নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/
আমার যদি ক্ষমতা থাকতো, তাহলে চিংড়ী মাছকে জাতীয় মাছ বানিয়ে ফেলতাম। এই লেখাটার উদ্দেশ্য হল চিংড়ীর প্রতি আমার সুগভীর ভালবাসাকে লিপিবদ্ধ করে ফেলা। আমার পছন্দের তিনটা খাবারের একটা হল অনেকগুলি চিংড়ী ছেড়ে দেয়া ঝাল ঝাল এক বাটি থাই স্যুপ। এখন যেখানে বসে আছি, সেখানে আমার সামনে রাখা কমলা রঙের স্যুপ। গোটাকয়েক মাঝারি সাইজের চিংড়ী দেখা যাচ্ছে। কিছু মাশরুম আর টমেটোকুচিও উঁকিঝুকি দিচ্ছে। ঝাঁঝালো ঘ্রাণের সাথে লেবু পাতার সতেজ সুবাস। সব মিলিয়ে বেহেশতী পরিবেশ।
মিউনিখের সেন্ট্রাল স্টেশনের একটা ছোট টেইক অ্যাওয়ে টাইপের দোকান। নাম Asia Hung আর জার্মান উচ্চারনে “আজিয়া হুং”। ভেতরে বসে খাওয়ারও ব্যবস্থা আছে। প্রায়ই ল্যাব থেকে ফেরার পথে থাই স্যুপের লোভে চলে আসি। মাঝে মাঝে সাথে নেই এক প্লেট স্প্রিং রোল। একা একা কোথায় গিয়ে খেতে অনেকের কেমন যেনো একটু আড়ষ্ট লাগে। লাগারই কথা। কিন্তু আমার বেলায় এই কথা খাটে না। ছোট বড় যেকোন খাবারের দোকান কি রেস্টুরেন্টে ঢুকে অবলীলায় চার জনের টেবিল একা দখল করে জাঁকিয়ে বসি। পা দোলাতে দোলাতে মেন্যু দেখে অর্ডার দেই। ব্যাপারটার ভেতর স্বাধীন স্বাধীন ভাব আছে। আমি তাড়িয়ে তাড়িয়ে এই স্বাধীনতাটুকু উপভোগ করি।
এরকম এক একটা ভোজনসুখের সময়ে মনে ব্যাপক কবি-দার্শনিক ভাবের উদয় হয়। আজকেও হচ্ছে। অর্ধেক স্যুপ শেষ করে চার নাম্বার স্প্রিং রোলটা মুখে দিতেই কাব্য জগতের ঝাঁপি খুলে গেলো। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আমার এই জাতীয় কাব্য-সাহিত্য কিছুটা খাদ্যকেন্দ্রিক। যেমন- “হেরিয়া নধর চিংগইড় মাছ, ভক্ষণে কভু করি নাকো বাছ”। কাব্য-সাহিত্য বললে সাহিত্যের কিঞ্চিত অপমান হয়, তাই এটাকে খাদ্য-সাহিত্য বলা শ্রেয়। আপাতত কথা কম বলে সাহিত্যগুলোকে পেটে চালান দেয়া যাক। ধূমায়িত বাটি থেকে এক চামচ স্যুপ গিলে স্প্রিং রোলে একটা উদাস কামড় দিয়ে আমি দেখতে থাকি স্টেশনের হাজারো মানুষের আনাগোনা।
ডাইরী, ২০১২
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৭
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সালাম জানবেন। ছবি তো ইন্টারনেটের সুবাদে। ল্যাবটা একটা ইম্যুনোলজি ল্যাব ছিল। পিএইচডির সময়ের কথা। কাজ করতে করতে ফাঁপর লাগলে বাড়ি ফেরার পথে ফাঁপর কাটাতে স্যুপ খেতে চলে যেতাম।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩
নস্টালজিক বলেছেন: খাবার পোস্টে আগ্রহ পাইনা। আপনার লেখাটা পড়লাম। ভালো লাগলো।
আপনার ডায়েরী এর পর আবার চোখে পড়লো, পড়বো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ছবিটা সরিয়ে ফেলেছি। খাদ্য বিষয়ক লেখা আমারও স্থুল লাগে, পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: স্যুপ খাওয়া ভালো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: তা আর বলতে।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, আপনার সাথে আমিও আছি চিংড়ি মাছকে জাতীয় মাছের মর্যাদা দিতে। খুবই প্রিয় একটি খাবার আমার। সহজেই সব জায়গায় পাওয়া যায়, উৎপাদনের ক্ষেত্রেও এর চাষাবাদ সহজ, খেতেও মজাদার। দিয়ে দেন জাতীয় মাছের মর্যাদা।
সুন্দর আলোচনা করেছেন
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: হাহাহা, মজা পেলুম।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৫
বাংলার মেলা বলেছেন: চিংড়ি মাছকে কখনোই জাতীয় মাছ বানানো যাবেনা কারণ চিংড়ী আর্থ্রপোডা গোত্রের প্রাণি। এদেশে যদি কখনও জাতীয় পোকা নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে, তাহলেও চিংড়ীর স্থান হবে কিনা সন্দেহ - সেই তালিকায় প্রথমে আসবে তেলাপোকা। কারণ এই জাতির স্বভাব চরিত্রের সঙ্গে তেলাপোকার বেশ সাদৃশ্য আছে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: "জাতির স্বভাব চরিত্রের সঙ্গে তেলাপোকার বেশ সাদৃশ্য আছে।"- চরম কথা বললেন!! বিনোদিত হলাম!
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
চিংড়ি আমার শুধু ভর্তাতেই ভাল লাগে
আর আম্মা যখন পেয়াজ মরচি আর মসলা দিয়ে একটূ ভুনা করে তখন সেটা খেতে ভাল লাগে
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: চিংড়ি আমার পোষা প্রানি হিসেবেও ভাল লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ল্যাবে স্যুপ টুপ হয় না? এটা আসলে স্যুপ নয় ঝোল চিংড়ি; ল্যাবের কাছে হওয়ায় স্যুপে পরিণত হয়েছে! কিসের ল্যাব ওটা?