নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাপান বনাম গ্রীস এর পাওয়ার+টোটাল ফুটবল ! এরই নাম ফু্টবল

২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

খুব উপভোগ করেছি কিন্তু বিরক্তি সহকারে । এই ধাচের খেলা সাধারণত নেদারল্যান্ড আর জার্মানরা খুব সুন্দর করেই উপহার দেয় !



কিন্তু এই ধরনের খেলা কাম্য নয়, যেখানে ধাক্কা ধাক্কি জোড়ের উপর বল কেড়ে নেয়! ফাউল একের পর এক, যা কিছু ধরা পড়ে বা ধরা দেয় আর কিছু দেয় না ।

আমি বড় কোন ফুটবল বোদ্ধা নয় তবে আর্জেন্টিনা, স্পেন বা ব্রাজিল যা প্রদর্শন করে তার সাথে আকাশ পাতাল পাথর্ক্য বিরাজমান ।



ফুটবল একটি খেলা যা সুন্দর করে খেলা যায় আর সেভাবেই খেলা উচিত । অনেকে বলেন গতি না থাকলে ফুটবল খেলা সুন্দর হয় না । তাহলে ল্যাটিন ঘরনার দেশগুলি কি ছোট ছোট পাস গুছিয়ে গতিতে এগিয়ে আসে না ? নাকি এক শটে লং পাস এর মত গোল কিপারের বক্সের সামনে কাউকে দিয়ে দেওয়া আর সেখান থেকে সতীর্থ খেলোয়াড় জালের দিকে শট নেওয়া !

আর তা যদি না পারে বিপরীত দলের খেলোয়াড়কে ধাক্কা ধাক্কি করে মেরে মেরে বল নেওয়া !

পাওয়ার ফুটবল আর গতির মানে কি এই ?



জনৈক আরবী আমাকে বলছে এভাবে, ''আমি হয়ত ফুটবল খেলা বুঝি না ভাল বা পারি না খেলতে কিন্তু বিশ্বকাপটা জার্মান বা নেদারল্যান্ড এর ! কারন তারা আমাদের গতিময় খেলা উপহার দেয় আর তার বিপরীতে ছন্দময় ফুটবল তেমন আমুদে নয় যতক্ষন না তা জালে ঢুকে । ইতিহাস মনে রাখে বিজয়ী দলকে আর জয় গণনা করে গোলের সংখ্যা দিয়ে । অবশ্যই ছন্দময় ফুটবল দলকে নয় !''



আমি জবাবে বললাম, তাহলে একটা কথা বলে রাখি যা বলেছেন সঠিক বলেছেন কিন্তু বল যখন মেসী বা নেইমার এর পায়ে আসে তখন প্রতিপক্ষ জার্মান বা জাপান যেই হোক মাথা নষ্ট হয়ে যায় । জানি ফুটবল ১১ জন এর যৌথ প্রচেষ্টায় কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে উল্টৌও হয়ে যায় । যদি আর্জেন্টিনা গতিময় ফুটবল খেলতে চায় তাহলে আরও ভয়ংকল হয়ে উঠবে । গতিময় ও পেশী শক্তির!- ফুটবল এ জার্মান নেদারল্যান্ড জাপান অস্ট্রেলিয়া সবাই একই হয়ে যায় । কিন্তু ছন্দময় ফুটবল ও গতিময়তা মিশেলটা অন্যরকম হয়ে যায় । বলা যায় ভয়ংকর । এতে খেলোয়াড়, ফরমেশন ও কোচ ৩টি ব্যাপার মিল থাকতে হয় । খেলোয়াড় তার সর্বোচ্চ বা সাধারন পারফরম্যান্স প্রদর্শন, মাঠে শ্রেনীবিন্যাস সঠিক ও কোচের সঠিক সিদ্ধান্ত ।

প্রমান স্বরুপ বলা যায় আর্জেন্টিনা বনাম বসনিয়ার ম্যাচ এর । কোচ পরীক্ষা করলেন ডিফেন্স ফরম্যাট নিয়ে প্রথম অর্ধে । কোচের ইচ্ছাতেই মেসী বা ফরোয়ার্ড এর সাপোর্টকে অকেজো বা ভিন্ন ধর্মী করে রেখেছেন । কারন একটি খেলোয়াড় যেভাবে অভ্যাস নিয়ে খেলে এর ব্যতিক্রম ফরমেট এ আশানূরুপ ফল নাও পেতে পারে , তাই নয় কি ?



মুলার এর পায়ে বল গেলে কেউ চিন্তিত নয় তবে মেসীর পাসে বা নেইমার এর কাছে গেলে অবশ্যই !



কে বলেছে আর্জেন্টিনা দলীয় খেলা খেলছে না ? তারা দলীয়ভাবেই বলটা সময় মত ফরোয়ার্ড তথা মেসী বা হিগুয়েইন অন্য কারউ কাছে তুলে দিচ্ছে ।



পরিশেষে বলি জাপান এর খেলা দেখে ভাল লেগেছে যে তারাও ছাড় দেয় নি । কিন্তু এই ধরনের ফুটবল বিরক্তি সৃষ্টি করে আমাকে । যতই গোলের বন্যা ভরুক । মন ভরবে না । সেখানে জার্মান ১০ দিলেও না ! ইতিহাসে যতই লেখা থাকুক । মনের ইতিহাসের এই ধরনের পেশী শক্তির ফুটবল কখনই লিপিবদ্ধ থাকবে না ।





মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

আমি দিহান বলেছেন: আসলেও মনের
ইতিহাসের এই ধরনের পেশী শক্তির
ফুটবল কখনই লিপিবদ্ধ থাকবে না।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.