![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রতিবন্ধকতা সমুহঃ
১) জামানতের টাকা। ইদানিং সংসদ নির্বাচনে জামানতের টাকা বেশ মোটা অঙ্কের। যথা সম্ভব সেটা কম পক্ষে ৫০হাজার টাকা। ইদানিং অনেক সৎ ও যোগ্য প্রার্থী জামানতের টাকা জোগাড় করতে পারে না নিরবাচন করার জন্যে। দুর্নীতিবাজ দের জন্যে এই টাকা তেমন কিছু না হলেও একজন দরিদ্র ও সৎ প্রার্থীর কাছে এটা অনেক বড় অংক। এটা এক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনও বটে। কেননা এতে করে শুধু মাত্র টাকার অভাবে একজন দরিদ্র ব্যাক্তির নির্বাচন করার অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাছাড়া এটা নির্বাচনী একটা পুঁজির মত হয়ে যাচ্ছে। ফলে নির্বাচন একটা ব্যাবসায় রূপান্তরিত হচ্ছে। আমার মতে সংসদ কিংবা যে কোনো নির্বাচনের জামানতের পরিমান কোনো ক্রমেই ১ হাজারের বেশী হওয়া উচিৎ নয়। তাছারা বর্তমান আইন অনুযায়ি সম্ভবত ৮% ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। আমি মনে করি এটাও ঠিক নয়। এটা ২ কিংবা ৩% নামিয়ে আনা উচিৎ।
২) মনোনয়ন পত্রের সাথে ১% ভোটারের স্বাক্ষর আমার পক্ষে সংগ্রহ করা খুব-ই কঠিন। কেননা নির্বাচনে নামার আগেই যেখানে আমার কোণো রকম প্রচার প্রচারণা হয় নি, যেখানে আমাকে প্রায় কেউই চেনে না সেখানে বৈধ ভাবে ১% ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ আমার কাছে প্রহসন ছাড়া কিছুই না। তাছাড়া এটাও যথেষ্ট ব্যায়বহুল। এর ফলেও দরিদ্র সৎ প্রার্থীরা এটা সংগ্রহে ব্যারথ হতে পারে। ফলে সৎ ও যোগ্য প্রাথিরা নির্বাচনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। তাছাড়া নির্বাচন করতে হলে আগে থেকেই পরিচিতি থাকতে হবে এটা তো ঠিক না। এতে যোগ্যরা পিছনেই থেকে যাবে। যোগ্যা রা প্রচার বিমুখ হতেই পারে।
৩) নির্বাচনী প্রচার অভিযান ও পোস্টার লিফলেটের ব্যয়। আমার মতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা শুধু মাত্র জনগনের দায়িত্ব-ই নয় বরং সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ও দায়িত্ব। সেই জন্যে একটা ব্যায়হীন প্রচার নিতি করা খুব-ই জরুরী। যেমন যে সকল প্রার্থী নির্বাচন করবেন তাদের সকলের-ই সরকারি অরথে সরকারি প্রেসে নির্দিষ্ট পরিমান লিফলেট ও পোস্টার ছাপিয়ে প্রারথিদের বিতরন করা, বিভিন্ন কেন্দ্রের গন্ডিতে সরকারি খরচে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যেক প্রার্থীকে দেয়া। সরকারি টিভি তে প্রত্যেকের জন্যে নিদ্রিষ্ট পরিমান বিজ্ঞান প্রচার করা। বেসরকারি টিভি তেও (যেহেতু জাতীয় ইস্যু তাই আইন করে বাধ্য করা) একই রকম সমান বিনামুল্যে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যাবস্থা করা। এর ফলে মুলত প্রার্থীদের নির্বাচনী কোনো ব্যায়-ই থাক্তো না। ফলে সুনাগরিকেরা নির্বাচনে উৎসাহী হতো। এর ফলে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেশি থেকে বেশি পরিমানে নির্বাচন করত। আর স্বাভাবিক ভাবে-ই বেশী সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করলে বেশি সৎ ও যোগ্য প্রার্থী জয় লাভ করতো। এটা সুশাশনের জন্যে বড় ধরনের সহায়ক ভুমিকা পালন করতো। যা হোক বর্তমান বাস্তবাতায় আমি এই ব্যয় মেটাতে অক্ষম।
আমি নির্বাচন করলে হয়তো ৮/১০ ভোট পাবো। কিন্তু এতে আমি নিজে একজন যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে পারার তৃপ্তি পেতাম। তাই আমি অর্থের সংস্থান করতে পারলে নির্বাচন করবো আশারাখি। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: অবশ্যই পারবেন। শুভ কামনা।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫
আসফি আজাদ বলেছেন: মনোনয়ন পত্রের সাথে ১% ভোটারের স্বাক্ষর জমা প্রদানের বিধান আছে নাকি? তামাশার কত রকমফের!
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭
রি হোসাইন বলেছেন: জ্বী। এটা ২০০৮ এর বিঁধিমালায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এবং এই ইস্যু ধরে জাল স্বাক্ষরের ধোয়া তুলে ইতি মধ্যে উপনির্বাচনের কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন ও বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের শুন্য আসন উল্যেখ যোগ্য। ওই আসনে এই ছুতায় আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করায় বিনা প্রতিদ্বদন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছিলো আওয়ামীলীগের প্রার্থী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
কালোপরী বলেছেন: আমীন, সুম্মা আমীন