নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/
১.
বছর খানেক আগের কথা। মুখ ভচকিয়ে ল্যাবে ঘুরে বেড়াই। কাজে যুত করতে পারছি না। দেড় বছরের কাজ ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আবার নতুন প্রজেক্ট শুরু করেছি। পিএইচডি নামের এই সুড়ঙ্গের শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। কাজটা ফুসফুসের ক্রনিক রোগ নিয়ে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ বিড়ি-সিগারেট ধরিয়ে ইঁদুরের বাক্সের সামনে বসে থাকি। বেচারাদের ফুসফুসের বারোটা বেজে গেলে তাদের কেটেকুটে চলে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই করে করে জীবন চিরতার মত তিতা হয়ে যাচ্ছে।
তেমনি একদিন সকাল। খিটখিটে মেজাজে ল্যাবে ঢুকেছি। দুনিয়াদারি চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কে জানত এমন একটা খবর অপেক্ষা করছে আজকে। ‘ও মাগো’ বলে গালে হাত দিয়ে ধপ্ করে চেয়ারে বসে পড়ালাম। কিছুটা নাটুকে হয়ে গেল বোধহয়। কিন্তু হাজার চেষ্টাতেও অকৃত্রিম প্রতিক্রিয়াটা লুকানো গেল না। তুর্কি সুপারভাইজার ডক্টর ইলদ্রিম কিছু একটা উত্তর শোনার অপেক্ষায় চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। বাংলা ‘ও মাগো’ সে বুঝতে পারে নি। ভেবেছে খুশিতে খাবি খেয়ে হেঁচকি তুলেছি।
কাহিনী হচ্ছে গিয়ে, আমার হেঁজিপেঁজি রদ্দি মার্কা কাজটা কিভাবে কিভাবে যেন বড় একটা কনফারেন্সের ‘বেস্ট অ্যাবস্ট্রাক্ট’ বিভাগে প্রথম হয়েছে। কনফারেন্সটা এ বছর পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগোতে। সব শুনে আনন্দে ফড়িং নাচ দেয়ার বদলে কেমন দুঃখ দুঃখ লাগছে। কারন, এমন দারুন সুযোগ পেয়েও হারাবো। প্রথমত, মাত্র চার সপ্তাহের ভেতরে জার্মানি থেকে আমেরিকার ভিসা পাব কিনা বিশাল সন্দেহ আছে। দ্বিতীয়ত, খরচে কুলাবে না। ট্যাঁকের পয়সা ফেলে পাগলেও কনফারেন্সে যায় না। বাকি থাকে তুর্কি বদান্যতা। কিন্তু সেও বলে দিয়েছে হাতে টাকা বাড়ন্ত। রিসার্চ গ্রান্টের খরা চলছে। এদিকে, প্রাইজ মানিতেও চিড়া ভিজবে না। প্লেনের টিকেটের পর হোটেলের পয়সা আর হবে না। হোটেলের অভাবে রাতে ফুটপাথে চিৎ কাৎ হয়ে কাটিয়ে দিতে হলে তো মুসিবত।
কথাগুলো আহমেদ সাহেবকে রাতে খাবার টেবিলে পিনপিনিয়ে বলে স্বান্তনা আদায়ের চেষ্টা চালালাম। বছরখানেক হল এই ভদ্রলোকের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভূত হয়ে চেপে বসেছি। বিনিময়ে তার পদবীটা নিজের নামের সাথে জুড়ে নেবার সৌজন্যতাটুকুও করি নি। বরং ইখতিয়ারুদ্দিন বখতিয়ার খিলজী টাইপের সুদীর্ঘ নামটাই রেখে দিয়েছি। তো সিন্দাবাদের ভূত দিন কয়েকের জন্যে বিদায় হবার সূক্ষ্ণ সম্ভাবনা দেখে স্বান্তনার বদলে বিরাট উৎসাহের সাথে বুদ্ধি বাতলে দেয়া হল যেন রিসার্চ সেন্টারের নিজের কোনো ফান্ড আছে কিনা তার খোঁজ নেই। আহমেদ সাহেবের ভূত তাড়ানোর দোয়া কবুল হল কিনা জানি না, কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে ব্যবস্থা একটা হয়েই গেল। ভিসাও বাকি থাকলো না। এক ভোরে আলো ফোঁটার আগেই চামবাদুড়ের মত ডানা ঝটপটিয়ে উড়াল দিলাম আটলান্টিক নামের বড় পুকুরটার ওপাড়ে।
একাবোকা যাচ্ছি। সঙ্গী সাথী শূন্য। যাওয়া একেবারে শেষ মুহূর্তে ঠিক হওয়ায় এই দশা। ল্যাবের সব কলিগদের বন্দোবস্ত মাস খানেক আগেই করা ছিল। তাদের ফ্লাইট, হোটেল সব আলাদা। একদিন আগেই তারা দল বেঁধে হল্লা করে রওনা দিয়েছে। গিয়ে একটু ধাতস্থ হতে পারবে। আর আমি পৌঁছানোর পরের দিনই পড়িমড়ি করে ছুটবো কনফারেন্সে যোগ দিতে। জেটল্যাগ হলেও কিছু করার নেই।
আটলান্টায় ট্রানজিট। এয়ারপোর্টে দোজখের গরম। তার উপর ইমিগ্রেশনের বিশাল লাইন দেখে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে। পরের ফ্লাইট ছুটে যাবে না তো? ভাবতে ভাবতে ঘেমে কুলুকুলু হয়ে ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে দাঁড়ালাম। কাঁধে পোস্টারের খাপটাকে এরা আবার রকেট লঞ্চার ভেবে সন্দেহ করে কিনা, তাই আলপটকা নামিয়ে ফেলতে গেলাম। সাথে সাথে ঘটে গেল অঘটন। তড়িঘড়িতে সেটা মেঝেতে দড়াম করে আছড়ে পড়ে পুরানো নকিয়া ফোনের মত তিন টুকরো হয়ে তিন দিকে ছড়িয়ে পড়লো। ঘাবড়ে গিয়ে আমি পুরো হাঁ। বোয়াল মাছ লেভেলের হাঁ দেখে অফিসারের মনে দয়ামায়া হল বোধহয়। হাত বাড়িয়ে ধরা কাগজগুলো নিয়ে বললেন, ‘তোলো তোমার জিনিস আস্তে ধীরে, আমি কাগজ দেখি ততক্ষনে’।
উবু হয়ে পোস্টার গুছিয়ে নিয়েছি, ভদ্রলোক সহাস্যে বললেন, ‘আরে তুমি দেখছি ইঁদুরের ডাক্তার।‘ মৃদু প্রতিবাদ করতে গেলাম, ‘কোন দুঃখে ইঁদুরের ডাক্তার হতে যাবো? আমি বায়োলজির ছাত্র। ইঁদুর আমার গবেষনার মডেল মাত্র’। লাভ হল না, তবে পার পেয়ে গেলাম এই দফায়। ইঁদুরের ডাক্তারের তকমা গলা ঝুলিয়ে দৌড় দিলাম পরের প্লেনটা ধরতে। পোস্টারের খাপটা এবার এমন করে জাপটে ধরেছি যে বেচারার দম বলে কিছু থাকলে যেকোনো সময়ে ঠুস্ করে বেরিয়ে যেতে পারে।
২.
মোটাসোটা এক ভদ্রলোক চেহারায় রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে একটা থাম্বা থাবড়ে ক্রমাগত আউড়ে যাচ্ছেন, ‘ট্রানজিটের যাত্রী বামে যাবে, ট্রানজিট বামে...’। ধরন ধারন পুরোপুরি গাবতলীর বাস কন্ডাক্টরের মত। ট্রানজিট বামে না বলে ‘আয়া পড়েন, সিট খালি, ডাইরেক্ট গুলিস্তান...আয়া পড়েন...’ বললেই বেশি মানাতো। যাহোক, বাস, থুক্কু, প্লেন কন্ডাক্টরের কথা মেনে শ’খানেক লোকের সাথে পা মিলিয়ে বামেই ছুটলাম।
ঝামেলা ঝামেলা লাগছে। প্রথম ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেয়া স্যুটকেস খুঁজে নিয়ে পরের বিমানে চেক ইন করতে হবে। ল্যাও ঠ্যালা! এত দৌড়াদৌড়ি কচ্ছপ গতির আমার সাথে যায় না। অন্য সময়ে যাত্রাপথে কেউ না কেউ সাথে থাকে। আমি শুধু নিশ্চিন্তে ঝিমাতে ঝিমাতে পিছু পিছু যাই। সেখানে আজকে নিজের বুঝ বুঝে নিয়ে হুঁশিয়ার হয়ে চলতে হচ্ছে। এদিকে, এতো প্যারার ভেতরেও চোখ ভেঙ্গে ঘুম আসছে। বেশি টেনশনে কাজ করলে খালি ঘুম পায়। জীবনের যাবতীয় পরীক্ষার ভোরে বন্ধুরা যখন আখেরি চোখ বুলানো বুলাতো, আমি তখন প্রচুর টেনশনের কারনে নাক ডেকে বালিশ আঁকড়ে সিন্ধুঘোটকের মত ঘুমাতাম। আজকেও তেমনি একটা ঘুম দিয়ে টেনশন-ফেনশন সব বাইপাস করে দিতে ইচ্ছা করছে।
ঘুমটা আমি দিয়েই ফেললাম। তবে পরের প্লেনটা ধরার পর। বরফকুঁচি দেয়া এক গ্লাস টমেটোর জুস আর এক মুঠ বাদাম চিবিয়ে ইকোনমির সিটে যতদূর সম্ভব হাত-পা ছড়িয়ে, গা এলিয়ে টপ্ করে ঘুমিয়ে গেলাম।
এক ঘুমে একঘেয়ে উড়াল পথ পাড়ি দিয়ে সান ডিয়াগো পৌঁছে গেলাম। বিকাল বেলার নরম রোদ মুখে এসে পড়েছে। অপেক্ষাটা তাই খারাপ লাগছে না। দাঁড়িয়ে আছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু মাহদির জন্যে। নতুন চালু হওয়া জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে আমাদের ব্যাচে মাত্র তেরো জন ছিলাম আমরা। সেই থেকে সবাই হরিহর আত্মা। মাহদি বিভাগের তুখোড় ছাত্র। পিএইচডি করছে ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইন্সটিটিউটে। পৃথিবী জুড়ে বন্ধুবান্ধব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার সুবিধা অনেক। আসার খবর মাহদি বহু আগে থেকেই জানে। আজকে আমি প্লেন থেকে নামার আগেই সে এসে পার্কিং লটে গাড়ি নিয়ে বসে আছে। ফোন পেয়ে প্রায় চিৎকার করে বলল, ‘নড়বে না একদম, আসছি‘। পাঁচ মিনিটের মাথায় চিকন ধূলার পরতে ঢাকা আপাত ধূসর একটা টয়োটা এসে দাঁড়ালো। গাড়ির মালিক তারছেড়া বিজ্ঞানী টাইপ লোক। ধূলা মোছার ফালতু সময় তার নেই। গাড়িতে চেপে শুরু হল আমার হাঁচির পর হাঁচি। ছোটখাট ঘূর্নিঝড় বইয়ে রাগি চোখে তাকালাম। উত্তরে ধূলার সওদাগর চাঁটগায়ের ছেলেটা ফিঁচেল হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে এক্সিলেটর চাপলো।
প্যাঁচার মত ঘাড় ঘুরিয়ে নতুন দেশের নতুন শহরটাকে দেখছি। প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ের সৈকত শহর সান ডিয়েগো। ঝকঝকে চওড়া রাস্তার দু’ধারে সারি সারি পাম গাছ মাপা দূরত্বে দাঁড়িয়ে। আকাশে নীলের মাঝে সাদা মেঘ কাশফুল হয়ে ভাসছে। একেবারে তুলির আঁচড়ে আঁকা ছবি। দেখে শুনে পলক আর পড়ে না আমার। বিস্ময় ভেঙ্গে মাহদি জানালো, পুরো শহরটা নিখুঁত নকশার ফসল। গাছপালাও বাইরে থেকে এনে লাগিয়ে বড় করা। কিছু আনা হয়েছে সীমান্তের মেক্সিকো থেকে। সাথে এও বলল যে, হলিউডের আস্তানা লস অ্যাঞ্জেলস শহর নাকি মাত্র দু’শো কিলোমিটারেরও কম দূরে এখান থেকে। চাইলে ঘুরে আসতে পারি এক ফাঁকে। মনে মনে ভাবলাম, আগে তো কনফারেন্সের পাট চুকাই। গলার কাটা নেমে গেলে ঘোরাঘুরি পরে দেখা যাবে নে।
হোটেলের নাম ভারিক্কি গোছের। ডে’স ইন হারাবার ভিউ। তবে চেহারা দেখে দমে গেলাম। টান বারান্দা দেয়া সাদামাটা তিনটা তলা। হোটেলের বদলে মোটেল ভাব প্রকট। মাহদি সযত্নে স্যুটকেস তুলে দিয়ে বাসায় নাকি ল্যাবে ফেরত গেল। আর বলে গেল ঘন্টাখানেক বাদে আবার এসে ডিনারে নিয়ে যাবে। চুটিয়ে আড্ডা দেয়া যাবে বহুদিন পর।
মোটেলবেশী হোটেলের রুম যথেষ্ট সাজানো গোছানো। বাইরের রূপের উল্টোটা। আর পুরো হোটেল ভর্তি কনফারেন্সের লোকজন। বেশিরভাগই জার্মানি থেকে এসেছে। কি কাকতাল! কিন্তু মিউনিখের কাউকে চোখে পড়লো না। তাতে কিছু যায় আসে না। ল্যাবের কলিগ আর সুপারভাইজারকে জানিয়ে দিলাম, বহাল তবিয়তে পৌঁছে গেছি; কালকে দেখা হচ্ছে।
লেবানিজ এক রেস্তোরায় রাতের খানাপিনা সেই মাপের হয়েছে। মোরগ-পোলাও জাতীয় খাবারটার দেড় প্লেট নামিয়ে দিয়েছি। গল্প-আড্ডার চাইতে আধা লিটারের কোকের বোতলে সুরুৎ সুরুৎ টান বেশি পড়েছে। চুর চুর লাগছে এখন। হোটেলে নামিয়ে দিয়ে মাহদি আজকের মত বিদায় নিল। আর বলে গেল, যেকোনো সমস্যায় ফোন দিতে যেন দু’বার না ভাবি।
হাতে ক’টা ইন্সট্যান্ট নুডুলসের প্যাকেট আর টুকিটাকি নিয়ে ওপরে উঠলাম। মাঝপথে ওয়ালমার্টে থামা হয়েছিল। হোটেল রুমের ইলেক্ট্রিক কেতলিটা দেখে মনে হয়েছিল, কালকে সারাদিন জ্ঞান কপচিয়েঙ্ঘরে ফিরে খিদে পেলে চট জলদি নুডুলস করে খেয়ে নেয়া যাবে। এই ফাঁকে বলে রাখি, বিদেশ বিভুঁইয়ে পড়তে আসা পৃথিবীর তাবত ছাত্রের খাদ্যতালিকার বড় একটা অংশ জুড়ে আছে এই ইন্সট্যান্ট নুডুলস। জাপানি বুদ্ধির আসলেই তুলনা নেই।
রাতের ঘড়ি এগারো ছুঁয়েছে। এক মগ হট কোকো নিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালাম। মে মাসের হালকা মিষ্টি হাওয়া বইছে। হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে নাকের ডগায় বিশাল মাস্তুল দেখে ভড়কে গিয়ে মগ ছলকে পড়ার দশা হল। তারপর চোখ সয়ে কাহিনী বুঝলাম। হোটেলের নামে হারবার ভিউ কথাটা আছে কেন স্পষ্ট হল। রাস্তার ওপাশ ঘেঁষেই বন্দর। তাতে নোঙ্গর ফেলে স্পিডবোট আর ছোট-মাঝারি ইয়ট ভাসছে। আরো আছে পাল তোলা সৌখিন নৌকা। এই নিশুতি রাতের আবছায়ায় কাঠের শরীরগুলোর হালকা দোলাচল মুগ্ধ হয়ে দেখছি। এই সৌন্দর্যের কোন ভাষা হয় না। এই রুপ কলমের আঁচড়ে বন্দী করা যায় না। একটা নৌকা নিয়ে যদি পালিয়ে যাওয়া যেত, কেমন হত ভাবছি। ডাঙ্গার জীবন বড্ড গৎবাঁধা। রোমাঞ্চ নেই। জলের ভাসা রোমাঞ্চকর জীবন দরকার।
বেশি আগড়ুম বাগড়ুম ভাবার সময় পেলাম না। সকালে সান ডিয়াগো কনভেনশন সেন্টার খুঁজে বের করে হাজির হতে হবে। সমান্তরালে চলতে থাকা অনেকগুলো সেশনের কোনটা কোনটা শুনলে আখেরে কাজে দিবে তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলা দরকার। তাহলে হয়তো তার পরের দিন নিজের কাজের উপর বকবক করতে সুবিধা হবে। খালি মগটায় মনের ভুলে আরেকবার চুমুক দিয়ে ঘরে ঢুকলাম।
ল্যাপটপ বের করতে গিয়ে দেখি স্যুটকেসের তালা দারুন মুন্সিয়ানার সাথে ভাঙ্গা। ভেতরে এক টুকরো নোট পাওয়া গেল। তাতে লেখা, ‘নিরাপত্তার খাতিরে তালা ভাঙ্গতে হয়েছে বলে দুঃখিত। তবে মূল্যবান কিছু হারিয়ে গেলে বা স্যুটকেসের কোন ক্ষতি হলে, আমরা কিন্তু দায়ী নই।‘ বাহ! খোঁড়া যুক্তির বাহার দেখে রাগ লাগার বদলে হাসি পাচ্ছে। আর ল্যাপটপটা নিরাপত্তার অজুহাতে রেখে দিলে বেশ হত। পাঁচ কেজি ওজনের শিল-পাটার পাটা আকৃতির এই যন্ত্রটা কাজের খাতিরে বয়ে বেড়াতে হয়। হারিয়ে গেলে পলকা দেখে একটা কিনবো ভেবে রেখেছি। কিন্তু জিনিসটা হারাচ্ছে না তো। হতাশ হয়ে কাজ সেরে ঘুমিয়ে গেলাম সে রাতের মত। (চলবে)
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৩৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক ধরেছেন। কিছু যোগ-বিয়োগ, ঘষামাজা হয়েছে। সমালোচনা, আলোচনার জন্যে সব সময় কৃতজ্ঞ। নইলে আর ব্লগের চর্চা কেন। সামুর পাঠকেরা নিজেরাই একেকজন গুনী লেখক। তারা মুখবইয়ের বায়বীয় পাঠকের মত "ফ" আর "nxt" দিয়ে দায় সারেন না।
২| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৪০
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম লেখিকা।
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ে আবার চমৎকার মন্তব্যও করলেন। অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগছে পড়তে। জীব প্রকৌশল বিষয়টা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে? আমাদের সময়ে এই নামে কোন ডিপার্মেন্ট ছিল না।
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির মত খটোমটো নামকে ছোট আকারে লিখতে গিয়ে গুবলেট হয়ে গেছে। খুব ভাল ধরেছেন। বাপের নাম ভুলে যাওয়া পর্যায়ের ভুল ছিল।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৩
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে দুই পর্ব শেষ। পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
তবে আপনি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দক্ষ, একজন লেখকের চরিত্রেও সমান দক্ষ।
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন। আসলে কোন কিছুতেই দক্ষ নই। নিরেট মাথার লোক। তবে আলসেমি আর বোকামিতে বিশেষ দক্ষতা আছে। হাহাহা...। অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্যে।
৫| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লেগেছে।
১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১৮
মা.হাসান বলেছেন: অ্যামাজনে টি এস এ এপ্রুভড লক পাওয়া যায়। এক হালির দাম আনুমানিক ১৫ ইউরোর মত পড়বে । ভবিষ্যতে ইউএসএতে ভ্রমণের সম্ভাবনা থাকলে এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন, তালা ভাঙার ঘটনা ঘটবে না। লেখা খুব ভালো লেগেছে।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৫৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: দারুন বুদ্ধিটার জন্যে ধন্যবাদ। পরে ওদেশে যাবার সুযোগ আসলে নিশ্চয়ই কিনে ফেলবো।
আর সময় নিয়ে লেখাটা পড়েছেন জেনে ভীষন খুশি!
৭| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:০৯
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: লেখিকা ১.২ কিছুদূর পাঠ করার পর বুঝতে পারলাম এর আগে আরো একবার পড়েছি,সান ডিয়াগোর সামনের পর্বগুলোর জন্য শুভ কামনা। আশা রাখছি ৫ পর্ব হতে আপনার লেখায় আরেকটু আর্কষন থাকবে। ভালবাসা নিরন্তর। হাতে সময় থাকলে টেক্সাস শহরটাও ঘুরে আসবেন।
২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৫৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। পরের পর্ব আরেকটু ভাল করে লেখার চেষ্টা অবশ্যই থাকবে। সৌভাগ্য হলে টেক্সাস নিশ্চয়ই যাওয়া হবে। শুভ কামনা অবিরাম।
৮| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায়রে ল্যাপটপ বেচারা এতদিন সার্ভিস দিয়ে ও মন জয় করতে পারলো না, ওর আসলে লুকিয়া থাকাই ভালো ছিল।
২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৫৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: হা হা, যা বলেছেন! কিন্তু কম্বল আমাকে ছাড়ে নি। মজবুত শরীরটা নিয়ে বৈঠকখানার টেবিলের ওপর বহাল তবিয়তে এখনো সচল আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২১
ল বলেছেন: সান ডিয়েগোর বর্ণনা ভালো লাগলো।
আগে প্রথম পর্ব পড়েছিলাম মনে হলো একটু কাটছাট করেছেন।
।।বেশ ভালো