নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/
১.
সকালের একটা রুটিন আছে। কাগজের কাপে গরম কফি আর এক টুকরো রুটি কিনতে ক্যাফেটেরিয়ায় হানা দেই। করিডোরের সেন্সর লাগানো দরজটা খুলে যায় নিচ থেকে ওপরে। গ্যারেজের দরজার আদলে। এটা হাসপাতালের ব্যাকডোর। জরুরি বিভাগের ঠিক নিচে। ঢুকলেই সাদা বিছানা চোখে পড়ে। নতুন চাদর পালটে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে। পরের কোনো রোগীর অপেক্ষায়। হাসপাতালের বিছানাগুলোকে এক ধরনের পোর্টাল মনে হয়। এ যেন আরেক জগতের প্রবেশপথ। সুস্থতা থেকে জরায় আপনাকে স্বাগতম। রোগ-জরাকে পাশ কাটিয়ে কফির উষ্ণতায় ভর দিয়ে বেরিয়ে আসি। সকালের বিশুদ্ধ বাতাস কেটে অফিস বরাবর হাঁটতে থাকি।
রেখস্ট ডের ইজার। মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির নিজস্ব হাসপাতাল। খুব বেশি দিন হয় নি প্যথলজি বিভাগে কাজ করি। ডাক্তার নই, তবে গবেষক। মলিক্যুলার বায়োলজিস্ট। ক্যান্সারের মত অসুখ নিয়ে কাজ করলেও তাই রোগী আর তাদের বাস্তবতা যথেষ্ট দূরে। অন্তত এতদিন তাই ভাবতাম। কিন্তু ইদানীং প্রায়ই হকচকিয়ে যেতে হচ্ছে।
সেক্রেটারী পেত্রা আর আমি একই অফিসে বসি। হাসিখুশি অমায়িক মানুষ পেত্রা। আজকে কাঁধের ব্যাগ নামিয়ে রিভলভিং চেয়ারে গা ডুবিয়ে জাঁকিয়ে বসেছি। চোখে পড়লো পেত্রার টেবিলে মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগ স্তুপ করে রাখা। ইমেইল পড়তে পড়তে আলপটকা জানতে চাইলাম, ‘ওগুলো আবার কি, পেত্রা?’। রহস্যময় জবাব এল, ‘এগুলো বডি ব্যাগ। লাশ পুরে চেইন টেনে দেয়া হয়, জিইইইপ্’। শুনে আমার চোয়াল ঝুলে হাঁটুতে নেমে এল। ঘাবড়ানো চেহারা দেখে পেত্রা তাড়াতাড়ি করে ধামা চাপা দেয়ার ভঙ্গিতে বলে বসল, ‘আরে ওগুলো তো অ্যানিমেল ল্যাবের জন্যে। বড় সাইজের শুকর বা কুকুর কাটাকুটির পর মুড়িয়ে নিয়ে যাবে।‘ শুনে সরল মনে বিশ্বাস করে ফেললাম। চোয়াল আবার হাঁটু থেকে জায়গামত ফেরত এল। তবে একটা ব্যাগ নাড়াচাড়া করে মনে হল, আস্ত মানুষও প্যাকেট করে ফেলা যাবে অনায়াসে।
প্যাকেটে মোড়ানো না হলেও আস্ত মানুষের দেখা মিললও খুব শীগগিরই। তৈরি ছিলাম না ব্যাপারটার জন্যে। এক সকালে খুব ব্যস্তসমস্ত হয়ে পড়াশোনা করছি। দুপুরে একটা পেপার প্রেজেন্টেশন আছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স কাজে লাগিয়ে কিভাবে ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করা যায়। নেচার জার্নালে ছাপা হওয়া খটোমটো পেপারটার ‘প’ও বুঝতে পারছি না। তাও দাঁত খিঁচে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এমন সময়ে দরজায় আলতো টোকা। কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে মুখ তুলে দেখি কালো পোশাকে জনাকয়েক অপরিচিত নারী পুরুষ। তাদের চেহারা বিধ্বস্ত। অল্পবয়সী একটা মেয়ে আবার ফুঁপিয়ে কাঁদছেও। দলের বয়স্ক ভদ্রলোক তাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেই রুমালে চোখ মুচছে বারবার। ঘটনা দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। খানিকটা ইতস্তত করে একজন প্রশ্ন করলো, ‘আমাদের আত্মীয় মারা গেছেন গতকালকে। শেষবারের মত দেখতে এসেছি। হাসপাতাল থেকে এই সময়ে আসতে বলেছে । কিন্তু কোথায় যাবো, ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি একটু সাহায্য করতেন।‘
মুশকিলে পড়লাম। এ ধরনের ব্যাপার আমার কাজের ভেতরে পড়ে না। একে ওকে ফোন লাগিয়ে লাভ হল না। কি কারনে যেন পুরোটা দালান খা খা করছে। পেত্রাও নেই আজকে। থাকলে সে-ই সামাল দিত। চট করে মনে পড়লো, আরে নিচে তো একটা ঘর আছে। প্রেয়ার রুম। ওখানে নিয়ে যাই এদের। অফিসের সামনে জটলা না পাকিয়ে সেখানে অপেক্ষা করলেই বরং ভাল। এর ভেতর কাউকে না কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
এক পাল লোকজন নিয়ে মাইনাস টু-তে নেমে এলাম। চাবি ঘুরিয়ে পাল্লা খুলতেই জমে গেলাম মুহূর্তে। এ ঘর তো খালি নয়! শূন্য ঘরের মাঝে স্টিলের ট্রলিতে কে ওটা? চোখ সয়ে আসতেই দেখি শ্বেতশুভ্র কাপড়ে মিশরীয় মমির আদলে বুকে হাত ভাঁজ করে শুয়ে আছে সৌম্য চেহারার কে যেন। নিথর অথচ কি জীবন্ত। এতটাই জীবন্ত যে এই বুঝি ভুর কুঁচকে তাকিয়ে বলবে, ‘শান্তিতে ঘুমাতেও দেবে না দেখছি। আর ঘুমাবোই না, ধুর্’...। দৃশ্যটা একই সাথে সম্মোহনী আবার অসহনীয়।
কি যে ভূতে ধরলো, লোকজনকে বললাম, ‘ভেতরে একজন আছেন। একবার কি দেখবেন আপনাদের আত্মীয় কিনা?’ উত্তরে চট্ করে উঁকি মেরে দেখে নিলো অল্পবয়সী মেয়েটা। তারপর প্রবল বেগে মাথা নাড়তে থাকলো। আরেক প্রস্থ কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেল। ভুল লোকের কাছে ভুল পার্টি নিয়ে এসেছি তাহলে। মারাত্মক গুবলেট হয়ে গেল দেখছি। রীতিমত বিপন্ন বোধ করলাম। হাঁচড়ে পাঁচড়ে আবার ওপরে উঠে এলাম সাহায্যের আশায়। ওদিকে পিলে টিলে চমকে গিয়ে ফুসফুস-হৃতপিন্ড যে জায়গা অদল বদল করে ফেলেছে, সেদিকে গ্রাহ্য করারও সময় পেলাম না।
হঠাৎ দেবদূতের মত উদয় হল পরিচিত এক মুখ। তার পরনে পরিস্থিতির সাথে একদম বেমানান রকমের মেঝে ছোঁয়া পান্না সবুজ ইভিনিং গাউন। ‘কি, ওরা নিচে নাকি? বার বার বলেছি আমার সাথে আপয়েন্টমেন্ট নিতে। একটা প্রোটোকল আছে না!’ গজগজ করতে করতে পাঁচ ইঞ্চি উঁচু স্টিলেটো হিলে ঠক্ ঠক্ তুলে নিচে নেমে গেল বছর ত্রিশ-পঁয়ত্রিশের ফ্রাউ ব্রাউনআইস। তার হাতে সব ছেড়ে ছুড়ে পালিয়ে বাঁচলাম। তবে নিচে দাঁড়ানো লোকজন ভদ্রমহিলার বেশভুষা দেখে ভড়কে না গেলে হয়।
লাঞ্চের টেবিলে ঘটনা খুলে বলতেই কলিগদের চোখ কপালে উঠল। ‘এরপর থেকে এমন হলেই ফ্রাউ ব্রাউনআইসকে ফোন লাগাবে। তার কাজই হচ্ছে মৃতদেহ সাজিয়ে গুছিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখার ব্যবস্থা করা। এর ভেতরে আর মাথা গলিয়ো না। প্রোটোকল ভাঙ্গার ক্যাঁচালে পড়ে যাবে।‘
এক মনে শুনে গেলাম কথাগুলো। ফ্রাউ ব্রাউনআইসের পোশাক-রহস্যও বুঝলাম খানিকটা। পাতালঘরের মৃত্যুপুরীতে যার নিত্যদিনের কাজ, তাকে মনে প্রানে বেঁচে থাকতে হলে বর্ম পরে নিতে হয়। আপাদমস্তক ঢাকা জাঁকালো পোশাকগুলো আসলে তার বর্ম। ধূসর মৃত্যুর বনামে দুর্ভেদ্য রঙ্গীন ঢাল।
যাহোক, এক ঢোকে প্লেটের খাবার গিলে দারুন এক শিক্ষা নিয়ে ফিরে এলাম অফিসে। শিক্ষাটা হল, আঠারো নম্বর ট্রোগার স্ট্রিটের এই দালানে জীবিতদের সমান্তরালে নীরবে নিভৃতে মৃতরাও বাস করে। যেখানটায় বসে আছি, তার ঠিক দুই তলা নিচেই হাত ভাঁজ করে কেউ একজন শুয়ে আছে প্রিয়জনদের শেষ দেখার আশায়। সে বেলার মত কাজে মন বসানো দায় হয়ে গেল। (চলবে)
-মিউনিখ, জার্মানি
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৩
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কিছুটা ভয়ংকর তো বটেই।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
এটা না হয় এনিম্যালের জন্য কিন্তু মানুষের বডি ব্যাগওতো আছে ।
শুনতেই কেমন যেনো লাগে ।
ডেডবডি সবচেয়ে ভয়াবহ একটি শব্দ
তোমার অনেক সাহস আপু ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এক রত্তি সাহস নেই। মারাত্মক ভীতু।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রত্যেকটি হাসপাতালেই জীবিতদের সাথে মৃতরাও বসবাস (থেকে থাকে কিছু সময়ের জন্য) করে।
হাসপাতালের চাকুরীর সুবাধে এটা অনেকেই জেনে যায়।তবে অনেকেরই জানার সুযোগ ঘটে এরকম অনভিপ্রেত ঘটনার মাধ্যমে,যদি না তারা এ সম্পর্কিত বিভাগের কর্মচারী-কর্মকর্তা হয়।
আর বডি ব্যাগ মুলত: দুর্ঘটাজনিত মৃত্য দের জন্য ব্যবহার করা হয়।তবে প্রথম দেখলে জিনিষটা খুবই প্রভাব ফেলে মনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে একবার লাশঘরে (মরচুয়ারিতে ) গিয়ে আমি অনেকদিন ঘুমাতে পারিনি ।চোখ বন্ধ করলে শুধু লাশ দেখতে পেতাম আর আতকে উঠতাম এ অবস্থায় নিজেকে চিন্তা করে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটা আন্দাজ করতে পারছি। সহজে হজম হবার নয়।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভয় লাগার মত ঘটনা
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: জি, তবে উদ্দেশ্য ভয় লাগানো নয়। এক অন্য রকম বাস্তবতা মেলে ধরা।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: হুটহাট ব্লগে আসেন। হুটহাট নাই হয়ে যান।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৬
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সময়ের ভীষন কাড়াকাড়ি। দোয়া করবেন।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
করুণাধারা বলেছেন: পড়তে পড়তে আমারও দম বন্ধ হয়ে আসছিলো!!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৭
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে কেমন লেগেছিলো, বুঝুন।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি তো কোন কমেন্টের উত্তর দেননি; তারপরও প্রশ্ন:
ক্যানসার সম্পর্কে রিসার্চ লেভেলে জানার জন্য কোন কোন সাবজেক্ট বুঝতে হয়?
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: স্যার, সালাম জানবেন। সপ্তাহান্তে প্রচুর সাংসারিক কাজ জমে থাকে। সামলে উঠতে রাত ঘনিয়ে আসে। তাই চট্ জলদি উত্তর দেবার ফুরসত হয় না। মাফ চেয়ে নিচ্ছি তাই।
ক্যান্সার নিয়ে রিসার্চ করতে গেলে কিছুটা ইন্টার ডিসিপ্লিনারি জ্ঞান লাগে বিজ্ঞানের এর দ্রুততার যুগে। হিস্টোলজি, প্যাথলজির পাশাপাশি মলিক্যুলার বায়োলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আর কিছুটা বায়োটেকনোলজিও কম বেশি জানতে হয়। তার সাথে যোগ হয়েছে মেশিন লার্নিং, আর্টফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স কাজে লাগিয়ে প্যাটার্ন রিকগনিশনের মত বিষয়গুলো। বুঝতেই পারছেন, সাবজেক্টের পরিধিটা বেড়েই চলছে।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আতকে ওঠার মতোই বটে।
একই ভবনে জীবিত মৃতের এরকম বসবাস!!!
কাজে মন বসানো দায়ই বটে।
তবে যারা এগুলৌ ডিল করে তারা মনে হয় অভ্যস্থতায় অনুভূতিহীন হয়ে যায়!
আর দশটা বস্তুর মতোই মৃতদেহও তাদের কাছে এটা আইটেম বই নয়!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: তা না হলে সিস্টেম চলবে কি করে। নির্বিকার পেশাদারিত্বে মোড়কে অনুভূতিগুলো ঢুকিয়ে জিইইইপ্ করে চেইন টেনে দিতে হয়।
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৮
স্থিতধী বলেছেন: মেডিক্যাল ফিল্ডে এখন মেশিন লার্নিং, আর্টফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের এপ্লিকেশন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
লেখটা দারুন। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ঠিক ধরেছেন।
আগামী পর্বের কাজ চলছে।
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:০৮
আনমোনা বলেছেন: ভয়ঙ্কর।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কিছুটা তো বটেই।
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, " তার সাথে যোগ হয়েছে মেশিন লার্নিং, আর্টফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স কাজে লাগিয়ে প্যাটার্ন রিকগনিশনের মত বিষয়গুলো। বুঝতেই পারছেন, সাবজেক্টের পরিধিটা বেড়েই চলছে। "
-এই অংশের ব্যবহারটুকু জানতে হয়, মনে হয়?
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৩
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এন্ড ইউজার হিসেবে খুব বেশি টেকনিকাল দিক না বুঝতে হলেও র্যান্ডম ফরেস্ট, আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক, কে-মিন নেইবারের মত বেসিক জানা থাকলে কাজের সুবিধা হয়। এখন প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার যুগ। আগের মত এক দু'টো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিতে আটকে থাকার জো নেই। এই সপ্তাহে লিনিয়ার অ্যালজেবরা আবার নতুন করে শিখবো। সামনে পাইথনটাও জানতে হবে। এই তো।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: 'আপনি' বলে সম্বোধন করলে ছোট হয়ে যাই। দয়া করে 'তুমি' বলবেন।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের এক মহাত্মা সৈয়দ মুজতবা আলী জর্মন দেশে গিয়ে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন, তাতে করে, বাংলা সাহিত্য ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছিলো। সেই জর্মন দেশে কর্কট রোগের গবেষণায় মানবজাতির কি উপকার হবে তা ভবিষ্যৎই বলবে, তবে এই ব্লগ এবং পাঠকদের যে ব্যাপক উপকার হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কি যে বলেন। কোথায় সিদ্ধি লাভ করা মহাপুরুষ আর কোথায় সিন্নি-পায়েস রেঁধে খাওয়া মাঝবয়সী বাচ্চাওয়ালা মহিলা।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মৃত সাজিয়েগুছিয়ে দেখানো বাহ সুন্দর।
আমাদের এখানে তা নেই, মৃত্যু মানে বিলাপ, শোক, মানুষের গীজ গীজ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনার উপলব্ধি খুব সত্য।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সময়ের ভীষন কাড়াকাড়ি। দোয়া করবেন।
দোয়ায় কি কাজ হয়?
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খেটে খাওয়া লোক আমরা। নিজের দু'হাত আর পরের দোয়া-আশীর্বাদ, এই ভরসাতেই যে চলি।
০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ওরে বাবা, কি কান্ড! আসছি আমি।
১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১০
মা.হাসান বলেছেন: টেকনিকাল ইউনিভার্সিটিতে হাসপাতাল থাকার বিষয়টি ধারনায় ছিলো না।
ড্রিল মেশিন দিয়ে শুকরের মাথা ফুটো করার পর ভেবেছিলাম মানুষের মাথা নিয়েও কাজ চালাবেন। আশা পুরণ হলো না । হয়তো ভবিষ্যতে হবে, আশায় থাকলাম।
০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: মাথা আসছে, নিরাশ হবেন না ।
১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
ঢুকিচেপা বলেছেন: লেগে রইলাম এই পর্বের সাথে, দেখি ভয়টয় কিছু পাই কিনা
০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১১
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।
১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: হাসপাতাল কেন জানি আমার অনেক অপছন্দের একটা স্থান । কিছুতেই সেটার ধাকে কাছে যেতে ইচ্ছে করে না । আপনি যে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গিয়েছেন সেটা পড়েই আমার কেমন যেন লাগছে যদি সত্যি সত্যিই এমন কিছু নিজের সাথে হয় তাহলে আমার অবস্থা হবে ভয়ংকর ! আমি শেষবার সরাসরি মৃতদেহ দেখেছিলাম যখন ক্লাস নাইনে পড়ি । তারপর আর কখন মৃতদেহের ধাকে কাছে যাই না ।
দোয়া করি যেন এমন অবস্থার শিকার আর না হতে হয় !
ভাল থাকুন সব সময় !
০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫০
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অপু ভাই, কথাগুলোর জন্যে ধন্যবাদ। তবে মৃত্যুর প্রতি ধ্যানধারনা বদলানোর চেষ্টায় আছি। জীবন তো আসলে মৃত্যুরই সমান্তরাল। রেললাইনের দু' বাহুকেই যে সমান প্রয়োজন। মৃত্যুকে শ্রদ্ধা আর স্বীকার না করলে জীবনকে কি পুরোপুরি ভালবাসা যায়? এমন আরো কত কথাই ইদানীং ঘুরপাক খায় মনের ভেতর।
আপনার জন্যে শুভ কামনা রইল।
২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: অফ লাইনে পড়েছিলাম, মন্তব্য করা হয়নি।
শিরোনাম দেখে মনে হয়নি হাসপাতালের ভয়ংকর গল্প বলতে যাচ্ছেন।
+++
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনার চোখে পড়ায় খুশি হলাম। ব্যস্ততায় উত্তর দেয়া হয় নি। ক্ষমা চাইছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
রিমাপু, ভয়ংকর অনুভূতি