নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/
ক্লাস টু-তে পড়ি। শীতকাল। ফুলার রোডের টিচার্স কোয়ার্টারের মাঠে কোর্ট কেটে ব্যাডমিন্টন খেলা চলছে। কার সাথে খেলে যেন গো-হারা হারছি। কোর্টের বাইরে নিরাপদ দূরত্বে দুইটা বাদামী কবুতর অস্থির পায়চারিতে ব্যস্ত। নাম বাবিন আর বাবলি। উড়তে তাদের বেশি ভালো লাগে না। ভালো লাগে পিছু পিছু হাঁটতে কিংবা ডিমে তা দেয়ার ভঙ্গিতে কাঁধে বসে থাকতে। খেলা শেষে হাঁপাতে হাঁপাতে তাদের ইশারায় ডাকলাম। টায়রা দুলিয়ে দু’জন হাঁসের মত হেলেদুলে দৌড়ে এল। একজন টপ করে কাঁধে চড়ে বসলো, আরেকজন সমান গতিতে পা মিলিয়ে হাঁটছে।
পোষা পাখির এত দূর পোষ মেনে যাওয়ায় পাখির মালকিন আমি আলহ্বাদে আটখানা। তার উপর বাবা-মা বাসায় নেই। তারা নানির জিম্মায় ছেলেমেয়ে রেখে সপ্তাহখানেকের জন্যে বন্যপ্রানির উপর এক কনফারেন্সে ভারতের দেরাদুনে গেছে। সেই সুযোগে আমরা দুই ভাইবোন নিজেরাই বন্যপ্রানি হয়ে উঠছি। একজন কাঁধে কবুতর নিয়ে পাড়াময় ঘুরে বেড়াই। আর ক্লাস নাইনে পড়া বড়জনেরও বেশ পাখা টাখা গজিয়ে গেছে। সন্ধ্যার আগে তার টিকির দেখা মেলে না।
এহেন অবস্থায় বেশির ভাগ সময়ে নানি আসিয়া খাতুনকে খাস বরিশালের ভাষায় উচ্চকিত কন্ঠে অদৃশ্য কাউকে শাপ-শাপান্ত করতে দেখা যায়। ‘পিঠ পাচাইয়া কেনু (বাংলা মাইর) একখান দেলে বোজবাআনে মনু। কইতর কান্ধে ঘোরে। কইতর না য্যান একেকডা মুরহা‘। মৃদু প্রতিবাদ করি, ‘নানি, কেনু দিলে কিন্তু আম্মুকে বলে দিব। আর প্লিজ আমার কবুতরকে মুরগি বলবেন না‘। লাভ হয় না সচারচার। উত্তরে উল্টো শুনতে হয়, ‘ওয়া মোর আল্লাহ তা’আলা, মুরহা-কইতর লইয়া কোম্মে যে মুই যাই.. হালার পালা (হালার পো হালা) পোলাপান মোরে বোগদা পাইসে...’। সেই সাথে পোলাপান কর্তৃক এত অত্যাচারের পরও তার কপালে কেন ‘ঠাডা’ পড়ছে না তাই নিয়ে মিহি সুরে বিলাপ চলতে থাকে।
নানির হাতে চব্বিশ ঘন্টা গরম খুন্তি থাকে। তাই তাকে বেশি ঘাটাই না। তবে কথাগুলো প্রায় মুখস্থ হয়ে এসেছে। বিশেষ করে হালার পা’লা। সব মিলিয়ে আঠারোটা কবুতরকে লাইনে রাখতে গালিটা ভাল কাজে দিচ্ছে। নানির মেজাজ বাই পোলার ধাঁচের। এই ঠান্ডা তো এই গরম। মেজাজ ঠান্ডা হলে নানি দুয়েকটা ‘কইতর’টাকে বাটার জুতার বাক্সে বসিয়ে নিয়ে আসেন। আমিও আস্তে করে বাক্সটা মাথার কাছে রেখে ঘুমিয়ে যাই। শীতের মাঝরাতে কবুতর বাক্স ডিঙ্গিয়ে বিড়ালের মত লেপের ওমে হানা দেয়। বাসার বিশাল একটা বারান্দা আমার পাখিদের জন্যে বরাদ্দ। রেডিও, টেলিভিশনের কার্ডবোর্ডের বাক্স বেঁধে তাদের ঘর বানিয়ে দেয়া হয়েছে। লাই পেয়ে পেয়ে কবুতরের সংখ্যা দুই থেকে বেড়ে এখন দেড় ডজন। সকালের আলো ফুটতেই বাকবাকুম রবে তাদের পুরো ব্যাটেলিয়নটা তাদের ব্যারাকে, মানে বারান্দায় এক দফা লেফট-রাইট ঠুকে নেয়।
আজকে আমিও তাদের দলে আছি। তবে ভিন্ন কারনে। ছড়া আওড়াচ্ছি। পাড়ায় বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কাজী নজরুলের ‘প্যাঁচা’ শুনিয়ে আসতে হবে। মা যাবার আগে পাখি পড়া করে শিখিয়ে পরিয়ে দিয়ে গেছে। ছড়াটা নাকি নজরুল সাহিত্যের সেরা সৃষ্টি। প্যাঁচার উপর বিস্তর গবেষনা করা প্রানিবিদ মায়ের তাই ধারনা। যদিও আমার কিঞ্চিত দ্বিমত আছে। তো, ছড়ার ফাঁক ফোকরে বুদ্ধি করে ইম্প্রোভাইজেশন হিসেবে হালকা অভিনয় জুড়ে দিয়েছি। সেটারই ঝালাই চলছে।
‘ঠ্যাং চ্যাগাইয়া প্যাঁচা যায়/যাইতে যাইতে খ্যাঁচখ্যাচায়’
‘প্যাঁচায় গিয়া উঠল গাছ/কাওয়ারা সব লইল পাছ’
- এখানে সামান্য অভিনয়। একটু উদ্বাহু হাউ মাউ মানে প্যাঁচা গাছে উঠে গেছে। তারপর ডানা ঝাঁপটে ধেয়ে আসা মানে কাক পিছু নিয়েছে। নিজেই প্যাঁচা, নিজেই কাক। দ্বৈত চরিত্র। প্রতিভা দেখানোর সুযোগ প্রতিদিন আসে না।
‘প্যাঁচার ভাইস্তা কোলাব্যাঙ/কইল চাচা দাও মোর ঠ্যাং’- টেংরি ভাঙ্গা লুলা ভাইস্তা হিসেবে পাড়ার কোনো ছেলেকে ভুজুং দিয়ে পটাবো নাকি ভাবছি।
যাহোক, ছড়া ঠোটস্থ হয়ে গেছে। শুধু সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না, আবৃত্তির সময় লুকিয়ে একটা দুইটা কবুতর নিয়ে যাব কিনা। এরা সাথে থাকলে ভরসা লাগে। কিন্তু মঞ্চে আচমকা উড়ে গিয়ে কারো গায়ে পড়লে ঝামেলা বাঁধতে পারে। সুতরাং, এই চিন্তা বাদ দিতে হল। সন্ধ্যায় কবুতর ছাড়াই ঢিপঢিপ বুকে মঞ্চে উঠলাম। ভালোই চলছিল। কিন্তু গোল বাঁধলো শেষের কয়েক লাইনে। ‘প্যাঁচায় কয় বাপ, বাড়িতে যাও/পাছ লইছে সব হাপের ছাও’। হাপের ছাওয়ের পরের লাইন বেমালুম ভুলে গেলাম। ইঁদুর জবাই কইর্যা খায়/বোঁচা নাকে ফ্যাচফ্যাচায়’-এই অতি কাব্যিক পংক্তিটা আর মনে পড়ছে না। ঘেমে নেয়ে বার কতক এ্যাঁ এ্যাঁ করে শেষমেষ নিজেই একটা হাপের ছাও হয়ে মঞ্চের পেছনের পর্দায় ঝুলে পানির ফোঁটার মত চুইয়ে নেমে যাবার তাল করছি। শেষ মুহূর্তে হঠাৎ আরেকটা র্যান্ডম ছড়ার দুই লাইন মনে পড়ে গেল। ‘শেয়ালের ল্যাজ, গোটা দুই প্যাঁচ’ আর কি সব গাঁজাখুরি আউড়ে ইজ্জতের দফা রফা হবার আগেই দিলাম এক চম্পট।
তারপর থেকে কিরা কাটলাম যে, কবুতর ছাড়া কোথাও যাওয়া যাবে না। এরা আমার আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি। কিন্তু লোকে ভাবে এক, হয় আরেক। একদিন মায়ের সাথে স্কুল থেকে ফিরে দেখি ঘরটা দেখি বেশি বড়সড় আর ছিমছাম লাগছে। যেন কেউ জঞ্জাল সরিয়ে সব গুছিয়ে রেখেছে। মনটা বেশ ফুরফুরে লাগলো। কিন্তু মা বলল, বাসায় চুরি হয়েছে। ফ্রান্স থেকে সাধ করে নিয়ে আসা টাইপ রাইটার থেকে শুরু করে হাল মডেলের ক্যামেরা-সব লোপাট। ছুটা বুয়া নুরবানু ও তার দল কাজটা খুব দ্রুততার সাথে সুচারুভাবে করেছে। মাল-সামাল সরিয়ে নুরবানু শেষবারের মত মায়া করে বোধহয় ঘর ঝাট দিয়ে মুছেও গেছে। পুলিশে নালিশ করলে মাস খানেক বাদে এটুকু তথ্য ছাড়া আর কিছু জানা গেল না। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে বাসা বদলের তোড়জোড় শুরু হল।
একই পাড়ায় আরো বড় বাসা পাওয়া গেল। সেটা এত বড় যে অনায়াসে ক্রিকেট খেলা যাবে। তবে সমস্যা আছে। কবুতর নেয়া যাবে না। এরা খালি বাসায় কয়েকদিন বসে থেকে এদিক ওদিক উড়ে চলে যাবে। কোন ব্যাপার না। এই সিদ্ধান্তে নানি বেজায় খুশি। সে এই সুযোগে শালুনের হুররা (তরকারির ঝোল) রাঁধার জন্যে গোটা কয়েক কবুতর চেয়ে বসলো। চালের রুটির সাথে দারুন জমবে। সব দেখেশুনে অধিক শোকে পাথর হয়ে পাখির মায়া ত্যাগ করতে রাজি হলাম। শুধু শর্ত হল, কবুতর খাওয়া যাবে না। কালী, রাজা, পাফিন, ফ্যাশফ্যাশ, কুটুনী ওরা সবাই আমার বন্ধু। বন্ধুকে মেরে খাওয়া অবান্তর চিন্তা।
কবুতরগুলোর কেউ নানির শালুনের হুররা হয়েছিল কিনা সেটা বলতে ইচ্ছা করছে না। আসলে ছোট মানুষকে কেউ পাত্তা দেয় না। দুঃখজনক সত্য। নতুন বাসায় আমি মন খারাপ করে ঘুরি। স্কুলের পর ফিরে অজান্তেই চোখ চলে যায় দূরের দালানের কার্নিশে। সেখানে চলে বদখত দাঁড় কাক নয়তো বাচাল শালিকের আড্ডা। কিন্তু এক দুপুরে ঘটল আজব ঘটনা। দূর কার্নিশে দুধ সাদা কুটুনী আর দাবার ছকের মত সাদাকালো ফ্যাশফ্যাশকয়ে দেখতে পেলাম যেন। ভাল করে চোখ কচলে আবার তাকালাম। তারপর চেঁচিয়ে, লাফিয়ে, হাত নেড়ে, গামছা-তোয়ালে উড়িয়ে যেভাবে পারি ডাকতে থাকলাম। বাড়ির সবাইকে হতভম্ব করে দিয়ে কবুতরের জোড়াটা উড়ে এসে টান বারান্দার গ্রিলে বসলো।
পুরানো বন্ধু ফিরে পেয়ে কত কি যে সেদিন তাদের বলেছিলাম, আজকে সে সব আর মনে নেই। শুধু মনে হয়েছিল, তাদেরকে ঠিক মত বিদায় বলে আসা হয় নি। বরং চোরের মত লুকিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু পশুপাখির সৌজন্যতাবোধ প্রখর। তারা তাই একবার ভাল করে বিদায় নিতে এসেছে। কিন্তু ঐ এক দিনই। এরপর আর মেলে না নোটন নোটন পায়রাগুলোর দেখা। কার্নিশ জুড়ে আবার সেই গম্ভীর কাক-শালিকের ভিড়। তবুও শেষ বিকেলের ঘোর লাগা আলোয় ছোট্ট মনের কল্পনায় এক আধটা সফেদ পালক উড়ে ঘুরে দূরে হারিয়ে যায়। সে খবর কেউ জানলো না।
১৬.০৬.২০১৯
১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। আগের ছবিটা গোকুল দৈত্যে ঘষা মেরে নেয়া হয়েছিল। পালটে দিয়ে নিজের একটা ছোটবেলার ছবি বেশরমভাবে যোগ করে দিয়েছি।
কোরীয় প্রতিবেশীকে খুব পছন্দ হল। তবে এমন প্রতিবেশীকে নিয়ে ভয় আছে। হাহা..।
অনেক ভাল থাকবেন। আর পড়ার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৬:২৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমি কাক থেকে শুরু করে অন্যান্য পাখি, খরগোশ অনেক কিছুই পালতে এবং পোষ মানাতে পেরেছি | অথচ আমার কবুতর ভাগ্য কখনই ভালো ছিল না, কখনো পোষ মানাতে পারি নি, একটু বড়ো হলেই উড়ে চলে যেত |
১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২১
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: তাই নাকি? কি কি পুষেছেন আরো? কাকের গল্পটা জানতে মন চাইছে।
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: খাঁচায় পাখি পালা আমার মোটেও পছন্দ নয়। তবে কবুতর পালা যেতে পারে।
১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খাঁচায় কিছু পুষি নি কখনোই। সবাই ছাড়া ছিল। আনন্দময় শৈশব কেটেছে তাদের সাথে। ভাল থাকবেন।
৪| ১৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৫
সজীব শাহরিয়া বলেছেন: কবুতর পোষা আমার অনেক দিনের ই, তবে সুযোগ হয়নি কখনো
১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সামনে সুযোগ হলেও হতে পারে। এরা মজার প্রানি। এদের সঙ্গ দারুণ উপভোগ্য। শুভ কামনা রইল।
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে গল্প,প্রথম দিকে একটু অন্যরকম পানসা মনে হয়েছিলো,ধৈর্য্য সহকারে পড়ে গল্পের শেষ অংশটুকু এসে মনটা ভালো হয়ে গেল।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সালাম ছোট ভাই, নির্মোহ মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। আপনার লেখা চোখে পড়লেই পড়ে নিই। এই নেশাটা যাপিত জীবনের নানান প্যারার মাঝেও আপনাকে অনেক শান্তি দিবে। শুভ কামনা।
৬| ১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবনের ঘটনা, ভালো লাগলো
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: শুনে খুশি হলাম, স্যার। ভাল আর সুস্থ থাকবেন।
৭| ১৬ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার গল্প! পশুপাখি- ভালোবাসার গল্প আরো শুনতে চাই।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, সামনে এই নিয়ে আরো এক-দুই পর্ব লেখা হবে। পশুপাখির সাথেই বড় হয়েছি এক রকম।
৮| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১১
সোনারবাংলা২০১৯ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। নজরুলের কবিতাটি আগে শুনি নি।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৭
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এই কবিতা নজরুল কেন লিখতে গিয়েছিলেন, মাথায় আসে না। না লিখলে সেদিন আমিও অমন প্রায় অপমানের হাত থেকে বেঁচে যেতাম।
৯| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একটা কাক আমাদের বাগানে এসে পড়েছিল ভাঙা পা নিয়ে | আমি তার পায়ের কিছুটা শুশ্রুষা করে থাকাখাওয়ার (ফ্রি) বন্দোবস্ত করে দিলাম | এর পরে দেখো আমি বাগানে আসলে সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমাকে অনুসরনা করে | কাকটা আমাদের সাথে ছিল অনেকদিন | তারপর এক সময় কি যে হলো একদিন দেখি তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না | হতো উড়তে পেরে চলে গেছিলো অন্য কোথাও !
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আহারে কাকটা। অনেক করেছেন তার জন্যে। এগুলো কাঁধের ফেরেশতারা যত্ন করে টুকে রাখে নিশ্চয়ই।
১০| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার এ পাখি প্রীতির কাহিনী। আমিও কবুতর পোষ মানাতে পেরেছিলাম, তবে আপনার মত নয়। কখনো ঘাড়ে এসে বসতো না। তবে ভয় পেত না, এই যা!
নজরুলের কবিতাটিও চমৎকার, তবে এই প্রথম শুনলাম।
আপনার প্রাণীবিদ মা পেঁচা নিয়ে গবেষণা করেছেন জেনে প্রীত হ'লাম। ওনার গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে মজার কোন তথ্য পেলে এখানে শেয়ার করতে পারেন। পেঁচা আমাদের প্রবীণ ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের খুবই প্রিয় একটি পাখি। উনি হয়তো তাতে খুবই খুশী হবেন, এমন বিশ্বাস আমার রয়েছে।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: স্যার, লেখা পড়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা। আরো অনেক কিছুই পোষ মেনেছিল। খালি পোষ মানছে না ছেলে আর তার বাবা। দোয়া করবেন। চাঁদ্গাজী স্যারের জন্যে তো খুশির খবর। জাতীয় কবি তার জন্যে পেঁচা বিষয়ক কবিতা লিখে রেখে গেছেন।
১১| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !!
চমৎকার তুলে এনেছেন শৈশব ! আমাদের সবার ই কিছু ঝড়ে উড়ে আসা চড়ুই বর্ণিল ছটার তিতির বা ন্যাওটা বিড়ালের গল্প আছে।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫৭
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ইশ আপু, কি সব দিন ছিল! এখন জীবনের নানামুখী জটিলতায় আর প্রবাসের অনিঃশেষ নির্বাসনের গারদে সেই সব দিনগুলোকে মনে হয় যেন আরেক পৃথিবীর গল্প।
১২| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৩৩
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অলাইকুমুস সালাম।
১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
জুন বলেছেন:
খাচায় বন্দী নয়,আকাশে উড়ে বেড়ানো শিকলি কাটা পাখিরাই আপনার মত আমারও অনেক প্রিয়। পাখিদের ছেড়ে যেতে হলে কি কষ্ট যে লাগে তা আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে সুন্দর ভাবে। পাখিরা আমার প্রতিদিন সারাদিনের অতিথি আমার। তাদের জন্য ফল মুল দানা শস্য কেনা হয়।
নিয়মিত। আমার ব্লগে তাদের নিয়ে অনেক ছবি সহ পোস্টে আছে দেখতে পারেন সময় পেলে
টিয়া আর কাঠশালিকের একটা আমার তোলা ছবি দিলাম, এছাড়াও আরো অনেক বুনো পাখি আমার নিত্যদিনের অতিথি
১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৫৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: দারুন সৌভাগ্য আপনার। অবশ্যই যাবো ব্লগবাড়িতে আর জানাবো। ছবিটা যে কি চমৎকার!! অনেক শুভ কামনা আর ভাল থাকবেন।
১৪| ১৮ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: রিসার্চ করার সময় গিনিপিগ কেমন লাগে?
Researchgate এ আছেন নাকি?
ভালো লাগলো পাখি নামা। আমি সুনীল আকাশের মুক্ত পাখি ভালোবাসি। ভালোবাসি সবুজের সাথে মিশে যাওয়া পক্ষীকূলের গান। পাখিরা যেন জীবনে অনাবিল আনন্দের বাহন।
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। ইঁদুর ছাড়া গিনিপিগ বা আরো উচ্চ বংশীয়দের উপর রিসার্চ করার সুযোগ মেলে নি।
আছি,https://www.researchgate.net/profile/Rim_Sarker। তবে ঢুঁ মারা হয় না তেমন। লিঙ্কডিনে বেশি আছি।
পশুপাখি অদ্ভূত ভাল সঙ্গী।
শুভ কামনা।
১৫| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৫
জুন বলেছেন: পাখী নিয়ে
আমার পাখীরা (ছবি ব্লগ সাথে কিছু কিছু কথা)
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫১
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: দেখে মন্তব্যও রেখে এসেছি একখানা।
১৬| ২২ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রিম সাবরিনা জাহান সরকার,
অ মনু! এডা কি ল্যাকছেন! আগেরডার লাহান এক্কেরে বাকবাকুম ল্যাহা হৈছে। কইলজাডার মইদ্যে একখান য্যানো কেনুর গুতা দেছেন , আম্নহেও যে বরিশাইল্লা নানির নাতনী, হেড কৈয়া। মোর বাড়ীও বরিশাল। বার্তে যাওয়া অয়না যে কত্তোদিন! এইহানে বরিশাইল্লা কতাগুলান ডাইলের মতো হোৎ কৈর্রা গিইল্লা হালাইয়া মজা পাইয়া আল্লাদে মুইও কিছু কৈয়া গ্যালাম।
গবেষণার মতো কঠিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই যে কবুতরের মতো অস্থির ডানা মেলে শৈশবের মাঠ থেকে ঘুরে এলেন, তা আপনার চনমনে একটা মনেরই হদিশ দিয়ে গেলো। স্মৃতির অতলে যে ঘাঁই মারা এক আধটা সফেদ পালক রয়ে যায়, যার খবর কেউ রাখেনা সে পালকের ঝাঁপটানির গান বাকবাকুম করে বলে গেছেন অবলীলায়।
অনেক সুন্দর লেখা। লাইকড............
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:০৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সেরকম মজা পেলাম। খুব জমিয়ে কথা বলেন দেখছি। আপনার সাথে মিলে "বরিশাল বিভাগ চাই" আন্দোলনটা করেই ফেলবো নাকি ভাবছি।
শৈশব আসলেই বাকবাকুম। আর বড়বেলা কা কা কা।
অনেক ধন্যবাদ। পড়েছেন। আবার যত্ন করে ভাল লাগা জানিয়েছেন, তাই।
১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রিম সাবরিনা জাহান সরকার,
প্রতিমন্তব্যে ধন্যবাদ।
আমার সাথে মিলে "বরিশাল বিভাগ চাই" আন্দোলনটা করেই ফেলবেন নাকি ভাবছেন ? ভাববেন-ই যদি একটু বড়সড় কিছু ভাবলে হয়না? "বরিশাল দেশ" চাই ভাবলেও তো পারতেন। স্বপ্নেই যখন খাবো তখন আর "বাতাসা" চিবোয় কে? রসমালাই চিবোনোই তো ভালো!
ছবির কিশোরী মেয়েটির চোখেমুখে যে দুষ্টু হাসির ঝিলিক এবং সে মেয়েটিই যে আবার বাকবাকুম মন নিয়ে উচ্ছল লেখাতেও ওস্তাদ, সে কারনেই সাথের লিংকটি দিলুম তার মনের মতো হতে পারে ভেবে---মাঝে মাঝে ........
শুভেচ্ছান্তে।
২৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:৪২
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কবিতার কথা আগে বলি। বহু কষ্টে পড়েছি। ঝাপসা চোখে বেশি দূর পড়া যায় না এক টানা। এই কবিতা একটা বিশাল অন্যায়। ক্ষমা করা যাচ্ছে না। অনেক দিন যাবেও না। দারুন গর্হিত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। একেবারে ছারখার করে দিয়ে গেছে। গোছাতে সময় লাগছে।
সপ্তাহটা প্যারায় গেছে, উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
১৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৪১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঘুরে আসলাম আপনার Researchgate প্রোফাইল ও লিংকড-ইন প্রোফাইল থেকে। দারুণ দারুণ কাজ কারবার করেন দেখছি।
ডিএনএ রিডিং সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার হ্যাক করার বিষয়ে কিছু জানেন নাকি?
ঐসব সাইটে আমিও আছি। তবে আমি এনোনিমাস থাকতে ভালোবাসি
২৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:৪৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: প্রোফাইল দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। যেনো তেনো মামুলি লোক। আর ছেলের টিফিন ক্যারিয়ার গোছাতে গিয়ে ক্যারিয়ারটা নড়ে বড়ে গেছে। কিছু করে খাচ্ছি। এই, ব্যাস।
ডিএনএ রিডিং সফটওয়্যার নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। পুরোপুরি অজ্ঞান।
অনেক শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫
মা.হাসান বলেছেন: দুজন চাইনিজ লোককে দেখলে আমি তাদের আলাদা করতে পারব না । বাবিন বাবলি কে আপনি কিভাবে আলাদা করছেন আমার মাথায় আসে না। পশুপাখির কৃতজ্ঞতাবোধ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি, আমরা এদেরকে ফেলে দিলেও এরা আমাদেরকে ভুলে যেতে চায় না। এদের কৃতজ্ঞতাবোধের অনেক মন খারাপ করা কাহিনী আছে। যদিও পোষা পশুপাখি খাওয়ার কালচার অনেক জায়গায় আছে, অনেকের জন্যই এটা প্রায় অসম্ভব। এ প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। একজন ইউরোপিয়ান একটি কুকুর পালা শুরু করার পর তার কোরিয়ান প্রতিবেশী একদিন তাকে জিজ্ঞাসা করল- তোমরা এটা কে কবে খাবা?
ছবির স্থাপত্যরীতি মোঘল বা সুলতানি আমলের মনে হচ্ছে কিন্তু ছবিটি চিনতে পারলাম না। লেখা অসম্ভব ভালো হয়েছে, ঠিক কতখানি ভালো হয়েছে তা আগামি কুড়ি ঘণ্টার মধ্যে বুঝতে পারবেন।