নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হইচই, হট্টগোল এড়িয়ে চুপচাপ, নিরিবিলিতে লুকিয়ে থাকতে ভাল লাগে।

রিম সাবরিনা জাহান সরকার

যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/

রিম সাবরিনা জাহান সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদুর কপাট

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০



ই-মেইল হলেও তার চিঠিভাব প্রবল। প্রেরক বাংলাদেশের খুব বিখ্যাত এক পদার্থবিজ্ঞানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম। 'কিম্ভূত স্বদেশির অদ্ভুত বিদেশ' নামে গোলমেলে আর হিজিবিজি একটা বই লিখেছিলাম গেল বইমেলায়। কিছুদিন আগে হাত ঘুরে বইটা তাঁর কাছে গিয়ে পৌঁছায়। আর ফলস্বরূপ চমক লাগানো সুদীর্ঘ এক চিঠি। তবে বুক রিভিউ বললেও এতটুকু ভুল হবে না। এত বড় মানুষের অত বড় মন্তব্যে নিজেকে ছোট থেকে আরো ছোট মনে হচ্ছে। চিঠিটা নিচে তুলে দিতে চাই।

তবে তার আগে কিঞ্চিৎ ভূমিকা।

শিক্ষক বাবা-মা'র সুবাদে বেড়ে ওঠার পুরোটাই ক্যাম্পাসের ছায়াসুনিবিড় ফুলার রোডে। তিন তলায় আমরা আর চার তলায় দুই সন্তান নিয়ে ইব্রাহীম পরিবার। চার তলার এই বাসাটা আর দশটা বাসা থেকে আলাদা। এ বাড়ির এমাথা থেকে ওমাথা জুড়ে শুধু বইয়ের তাক। পেট মোটা, পেট চিকন, নানান কিসিমের বইয়ের আড়ালে দেয়ালের চুনকাম দেখা যেত না। আসবাবপত্রেরও বালাই নেই। এমন কি টেবিলে ফুলদানিও ব্রাত্য। কারণ সেটা থাকতো ন্যাশনাল জিওগ্রাফি আর রিডার ডাইজেস্টের হাল সংখ্যার বারোমাসি দখলে।
জীবনে যত বই পড়া হয়েছে, তার ষোলো আনার আট আনাই পড়েছি এই চার তলার বৈঠকখানার তাক থেকে।

কেরোসিন কাঠের সস্তা তাকে থরে থরে সাজানো থাকতো অমূল্য সব বই। কোনো তাকে ফেলুদা আর তোপসের পাশে বিনা বিরোধে দাঁড়িয়ে শার্লক হোমস আর ওয়াটসন। দেশি কমিক্স নন্টে-ফন্টে আর চাচা চৌধুরীরাও নির্বিবাদে মিলে ঝুলে থাকতো বিদেশী অ্যাজটেরিক্স আর আর্চি কমিক্সের সাথে। সেগুলোও গিলতাম গোগ্রাসে।

এতো গেল শিশুতোষ বই।

এদিকে শেক্সপিয়ার তক্ সত্যজিৎ, আন্তন চেখভ টু নিকোলাই গোগল, সিডনি শেল্ডন থেকে এরিখ মারিয়া রেমার্ক-কি না ছিল সেখানে। ভারিক্কি চেহারার রাশান অনুবাদের বইগুলো যেমন জাঁকিয়ে বসতো, তেমনি বঙ্কিম-শরৎ আর রবীন্দ্র-নজরুলও হুঁকো হাতে আয়েশ করে জুড়ে থাকতো অনেকখানি জায়গা নিয়ে। আবার বৃটিশ লেডি জেন অস্টিন, এমিলি ব্রন্টিদের সাথে পাল্লা দিয়ে রোকেয়া রচনাবলিও শোভা পেত সগৌরবে। কখনো ভুল করে বার্ট্রান্ড রাসেল পড়ে দাঁত ভাঙলে ফার্স্টএইড হিসেবে হাতের কাছেই মিলতো মুজতবা আলী।
কোন বই ৮+ আর কোনটা ১৮+ আঠারো প্লাস-এই পরোয়া বা পরোয়ানা ছিল না বড়দের তরফ থেকে। ছোটরা চ্যাঁওভ্যাঁও হল্লা না করে চুপচাপ বই পড়ছে, এতেই সবাই খুশি। তবে বই পড়ে কেউ বখে যায় না, এই বাঁচোয়া আর কি।

সব মিলিয়ে ফুলার রোডের চার তলা ছিল কল্পনার এক যাদুর জগত। রঙ্গিন মলাটের সাদা-কালো পাতা ওল্টাতেই রহস্য-রোমাঞ্চের কপাট খুলে যেত ক্যাঁচকোঁচ শব্দ তুলে। হাসি-আনন্দের ঠাস বুনটে ভরা শৈশব-কৈশোরের জন্যে বইপাগল এই পরিবারের কাছে তাই শত ঋনে ঋনী।

এবার কথার আর না বাড়িয়ে চিঠিখানা হুবহু তুলে দিতে মর্জি হয়ঃ
-----
"রিম,
তোমার বইটি পড়ে খুব মজা পেয়েছি । সেটি কী কী ভাবে তা তোমাকে জানাতে ইচ্ছা করলো।

প্রথমে ভেবেছিলাম তুমি ভ্রমণ কাহিনী লিখেছো, কিন্তু আরো এগিয়ে দেখলাম সেটি বড়ো কথা নয়, এখানে তুমি নিজের দৈনন্দিন কাজের জীবনটাকে এত রস-ঘন করে তুলে ধরেছ , যেই সব ব্যতিক্রমী চরিত্রগুলির ছবি এত মজা করে এঁকেছো উপভোগ্য হবার বড় কারণ ওখানেই। এগুলো শুধু পড়ার মজা নয় , এদেরকে ভোলাও যায়না। নিজেকে ইচ্ছে করে ঘোষণা দিয়ে কিম্ভুত করে দেখানোর ক্ষমতা একমাত্র ব্রিটিশদের মধ্যেই আগে দেখেছিলাম । প্রত্যেক ক্ষেত্রে এমন একটা ভাব দেখিয়েছো যেন জবু থবু থেকে সবার কথা শুনছ , খুব ভোরে মেট্রোর দৌড়ে অফিসে ছুটছো , অথচ পাতাল রেলের কাব্যটা তোমার কাছেই ধরা পড়ছে --, কী ভাবে বুদ্ধি করে মাতাল সামাল দেয়া যায় সেটি তোমার জানা , বিয়ার ফেসটে মেট্রো প্লাটফর্মের কিনারায় থেকে গড়িয়ে তাদের ট্রেনে কাটা পড়া থেকে তোমাকেই বাঁচাতে হচ্ছে , অন্যদের মতো না দেখার ভান করে চলে যেতে পারছনা।

তোমার আঁকা সব চরিত্রের সঙ্গে আমার বেশ ভাব হয়ে গেছে । বয়স্কা যে সেক্রেটারি পেত্রার সঙ্গে গাদা গাদি করে বসে অফিস করো , আর অপেক্ষা করো কখন নয়টা বাজলে ওয়ারকারদের যেতে দেখে জানালা খুলবে, যেই রাশিয়ান বাবুশকা মহিলা তোমাকে দব্র দব্র বলে চকোলেট খেতে দেয়, যেই আফগান ফেরত সৈনিক রবার্ট প্লেনে তোমার পাশে বসে বক বক করতে করতে তোমার হালাল বিরিয়ানি অর্ধেক খেয়ে ফেলে , সান ডিয়াগোর যেই হোমলেস ভিখারি কার্ডবোর্ডে লিখে রেখে সবাইকে জানায় তাকে যেন কেউ এখন অমুক দোকানের থেকে চিকেন উইং দিয়ে যায়, ওরা সবার সঙ্গে আমার এখন খুব পরিচয়।

আমার খুব মজা লেগেছে তোমার ছোট ছোট চিন্তা গুলো - ঘুম কাতর ভোরে চলে আসাতে কাজের মধ্যে ঘন ঘন হাসপাতালের ক্যান্টিনে কফি আনতে গিয়েই মুহূর্তে ছোট খাটো অদ্ভুত চিন্তা আর কথা হচ্ছে। রোজ রোজ বিস্বাদ জার্মান সবজি দিয়ে লাঞ্চ, শুক্রবার সকালে খ্রিস্টান ধর্মীয় নিয়মে মেনুতে মাছের আশ্বাসে মনটা ভালো হয়। পেরুর মহিলা অলগাও এই সুসংবাদটি তোমাকে দেয় , কয়েক ঘন্টা পর লাঞ্চে মাছ পাওয়ার সুসংবাদ। জানো আমারও অনেক সময় এমন ছোট খবরেও খুশি লাগে, তাই তোমার এই সরল খুশিটি এত ভালো লাগলো।

ল্যাবে হাজার ইঁদুর কাটা মানুষ তুমি , তোমার কাছে হঠাৎ গরম লাগা ল্যাবে আশপাশ না তাকিয়ে দিব্যি আইসক্রিম খেয়ে যাওয়া স্বাভাবিক । তোমাকে ঠেলে খোলা একটি বালতিতে ফরমালিনে ডুবিয়ে শুয়োরের বিরাট কাটা মুন্ড নিয়ে যাওয়ার দিকে লক্ষ্য নাই। ফরমালিনের সংঘাতিক কটু গন্ধের দিকেও তেমন না । আমার কাছে তোমার বর্ণনা এত জলজ্যান্ত হলো যে গন্ধটা আমিই পাচ্ছিলাম, অনেক আগে যে গন্ধ ছিপি দেয়া জার থেকে বেরিয়ে কাহিল করতো খোলা বালতি ভরা ফরমালিনে তা কত শত গুণ বেশি হবার কথা সেটি হিসেব করেই যেন আমার এই অবস্থা। টেবিলে বিশাল কাটা মুন্ডু, ড্রিল দিয়ে ফুটো করে ওরা অনেক চেষ্টায় গোলাপি রঙের একটু ঘিলু বের করতে পেরেছে। ভেবেছিলাম রাতে দুঃস্বপ্ন হবে , ভাগ্যিস হয়নি। ওই ল্যাবের পরিবেশ আইসক্রিম খেতে খেতে সহ্য করতে পারে , আবার তার বর্ণনাও এত মজা করে দিয়ে দুঃস্বপ্নের সম্ভাবনা ঘটাতে পারে , এরকম মানুষ কত জন আছে দুনিয়াতে ? তোমাকে অভিনন্দন ।

এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছো তোমার লেখা কত দাগ কাটতে পারে । তোমার সরল মনের রসালো লেখা , নিজেকে গুটিয়ে রেখে লেখা, অনেক দূর যেতে পারে। মালটা, সান দিয়াগো এই দুটি , এবং অন্য কয়েকটির কাছাকাছি জায়গা দেখেছি বলে আমার দেখার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে ভালো লেগেছে।

রুমি আর তাফসুকে শুভেচ্ছা জানাবে ( নাম বইয়ে যেমন পেয়েছি) । তোমাকে আবারও অনেক অভিনন্দন । লেখার অভ্যাসটি ছাড়বেনা , যতই ব্যস্ত থাকো না কেন , এটি তোমার ভালো বিনোদনও হতে পারে। তোমার যেই থীম ও স্টাইল সেটি বেশ বৈশিষ্ট্য পূর্ণ। চোখের সামনে যা দেখছো, বিজ্ঞানী হিসেবে, বিদেশে থাকার সুবাদে, তাতেই আশা করি অনেক দূর যেতে পারবে, তারপর নতুন নতুন থিম পেতেও কী অসুবিধা ।
যোগাযোগ রেখো এবং কিছু লিখলে পাঠিও।
অনেক শুভ কামনায় ,
ইব্রাহীম।"

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেক বই পড়লেই এমন সুন্দর করে লেখা সম্ভব।পড়ে খুবই ভালো লাগলো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: বই আসলেই মনের দরজা। আর অমন অজস্র বই এক ছাদের নিচে পাওয়াটাও দারুন এক সৌভাগ্য।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: গুণী মানুষ, জ্ঞানী মানুষ, আরেক গুণী ও জ্ঞানী মানুষকে তো এমন প্রাণ খুলে এ্যাপ্রিশিয়েট করবেনই। উনি যেমন আপনার ভাষার সারল্যে এবং পর্যবেক্ষণর প্রখরতায় মুগ্ধ হয়েছেন, আমিও তেমনি তারও একই গুণের পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এই গুণী মানুষটির সম্বন্ধে দুটো কথা লিখে তার এবং তার সমৃদ্ধ পাঠাগারের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

আচ্ছা, উনি কি পারিবারিক সূত্রে ড. ইউনুসের ভাই?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: স্যার, প্রথমেই সালাম নেবেন। জী, ঠিক ধরেছেন। পারিবারিক সূত্রে উনি নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের ভাই। এমন পরিবার বাংলাদেশের গর্ব।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭

Abida-আবিদা বলেছেন: ড. মুহাম্মাদ একজন গুণী মানুষ। এমন গুণী মানুষের সুন্দর পর্যবেক্ষণ পড়ে প্রীত হলাম। বর্ণনার মধ্যে অনেকগুলো শিক্ষণীয় দিক আছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আর আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে পোস্টটা পড়েছেন। ভাল থাকবেন।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: এমন রিভিউ তোমার বইটি পড়তে দারুন আগ্রহী করছে। কিন্তু সংগ্রহ করা ভীষন প্যারা। দেখি পারি কিনা। না পারলে জার্মানীতে যেয়ে অন্তত তোমার বাসায় হানা দিতো পারবো।

একজন গুনী মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগলো উনাকে জেনে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপু, বই যোগাড় কঠিন আবার সহজও। রকমারীতে অর্ডার দিয়ে রাখলে বন্ধু কেউ দেশ থেকে বেড়ানোর সময়ে হাতে করে নিয়ে যেতে পারে। তবে সেটাও সম্ভব না হলে এই যে , আস্ত ব্লগের লিঙ্ক এখানেঃ এ যাবতকালের সব লেখা এখানে তোলা আছেঃ
https://rimsabrina.blogspot.com/
সময় করে ঘুরে আসতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। আর জার্মানিতে দাওয়াত তো রইলোই।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আস সালাম!

ড. মোহাম্মদ ইব্রাহীম একসময় বিটিভিতে বিজ্ঞান বিষয়ক এবং মাঝে মাঝে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। ওনার অনুষ্ঠানগুলো আমার খুব ভালো লাগতো। তখন থেকেই ওনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: জি, একটা অনুষ্ঠানের নাম ছিল, 'দেশ ও বিজ্ঞান'। আমি নিজেও অংশ নিয়েছিলাম এক আধ বার। যদিও বেশি দূর এগোতে পারি নি। তবে অভিজ্ঞতাটা চমৎকার ছিল। বিজ্ঞানের জন্যে এমন নিবেদিতপ্রাণ আসলেই বিরল।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ি। সামুতে আপনার লেখা পড়ি। সমস্যা হলো আপনি আমাদের অবহেলা করেন আপনি কারো লেখা পড়েন না। হয়তো বলবেন সময় পান না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: রাজীব ভাই, ঘাট মানছি। লেখা না পড়ার অপরাধে। এখন কষ্ট করে 'গ্রেট ম্যান সুকুমার রায়' থেকে ঘুরে আসবেন কি একবার।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অসম্ভব অমায়িক এই ব্যক্তিটি এক সময়ে টিভিতে বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান করতেন। এই ধরণের গুণী ব্যক্তিই আপনার মতো গুণী গ্লোব ট্রটারের লেখার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ইনি সত্যিকারের একজন গুণী মানুষ। বাংলাদেশের বিজ্ঞান অঙ্গনের বিরাট গর্ব। তার এমন মূল্যবান মন্তব্যে আসলেই তাক লেগে গেছে।
আপনি ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটা পড়ার জন্যে।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

মরুর পথে বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো, তবে আপনার লেখা থেকে মজা পেতে দুবার পড়া উচিত তাই দুই বারই পড়লাম।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কি যে বলেন মুরু ভাই, লজ্জায় ফেললেন।

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বোন। ভালো থাকুন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন। পরিবারের জন্যে শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১১

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


আপু, আমি সেই কয়েক শতাব্দী আগেই বলেছি আপনার লেখায় রম্য নায়কের ছোঁয়া স্পষ্ট!!

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ইশ্, আমার তো ইচ্ছে নিজের একটা সিগনেচার দাঁড় করানো।
মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ!

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: ইস আমার বাড়ির পাশে যদি এমন একজন বইওয়ালা মানুষ থাকতো তাহলে কতই না চমৎকার হত ! ছোট বেলার একটা পর্যন্ত আমার ধারে কাছে এমন কোন বইয়ের সন্ধান ছিল না । তারপর যখন হাই স্কুলে ভর্তি হলাম, পাবলিক লাইব্রেরীর সন্ধান পেলাম তখন একটু বইয়ের মুখ দেখা গেল । পরে অবশ্য সব পুষিয়ে নিয়েছি । বলা যায় ক্লাস সেভেন থেকে ইন্টার মিডিয়েট পর্যন্ত সময়টা ছিল আমার বই পড়ার একটা স্বর্ণ যুগ । কিশোর ক্লাসিক থেকে শুরু করে হুমায়ূন আর বিশ্ব সাহিত্যের অনুবাদ । কত কী যে পড়েছি !

আপনার বইয়ের নিয়ে একটা ছোট খাটো রিভিউ আমিও লিখে ফেলবো নে । সময়টা একটু ব্যস্ত কাটছে । আপনার বই হাতে আসার পরে আর সময়ই করে উঠতে পারি নি । সপ্তাহ খানেক পরে আশা করি ব্যস্ততা কমবে ।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:১০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: বই পড়ে যে পুষিয়ে ফেলেছেন, তা আর বলতে। কোন এক বইমেলায় আপনার সাথে দেখা হলে কৃতার্থ হবো।
ব্যস্ততা কমে যাবার শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.