![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেপ্টেম্বর ১৯৭১এর ভারত বাংলাদেশ সাত দফা মৈত্রি চুক্তি
চুক্তির বিবরনঃ
১. প্রশাসনিক বিষয়ক: যারা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে শুধু তারাই প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে। বাকীদের জন্য জায়গা পূরণ করবে ভারতীয় প্রশানিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
২. সামরিক বিষয়ক: বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করবে। ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাস থেকে আরম্ভ করে প্রতিবছর এসম্পর্কে পুনরীক্ষণের জন্য দু’দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৩. বাংলাদেশের নিজস্ব সেনাবাহিনী বিষয়ক: বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবেনা। অভ্যন্তরীণ আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য মুক্তিবাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি প্যারামিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হবে।
৪. ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধ বিষয়ক: সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অধিনায়কত্ব দেবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান। এবং যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তি বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অধিনায়কত্বে থাকবে।
৫. বণিজ্য বিষয়ক: খোলা বাজার ভিত্তিতে চলবে দু’দেশের বাণিজ্য। তবে বাণিজ্যের পরিমাণের হিসাব নিকাশ হবে বছর ওয়ারী এবং যার যা প্রাপ্য সেটা র্স্টার্লিং এ পরিশোধ করা হবে।
৬. পররাষ্ট্র বিষয়ক: বিভিন্ন রাষ্ট্রের সংগে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশ্নে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংগে যেগাগাযোগ রক্ষা করে চলবে এবং যতদুর পারে ভারত বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে সহায়তা দেবে।
৭. প্রতিরক্ষা বিষয়ক: বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবে ভারত।
চুক্তিটিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করে আস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
তথ্য সুত্রঃ
” (অলি আহাদ রচিত “জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫”, বাংলাদেশ কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি লি: প্রকাশিত, চতুর্থ সংস্করণ ফেব্রুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা-৪৩৩,৪৩৪)।
আরো সুত্রঃ
বাংলাদেশঃ মারাত্বক অপপ্রচারণা, ষড়যন্ত্র ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের শিকার, পৃষ্ঠা ১২৪-১২৬
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
রি হোসাইন বলেছেন: ভাষা সৈনিক অলি আহাদের পুস্তক থেকে নেয়া ... দেশের সবচেয়ে গ্রহন যোগ্য কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন ছিলেন!
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
বোকার হদ্দ বলেছেন: এটাতো মৈত্রি চুক্তি নয়। গোলামী চুক্তি।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
আছিফুর রহমান বলেছেন: ব্যাপারটা সত্য। এই চুক্তি সই করার সময় নাকি তাজউদ্দিন আহম্মেদ ২ বার ঞ্জান হারিয়েছিলেন। প্রয়াত বিএনপি নেতা ওবাইদুর রহমানও এ কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশে RAW নামক বইয়ে বাংরাদেশের একজন বিখ্যাত অনুসন্ধান সাংবাদিকও এই কথা বলেছেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
রি হোসাইন বলেছেন: ভাই চুক্তিটি সই করেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলা। এবং সেটা সই করে -ই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। অনেকে তাজ উদ্দিনের কথা বলে কিন্তু আসলে সেটা ভুল। তাজ উদ্দিন সেখানে উপস্থিত ছিল কিন্তু অজ্ঞান হন নি। তাজ উদ্দিন জানতেন যে এই যুদ্ধে ভারত কে নামানোর জন্যে আর কোন উপায় ছিলো না। তাজ উদ্দিন যে কোন মূল্যে স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন বঙ্গবন্ধু এই চুক্তি অস্বীকার করবেন কেননা তাজ উদ্দিন জানতেন যে অন্যান্য রাষ্ট্র গুলো বাংলাদেশ কে স্বীকৃতি দিয়ে দিলে এবং জাতিসংঘের সদস্য পদ পেয়ে গেলে এই চুক্তি আপনা আপনি আসার হয়ে যাবে। কিন্তু বঙ্গ বন্ধু সেটা না করে চুক্তি মেনে নিয়ে চুক্তির ৩ নং শর্ত অনুযায়ী প্যারামিলিটারি রক্ষীবাহিনী গঠন করে। মুলত এই চুক্তির কারনেরি তাজ উদ্দিনের সাথে বঙ্গবন্ধুর দুরত্ব সৃষ্টি হয়! তাজ উদ্দিন ও সৈয়দ নজরুল একটা যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামী লীগ এই চতুরতা অনুধাবন করতে পারেন নি অথবা ক্ষমতা আকড়ে ধরার স্বার্থতে এই চুক্তিকে ব্যাবহার করে গেছে! যেমন পঞ্চম সংশোধনীর আগের আরে পঞ্চদশ সংশোধনীর পরের সংবিধানের ১ম অনুচ্ছেদ "প্রস্তাবনা" এর " জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের" বাক্যটির সাথে পঞ্চম সংশোধনির পর ও পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের সংবিধানের ১ম অনুচ্ছেদ "প্রস্তাবনা" এর " জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের" ... এই বাক্য দুটোর তুলানা করুন প্লিজ ... আওয়ামী লীগ কত্রিক সম্পাদিত সংবিধানে "স্বাধীনতার" স্থলে "মুক্তি" এবং "যুদ্ধের" স্থলে "সংগ্রাম" ... অনেকটা একই ভাব সম্পন্ন হলেও শ্বব্দ দ্বয় যুগলের বিস্তর ব্যবধান আছে! সংবিধানের মত একটা গুরুত্ব পূর্ণ ও স্পর্শকাতর যায়গায় আওয়ামীল লীগ প্রকৃত ও সত্য শব্দ ব্যাবহার না করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও চতুর শব্দ ব্যাবহার করলো ভারত কে খুশি করার জন্যে।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
রোহান খান বলেছেন: ব্যাপারটি সিরিয়াস..তবে তাউদ্দিন আহমেদ যেটাই করে থাকুক না কেন তা তৎকালীন প্রেক্ষাপটের নজিরে এছাড়া কোন উপায় ছিলোনা। তাই তাকে দোষ দেওয়া যায় না। তবে জাতির পিতা হিসেবে ৩ নং শর্তটি অত সহজে মেনে নেয়াটা প্রশ্নবোধক। তবে বলা মুশ্কিল হয়ত মুজিব সাহেবও একি প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় তাজউদ্দিন সাহেবের পথে অনুসারী হিসেবে আরও কিছুদিন থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সময়হীনতায় ব্যাপারটি অন্য পথ নিজে থেকেই প্রসারিত করে ফেলে যার ফলাফল ১৫ ই আগস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
বোকার হদ্দ বলেছেন: এটা কি সত্যি?