিত নয়, তারা এও জানে না যে, কখন তাদেরকে উত্থিত করা হবে। (সূরা নাহল, ১৬ঃ২০, ২১)







৭। আল্লাহ ওজাইরকে একশত বছর মৃত অবস্থায় ফেলে রাখলেন, আবার তাকে বাচিয়ে তুললেন। তাকে জিজ্ঞেসা করা হলো, এভাবে কত দিন কাটালে? সে বলল, একদিন কিংবা তার চেয়ে কম সময়। আল্লহ বলেনঃ না, তুমি একশত বছর কাটিয়েছ। (সূরা বাকারা, ২ঃ২৫৯)







৮। আল্লাহ যেদিন রাসূল ও নবীগণকে একত্রিত করবেন আর তাঁদেরকে জিজ্ঞেসা করবেনঃ তোমর উত্তর পেয়েছিলে কি? তাঁরা বলবেন, আমরা কিছুই জানি না। আপনি অবশ্যই গায়েবের খবর ভাল জানেন। (সূরা মায়েদা, ৫ঃ১০৯)







৯। বল (হে রাসূলুল্লাহ)ঃ আমি তোমাদের জন্য না কোন তি করার মতা রাখি, না কোন কল্যাণ করার। (সূরা জ্বীন, ৭২ঃ২১)







১০। (নবী বলেন) আমি যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম, ততদিন আমিই তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। তারপর যখন আমাকে দুনিয়া থেকে তুলে নিলেন তখন আপনি (আল্লাহ) তাদের খোঁজ খবর রেখেছেন। আপনিই সব কিছুর খবর রাখেন। (সূরা মায়েদা, ৫ঃ১১৭)







১১। প্রত্যেক প্রাণীই মরণশীল। তারপর তোমরা আমারই নিকট ফিরে আসবে। (সূরা আকাবুত, ২৯ঃ৫৭)







মৃত্যুর পরে কারো আত্মা কবরে থাকে না, আল্লাহর নিকট ফিরে যায়। ফিরে যাওয়ার অর্থ হল, পূর্বে যেখানে ছিল সেখানে যাওয়া। জন্মের পূর্বে আমরা আল্লাহর নিকট ছিলাম, কোনখানে ছিলাম, কেমন ছিলাম, কি করতাম, এসব যেমন আমরা এখন জানি না তেমন, মৃত্যুর পরে যেখানে যাব সেখান থেকে পৃথিবীর কিছুই জানা যাবে না।







আল্লাহ পাকের বর্ণিত পবিত্র বাণীর আলোকে, হে পাঠক মুসলিম ভাই ও বোনেরা! ক্ববর ও মাজার সম্পর্কিত বর্তমান যে কু-প্রথা চলছে, সে সম্পর্কে আমাদের চিন্তা করতে হবে। মাজারে শায়িত ব্যক্তি (লাশ) যত বড় কামেল দরবেশ বা বুজুর্গ ব্যক্তিই হোক না কেন, আল্লাহর বাণী মোতাবেক জীবিত মানুষের কোন কথাই তারা শুনে না। যদি কোন কথাই তাদের শুনানো না যায়, তারা অন্যের জন্য উসিলা হয়ে আল্লাহর নিকট সুপারিশ কিভাবে করতে পারেন? মৃত্যুর সাথে সাথেই মৃত ব্যক্তির আমলনামা বন্ধ হয়ে যায় এবং রাসূলুল্লাহ-নবীগণও আল্লাহর এই বিধানের ব্যতিক্রম নন। সেখানে কামেল বা দরবেশগণ কিভাবে মৃত্যুর পর অন্যকে সাহায্য করতে পারেন? যেখানে স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) কারো ভাল-মন্দ করার মতা রাখেন না, সেখানে কামেল বা দরবেশগণ কিভাবে মৃত্যুর পরে অন্যের সাহায্য করতে পারবেন। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য কুরআন পাকে এরশাদ করেনঃ







১। আমাকে (আল্লাহকে) ছাড়া আর কাউকেও নিজেদের মধ্যস্ততাকারী (উকিল) বানিওনা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ১৭ঃ২)







২। আল্লাহ হচ্ছেন তোমাদের মাওলা এবং তিনিই সর্বোত্তম সাহায্যকারী। (সূরা আল ইমরান, ৩ঃ১৫০)







৩। যে আমাকে ডাকে, আমি (আল্লাহ) তার ডাক শুনি এবং তার ডাকের উত্তর দিয়ে থাকি। (সূরা বাকারা, ২ঃ১৮৬)







অতএব, হে পাঠক ভাই ও বোনেরা যা কিছু চাইতে হয় সবই মহান আল্লাহর নিকট চাইতে হবে, কোন উকিল বা মধ্যস্ততাকারীর মাধ্যমে চাওয়ার জন্য আল্লাহ পাক কোথাও নির্দেশ দেননি।







কেহ কেহ বলেন, “খাজা বাবার দরবার হতে কেউ আসে না খালি হাতে”। আল্লাহর উদ্বৃত আয়াতে বুঝা গেল, কোন নবী-রাসূল মৃত্যুর পর আর কিছুই জানেন না। যত বড় কামেল বুজুর্গান, নেক বান্দা হোক না কেন, মৃত্যুর পর তাদের কোন কিছুই করার মতা থাকে না। খাজা বাবা নিশ্চয়ই আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর চেয়ে উচ্চ মর্যাদাশীল ছিলেন না। আল্লাহ আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বলতে বললেনঃ ”আমি তোমাদের কোন তি বা কল্যাণ করার মতা রাখি না।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) জীবিত থাকা অবস্থায় যা পারতেন না, খাজাবাবা মরার পর তা কি করে পারছেন বলুন তো? এ ধরণের কথা ও কাজ ইবলিসের, খাজা বাবার নয়। কারণ ইবলিসের আয়ু কিয়ামত পর্যন্ত এবং সে আল্লাহর কাছ থেকে অনেক কিছু করার মতাপ্রাপ্ত হয়েছে, ধোকা দিয়ে সে অনেক কিছু দেখানোর ও করার মতা রাখে।







আমরা মুখে বলি, সর্বময় মতার অধিকারী মহান আল্লাহ, আর সন্তান পাবার জন্য ছুটে যাই আজমীরের মৃত ও রুহবিহীন খাজা বাবার কবরের কাছে সাহায্য নিতে। “সব কিছু দেবার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ” এ কথা স্বীকার করেও মাজারে শায়িত ব্যক্তির নিকট দৌড়িয়ে যাই তার সাহায্য পাবার আশায়। আল্লাহর পরিবর্তে মাজারে শায়িত ব্যক্তির সাহায্য পাবার আশা করাই হল শির্ক। তাহলে ভেবে দেখুন, আমাদের ঈমানের কি অবস্থা দাঁড়ালো?







আল্লাহ বান্দার ডাকে সাড়া দেন, তিনি সর্বোত্তম সাহায্যকারী, আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে উকিল বানানো যাবে না- এই আয়াতগুলির উপর বিশ্বাস নেই বলেই খাজা বাবাকে উকিল বানিয়ে নিজেকে কাফির বানালেন এবং পুরোপুরি ইবলিসের খপ্পরে পড়ে গেলেন। কারণ, এ ব্যাপারে খাজা বাবার কোন দায় দায়িত্ব নেই, যেহেতু আল্লাহর কথায় বুঝা গেল যে, খাজা বাবা কিছুই জানেন না বা শুনেন না। বরং আখিরাতে পার পাওয়ার জন্য খাজা বাবা আল্লাহর দয়া এবং দুনিয়ার মানুষের দোয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে আছেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:১৭

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভাল লাগল :)

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীতে ধর্ম আছে হাজার হাজার। আবার ধর্মের ভেতরেই না না মতবাদে-ফ্যাকড়ায় বিভক্ত আছে।

ইসলামেই আছে ভিন্নমতাবলম্বি প্রায় ৯০ টি গোষ্ঠি। কয়েকটি আছে একে অপরের রক্তপান করতে প্রস্তুত।

ওহাবি মতবাদে ভিন্নমতাবলম্বি বা ভিন্নধর্মিদের বেচে থাকার কোন অধিকার নাই।

সুন্নি মুসলমানের মধ্যেও ডজন খানিক ফ্যাকড়া আছে।

সিয়া, সুন্নি, হানাফি, বাহাই, কাদিয়ানি, হাক্কানি।
এরা একে অপরকে মুসলমানই মনে করে না।

এতো ভেজালের মধ্যে কোথায় যাব ?

যে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে দিন।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

অাবু জাফর বলেছেন: সহমত।পোষ্ট ভাল হয়েছে

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১৮

অশান্ত তারেক বলেছেন: ইন্টারনেটের শতকরা ৯৬% ই ব্যবহার হচ্ছে অশ্লিল আর কুরুচীপূর্ণ ছবি ও কন্টেন্ট নিয়ে। এই অশ্লিল ও পাপে পরিপূর্ণ স্থান ইন্টারনেটে আল্লাহ ও আল্লাহ রাসুলের নাম লিখাটাও এক ধরণের ঘোরতর পাপ। কি করে পারলেন আপনি এই কাজটি??

২২ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: হা হা প গে :)

দুনিয়াটাও আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ হয়ে যাচ্ছে, আসেন এক কাজ করি, এই নষ্ট দুনিয়াতে আল্লাহর নাম নেওয়া বন্ধ করি !


=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্যে অনেক মজা পেলাম ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০

রিফাত হোসেন বলেছেন: শ্লিল আর অশ্লীল যেটাতেই লিপ্ত হোননা কেন ,,, মনে রাখবেন কেউ একজন আছে সুপিরিয়র হিসেবে ।

সুপিরিয়র ছাড়া সম্ভব না কোন কিছু ।

দুনিয়াটা যখন তার অশ্লীল এবং শ্লীল দুইটাই তার । সেখানে তিনি শ্লীলটাকে গ্রহন করতে বলেছেন । আর ময়দানে খেলা দেখছেন । কিছুই করার নাই, উনি স্রষ্টা, উনাকে মান্য করতেই হবে । এইটাই উনি চান ।




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.