নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপন

সাধারণ

মোঃ জাহিদুর রহমান।

সাধারণ

মোঃ জাহিদুর রহমান। › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেরদৌসী শাহনামা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

সুলতান মাহমুদ ফেরদৌসীকে শাহনামা লেখার দায়িত্ব দিয়ে তাঁর অর্থমন্ত্রী খাজা হোসেনকে বলে দিলেন প্রতি এক হাজার শ্লোকের জন্যে কবিকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিতে ৷ তার মানে প্রতিটি শ্লোকের মূল্য দাঁড়ালো এক স্বর্ণমুদ্রা ৷ কবি তো ভীষণ খুশি হয়ে গেলেন ৷ তিনি যে এলাকায় বাস করতেন, সেখানে পানির প্রচণ্ড অভাব ছিলো ৷ তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে ছিলো সে এলাকায় একটা খাল কাটাবেন ৷ কিন্তু পয়সার অভাবে পারেন নি ৷ সুলতানের ঘোষণা শুনে তাই মনে মনে ভাবলেন, মুদ্রাগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে না নিয়ে একসাথে নেবেন ৷ সেজন্যে রাজকোষেই জমা রেখে দিলেন স্বর্ণমুদ্রাগুলো, ৩০ বছর পর ৬০ হাজার শ্লোকে যখন তার শাহনামা রচনা শেষ হলো, তখন তিনি তাঁর প্রাপ্য বুঝে নিতে গেলেন ৷ কিন্তু দুঃখজনকভাবে তখন তাঁকে রৌপ্যমুদ্রা দেয়া হলো ৷ কবি মনের দুঃখে ঐমুদ্রা গ্রহণ না করেই ফিরে এলেন তূসে ৷ বাদশাহ পরে তাঁর ভুল বুঝতে পেরে ৬০ হাজার স্বর্ণমূদ্রা কবির খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন ৷ বাদশাহর লোকজন স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে তাঁর বাড়ীতে পৌঁছে দেখেন, কষ্টবুকে লালন করেই কবি ইহকাল ত্যাগ করেছেন ৷ কে জানে, ফেরদৌসী হয়তো তাঁর প্রকৃত গন্তব্য ফেরদৌসেই পৌঁছে গেছেন ৷ কোন কোন মৃত্যু অমরত্বে প্রবেশের দরোজা খুলে দেয় ৷ কবি ফেরদৌসী সেই দরজা পার হয়েছেন ৷ মৃত্যু তাই তাঁকে অমর করে তুলেছে ৷ তাঁর এই সমাধিসৌধে সেজন্যেই আজ এত জনসমাবেশ, এত শ্রদ্ধার অর্ঘ নিবেদন ৷ ফেরদৌসীর মৃত্যুর পর শাহনামা হয়ে উঠেছে আরো বেশী প্রাণময় ৷ পৃথিবীব্যাপী আখ্যানকাব্যের যে জোয়ার এসেছিল প্রাক-আধুনিক যুগে, সে জোয়ারের উৎস হলো শাহনামা ৷ লাইলী-মজনু , শিরি-ফরহাদ, সোহরাব-রুস্তম প্রভৃতি কাহিণী কাব্যের মূল উপাদান শাহনামা থেকেই উৎসারিত ৷ ভিক্টোর হুগো নামের বিখ্যাত সাহিত্যিকের লেখকজীবন শাহনামার আলোয় আলোকিত ছিলো ৷

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

শায়মা বলেছেন: হ্যামিলনের সেই বাঁশিওয়ালার কথাও মনে পড়ে গেলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.