![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
ইজরায়েলের উপসাগরীয় অভ্যুত্থান: ফিলিস্তিনিরা কীভাবে তাদের আরব মিত্রদের হারিয়েছে??
কয়েক দশক ধরে, ফিলিস্তিনিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ভুলে গিয়েছিল। পশ্চিমা দর্শকদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে গিয়ে তারা আরব রাস্ট্রগুলুর প্রভাব ভুলেই গিয়েছিল,সেই সাথে যুক্ত হয়েছে পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতি।এরই মধ্যে এবং ক্রমবর্ধমান ইজরায়েলি হাসবারা(প্রোপাগান্ডা) প্রভাবে তারা আরব রাস্ট্রগুলু থেকে দূরে সরে যায়।
এর প্রভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোন বাধ্যবাদকতা ছাড়াই শুধু অর্থ এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার নিশ্চয়তার বিপরীতে আরব রাস্ট্রগুলু খুব দ্রুতই ইজরায়েলের সাথে তাদের গোপন সম্পর্ক প্রকাশ করে।আরব রাস্ট্রগুলুর বাইরে পাকিস্থানের অর্থনৈতিক দুরবস্থা,সুদানের পররাষ্ট্রনীতির ব্যার্থতা এবং সাহারা অঞ্চলে মরক্কোর দাবী এসব স্পর্শ কাতর বিষয়কে স্বীকৃতির জন্য কাজে লাগানো হয়।এর বাইরে কাতারকে শর্ত দেয়া হয়েছিল যদি সে ইজরায়েলেরে সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তাহলে তার উপর থেকে ব্লকেড তুলে নেয়া হবে।ইন্দোনেশিয়ার টেবিলে দেয়া হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং এখন মরক্কো,ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কারঙ্গুলুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,ইরানের উপর ইজরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য শেরা করা,ইরানের উত্থানকে ঠেকিয়ে দেয়া,বাইডেন প্রশাসন,ইরানের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়াকে লক আপ করা,মার্কিন উন্নত অস্রের ভান্ডার গরে তোলা,মুসলিম বিশ্বে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে এরদোগানের প্রভাব খর্ব করা,ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিশ্চিন্ন করে দেয়া। এসব কিছুর বিনিময়ে আরব রাস্ট্রগুলু ফিলিস্তিনিদের মেটাফোরিক্যাল বাসের নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
ট্রাম্প এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাননি। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী এবং অন্য দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে মাথা ঘামাতে সে অভ্যস্ত ছিল না।এতাই ছিল আরব শাসকদের জন্য বর সুযোগ। আপনি এটা বলে নিজেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন যে,সম্পর্ক সাভাবিকীকরনের তরজ্ঞটি ছিল আঞ্চলিক ঐক্যমতের এক বিরল দৃশ্য যেখানে শাসক এবং শাসিত এক হয়ে গিয়েছে।
সর্বোপরি, মিডিয়া বিশেষত ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সদ্য স্বাক্ষরিত মিন্টেড ব্যবসায়িক চুক্তি এবং প্রতিনিধি দলগুলির সফর নিয়ে প্রেম বিলাসে বিভোর। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত/সৌদি পুরো বিষয়টির মূল খেলোয়াড়। ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে এমন প্রতিটি দেশই আমিরাতের কূটনৈতিক চাপের কাছে স্বতন্ত্রভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।পাকিস্থান তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার কারনে পাকিস্থানকে প্রদত্ত তিন বিলিয়ন ডলার ঋন দ্রুত ফেরত চেয়েছে সৌদি আরব।স্ট্র্যাটেজিক চাপে ফেলার জন্য আমিরাতে ডেকে নেয়া হয়েছে ভারতের সেনাপ্রধানকে।পাকিস্থানি নাগরিকদের আমিরাতে প্রবেশে নিষেদাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে ফিলিস্তিন এখনও আরব/মুসলিম বিশ্বে একটি আবেগপূর্ণ বিষয়; এটি ডলারে গণনা করা যায় না। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বদানকারী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সৌদি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারী প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সালের সাম্প্রতিক তীব্র মন্তব্য প্রমান করে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রশ্নে আরব বিশ্বে এখনও বিভেদ রয়েছে।বাহরাইনে একটি সম্মেলনে সময় যুবরাজ তুর্কি জোর দিয়ে বলেছেন যে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সাথে সাথে স্থায়ী শান্তি চুক্তির পাশাপাশি সৌদি আরব ও ইজরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।(যদিও তাদের সাথে ইনফরমাল সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই চলমান)
যে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এক সময় আরবদের নিজেদের অধিকার বলে বিবেচিত হত,যার জন্য তারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে সেটা কিভাবে আরব রাস্ট্রগুলু এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল??কিভাবে এটা সম্ভব হল?
এটাই ছিল ইজরায়েল এবং তার মাষ্টারের পলিসি।ইজরায়েলি হাসবারা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের প্রতি আরব মনোভাব পরিবর্তনে কাজ করেছে এবনফ সবশেষে ফিলিস্তিনিদের বিসর্জন দেয়ার জন্য আরব শাসকদের রাজি করাতে পেরেছে।
তরুন আরব প্রজন্ম,অথবা প্রথম বা দ্বিতীয় আরব প্রজন্ম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদাকে ভুলেই গেছে অথবা কদাচিৎ মনে করে।তারা উপনিবেশবাদ দেখেনি।ইন্তিফাদা এবং উপনিবেশবাদ নিয়ে তারা বইতেও খুব বেশি পড়ে না বা পড়তে দেয়া হয় না।এটাই ছিল আইডিএফ এবং ইজরায়েলি পররাস্ট্রনীতি,প্রো ইজরায়েলি গ্রুপ – আমেরিকান জুইশ কমিটি সবচেয়ে বর সুযোগ।গত এক দশক থেকে তাদের টার্গেট ছিল আরবদের প্রথম/দ্বিতীয় প্রজন্ম। এই গ্রুপগুলু গত এক দশকে সোশ্যাল মিডিয়াতে আরবি ভাষায় পিআর ক্যাম্পেইন চালিয়েছে তাও আরব রাস্ট্র শাসকদের জ্ঞ্যাতসরে। ঠিক এই জায়গায় প্রিন্স তুর্কি ছিলেন ব্যাতিক্রম।কারন তিনি উপনিবেশবাদ এবং ইন্তিফাদা দুইটাই দেখেছেন এবং স্মরণ রেখেছেন।এই জন্যই তিনি বলতে ফেরেছেন,ইজরায়েল হল মধ্যপ্রাচ্যে সর্বশেষ পশ্চিমা উপনিবেশবাদি শক্তি।
কিন্তু সমস্যাটি হল ইজরায়েলি হাসবারা এবং আরব রাস্ট্রগুলুর সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ছাড়া আমরা জানতে পারি না তৃনমুল আরব কি চিন্তা করে বা তাদের মতামত কি?কারন এসব অত্যাচারী শাসক সমাজে বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা/বলার স্বাধীনতা স্বীকৃত নয়।তবে এটা ধারনা করা যায় ফিলিস্তিনি স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ইজয়ায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি আরব জনগন পছন্দ করছে না কিন্তু তারা এর বিপরীতে দাঁড়াবেও না।
আরব সেন্টার ফর রির্সাচ এন্ড পলিসি এর তুলনামূলক রাজনীতির গবেষক অধ্যাপক দানা আল কুর্দ এক জরিপে দেখিয়েছেন যে,মাত্র ৬% সৌদি,ইজরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সমর্থন করে।যেখানে কাতারে ১২% এবং কুয়েতে ১০%।আমিরাত এবং বাহরাইনে এই জরিপ কাজ চালানো যায়নি।আমিরাতের শাসক চুক্তি করার আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল শাসক শ্রেণির মতের বাইরে অন্য কিছু সহ্য করা হবে না। যদিও এটা আরব সমাজের বাস্তব চিত্র নয় কিংবা বাস্তব চিত্র জানাও সম্ভব নয়।তবে এটা নিশ্চিত অরে বলা যায়,ইজরায়েলি হাসবারা এবং রাজাদের অব্যাহত পিআর ক্যাম্পেইনের কারনে আরব সমাজ ফিলিস্তিনের ব্যাপারে উদাসীন।এক দশক আগে ক্যাম্ব্রিজ প্রফেসর ওয়ালিদ খালিদ বলেছিলেন তিনি কোন ইংরেজি দৈনিকে আর ফিলিস্তিন নিয়ে লিখবেন না।বরঞ্চ তিনি আরবিতে লিখবেন কারন অব্যাহত হাসবারার কারনে আরব সমাজ ফিলিস্তিন নিয়ে সঠিক ধারনা হারিয়ে ফেলছে।
তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন যে ফিলিস্তিনিরা আরব বিশ্বকে অবহেলা করেছে এবং সেখানে একটি নতুন প্রজন্ম আরব-ইজরায়েলি দ্বন্দ্বের বিবরণ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমানভাবে অপরিচিত হয়ে উঠছিল। আমার মনে হয় তাঁর সেই ভয় এখন সত্য হয়ে গেছে।ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ধারাবাহিকভাবে পশ্চিমা রাজধানীগুলিতে মনোনিবেশ করেছে এবং তাদের আঞ্চলিক আঙ্গিনাটিকে অবহেলা করেছে, কেবলমাত্র মনোনিবেশের ক্ষেত্রে নয়, প্রচারের ক্ষেত্রেও একই কাজ তারা করেছে। সবার জন্য একই পলিসিতে কাজ হয় না. ডিসিতে যে আখ্যানটি কাজ করে সেটি দুবাইতে কাজ করে না।
আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং উপনিবেশ বিরোধি মানবধিকারের কথাগুলু তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং টেলিভিশন চ্যানেলে ভালোই বলা যায়।কিন্তু যেই মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাক্তির কথা বলাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়,মুল্যবোধ চর্চার অধিকারকেই অস্বীকার করা হয় তারা কিভাবে ইজরায়েলের মত একতা আধুনিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? গত ৪০ বছরে ইজরায়েল এটা দিয়েই নিজের ব্রান্ডিং করেছে।
আমি নিজের ব্যাক্তিগত একতা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছি।মধ্যপাচ্যে রাজনীতি এবং ফিলিস্তিন নিয়ে আপডেট থাকার উদ্ধেশ্যে আমি Daniel Pipes এর মিডলিস্ট ফোরামের সাথে যুক্ত হই সাথে তাদের ত্রৈমাসিক পত্রিকার গ্রাহক হই।সেখানে বিভিন্ন ডিসকাশন হত কিন্তু এটা বুঝার কোন উপায় নেই যে এটা ইজরায়েলি হাসবারা।এটা পরিচালিত হয় আমিরাতের অর্থায়নে।একটা সময় তারা ইজরায়েলি ভিক্টোরি প্রজেক্টের জন্য ডোনেশান চেয়ে বসলো।তারা ইংরেজি এবং আরবি দুই ভাষায় ব্যাবহার করতো।এতক্ষনে আমার ঘুম ভাংলো।ডনেশান রিকোয়েস্টের সাথে তারা একতা গবেষণাপত্র সংযুক্ত করেছিল যেখানে স্পষ্ট করে তারা দেখিয়েছে ফিলিস্তিনিদের আলাদা ভূখণ্ডের দাবি পরিত্যাগের মধ্যেই শান্তি নিহিত।এই প্রতিষ্ঠানটি আরব এলিট শিক্ষিত সমাজে খুবই জনপ্রিয়।তারা বিভিন্ন সময় সেমিনার।সিম্পোজিয়াম এবং ডিসকাশন প্রোগ্রাম করে থাকে।
এটা শধু ফিলিস্তিনের অবহেলার কারনে নয় বরং এটা ইজরায়েলি হাসবারার সফলতা যে তারা আরব এলিটদের মধ্যে ফিলিস্তিন নিয়ে চিন্তা পরিবর্তন করতে ফেরেছে।
কোন আরব এমনি মুসলমান বিশ্বাস করে না যে,আবু দিস ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে এবং আল আকসাকে ৮ মিটারের উঁচু দেয়াল দ্বারা ফিলিস্তিন থেকে পৃথক করা হবে।কারন এটা যেমন মুসলমানদের অনতরের সাথে জড়িত ঠিক তেমনি জড়িত আরবদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে। এসব পরিকল্পনাকেই সামনে রেখেই অবৈধ বসতি স্থাপন ত্বরান্বিত করা হচ্ছেজর্দান ভ্যালির দখল এয়া হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী ১০টি শহরে বসবাস্রত নাগরিকদের ইজরায়েলি নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে।
এত কিছুর পরেও আমিরাতিরা/বাহরাইনিরা এর প্রতিবাদ করেনি।কারন তারা আমেরিকার প্রস্তাবিত তথাকথিত ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি মেনে নিয়েছিল।অপরদিকে কমপক্ষে বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির কারনে হলেও মিশর,সৌদি,কুয়েতি এবং জর্দানিরা এই প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকার করে।কিন্তু আমিরাতি রাজার বদ্যানতায় ক্ষমতায় আসীন হওয়া এমবিএসের কারনে সৌদির অবস্থান নড়ড়ে হয়ে যায়। সম্প্রতি আমিরাতি ব্যাবসায়িক প্রতিনিধি দল আল আকসা সফরে গেলে ফিলিস্তনিরা তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।কারন ফিলিস্তিনিরা মনে করে আমিরাত তাদের অতি বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে।আরব ভিআইপিদের আল আক্সায় প্রবেশের জন্য আলাদা প্রবেশদ্বার রয়েছে।সাধারন মুসলমান্দের প্রবেশের জন্য রয়েছে আরো ৯টি প্রবেশদ্বার।কিন্তু আমিরাতি ব্যাবসায়ীরা প্রবেশ করেছে ইজরায়েলের জন্য বরাদ্ধকৃত দরজা দিয়ে।তাদের সাথে ছিল আইডিএফ।এর থেকে বুঝা যায় ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের বিষয়ে তারা ওয়াকিবহাল।
বিশ্বাস ঘাতকতার চরম মাত্রা অতিক্রম করে যখন বাহরাইনি বানিজ্য মন্ত্রি ঘোষণা করেছিলেন যে,ইজরায়েল থেকে পন্য আমদানির সময় তারা সেটা কি দখলকৃত পশ্চিম তীর রবং গোলান হাইটসে উৎপন্ন হয়েছে সেটা দেখার দরকার নেই।অথচ দুনিয়ার অনেক অমুসলিম দেশ এসব অঞ্চলে উৎপাদিত পন্য আমদানি করে না।বাহরাইনের এই ঘোষণার চরম প্রতিক্রিয়ার পর এটা প্রত্যাহার করা হয়।
তবে এখন পর্যন্ত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সবচেয়ে দুর্ভাগ্য জনক দিক হল দলে দলে ডানপন্থী ইজরায়েলি রাজনৈতিক এবং সাংবাদিকেরা দুবাইতে ভিড় জমাচ্ছে।বিনিময়ে আমিরাতি ব্যাবসায়িরা ইজরায়েলে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।এমনি ইজরায়েলির সবচেয়ে রেসিস্ট ডানপন্থী ফুটবল ক্লাবও কিনে নিয়েছে যেই ক্লাব কোন আরব ফুটবলারকে ক্লাবে জায়গা দিতে অস্বীকার করেছিলো।এটাকে ইজরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্রুটাল এবং অসৎ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে,আরবের সবচেয়ে ব্রুটাল বদমায়েশের সম্পর্ক বলা যায়।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক কারনে ইজরায়েল আরব দেশগুলুতে অব্যাহত স্পেস পেয়েছিলো।বিশেষ করে ইরানের ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়া,মধ্যপ্রাচ্যে তুর্কির অব্যাহত প্রভাব বৃদ্ধি,ব্রাদারহুডের মিশরের ক্ষমতায় আরোহন।এসব কারনে আরবের রাজারা তাদের ক্ষমতার ব্যপারে সন্দিহান হয়ে পড়ে।আরন দেশগুলুতে ইরান,তুর্কি এবং ব্রাদারহুডের শক্তিশালী জনসমর্থনের কারনে রাজাদের খমতা রক্ষায় ইজরায়েলের আনুকূল্য ভিক্ষা করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ ছিল না।তাই তাদের জ্ঞাতস্বরে তারা মোসাদের হাসবারা ক্যাম্পেইনকে স্পেস দিয়েছিল।
©somewhere in net ltd.