নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সতে্যর িবজয়

সতে্যর িবজয়

right pen

fdgfdg

right pen › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনের হিফাযতকারী আললাহ রাব্বুল আলামীন

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

আললাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [سورة الحجر: ٩]

‘আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক।’ {সূরা আল-হিজর, আয়াত : ৯}

আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হলেও কুরআনের আবেদন বিশ্বজনীন হওয়ায় বিশ্বমানবতার সামনে এর বাণী পৌঁছে দেয়া মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম অবশ্য কর্তব্য ছিল। সেহেতু তিনি তাঁর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শাসনকর্তাদের নামে পত্রাদির মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত পাঠান। এ ব্যাপারে ভাষার বিভিন্নতাকে অন্তরায় সৃষ্টি করতে দেন নি। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরবী না জানা মানুষের কাছে কুরআনের বাণী পৌঁছে দেবার তাগিদে অনারবী ভাষায় কুরআনের অনুবাদের ধারা মহানবীর জীবদ্দশায় সূচিত হয়ে আজো অব্যাহত আছে।

তবে এ কথা মুসলমানরা ভালোভাবে জানেন, অনুবাদ কোনো অবস্থাতেই মূল কুরআনের বিকল্প হতে পারে না। তাই কুরআনের অনুবাদকে কোনো অবস্থায় ‘বাংলা কুরআন’ বলার অবকাশ নাই। কেননা কুরআন হলো জিবরাঈল মারফত প্রেরিত ভাষা ও অর্থের সমন্বয়ে আল্লাহর বাণী। সুতরাং মূল আরবী ভাষায় কুরআন পাঠ করতে এবং কুরআনের মূল বাণী বুঝতে সক্ষম হওয়া পর্যন্ত কুরআনের অনুবাদের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এমন চেতনা মাথায় রেখেই নানাভাষী মুসলিম মনীষী ও পণ্ডিতবর্গ স্বতস্ফূর্তভাবে পবিত্র কুরআন অনুবাদে এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি অনেক অমুসলিম পণ্ডিতও ধর্ম প্রচারের অভিপ্রায়ে এ মহাগ্রন্থ অনুবাদে হাত দেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের প্রায় ৭০টি প্রধান ভাষায় আল কুরআন অনূদিত হয়েছে। অমুসলিমদের ভাষাতেও পর্যাপ্ত অনুবাদ হয়েছে।

আমাদের বাংলাভাষী মানুষদের আরবী ভাষাজ্ঞান কম থাকায় আমরা আল্লাহ তা‘আলার কালাম কুরআন মাজীদ বুঝতে পারি না। এ কারণেই বাংলাভাষী মুসলিমদের মধ্যে কুরআনের জ্ঞান প্রায় নেই বললেই চলে। অনুবাদ পড়ে কুরআনে বর্ণিত আলোচনা সম্পর্কে জানার প্রবণতাও আমাদের মধ্যে খুবই কম। আর এ কারণে শিরক, বিদ‘আত ও অন্যান্য পাপে লিপ্ত হয়েছে বাংলার মুসলিম সমাজ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.