নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাত্রা শুভ হোক

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠিত হয় । এরপর থেকে শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে চলা...

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আই সি সি চ্যাম্পিয়নশিপ এ বিজয়ী হয়।

পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বধ ইত্যাদি পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন পরিপূর্ণতার পথে অগ্রসর ।

১৯৭১ এর পূর্ববর্তী পাকিস্তানী শোষনে ক্রিকেটও উল্লেখযোগ্য ছিল তা ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায় । আমাদের বাঙালীদের প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ ছিল ।
কপাল এতটাই সুখকর যে সেই পাকিস্তানীদের দূতাবাস এ পাকিস্তানী পতাকা আমাকে প্রায়ই দেখতে হয় আসতে যেতে । (গুলশান)
মানা যেত যদি তারা মাফ চেত তাদের হেন কর্মকান্ডের জন্য । কিন্তু তাদের মহিলা দূতের তো মাটিতেই পা পড়ে না আর আমাদেরও লজ্জা বলতে নাই ! যা তাদের স্পর্ধা সহ্য করে যাচ্ছি।

ক্রিকেটকে বা খেলাকে এই জাতিগত রেশারেশিতে না টানতে চাইলেও ইতিহাস বাধ্য করল ।

(মাশরাফির উতসর্গ কে স্মরণ করে উপরের কথামালার সূত্রপাত)
মূল কথায় যাই ...

টার্গেট: ভারত-বধ

দলীয় স্কোয়াড:
লাইন আপ
১.তামিম
২.সৌম্য
৩.মোমিনুল
৪.মাহমুদুল্লাহ
৫.সাকিব
৬.মুশফিক
৭.নাসির
৮.সাব্বির
৯.মাশরাফি
১০.হ্যাপি রুবেল
১১.শফিউল(যদি ইনজুর্ড না হয়ে থাকে)

প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ: ভারতের শক্তি ব্যাটিং লাইন আপে । দুই একজন বাদে মোটামোটি সবাই এ্যাটাকিং ব্যাটসম্যান। আর তাদের বোলিং লাইন আপ অসাধারণ কিছু না হলেও যথেষ্ট সমীহ জাগানিয়ে সুন্দর লাইন লেন্থ মেনে চলা হচ্ছে কয়েক ম্যাচ ধরে ।(কয়েক ম্যাচ এই জন্য বল্লাম যে, তারা বিশ্বকাপ এর আগের ম্যাচে নাকাল হয়েছিল)

কাউন্টার এর পথ: ভাল লাইন লেন্থ এর বলই এদেরকে থামাতে পারবে । খারাপ বলে তারা উড়াধুরা তেড়ে আসবে । আর ভাল বলে কষ্ট করেই খেলতে হবে আর বেঘোড়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বা সীমানার কাছে ক্যাচঁ দিয়ে উইকেট হারাতে হবে । আর রান রেট তো কম হবেই । আর মনের মধ্যেও আফসোস থাকবে না যে খারাপ বলে তারা রান নিয়েছে । ভাল বলের মধ্যেই তারা কষ্ট করে টার্গেট দিয়েছে ।
তাদের কে ভয় পাওয়ার প্রশ্ন আসে ব্যাটিং লাইন আপকে নিয়েই । তাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের বোলার এর ।
স্পিন তাদের জন্য ডাল ভাত । পেইসই তাদের স্টপ করতে পারে । স্পিন ডান ভাত হত না যদি সত্যিকারের স্পিনার আমাদের থাকত মুরলি এর মত । যদিও সাকিব এর লাইন লেন্থ এর সুন্দর বলে ব্যাটসম্যান আউট হন । সাকিব যা করে তাই আমাদের পেসারকেও করতে হবে, যেভাবে মাশরাফি করে । সেভাবে রুবেলকে ধারাবাহিকতা রাখতে হবে আর শফিউলকেও । আর সেটা তাসকিন এর জন্যও প্রযোজ্য ।

কাকে এবং কেন নিলাম:

১.তামিম এর অপেনার হিসেবে জুড়ি নাই । আমি তার অভিজ্ঞতাকে পুজিঁ করে দলে রাখতে চাই । সেই কারনে আশরাফুলও দলে ছিল অনেকদিন, যদিও সে ডাব্বা মারত কন্টিনিউ আর মাঝে মাঝে জ্বলে উঠত । তাই তামিম এর রিপ্লেস হয়ত সম্ভব কিন্তু এই সিরিজ এ নয় । তার উপর ভরসা রাখুন । হয়ত সৌম্যই একদিন তামিমের জায়গা নিয়ে নিবে । এই কারনেই বোর্ডও তামিমকে রাখবেই এই খেলায়, আর কাউকে না রাখুক । :)

২.সৌম্য এর মাঝে তামিমের প্রতিরূপ পাচ্ছি । ধারবাহিক রান পাচ্ছে । না রাখার কারন পাচ্ছি না ।

৩.মোমিনুল ক্লাসিক্যাল ব্যাটসম্যানই লাগে আমার চোখে । যদিও মিডল অর্ডার এ থাকে, অপেনিং দেখলে মন্দ হবে না । ব্যাটে রান পাচ্ছে না । বিশ্বাস রাখুন, হবে ।

৪.মাহমুদুল্লাহ কে নিয়ে বলার স্পর্ধাই করা উচিত না যেহেতু সে পরপর ২টি শতক হেকেঁছে । :P যদিও তাকে দলে না রাখার পক্ষেই একদিন আমি ছিলাম । তার থেকে খেলা ধরে রাখার কাজটা মুশফিককে বা নাসিরকে দিয়েই ভাল মানায় মনে হত। মাহমুদুল্লাহ সে কাজটায় মনে হত ৫০ হলেই দম ফুরিয়ে যায় কিন্তু এবার তা হল না । মাঝে মাঝে মনে হয় দল কম, নিজের জন্যই বেশী খেলে । সেক্ষত্রে মুশফিক ব্যতিক্রম । দলের প্রয়োজনে মুশফিক শতক এর হাতছানির জন্য ধীরে ধীরে না খেলে দলের রানের জন্য এ্যাটাকিং খেলা খেলে । তবে মাহমুদুল্লাহ এর মত বোল্ড হব না স্ট্যাম্প আক্রে দাড়িয়েঁ থাকব এর খেলোয়াড় এর চাহিদা অনেক ।

৫.সাকিব :) । বিশ্বসেরা তকমা নিয়ে যাকে নিয়ে আলোচনা । আর কিছু বলার নাই । তামিম ডাব্বা মারলেও থাকবে আর সাকিব আগামী ১ ডজন ম্যাচেও ডাব্বা মারলেও দলে রাখা উচিত । ঐ যে অভিজ্ঞতা ...

৬.মুশফিক প্রমাণিত । সে যোক ভঙ্গিমায় খেলতে পারে । ধীরে বলি আর আক্রমণাত্নক বলি ।

৭.নাসির মাহমুদুল্লাহ এর মত অলরাউন্ডার খেতাব নিয়ে পুরোপুরি জ্বলে উঠার সুযোগ পাচ্ছে না বা কাজে লাগেতও পারছে না ।

৮.সাব্বিরও নাসির এর মতই । কিন্তু তার বোলিংটা লেগ স্পিনারদের মত ধারালো মনে হয় না ।

৯.মাশরাফি ছাড়া চলেই না । যদিও ব্যথা তার নিত্য সঙ্গী ।

১০.রুবেল হ্যাপি স্পিডি হলেও মাশরাফির মত ধারাবাহিক লাইন লেন্থ রাখে না ।

১১.শফিউলকে তাসকিনের জায়গায় অনেক প্রয়োজন মনে হয় । তাসকিন থেকে শফিউলকে ভাল মনে হয় তার বলে ভিন্নতা আছে বিধায় ।

৪ জন অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ,নাসির,সাব্বির এবং সাকিব(১)

পেসার মাশরাফি,রুবেল,শফিউল এবং পার্ট টাইম পেসার অলরাউন্ডার সৌম্য
স্পিনার এর দায়িত্ব নিবেন সাকিব এবং নাসির আর সাথে দরকার হলে মাহমুদুল্লাহ,সাব্বির,মোমিনুল

উইকেট কিপার তো জানাই আছে :)


খেলায় খারাপ ফিল্ডিং এর খেসারত ... পরাজয়
খেলায় খারাপ বোলিং এর খেসারত ... পরাজয়

ইনশাল্লাহ ভারতের মত আমাদেরও বোলিং ডিপার্টমেন্ট উন্নত হবে ।
ভারতের যেমন শক্তি ব্যাটিং এ , তেমনি আমাদেরও সেভাবেই দল সাজাতে হবে । আর এই লাইন আপ সেভাবেই হয়েছে ।

আমাদের ১১ জনই মোটামোটি ব্যাটসম্যান :)
মারকুটে ব্যাটসম্যান সবাই নন । এর জন্য কলিজা দরকার, যা ছিল আশরাফুল এর, যা আছে তামিমের, যা আছে মুশফিকের, মাঝে মধ্যে মাহমুদুল্লাহ এর মধ্যেও পাই, যা আছে নাসির এর , যা আছে সাকিবের, সাব্বিরের, মাশরাফির......রুবেলের সবার মধ্যেই লুকায়িত আক্রমণাত্বক সত্মা ।

আমাদের জাগিয়ে তুলতে হবে ভারতের বিরুদ্ধে ...

জোরসে বল ............. বাংলাদেশ...........

জিতবে এবার... বিরাট কোহলিকে ইতিহাস শিখাবে তামিম, এই প্রত্যশা বুকে । (যতই আন্ডা পারুক, সাথে আছি, থাকব)
--------------
আমার স্ত্রী পাশে বসে বলছে *জানু সাথে থাকবে, আন্ডা গুলো টুকাবে, আমি ভেজে দিব, জানু খাবে*
... ওহ আমি তো বিয়ে করেছি ১৪ই ফেব্রুয়ারী এই নিয়ে পোষ্টের সুযোগ হয় নাই বা আলসামিতে ভুলে গিয়েছিলাম ।

আমার স্ত্রীর মত বাংলাদেশের কোটি জনতা তামিমের ধারাবাহিক খারাপ খেলাকে ভাল চোখে দেখছে না । তবে কেউ না থাকুক সাথে আমি আছি ।

ভারতকে হারানোর জন্য দরকার হয় তাদের যে কোন রান টপকানোর মত হার্ড হিটার নয়তো তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করার মত বিধ্বংসী বোলার । যা তাদের তুলনায় আমাদের নাই বা থাকলেও তুলনায় নীচে । আমাদেরকে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সেরা খেলাটা খেলতে হবে । জ্বলতে হবে ।

রান টার্গেট দিতে হলে ২০০ তো নয়ই ২৫০ প্রশ্নই নয় । ৩০০ বা এর উপরে টার্গেট দিলে ফাইট করার মত ইনিংস হবে । যদি আমরা আগে ব্যাটিং করি ।

আর আমরা আগে যদি বোলিং করি তাহলে প্রথমত বাজে বোলিং নিষেধ । ক্যাচ মিস নিষেধ । ২০০ এর মধ্যে অলআউট করতে পারলে তো ফুলচন্দন পড়ুক । :)
বউ বলে* সে জন্যই তামিম আন্ডা গুলা দিবে :(
৩০০ এর মধ্যে অলআউট করতে পারলে আমরা অবশ্যই পারব ।
৩৫০ হয়ে গেলে আমাদের নার্ভাস হওয়া যাবে না । ৪০০ হয়ে গেলে, জীবনের সেরা খেলা দিতে হবে । :) কারন ৪০০ রান চেস করা হয় না সর্বদা ।

মোট কথা ভাল বোলিং ও ফিল্ডিং ছাড়া এই ম্যাচ হাত ছাড়া হয়ে যাবে ।

এইটা শুনুন ভাল লাগবে।



ইতিহাস পুনরাবৃত্তি হবে কিনা জানি না, তবে ভাল খেলা দেখতে তো চাই ই, জয়টাও চাই ।
পোষ্টটি ভাবে রচনা হয় নাই, ভারতকে সমীহ করেই লেখা হয়েছে । আজকাল কিছু দর্শক বলে তারা রুবেল দিয়েই ভারতকে উড়িয়ে দিবে আর কেউ আছে বলে যে, ভারতের ব্যাটিং কোহলী ইত্যাদি বেইসবল পিপিতে উড়িয়ে দিবে ।

আমি বলি ভারত দল কি সুপার হিউম্যান ?
না আমরা সুপার আবেগী দল যা মুখে মুখে হাড়িয়ে দিলাম ভারতকে ।

মাশরাফি আর সাকিব প্রেস এর বক্তব্যে কিছু সুন্দর বাক্য দিয়েছিল খেলা নিয়ে । আগেও অনেকেও বলেছেন । যা আমাদের মনে থাকে না । মুখে মুখে খেলা হয় না, রেকর্ড যত কিছুই বলুক, মাঠের খেলাটাই মূল । সেই ভাল খেলার প্রত্যাশাই করছি ।

অনেকদিন পোষ্ট করা হয় নি, আজ করলাম ।

(অগোছালো)
আর শেষ এ বলি, মনে হয় তাসকিন খেলবে শফিউল এর জায়গায় । আর সাকিব খেলবে ৩ বা ৪.পজিশনে । মুমিনুল ৫-৭এর পজিশনে খেলতেও পারে বাদও থাকতে পারে, সেখানে মুমিনুল এর জায়গায় কায়েস অপেনিং নামতে পারে সৌম্যকে নিচে দিয়ে । মাহমুদুল্লাহ ৫ এ ফিক্সড খেলবে । সাব্বির দলে থাকবে ।
দলে সানি নিতেও পারে কিন্তু না নিলেই ভাল । নাসিরকে বাদ দেওয়া হতে পারে কিন্তু ওকে পিছনে দরকার ব্যাটিং লাইনআপের ব্যাকআপের জন্য ।


জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ
মাতৃভূমি আমার সোনার বাংলাদেশ ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এবার এখানেই সমাপ্তি, দল যতটুকু পেরেছে, তাই আমাডের পাওনা ছিল।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

কাবিল বলেছেন: যাত্রা শুভ হোক।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.