নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখার চেষ্টা করে চলেছি,চেষ্টা সফল হচ্ছে না।ভার্সিটি আমাকে টানে না।কাজের কাজ যেটা হচ্ছে গলায় \'পড়ালেখায় করছি\' এমন একটা সার্টিফিকেট ঝুলে আছে।

কাজী রিফাত

আমি পাঞ্জাবির হাতা দিয়ে চোখ মুছে আকাশের দিকে তাকাই।আমার আকাশ তাঁরা শূন্য।

কাজী রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নক্ষত্রবীথির প্রেম। (প্রথম পর্ব)

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

৩জুলাই,রাত ৩টা

লেখাটা ৫মিনিট আগে শুরু হতে পারতো,কেন ঘড়ির কাটা ধরে ৩টা সে তথ্য আমার জানা নেই।কেউ কি চাচ্ছে আমি ঘড়ির কাঁটা ধরে লেখা শুরু করি এবং শেষ করি?

আকাশ পরিষ্কার,চাঁদ আছে তবে তাঁরা নেই।কিছুটা মেঘও আছে,সেই মেঘ চাঁদকে ঢেকে রেখেছে।পুরোপুরি না।চাঁদের ৮০ভাগ হতে পারে।এটাও কি কারো ইচ্ছা?কেউ কি চাচ্ছে পূর্ণ চাঁদ রাতেও কিছুটা সময় পৃথিবী আলো বঞ্চিত থাকুক?কেন চাচ্ছে?এই চাওয়ার যৌতিকতা কি?

আমি অতিপ্রাকৃত কিছুতে ডুবে যাচ্ছি।অতিপ্রাকৃত বলেও হয়তো কিছু নেই।সবকিছুই কি উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা?নাকি আসলেই কিছু আছে?

কি নিয়ে লিখছি আমি জানি না,কেন লিখছি সেটাও না।লেখা কিসে পরিণত হবে,কোথায় শেষ হবে।কিছুই আমি জানি না।

পৃথিবীতে বসে আমরা যেমন অনন্ত নক্ষত্রবীথি দেখে মুগ্ধ হই ঠিক তেমনি অনন্ত নক্ষত্রবীথি থেকে কেউ কি আমাদের দেখে মুগ্ধ হচ্ছে?নাকি কেউ পৃথিবী নামক এই উদাসি গ্রহটাকে দেখতেই পারছে না?ব্যক্তিগত ধারণা দেখতে পাওয়ার কথা।পৃথিবীর নিজের কোন আলো নেই এটা ধ্রব সত্য কিন্তু সূর্য থেকে তো সে আলো পাচ্ছে।
সেই আলো পৃথিবীর বিশাল জলভাগে বাঁধা পেয়ে যে নক্ষত্রবীথিতে ফিরে যাচ্ছে না সে সম্পর্কে দ্বিমত তো থাকারই কথা।নাকি সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যকার সম্পর্কে কোন দ্বিমত থাকতে নেই।চাঁদকে অবহেলা করা কি ঠিক হবে?কে বলতে পারে সূর্যের বিকট আলোকে মিষ্টি আলোতে পরিনতা করা চাঁদের আলোও পৃথিবীর বিশাল জলভাগে বাঁধা পেয়ে অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে ফিরে গিয়ে অসম্ভব সুন্দর কোন মন্মুগ্ধকর দৃশ্যে পরিণত হচ্ছে না?
আর সেই আলো দেখেও মন্মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকছে না এই গ্রহের মতই অন্য কোন গ্রহের ৬৫০কোটি দো'পেয়ো জীব অথবা তার চেয়েও বেশী।

সেই গ্রহে কি দু'পেয়ো জীবদের আবার দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে?নামকরণও কি এই গ্রহের মত?নারী এবং পুরুষ?আবার এদের মধ্যেও কি এক জাতের শারীরিক গঠন এই গ্রহেরই একজাতের মত আকর্ষণীও?যেই আকর্ষণে লক্ষ বছর ধরে বাঁধা পরে আছে শক্ত সামর্থ্য আরেক বুদ্ধিমান জাত?
এটা কি কোন খেলা?এই খেলার শুরু কোথায় আর শেষ কোথায়?নাকি এই খেলা চলতে থাকবে যুগের পর যুগ ধরে?চেইন রিঅ্যাকশনের মত এই খেলা এগোতে থাকবে মন থেকে মনে,গ্রহ থেকে গ্রহে,গ্যলিক্সি থেকে গ্যালিক্সিতে?

আমি বাস্তবতায় ফিরে আসি।যার গন্ডি পাথরের দেয়াল সে গ্যালেক্সি নিয়ে কেন ভাববে?আমি সামান্য লজ্জিত বোধ করি,আমার মনে হতে থাকে প্রকৃতি আমাকে দেখে হাসছে।লজ্জিত মুখ নিয়ে আমি লেখা বন্ধ করি।বিছানায় শুয়ে রবীন্দ্র শুনতে ব্যস্ত হয়ে যাই।আমার ঘরের দেয়ালে সুরের প্রতিধ্বনি হয়।

"এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে॥"

বেঁচে থাকার আনন্দে আমি আনন্দিত হই,আনন্দেই আমার চোখ ভিজে ওঠে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৪

পুলহ বলেছেন: শৈল্পিক লেখা, ভালো লেগেছে।
"যার গন্ডি পাথরের দেয়াল সে গ্যালেক্সি নিয়ে কেন ভাববে?"-- দারুণ উপলব্ধির কথা বলেছেন।
সাথে আবার এটাও কিন্তু ঠিক যে- প্রতিটি মানুষই আসলে নক্ষত্রের সন্তান। আমদের শরীরের বিভিন্ন মৌলের সৃষ্টি কিন্তু সে ঝিকিমিকি নক্ষত্রের মাঝেই....
সেদিক থেকে চিন্তা করলে- পাথরের দেয়ালে আটকে থেকেও কিন্তু গ্যালাক্সি ছোবার স্বপ্ন দেখাই যায়।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা নিরন্তর!

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৬

কাজী রিফাত বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই। গ্যালাক্সি ছোঁওয়ার স্বপ্নে বিভর হয়ে আছি। দোয়া করবেন। :)

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

তাহ্ফীর সাকিন বলেছেন: অন্যরকম এক বাতাস অনুভব করলাম! ভালো লাগল :)

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

কাজী রিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ সাকিন ভাই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.