নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/
৪.
কংগ্রেস সেন্টার আল্পবাখের সামনে গিজগিজে ভিড়। প্রফেসর, পোস্টডক, পিএইচডি ছাত্ররা মিলে মোরব্বা অবস্থা। ভারি জ্যাকেট-টুপি-মাফলার, যে যা পেরেছে জড়িয়ে পেঁচিয়ে এস্কিমো সেজে এসেছে। সেই এস্কিমোদের ভিড়ে আলাদা করে কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সে চেষ্টা না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে তোড়জোড় দেখছি। প্রায় মশাল সাইজের কতগুলো মোমবাতি হাতে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে কয়েকজন। একটু পরের ঘুটঘুটে অন্ধকারে এগুলোই পথের দিশা। একটা মোমবাতি সাধলে বিনয়ের সাথে মাথা নেড়ে পাশে দাঁড়ানো প্রফেসর ক্লাউসের হাতে গুঁজে দিলাম। বুড়ো প্রফেসর শিশুর মত খুশি হয়ে আগুন জ্বালাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। নইলে আমার হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি মানেই বেখায়ালে নিজের জ্যাকেট জ্বালিয়ে দিয়ে সেই আগুন আরো দু’চারজনের গায়ে ছড়িয়ে বিতিকিচ্ছিরি একটা কান্ড বাঁধিয়ে দেয়া। হাজারো ভীতি আর ফোবিয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ানো আমার এই আরেক আগুনভীতি।
রওনা দেবো দেবো, এমন সময় ঘড়ির কাটার উপমহাদেশীয় কেতা মেনে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে হাজির দীপ্তি আর মনিকা। ভুরু না কুঁচকে বরং মুচকি হাসলাম হাত নেড়ে। সাথে কোত্থেকে একটা চাইনিজ মেয়েও জুটে গেল। তার নাম পিং মিং। এই চৈনিক নাম মুখে মুখে ঘুরে পাঁচ মিনিটের মাথায় গিয়ে পিং পং, দশ মিনিটের মাথায় পিং পিং আর পনেরোর মাথায় আশ্চর্যরকমভাবে শুধরে সেই পিং মিং-এই ফিরে এল।
বিরক্তি ধরিয়ে দেয়া রকমের ধীর গতিতে চলছে আমাদের চারজনের দলটা। কাছেই মোমের মশাল নিয়ে পাঁচ নম্বর একজন পাশে হাঁটছিল। শামুক গতির সাথে আর না পেরে মশালটা পিং মিংয়ের হাতে ধরিয়ে বেচারা দুড়দাড় পা চালিয়ে উধাও হয়ে গেল। পথটা এখনো ঘোর অন্ধকার হয়ে সারে নি। দুই পাশে বাড়িগুলোর উঠানে ঝোঁপে জড়ানো মরিচ বাতি টিমটিমে আলো দিয়ে যাচ্ছে। তুষারের ভারে নুয়ে পড়া ক্রিসমাস ট্রিগুলোর পাশে স্নো ম্যানও বানানো হয়েছে কোনো বা বাড়ির সদরে। বোতাম চোখ, গাজর নাক আর উল্টো বালতি মাথায় স্নো ম্যান ঠাঁয়ে দাঁড়িয়ে নির্বিকার। বেচারা স্নো ম্যানের শান্তি নষ্ট করে নয়া দিল্লির নয়া জমানার মেয়ে দীপ্তি পটাপট কিছু সেলফি তুলে নিল।
৫.
বাড়িগুলো যেন হঠাৎ করে ফুরিয়ে গেল। আশে পাশের ছোট দলগুলোও কোন দূরে সরে গেছে। রাস্তাটাও দেখি বেমক্কা খাড়া হয়ে যাচ্ছে। ধীমে তালের ওয়াকিং এখন বাধ্য হয়ে হাইকিংয়ের চেহারা নিয়েছে। আর আরেকটু পর দেখা গেলো, রাস্তাই ফুরিয়ে গেছে। বাঁকানো বাঁকটা দেখতে না পেয়ে খাদ বরাবর এগিয়ে গিয়েছিলাম একটু হলেই। ভুল করে ভীষন খাড়া ঢালে পা দিয়ে ফেললে আর দেখতে হত না। চীন, ভারত আর বাংলাদেশের বেভুল মেয়েগুলো হুড়মুড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে এই শুনশান রাতে ত্রি-দেশীয় অ্যাভালেঞ্চ বইয়ে দিতাম। যাহোক, নেভিগেশন ব্যাপারটা যে মেয়েদের ঠিক আসে না, সেটা স্বীকার করে নিয়ে ঠিক পথে নেমে এলাম। ফিরতি পথে কোনো এক ছেলেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে দলে টেনে নেবো, এই ফিঁচেল ফন্দিও আঁটা হল এক জোট হয়ে।
ধাক্কাটা সামলে নিঃশব্দে সাবধানে হাঁটছি। একটু আগের ছেড়ে আসা হোটেল, দোকানপাট সব পাহাড়ের পায়ের কাছে মিট্মিটিয়ে জ্বলছে জোনাক পোকার মতন। বেয়ে বেয়ে কতখানি উঠে গেলে প্রমান আকারের ঘরবাড়ি বিন্দু হয়ে যায়!
বেঙ্গালুরুর মেয়ে মনিকা আর পারছে না। স্যুপ দিয়ে রুটি খাবার জন্যে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের ডগায় হাইকিং করে যাওয়াটা তার কাছে অদ্ভুত লাগছে। বেচারা পিএইচডি করতে এসেছে সবে তিন মাস। ইউরোপীয় মৌজ-মাস্তির ধারা বুঝতে তার আরো সময় লাগবে। বরফের দেশের মানুষগুলোর আসল আনন্দই হচ্ছে শীতের ভেতর ঘেমে নেয়ে পাহাড় বাওয়া আর তুষারের ভেতর গড়াগড়ি খাওয়া।
দলে থাকবার একটা সুবিধা আছে। এ ওকে ঠেলে নিয়ে বিরতিহীন এগোতেই থাকে। তাই হাঁপিয়ে হেদিয়ে জিভ বেরিয়ে গেলেও ঠিকঠাক পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে।
৬.
রেস্তোরার সামনে কাঠ জ্বালানো হয়েছে। সবাই গোল হয়ে ওম নিতে ব্যস্ত। হাতে হাতে গ্লুভাইন। রেড ওয়াইনের সাথে আর কি সব মিশিয়ে ক্রিসমাসের আগে-পরের সময়টায় খুব চলে এই পানীয়। আমাদের যেমন শীতে খেজুরের রস একটা বিলাসের জিনিস, এদেরও তেমনি আয়েশের বস্তু এই গ্লুভাইনের শরাব। গ্লুভাইনের নন-অ্যালকোহলিক ছোট এক ভাই আছে, নাম যার ‘পুঞ্চ’ বা ইংরেজি উচ্চারনে ‘পাঞ্চ’। আজকের আয়োজনে সেই ছোট ভাইকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তার মানে ডিনারেও একপেশে মেন্যু রাখা হয়েছে। তিন পদের মাংস থাকবে, কিন্তু মাছ-সবজির বালাই নেই। হতাশ হয়ে এক মুঠ বরফ মুখে পুরে কচ কচ চিবোতে থাকলাম। মনে মনে বেশুমার গজ গজও চলছে।
‘এ্যাই মেয়ে, কম আলোতে খামচে খামচে বরফ গিলছো কেন?’। অপ্রস্তুত মুখ তুলে দেখি প্রশ্নটা করে ফিক ফিক করে হাসছে আরবি চেহারার এক তরুন। ছেলেটা নিজের থেকেই বলল, ‘আমি আদির। অমুক ল্যাবে তমুক টপিক নিয়ে কাজ করছি।‘ ডান গালে টোপলা মেরে থাকা বরফের গোলাটা জিভে ঠেলে গলা দিয়ে নামিয়ে জবাব দিলাম, ‘হাই হাদী। কেমন আছো?’ ছেলেটা কেমন খঁচে গিয়ে বলল, ‘হাদী না, আমার নাম আদির। কানে তো দেখছি শোনো টোনো কম‘। একদম অচেনা এই উজবুক আমাকে প্রায় ধমক মেরে কথা বলছে দেখে হকচকিয়ে গেলাম। ‘স্যরি, এত লোকের ভিড়ে ঠিক শুনতে পাই নি।‘ অহেতুক গ্যাঞ্জাম এড়াতে হার মেনে নেয়া ভাল।
মূর্তিমান যন্ত্রনাকে এড়াতে মনিকাদের ভিড়ে ভিড়লাম। কিন্তু যন্ত্রনাটাও লাফিয়ে পিছু নিল। ‘আমি কোত্থেকে এসেছি বল তো?’ কি রে বাবা, কাউকে তো এমন গায়ে পড়ে কথা বলতে দেখি নি। দায় সেরে উত্তর দিলাম, ‘সিরিয়া?’। আদির নামের বদ ছেলেটা পকেট থেকে একটা বিড়ি বের করে জ্বালিয়ে মুখের ওপর ভক করে ধোঁয়া ফেলে কড়া মেজাজে জবাব দিল,’কি ভয়ংকর স্টেরিওটাইপ নিয়ে ঘুরে বেড়াও তুমি! চেহারায় আরব আরব ভাব দেখেই ফশ্ করে বলে দিলে সিরিয়ান লোক?’ ঘাড় ঝাঁকিয়ে হাত উল্টে ‘কি জানি বাপু’ মুখ করে পালিয়ে যেতে নিলাম। ‘এই যে তুমি ইন্ডিয়ান মেয়ে, তোমাকে কেউ শ্রীলঙ্কান বললে কেমন লাগবে?’। এখন আমার ক্ষ্যাপার পালা। ‘কে বললো যে আমি ইন্ডিয়ান, অ্যাঁ?’ নিজের দেশের নাম শুনে দীপ্তি আর মনিকা দু’পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। পিং মিংও আছে সাথে। আদির একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে বলল, ‘তাহলে তুমি কোন দেশের? দেখলে কেমন ভুলে ভুলে কাটাকাটি হয়ে গেল? হা হা হা...।‘ এত জোড়ে প্রান খুলে হাসতে পারা লোকের উপর আর ক্ষেপে থাকা গেলো না। শীতের রাতে গল্প জমে গেল অল্পতেই। তবে আমাদের আপত্তির মুখে তাকে বিড়ি নিভিয়ে ফেলতে হল। সেটা গুঁজে দেয়া হল কার যেন বানিয়ে রাখা একটা স্নো ম্যানের মুখে।
বিচ্ছিরি রকমের বিস্বাদ খানাখাদ্য খেয়ে ঘন্টাখানেক পর সেই চারজনের দলটাই আবার ফিরতি পথ ধরলাম। আদিরকে দলে টানার হালকা ইচ্ছে ছিল। তার টিঁকির দেখাও মিলল না দেখে নিজেরাই রাস্তা মাপলাম। মাধ্যাকর্ষণের টানে ফুটবলের মত গড়িয়ে নামতে সময় লাগলো না।
আজকের হাইকিং পরীক্ষায় উৎরে গেলেও কালকে হবে আসল খেল। কনফারেন্সের সকালের সেশন শেষ হলেই দুপুরে নিয়ে যাবে আরেক পাহাড়ে। পেশাদার গাইড সহ স্নো-শ্যু হাইকিং। স্নো-শ্যু ব্যাপারটা ধোঁয়াশার মত লাগছে। আজকে একে ওকে জিজ্ঞেস করে সদুত্তর মেলে নি। যাহোক, আজকে ভাল করে ঘুমিয়ে টুমিয়ে সকালে একেবারে জলজ্যান্ত হয়ে উঠতে হবে। (চলবে)
মিউনিখ, জার্মানি
২৪.০২.২০২০
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খেয়ে দেখবেন রাজীব ভাই। বস্তুটা খারাপ না।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৭
মা.হাসান বলেছেন: পটি রঙা বরফ জিন্দেগিতে প্রথম দেখলাম। চারজন ছেলেধরা মিলে একজন ছেলে ধরতে পারলো না, আপনাদের উপর ভক্তি কমে গেল। অক্ষত শরীরে ফিরেছেন, বিশাল ব্যপার।
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনার সেন্স অব হিউমার অন্য লেভেলের। মাছ কাটছি আর হাসছি।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪২
শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখা উপভোগ্য। উপভোগ করছি সিরিজটা। ভালো লাগা জানবেন। শীতের দেশে কাজ করা নিয়ে নিজের ও কিছু ভয়াবহ (!) অভিজ্ঞতা আছে, আপাতত আপনার লেখা উপভোগ করি
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলো ব্লগকে সমৃদ্ধ করছে। কখনো আলাদা করে বলা হয় নি, তাই এই ফাঁকে বলে রাখলাম। আর অভিজ্ঞতাগুলো জানার আগ্রহ থাকলো।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ, নেওয়াজ ভাই।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন লাগলো পড়তে।
মা. হাসান ভাইয়ের উপমা পড়ে হা হা প গে
আকর্ষন জাগিয়ে দেয়া সিরিজে অপেক্ষার পালা শুরু . . .
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ভৃগু ভাই, লেখাটা আপনার চোখে পড়েছে জেনে ভালো লাগলো।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: এই চমৎকার কাহিনীগুলো পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা...
০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: মন্তব্য কি খুব প্রয়োজন? লেখকের কলম আর পাঠকের চোখে যে কথা হয় তার চেয়ে বড় যোগাযোগ আর কি হতে পারে? ভাল থাকবেন আপু!
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৯
সোহানী বলেছেন: চলুক সাথে আছি............।
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৪৩
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী আপু। আর জার্মানির দাওয়াত বহাল আছে সব সময়ই। আসবেন।
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: খেয়ে দেখবেন রাজীব ভাই। বস্তুটা খারাপ না।
অবশ্যই ট্রাই করবো।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হে মুমুন বান্দা উঠুন, আর ঘুমাইবেন না পরের পর্বের সময় হইয়াছে ......
হয়েছে কি সরকার আপা, করুণা আপু আর মিলন মিশু র তিনটা সিরিজ চলছে এই মুহূর্তে - আমিও হাতে মোবাইল আর সময় পেলেই ব্লগে ঢুঁ দেই ; ফলাফল প্রথম পাতায় থাকতেই পোষ্ট পড়া শেষ। মন্তব্য করা হয় না যদিও কিন্তু মনে হচ্ছে সেই কবে !!!!!
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: মনিরা আপু, সালাম। পরের পর্ব লিখে ফেলেছি। খুঁজলেই পাবেন। মন্তব্য করাটা বড় করে দেখি না। পড়ে আনন্দ পেলে, তার চাইতে আর বড় কি আছে? শুভ কামনা।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
স্রষ্টা বাংলাদেশ, ভারত ও চীন থেকে আসা চার রমনীকে সহায়তার জন্য আদিকে প্রেরণ করছিলেন বলে মনে হচছে ।
কিন্তু কি ঘটল -- চার চার জন সুন্দরী (রঙ বৈচিত্রে ভরপুর) ললনা মিলে একটা পুরুষ শাবককে আটকাতে পারলেলনা???
বরাবরের মতই চমৎকার ভ্রমণ গল্প ।
পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষা....
১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫১
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: হা হা, হয়তো ইচ্ছা করেই চেষ্টা করা হয় নি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: স্যুপ দিয়ে রুটি খাই নি কখনও।
একবার খেয়ে দেখা দরকার।