নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং এবাউট ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স্,স্পেশালি মিনা রিজিয়ন। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার কিছুই বিশ্বাস করি না।

মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন

দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।

মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিবিয়ার আকস্মিক নির্বাচন হস্তক্ষেপকারীদের জন্য দুঃসংবাদ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

মিশর, ফ্রান্স এবং তুরস্ক সমর্থিত প্রার্থীদের প্রত্যাখ্যান করে লিবিয়ার প্রতিনিধিরা অতীতের রাজনীতিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
লিবিয়ায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত প্রার্থীরা জাতিসংঘ সমর্থিত আলোচনায় লিবিয়ান প্রতিনিধিদের ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরিবর্তে, তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত একটি দল, যারা লিবিয়ার মাটির কাছাকাছি, তারা সরকার গঠনের জন্য নির্বাচিত হন এবং বছরের শেষে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিবেন।জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন আলোচনার ফোরামে নির্বাচনের জন্য সকল প্রার্থী মুলত দুইভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিন।
সবাই আশা করেছিল যে ইস্টার্ন বেইজড পার্লামেন্টের স্পিকার আগুইলা সালেহ রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলের প্রধান হবেন।কিন্তু তা ঘটেনি।
সালেহর অতীত ইতিহাস দেখলে দেখা যায় মুলত তিনি হলেন মিশরীয় ডিক্টেটর সিসির লিবীয় প্রতিনিধি।ওয়ার লর্ড হাফতার যখন ত্রিপোলি আক্রমন করে তখন সালেহ ছিল এর বড় সমর্থক।তিনি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে সিরিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।যে অঞ্চলের নিয়ন্ত্রনে ফ্রান্স রাশিয়া এবং মিশর সমর্থিত হাফতারের হাতে।কিন্তু সেটাও ব্যার্থ হয়।তিনি মিশরের আক্রমনের ভয় দেখিয়ে লিবিয়ার ট্রাইবাল নেতাদের একত্রিত করেছিলেন।হাফতারের ত্রিপোলি অভিযান ব্যার্থ হবার পর যখন তার অনুগত সৈন্যরা সিরতে ফিরে আসে তখন ধারনা করা হচ্ছিল ত্রিপোলি ভিত্তিক জিএনএ সরকার সিরতে আক্রমন করবেন।সেই সময় এই সালেহ মিশরকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যেন,লিবিয়াতে হস্তক্ষেপ করা হয়।সালেহ হলেন মিশরের হাতের পুতুল।লিবিয়াতে সিসির মত ক্লোনকে বসানোর চেষ্টার মুলে ছিলেন এই সালেহ।সালেহ যখন ডেলিগেটদের ভোট পেতে ব্যার্থ হন তখন মিশরের প্রতিক্রিয়া ছিল আগ্রাসি।মিশরের সরকারী মিডিয়া এটাকে ক্যু বলে আখ্যায়িত করেছে।অবশ্য পড়ে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন।মিশরীয় সরকারী মিডিয়ার শক্তিশালী এংকর মোস্তফা বাকরি,যিনি সিসির খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।প্রচলিত আছে সিসি তার কথাগুলু এই বাকরিকে দিয়েই বলিয়ে থাকেন।নির্বাচনের পর পরই বাকরি টুইট করেন যে,’’ "তারা মুসলিম ব্রাদারহুডকে আবার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে। যাইহোক, তারা ভুলে গেছে যে লিবিয়ার সেনাবাহিনী এই সমীকরন মেনে নিবে না এবং তারা কখনোই এই অর্থহীন কাজ করতে দেবে না, যার জন্য তারা আগুইলা সালেহকে প্রলুব্ধ করেছে এবং তারপর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে যাতে সেনাবাহিনী এবং তার নেতৃত্বকে খর্ব করা হয়’’।অবশ্য কয়েক মুহূর্ত পর কায়রো তার মন পরিবর্তন করে। সিসি আরেকজন টিভি উপস্থাপককে ফোন করে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আসলে, মুসলিম ব্রাদারহুড নির্বাচনে বড় ধরনের বাজি ধরেছিল কারন তাদের উদ্ধশ্য হল যে কোন উপায়ে লিবিয়াতে স্থিতিশীলতা। ব্রাদারহুডের মুল দল সালেহ-এর তালিকাকে সমর্থন করলেও, মুভমেন্ট উইং বিজয়ীদের সমর্থন করেছে।


তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপে হাফতার বাহিনী ত্রিপোলি থেকে ফিরে আসার পর থেকে সিসি হাফতারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। এমনকি মিশরীয় গোয়েন্দারা তাদের তুর্কি প্রতিনিধিদের সাথে গোপন আলোচনা করেছে হাফতারকে ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়ে। সালেহ এই চুক্তির অংশ ছিলেন তার সাথে ছিল তুর্কি সমর্থিত ত্রিপলি ভিত্তিক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাঘার। যিনি ফ্রান্সের আশীর্বাদও পেয়েছিলেন। যখন তারা নির্বাচনে ব্যর্থ হয়, তখন সালেহ সহ ভোটে পরাজিত প্রার্থীরা সবাই নতুন রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলের সমর্থনে প্রকাশ্য বিবৃতি প্রদান করে।

অপ্রত্যাশিত বিজয়ী
এই প্রতিযোগিতার অপ্রত্যাশিত বিজয়ীরা সবাই ছিলেন ব্যাক বেঞ্চার।
নতুন প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দিবেইবাহ নিজেকে একজন ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তিবিদ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তিনি গাদ্দাফি যুগের নির্মাণ শিল্পে বেড়ে ওঠা মিসরাতার একটি ধনী পরিবার থেকে এসেছেন।
তার চাচাতো ভাই আলী ডিবেইবাহ ছিলেন গাদ্দাফির একজন সহযোগী এবং অর্গানাইজেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সেন্টারের প্রধান ছিলেন।গাদ্দাফি বিরুদ্ধে তথাকথিত আন্দোলনে আদবুল হামিদ দিবেইবাহ ছিলেন বিপ্লবী বাহিনীর অন্যতম প্রধান ব্যাংকরোলার। ২০১৭ সালে তিনি মস্কো এবং গ্রোজনি পরিদর্শন করা একটি মিসরাতান প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন।
যেহেতু লিবিয়ার প্রতিটি শিবির বিভক্ত(গোত্র প্রধান) তাই তার প্রার্থীতা ছিল অন্য দুই মিসরাতান প্রার্থী বাশাঘা এবং আহমেদ আমিতিকের মধ্যে একটি সমঝোতা।বিজয়ী তালিকার নেতৃত্বে রয়েছেন তোব্রুকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-মানফি। তিনি বেনগাজির যুদ্ধ এবং ত্রিপোলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করেন, এবং সবসময় হাফতারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। তুরস্ক ও লিবিয়ার মধ্যে সামুদ্রিক চুক্তিকে সমর্থন করার পর এথেন্স তাকে বহিষ্কার করার আগে জিএনএ তাকে গ্রীসে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করে।তার দুই ডেপুটির রাজনীতির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের মধ্যে একজন মুসা আল-কোনি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ঔপন্যাসিক ইব্রাহিম আল-কোনির ভাই। কোনি দক্ষিণে খুবই জনপ্রিয়।
যুদ্ধের ফ্রন্টরানারেরা কেন বাদ পরলো??
মনে হচ্ছে সালেহ তার নিজের ইতিহাস পুনর্লিখন করতে পারেননি। লিবিয়ার প্রতিনিধিরা এই দুটি তালিকার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে কারন তারা বিতর্কিত কেউ নয়।তাদের অতিত ইতিহাস খুব কন্ট্রোভারশিয়াল না।এছাড়াও সালেহ তব্রুকে যেভাবে শত্রু তৈরি করেছিলেন তাতে এটা নিশ্চিত ছিল তিনি নির্বাচনে জিতবেন না।পূর্ব দিকে তার প্রাক্তন মিত্ররাও রাজধানী সরানোর পরিকল্পনায় বিচলিত ছিল, যেখানে এটি হাফতারের হাতে থাকবে।যেটা ছিল সালেহর পরিকল্পনা।
শুক্রবারের নির্বাচনের ফলে জাতিসংঘ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এবং বিদায়ী দূত স্টেফানি উইলিয়ামস এটিকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন।

বেড লুজারঃ
ফলাফল স্পষ্ট হতেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কথা বলেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধানের সাথে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মানফি এবং ডিবেইবার সাথে কথা বলেছেন এবং সাবেক গ্রীক সরকার তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে যারা তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বহিষ্কার করেছে। কিভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়।লুজারেরা সবাই জাহাজে উঠার জন্য লাফালাফি শুরু করলো।
কিন্তু লিবিয়ার ক্ষমতার সংগ্রামের জন্য এগুলুই শেষ কথা নয়।
মিশর হাফতার থেকে দূরে সরে গেলেও, তার অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক সংযুক্ত আরব আমিরাত তা করেনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সেটা করেনি, রাশিয়ান প্রক্সি বাহিনী সিরত এবং আল-জুফ্রা বিমানঘাঁটিকে রক্ষা করেই চলেছে।এখন দেখার বিষয় হল এই দুই ভয়ংকর প্লেয়ারকে বাদ দিয়ে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা আনা যায় কিনা।
এই চুক্তির ক্ষতিগ্রস্তরা - সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া এবং ফ্রান্স- এখন পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত শাসকদের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে এবং লিবিয়ায় তাদের পরিকল্পনা ত্যাগ করার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গত এপ্রিল মাসে হাফতার, যিনি নিজেকে "জনপ্রিয় ম্যান্ডেট" দিয়ে লিবিয়ার শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন, তিনি এখন যে কোন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাইরে আছেন।যদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া আবার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে হাফতার তার ইচ্ছা আরোপ করার জন্য সামরিক বাহিনীর উপর বাজি ধরতে পারে, অথবা অন্তত দেশব্যাপী নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারে।
এখন সংসদে অনুমোদনের জন্য তার সরকারকে উপস্থাপন করার জন্য ডিবেইবার হাতে তিন সপ্তাহ সময় আছে। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী তোব্রুকে থাকা সংসদের সেই অংশের ব্যাপারে কোন সমঝোতার মেজাজে ছিলেন না।ডিবেইবার প্রতিক্রিয়া ছিল: "এই সিদ্ধান্ত লিবিয়ার জনগণের উপর নির্ভর করছে এবং জনগণ এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি [সংসদ] জনগণের অংশ এবং আমি মনে করি না তারা অন্য কোন বিকল্প বেছে নেবে’’।
শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় আল থানি সরকার(যিনি হাফতারের মিত্র) শর্ত দেন যে,ক্ষমতা হস্তান্তর নির্ভর করছে সংসদের অনুমোদনের উপর।তবে আশার কথা যে,তব্রুকের অনেক সংসদ সদস্য আবার ত্রিপলিতে ফিরে এসেছেন।কারন সালেহ তাদেরকে তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন।বিশেষ করে রাজধানী ত্রিপলি থেকে সিরতে স্থানান্তর করার বিষয়ে।যেটা তারা পছন্দ করেনই।
সুতরাং, একটি সম্ভাবনা আছে যে সংসদ যা ব্যাপকভাবে প্রতিনিধিত্বশীল এখন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীকে সরকার গঠনের অনুমতি দেবে।
কিন্তু যদি এটি সংসদের অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে এই সিদ্ধান্ত ৭৫ জন প্রতিনিধির কাছে ফিরে যাবে যারা শুক্রবার এই তালিকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।তবে ধারনা করা হচ্ছে যে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন সংসদের অনুমোদন পাবে।
যাইহোক, এটা সাময়িক ব্যাপার। শুক্রবার নির্বাচিত দের কেউই বছরের শেষে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারবে না।যদিও এটা লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানের সবচেয়ে কার্যকর পরিকল্পনা।
ফোর্স মেট বাই ফোর্সঃ
একটি চূড়ান্ত প্রতিফলন: হাফতার যদি ত্রিপোলিকে জোর করে দখল করে নিতেন তাহলে তা কখনোই লিবিয়া শান্তিপুর্ন হত না।সেখানে আরেক সিসির ক্ষমতারোহন হত।লিবিয়ার মানুষ আরেকজন লিবিয়ান সিসি পেতে পারতেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় (বিশেষ করে ফ্রান্স এবং রাশিয়া) লিবিয়ার সঠিক শাসক হিসেবে হাফতারের প্রশংসা করত। তেলের আয় এবং অস্ত্র চুক্তির ফলে তাদের ফার্মের কোষাগারে অর্থ প্রবাহিত হতো।একমাত্র তুর্কিই লিবিয়াকে সেই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছিল।বিশেষ করে তুর্কিস ড্রোন প্রযুক্তি।অর্থাৎ শক্তি দিয়েই শক্তিকে মোকাবেলা করা হয়েছিল।
এটি রাজনৈতিক ইসলামপন্থী এবং ধর্মনিরপেক্ষ উদারনৈতিক বিপ্লবীদের প্রাপ্ত জ্ঞানের বিপরীত। যারা বলে যে সহিংসতা শুধুমাত্র শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ এবং সমঝোতার মাধ্যমে প্রতিহত করা যেতে পারে।তাদের মতে সহিংস বিক্ষোভ এবং যুদ্ধের মানে হল আপনি স্বৈরশাসকদের হাতে খেলছেন।তারা হয়ত ঠিক, নৈতিকভাবে। কিন্তু এই নৈতিকতা ত্রিপোলিকে হাফতারের হাত থেকে বাঁচাতে পারত না।তারহুনাতে হাফতারের হাতে যে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছিল,হাফতার যদি ত্রিপলি দখলে নিতে পারতো তাহলে সেটা হতো আরো ভয়াবহ।
আমেরিকান বিপ্লবে, ফ্রান্স সমর্থিত শক্তি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যুক্তিসঙ্গতভাবে এটা স্বৈরশাসক এবং তাদের ঔপনিবেশিক রক্ষকদের হাত থেকে স্বাধীনতা আদায়ে নির্ণায়ক প্রমাণিত হয়েছে।
যদি লিবিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সফল হয় তাহলে একটি স্থিতিশীল লিবিয়া তার প্রতিবেশী তিউনিশিয়া এবং মিশরের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।যার উভয়ই তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য দেশটির উপর নির্ভর করে।
মিশর, লিবিয়া এবং তিউনিশিয়ার মধ্যে এই লড়াই নিষ্পত্তির একটি সাধারণ আগ্রহ আছে। আশা করি এটা বিজয়ী হবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে লিখছেন ভালো কথা। আমাদের দেশের সমস্যা গুলো নিয়ে লিখেন না কেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১

মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: প্রথম কথা হল এই মানচিত্র নিয়ে লিখে আমি সাফারার।আর এটা আমার সাব্জেক্ট না।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: @রাজীব নুর সাহেব, উনি সম্ভবত বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষণে পারদর্শী। বক্তব্যে যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত থাকে, এটি ইতিবাচক। তবে ক্ষেত্রবিশেষে শুভঙ্করের ফাঁকি ঠিকই থেকে যায়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩২

মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।ফাঁকিটা ধরিয়ে দিলে ফিলাপ করে নিবো ইনশাআল্লাহ।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ চালিয়ে যান। বিশ্ব রাজনীতি ও ভৌগলিক প্রভাব নিয়ে সিরিজ ভালোই হচ্ছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩২

মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রতিটা দেশেই জনগনের সরকার হোক।জনগনের কল্যানে কাজ করুক, জনগন উপকৃত হবে।কখনো কখনো যুদ্ধও শান্তি আনে।প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কারনেই রাশিয়া শোষণ মুক্ত হয়েছিল,দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারনে চীন সহ অনেক দেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধ ক্ষতিও করে ভালোও করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.