নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রি হোসাইন

কবিতা তার অগ্রজ কবিতার অনুকরন করে কথা বলা মাত্র ...... যারা নতুন কিছু বলে তারা কবি না যতক্ষন পর্যন্ত সেই নতুন কথার অনুকরন না করা হয়।

রি হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কহেন কালিদাস

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০২

মালবিকাগ্নিমিত্রম :

বিদিশার রাজা অগ্নিমিত্র তাঁর প্রধানা মহিষী ধারিণীর পরিচারিকা মালবিকার চিত্র দেখে মুগ্ধ হলেন। বিদূষক মালবিকাকে রাজসমক্ষে আনার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন। ধারিণীর সহচরী পরিব্রাজিকা পণ্ডিতকৌশিকীর সহায়তায় তিনি নাট্যাচার্য গণদাস ও হরদত্তের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত করলেন। পরিব্রাজিকা উভয় নাট্যাচার্যের পরীক্ষা নিতে বললে, গণদাসের শিষ্যা মালবিকা রাজসমক্ষে নৃত্য প্রদর্শন করল। মালবিকাকে দেখে রাজা মোহিত হলেন। ধারিণীর অপর পরিচারিকা বকুলাবলিকার সহায়তায় প্রমোদকাননে রাজা ও মালবিকার মিলনের পরিকল্পনা করলেন বিদূষক। কিন্তু তখনই রাজার দ্বিতীয়া মহিষী ইরাবতী রাজার সঙ্গে দোলারোহণের বাসনায় উপস্থিত হলেন প্রমোদকাননে। রাজাকে সংকেত স্থানে না পেয়ে মালবিকা ও বকুলাবলিকা এবং রাজা ও বিদূষককে আড়াল থেকে লক্ষ্য করতে লাগলেন তিনি। মালবিকা ও বকুলাবলিকার কথোপকথন থেকে বুঝলেন যে সে রাজার প্রতি অনুরক্ত। পরে রাজা মালবিকাকে আলিঙ্গনে উদ্যত হলে আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে রাজাকে কটূক্তিতে অপদস্থ করলেন ইরাবতী। পরে কথাটি তুলে দিলেন ধারিণীর কানে। ধারিণী মালবিকাকে কারারুদ্ধ করলেন। কিন্তু বিদূষক মালবিকাকে মুক্ত করলেন। এদিকে এক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে প্রকাশিত হল মালবিকা আসলে বিদর্ভরাজ মাধবসেনের ভগিনী এবং পরিব্রাজিকা পণ্ডিতকৌশিকী মাধবসেনের মন্ত্রী আর্যসুমতির ভগিনী। অগ্নিমিত্রের সেনাপতি বীরসেন দস্যুর হাত থেকে উদ্ধার করে মালবিকাকে ধারিণীর হাতে সমর্পণ করেছিলেন। আর্যসুমতির ভগিনীও একই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে পরিব্রাজিকারূপে রাজ অন্তঃপুরে আশ্রয় নেন।



এর পরেই অগ্নিমিত্র ও ধারিণীর পুত্র বসুমিত্র দুরন্ত যবনসেনাদের পরাস্ত করে পিতামহ পুষ্যমিত্রের যজ্ঞাশ্ব ফিরিয়ে আনে। এই আনন্দের মুহুর্তে ধারিণীই মালবিকাকে বধূরূপে রাজহস্তে সমর্পণ করেন। বসুমিত্রের বিজয়বার্তায় ইরাবতীও ঈর্ষা ভুলে যান।



এই নাটকে পুষ্যমিত্রের রাজসূয় যজ্ঞের একটি বর্ণনা আছে। সঙ্গীত ও অভিনয়ের একটি তত্ত্বমূলক ব্যাখ্যাও এই নাটকে সংযোজিত হয়েছে। মনে করা হয়, মালবিকাগ্নিমিত্রম একটি মঞ্চসফল নাটক।



মালবিকাগ্নিমিত্রম নাটকের নায়ক অগ্নিমিত্র ছিলেন শুঙ্গবংশীয় রাজা, যাঁর শাসনকাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫-৪৮ অব্দ।



মেঘদূতঃ কালিদাসের "মেঘদূতম্‌" কাব্যের সারবস্তুটি সরল অথচ কাব্যগুণসমন্বিত: কর্তব্যে অসাবধানতায় প্রভুর অভিশাপে যক্ষকে রামগিরি পর্বতের বিজন আশ্রমে নির্বাসিত হতে হয়। সেখানে বসে আষাঢ়ের প্রথম দিবসে নববর্ষার মেঘ দেখে তারই মাধ্যমে অলকাপুরীর রম্যপ্রাসাদে তাঁর বিরহী প্রিয়ার উদ্দেশ্যে বার্তা প্রেরণ করবেন বলে মনস্থির করেন তিনি। বিরহের আতিশায্যে তিনি জড় ও জীবের ভেদাভেদজ্ঞান লুপ্ত হন। তিনি মেঘকে জানাতে থাকেন, কোন কোন নগর, নদী ও পর্বত পেরিয়ে তাকে অলকায় পৌঁছতে হবে। কাব্যের এই অংশে প্রাচীন ভারতের এক অসামান্য ভৌগোলিক বিবরণ ফুটে উঠেছে। এরপর যক্ষ কুবেরপুরী অলকা ও তাঁর বিরহী প্রিয়ার রূপলাবণ্য বর্ণনা করেছেন মেঘের নিকট। অবশেষে মেঘকে অনুরোধ করেছেন, প্রিয়তমার নিকট তাঁর কুশল সংবাদ নিবেদন করতে।



ঋতুসংহারঃ

সংস্কৃত কবি কালিদাস রচিত একটি ক্ষুদ্রাকার আদিরসাত্মক কাব্য। এই কাব্যে ছয়টি অধ্যায় আছে, প্রতিটি অধ্যায়ে ভারতের এক একটি ঋতুকে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়টি গ্রীষ্ম ঋতুবিষয়ক। পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে বর্ণিত হয়েছে যথাক্রমে বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শিশির (শীত) ও বসন্ত ঋতু। এই ঋতুবর্ণনার একটি বৈশিষ্ট্য হল এগুলি দুই প্রণয়ীযুগলের সম্পর্কের আলোকে বর্ণিত হয়েছে।



কালিদাস ছিলেন ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষার এক বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার। ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতো দেখা হয় তাকে সংস্কৃত ভাষার সাহিত্যে।.[১]তার কবিতা ও নাটকে হিন্দু পুরান ও দর্শনের প্রভাব আছে। কালিদাস প্রাচীন যুগের ভারতীয় কবি। তিনি সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিরূপে পরিচিত। যদিও তাঁর জীবনকাহিনি সম্পর্কে বিশেষ নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি প্রথম জীবনে মূর্খ ছিলেন এবং বিদূষী স্ত্রী কর্তৃক অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে দেবী সরস্বতীর বরপ্রাপ্ত হন।



তাঁর সময়কাল নিয়ে দুটি মত প্রচলিত। প্রথম মতে, তিনি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে বিদ্যমান ছিলেন। তাঁর মালবিকাগ্নিমিত্রম নাটকের নায়ক অগ্নিমিত্র ছিলেন শুঙ্গবংশীয় রাজা, যাঁর শাসনকাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫-৪৮ অব্দ। অপর মতে, তাঁর সময়কাল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মধ্যে। বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সভাকবি হিসাবেই তাঁর খ্যাতি সমধিক। কালিদাসের বহু রচনায় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য, রাজধানী উজ্জয়িনী ও রাজসভার উল্লেখ পাওয়া যায়। সপ্তম শতাব্দীতে বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিত গ্রন্থে কালিদাসের সপ্রশংস উল্লেখ আছে।



কালিদাস মেঘদূতম, কুমারসম্ভবম্‌, রঘুবংশম, ঋতুসংহার, শৃঙ্গাররসাষ্টক, শৃঙ্গারতিলক, পুষ্পবাণবিলাস নামক কাব্য, নলোদয় ও দ্বাদশ-পুত্তলিকা নামে দুটি আখ্যানকাব্য এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলম্‌, বিক্রমোর্বশীয়ম, মালবিকাগ্নিমিত্রম নামে তিনটি নাটক রচনা করেন।



সুত্রঃ Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগলো। :)

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

রি হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.