![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনায় আরব রাষ্ট্র গুলু ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিন্দুমাত্র কথা বলতে ভুলে গেছে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আরবেরা ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।কেউ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আর অন্যরা জানেইনা কেন তারা সেটা করতেছে।অন্যদিকে ফিলিস্তিনে বিশেষ করে হামাস অধ্যুষিত গাজায় চলছে অব্যাহত বোমাবর্ষণ,সিস্টেমেটিক এট্যাক এবং পুরু গাজাকে জুদাইজেশানে পরিনত করা হচ্ছে।এটা চোখ বন্ধ করে থাকার মত কোন ঘটনা নয় যে জেরুজালেমকে তারা ইহুদিকরন করতেছে।আর তাদের মুল উদ্ধেশ্য হল এটাই।এটা করার জন্য তারা আল আকসায় প্রবেশ এবং ইবাদতের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করে এবং মুসল্লি ও মুরাবিতওন এর উপর হর হামেশায় আক্রমন করে।২০২০ এর ডিসেম্বর মাসে অনেকগুলু সেটেলমেন্ট প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।যার ফলে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি।এটার মাধ্যমে তারা পুরু জেরুজালেমের ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন করে দিচ্ছে।যেমন তারা করেছিল নাকবার সময়।
জেরুজালেমের ইহুদিকরন প্রজেক্ট দ্রুততর হয়েছে যখন আমিরাত-সৌদি জোটের লবিঙয়ের ফলে ‘’ডিল অফ দ্যা সেন্সুরির’’ নামে ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আরব রাষ্ট্রগুলু প্রতিযোগিতায় নেমেছে।এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বপ্নকে চিরতরে ধংস করে দেয়া হয়েছে।চরম জায়োনিস্ট বাইডেনও একই পলিসি অনুসরন করবেন।বর্তমান পরিস্থিতি,ফিলিস্তিন এবং আরব সমাজে এর আসন্ন ফলাফল বিবেচনায় কিছু বিপদ অত্যাসন্ন।তার মধ্যে এই ৭টা বিপদ খুব দ্রুত দেখা দিবে।
১) অফিসিয়াল নরমালাইজেশান থেকে জনপ্রিয় নরমালাইজেশানঃ এটাই হল সবেচেয় বড় বিপদ।নতুন করে সম্পর্ক পুনস্থাপন করা দেশগুলুর অন্যতম হল আরব আমিরাত।আমিরাতের সাথে ইজরায়েলের গোপন সম্পর্ক অনেক পুরনো।তারা নতুন করে পাবলিকলি এটা করে কোন রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার চেষ্টা করবে না।বরঞ্চ তারা এটা দেখানোর চেষ্টা করবে যে,এটা দেশের মানুষের চাহিদা ছিল এবং রাষ্ট্র মানুষের চাহিদার মুল্যায়ন করেছে।অব্যাহত ইজরায়েলির,আমিরাতে আগমনের মাধ্যমে তারা তাদের প্রোপান্ডা প্রজেক্ট হাসবারাকে আরো কার্যকরভাবে প্রসারিত করতে পারবে।যাতে আরব জাতির চিন্তাকে ম্যানিফুলেট করা যায়। এটি দুী জাতির মধ্যে সহ-অস্তিত্ব এবং দুটি দেশের মধ্যকার শান্তি হিসাবে প্রচার করবে যা এই অঞ্চলে শান্তি ও অর্থনৈতিক কল্যান বয়ে আনবে।
২) ফিলিস্তিনিদের উপর দখলদারদের আক্রমণকে আরব সমাজ স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিবেঃ দখলদার রাষ্ট্রটি যখন বন্ধু রাষ্ট্রে পরিনত হবে আরব ভুমিতে এর প্রতি আচরনের রঙ এবং ধরন বদল হবে।বহু বছর আগে ইহুদিকি করনের যে প্রজেক্ট ইজরায়েল হাতে নিয়েছিল আরবেরা তার ন্যায্যতা খোঁজার চেষ্টা করবে।কারন হাসবারার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই পশ্চিমের অনেকের মগজে এটা ডুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে,আরবেরা ফিলিস্তিনিদের জন্য অনেক কিছু করলেও বিনিময়ে তারা কিছুই পাইনি এবং এটাই এখন আরবদের মাথায় ডুকিয়ে দেওয়া হবে। এটা তার শুরু করেছে ইলেক্ট্রনিক এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
৩) দখলদার থেকে বন্ধুঃ সম্পর্কের নতুন মাত্রা শুরুর পিছনে তাদের কারন হল আরবদের জাতিগত নিরাপত্তা।অথচ এই নিরাপত্তার কথা বলে তারা শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করেছে।ফিলিস্তিন স্বাধিকার আন্দোলনের সমর্থক এবং এর পক্ষে যারা কথা বলে ধর্ম,বর্ন নির্বিশেষে তারা রাজাদের শত্রুতে পরিনত হয়েছে।এবং তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।যারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে অর্থ যোগান দেয় তাদেরকে সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগানো হচ্ছে।সৌদি আরবে সম্প্রতি অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার এই প্রজেক্টের অংশ।এরজন্য তারা প্রাতিষ্ঠানিক/সিস্টেমিক যুদ্ধ শুরু করেছে গত দশকের শেষ দিকে।ইজরায়েলি আইটি প্রতিষ্ঠান(NSO) এর সাথে মিলে তারা এটা শুরু করেছে।এই প্রতিষ্ঠান দুনিয়াজুড়ে মোবাইল হ্যাকিং এবং মোবাইলে গোয়েন্দাগিরির সফটওয়ার তৈরি করে।যার মুল ব্যাবহারকারি হল সৌদি,আমিরাত,বাহরাইন এবং মেক্সিকো।এই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমিরাতে প্রতিষ্ঠা হয় DARK MATTER নামক কোম্পানি। যা ২০১৬ ফাঁস করে Intercept এর সাংবাদিক JENNA MC LAUGHLIN.সেই ফাঁসকৃত তথ্যা থেকে জানা যায় আমিরাত-ইজরায়েল-সৌদি এক্সিসের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা কথা বলবে বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের গনহত্যা নিয়ে তারাই টার্গেটে পরিনত হয়।কানাডিয়ান CITIZEN LAB এর তদন্তেও বিষয়টি উদ্ঘাটিত হয়।সম্প্রতি আলজাজিরার সাংবাদিকের মোবাইল হ্যাকিং ধরা পরাও সেই প্রজেক্টের অংশ।এরজন্য তারা ভাড়া করে মার্কিন ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির লোকজনকে।এভাবে তারা ফিলিস্তিনিকে স্বাধিকারের পক্ষের লোকজনের মুখ বন্ধ করে জায়োনিস্ট প্রোপাগান্ডাকে জোরদার করবে।সাথে সাথে ফিলিস্তিনিদের শত্রুভাবাপন্ন করে তুলবে বিভিন্ন শব্দ চয়নে।যেমন দুনিয়ার সব শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এখন ইজরায়েলকে দখলদার বলে না।পশ্চিম তীর এবং গাজাকে দখলিকৃত ভুমি বলে না।তারা বলে বিতর্কিত ভুমি।ইজরায়েলের দখলকে তারা কলোনাইজেশান বলে না,তারা বলে সেটেলমেন্ট।এভাবে ধীরে ধীরে তারা আরবদের চিন্তা ধারাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে।তারা যতবার ফিলিস্তনি হামলা করছে বা করবে ততবারই বলবে হামাসের ক্ষেপ্নাস্র হামলার বিপরীতে তারা ফিলিস্তিনে বোমা ফেলছে।এবং এটা ধীরে ধীরে মানুষ বিশ্বাস করছে/করবে।
৫)সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে জেরুজালেমকে ইহুদিদের বসতিস্থলে পরিনত করা হবেঃতাদের উদ্ধেশ্য হল জেরুজালের ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন করে দেয়া।এটাই হবে জেরুজালেমের জন্য খুবই ভয়াবহ পরিবর্তন।নরমালাইজেশানের পর থেকে এর কার্যক্রম আমরা দেখতে শুরু করেছি।আল আকসাতে নামাজের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দেশগুলু দখলদারদের এই পলিসি মেনে নিয়ে সমর্থন দিচ্ছে।আল আকসাতে মুসলামমানদের ইবাদতের পাশপাশি তাল্মুডিক প্রার্থনাকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে।এবং এই পলিসির ফলে খুব নিকট অতীতে হয় মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে না হয় আল আকসাকে দুইভাগ করে ফেলা হবে।
৬) আল আকসায় আরব/মুসলমানদের প্রবেশে উৎসাহিত করাঃ আল আকসাতে বাইরের মুসলমানদের প্রবেশে সব বাধা নিষেধ তুলে নেওয়া হবে।আল আকসায় ভিজিটরদের সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং আথিতিয়েতা করা হবে।এর মাধ্যমে ভিজিটরদের মনে এক ধরনের ফ্যান্টাসি সৃষ্টি করা হবে যার মাধ্যমে আল আকসা টেম্পলে পরিনত করা তাদের জন্য সুবিধা হবে।শুধু মাত্র দখলদারদের চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন ভিজিটরদের সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।যারা ফিলিস্তিনের স্বাধিকারের পক্ষে কথা বলবে তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বল বলবৎ থাকবে।
৭)ভবিষ্যতের প্রজন্মের উপলব্ধি বিকৃত করাঃসম্পর্ক স্বাভাবিকের বর্তমান অবস্থা শুধু বর্তমান প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে না।এর প্রভাব বেশি পরবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর।এটার মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মকে তাদের কেন্দ্রীভূত চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা হবে।এবং স্বাধিকার আন্দোলনের পক্ষে যে কোন ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে রাজনৈতিক শক্তির মাধ্যমে বিরত রাখা হবে।ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অব্যাহত মিডিয়া প্রোপাগান্ডা এবং হাসবারার মাধ্যমে দখলদারদের প্রতি পজিটিভ মানসিকতা সৃষ্টি করা হবে।এর জন্য তারা সাইকোলজিকাল ওয়ার গেম খেলবে।প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ফিলিস্তিনের দখল দারিত্ব বিষয়ে কোন ধারনা দেয়া হবে না।যেটা আমিরাত তাদের দেশে শুরু করেছে এবং মিশরে সেটা করার জন্য ইতিমধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ফল শুধু সাতটি বিপদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বরঞ্চ বিপদ অনেক সুদুর প্রসারি।সম্পর্ক স্বাভাবিকের ফলে বর্তমান শাসনকর্তারা তাদের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা এবং তাদের জনগণের সাথে লড়াই করার জন্য ফিলিস্তিন ও আরব অধিকারের লড়াই থেকে এই অঞ্চলে এক যুদ্ধবস্থা সৃষ্টি করা। এই সরকারগুলি যে কোনভাবেই স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি কণ্ঠকে নিঃশব্দ করার চেষ্টা করবে এবং এই অঞ্চলটিতে কেবল দখলদারিত্ব এবং এর অবস্থান শক্ত করে এমন প্রান্তিককরণ এবং অক্ষগুলি পুনর্নির্মাণ করবে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২০
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইহুদি ধর্ম আর ইসলাম ধর্ম এক আল্লাহরই ধর্ম।তারা মিলেমিসে থাকলেই পারে।ভাষাগত বিরাট ব্যবধান আছে কি?যদিও ইহুদিরা মনে করে মুহাম্মদ কোন নবী না ইসলাম আল্লাহর ধর্ম না।কিন্তু মুসলমানরা মনে করে দুটিই আল্লাহর ধর্ম।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল। আপনি ভুলের মধ্যে আছেন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২১
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: তাহলে সঠিকটা বলেন।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১১
নতুন বলেছেন: একটা দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক করলে কি সমস্যা?
ফিলিস্তিন ইজরাইলের সমস্যার সমাধান রাজনিতিক ভাবে করতে হবে।
এটা কোন ধর্মীয় ইসু না। রাজনিতিক ইসু রাজনিতিক ভাবেই সমাধা করতে হয়।
ধমীয় রং দিয়েই বরং এটাকে আরো খারাপ করা হয়েছে।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৩
আল ইফরান বলেছেন: দুই দেশ নীতিকে স্বীকৃতি দিয়ে অন্ততপক্ষে অবৈধ সেটলারদের সম্প্রসারণ বন্ধ করার রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়াটা আমি মন্দের ভালো হিসেবে দেখি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: সেটা কি বন্ধ হয়েছে/এরকম কোন শর্ত কি ছিল চুক্তিতে??
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১
মাহিরাহি বলেছেন: ইজরায়েলের সাথে আরবদের সম্পর্ক স্বাভাবিকের পিছনে, সবচেয়ে বড় কুশলী কুশনার, ট্রাম্পের জামাই।
কুশনার একজন ইহুদি, ইজরায়েলের হয়ে কাজ করাতে অবাক হওয়ার কিছু নয়।
কুশনারের বাবাকে জেলে পাঠিয়েছিলেন যে গভর্নর, সেই ক্রিস্টিকে পদচ্যুত করা হয়েছিল কুশনাের প্ররোচনায়, কুশনার বাবার প্রতিশোধ নিয়েছিল।
যা কিছুই মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যায়, তাকেই নাস্তিকরা স্বাগত জানায়।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৩
মাহিরাহি বলেছেন:
৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাহলে সঠিকটা বলেন।
সমস্যা হলো আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হবে, সেটা আপনার কাছে সঠিক মনে নাও হতে পারে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: এটাইতো স্বাভাবিক।একজনের চিন্তার সাথে আরেকজনের চিন্তা মিলবে এরকম কোন নিয়মতো নেই।একেক জনের মতামত একেক রকম হতেই পারে।তবে সেটা বলা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুন্দর গরুর রচনা।