![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রীষ্ম ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রীদের একসাথে বাড়ী যাওয়ার ঢল নামে। সে সময়ে বাড়ী যাওয়ার মজাটায় আলাদা। কাছে তাস থাকলে কাথায় নাই, ট্রেনের চার ঘন্টা যাত্রা বুজায় যায় না, মনে হয় লঞ্চে বরিশাল যাচ্ছি। এবারের গ্রীষ্মর ছুটিটা আলাদা কেউ নাই আমার সাথে, সাবারই নাকি পরীক্ষা। সে জন্য মনটা খারাপ, রেল স্টেশনে এসে দেখি চন্দন সে যাবে চুয়াডাঙ্গা। তার ট্রেন আগে যাবে সে জন্য চন্দকে উঠে দিয়ে আমি আমার ট্রেনে আসি। আমার ছিটের কাছে আসতেই দেখি আমার সামনের ছিটে জানালার কাঝে বসা একজন। দেখে মনে হচ্ছে শরতের চন্দ্র ষোল কলায় পরিপূর্ণ, একটা পূর্ণীমার চাঁদের অর্ধেক অংশ যেটা কালো মেঘ থেকে বাহিরে আছে। আমি তো আর বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নয় যে, কপালকুন্ডলাকে উনি যেভাবে বর্ণনা করেছিলেন আমি সেভাবে বর্ণনা করতে পারব। আমর বিশ্বাস যদি ট্রেনে উনি থাকত তাহলে, অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করত্।
তখন আমি ৩য় বর্ষের ছাত্র। ট্র্রেন যখন আব্দুলপুর আসল, তখন আমি সামনে ছিটে বসা মেয়েটিকে বললাম আপনার কিছু লাগেবে কি। আমাকে বলল আমার কিছু লাগবে না শুধু বাদাম হলেয় চলবে। আমি পাশেই একটা দোকানে পেলাম। আমার কেন জানি মানুষের সাথে খুজে খুজে কথা বলতে ভাল লাগে না, যদি না বিপরীত দিক থেকে কোন আগ্রহ না থাকে। তারপর থেকে আমি আর তাঁর সাথে কথা বলিনি। মেয়েটি দেখে মনে হল তার মন খারাপ, শুধু জানার দিকে তাকিয়ে থাকত। আর মাঝে মাঝে মোবাইলে কল আসত। যখন কল আসত তখন তার মন আরো খারাপ হতো। ট্রেন যখন বিরাপুরে থামল তখন আমি মেয়েটিকে কিছু না বলে নেমে পড়লাম। তারপর মনে হলো সে কোথায় যাবে কি করে জানা দরকার। সে জন্য আমি তার জানালার পাশে গিয়ে বললাম আপনি কোথায় যাবেন? তিনি বলল আমি পারবতীপুর যাব, নাম আছিয়া, অর্থনীতি ৪র্থ বর্ষ। আমার মনটা খুব খারাপ হলো সে জন্য আমি বলাম আমি বিপ্লব প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তার পর ট্রের যাত্রা শুরু করল। ট্রেনটি অ্যাপোল-১১মত যত দুর যাচ্ছে তত অভিকর্ষ বল পার হয়ে মহাকর্ষের দিকে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.