![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যা বলা হয় আর যা বলা হয় না।
যদি চীন এবং আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে তাহলে তাদের যুদ্ধের মুল কারন হবে দক্ষিন চীন সাগর।তথাকথিত ফ্রিডম অফ নেভিগেশনের নামে আমেরিকা প্রতিনিয়ত দক্ষিন চীন সাগরে যুদ্ধের মহড়া দেয়।পশ্চিমি মিডিয়াগুলু এসবকে হাইলাইট করলেও ঐতিহাসিক কন্টেক্সটা কখনো জানতে দেয় না।চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কখনও আলোচনা করা হয় না আর হলেও সেটা খুবই কম।
১২ই জুলাই,২০১৬ সালে ফিলিপাইন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব আর্বিটেশনা থেকে দক্ষিন চীন সাগর নিয়ে রায় পাই।সেই আর্যের আদালত উল্লেখ করেন,’’কোনও সময় চীন সমুদ্র বা তার সংস্থানসমূহের উপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করেছে এমন কোনও প্রমাণ নেই’’। অতএব তথাকথিত “9 ড্যাশ লাইন’’এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই যেটা চীন তার একচেটিয়া এখতিয়ারের মধ্যে থাকার দাবি করেছে।
চীন আদালতের এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি খুব অবাক করা ব্যাপার ছিল।কারণ চীন কয়েকশ বছর পূর্বে এই অঞ্চলটিতে ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছিল,তবে ঐতিহাসিক পরিস্থিতি প্রায়শই আধুনিক ভূ-রাজনীতিক বিশ্বে সন্দেহজনক প্রাসঙ্গিক। বেইজিংয়ে সমসাময়িক সরকারের মনোভাব ও আচরণ বোঝার ক্ষেত্রে তা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক নয়। তবে এটি গল্পের একটা অংশ মাত্র। ঐতিহাসিক নজিরগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে তুচ্ছ। তাদের নিজ সীমানা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের সাগরে "নৌচালনার স্বাধীনতার" নামে সামরিক অনুশিলনের জন্য এটাকে তারা কোন গুরুত্ব দিতে রাজি নয়।
ওয়াশিংটন এবং অস্ট্রেলিয়া এই পর্যন্ত এরকম একটা ঘটনাও দেখাতে পারেনি যে চীন নৌ চলাচলের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে।দক্ষিন চীন সগরে নিরাপদ নৌ চলাচল চীনের স্বার্থেই দরকার।কারন চীনের আমদানি রপ্তানি বানিজ্যের ৮০% শতাংশই এই রুটে।
ওয়াশিংটন সমুদ্র সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আদালত (UNCLOS) এর আদেশগুলু মেনে নেয় না।শুধু এই ক্ষেত্রে নয় অন্য অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার কোন রায় বা পর্যবেক্ষন ওয়াশিংটন মেনে নেয়না যদি সেটা তাদের চিন্তা ভাবনা বা স্বার্থের বাইরে যাই।কিন্তু অন্যকে এগুলু মেনে চলার উপদেশ দেয় বা বাধ্য করে।
মুলত চীনে কমিউনিস্ট বিপ্লবের মুলে ছিল দক্ষিন চীন সাগরে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।পশ্চিমা মিডিয়া চীনের দাবিকে হাইলাইট করলেও তাইওয়ানের একই দাবির ব্যাপারে তার নিশ্চুপ।তাইওয়ানের দাবি করা একটা দ্বীপ তাইওয়ান উপকুল থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।কিন্তু এই ব্যাপারে পশ্চিম শুধু চুপচাপ থাকেনি বরং তারা তাওয়ানকে উস্কে দিচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ঐতিহাসিক বা কৌশলগত স্বার্থকে কোনভাবেই হ্রাস না করে দক্ষিণ চীন সাগরকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কমপক্ষে আরও একটি কারণ রয়েছে।সেটা হল তেল এবং গ্যাসের মজুদ।এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিন চীন সাগরে তেল এবং গ্যাসের মজুগ সম্পর্কে বেখেয়াল।এবং পুরু দুনিয়া জুড়ে সে যেভাবে তার বৃহৎ কর্পোরেশনগুলুর স্বার্থের জন্য দন্দে জড়ার সেটা দক্ষিন চীন সাগর নিয়ে সে করবে না। ২০১৩ সালের সার্ভে অনুযায়ী দক্ষিন চীন সাগরে প্রমানিত তেল মজুদের পরিমান প্রায় ২৮ বিলিয়ন ব্যারেল।যেটা দুনিয়ার সর্ববৃহৎ।এবং প্রমানিত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ প্রায় ২৬৬ ট্রিলিয়ন গনফুট।পশ্চিমা গনমাধ্যম দক্ষিন চীন সাগরের নেভিগেশন স্বাধীনতা নিয়ে মুখে ফেনা তুললেও তাদের মুল উদ্ধেশ্য এই তেল গ্যাসের বিষয়টি পুরু এড়িয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কনভেনশন International Convention on the Law of the Sea (UNCLOS) অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানালেও এই কনভেনশন অন্যকে মানতে বাধ্য করে।এটাই হল দক্ষিন চীন সাগরের আমেরিকার আধিপত্য চেষ্টার মুল কারন।কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,অস্ট্রেলিয়া,জাপান এবং তাইওয়ানকে দিয়ে এই সম্পদ গ্রাস করতে চাই এবং দক্ষিন চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তার করে চীনের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আগামীতে চীন পুরো বিশ্বকে শাসন করবে।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫১
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভারতও দক্ষিন চীন সাগরে সম্ভবত ভিয়েতনামের কাছে একটি নৌঘাটি স্থাপন করেছে। আচ্ছা, এখানে ভারতের উদ্দেশ্য কি?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: জ্বি নাহ ট্রাং বন্দরে ভারতের নৌসেনার এক্সেস আছে।ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শশি থারুরের মতে সিনিয়র বুশের আমল থেকে আমেরিকা,ভারতকে দক্ষিন/দক্ষিন পুর্ব এশিয়াতে চীনকে কন্টেইন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।এই জন্য তারা কোয়াড স্টাবলিশ করেছে।ভারতের কাজ আমেরিকার পক্ষে কাজ করা।আর যেহেতু ভিয়েতনাম আপাতত সেই অঞ্চলে মার্কিন এলাই তাই তাদের পরামর্শে সে ভারতকে এক্সেস দিয়েছে।আর ভারতের উদ্ধেশ্য হল চীনকে চাপে রাখা।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: চীনকে থামাবার সাধ্য কার?
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বড় দাদা হিসাবে আমার মনে হয় পরিণামে চীনের চেয়ে আমেরিকা ভালো বিবেচিত হবে যদি সত্যি চীন সেই রকম নেতৃত্বের পর্যায়ে যেতে পারে কখনও।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৭
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: চীনের ইতিহাস অনেক রিচ।মার্কিন ইতিহাস হল ২০০ বছরের আর চীনের ইতিহাস ২০০০ বছরের।চীন যখন দুনিয়ার অর্থনীতির ৩৫% এর যোগান দিতো তখনও আক্রমানত্তক ছিল না।তার অতীত ইতিহাসে এমন কিছু নেই এবং তাদের আচরণও সেই সাক্ষ্য দেয় বাট ভবিষ্যৎ আমরা শুধু ধারনা করতে পারি।বাস্তবতা ভিন্নও হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: চীন পরিকল্পনা মতোই এগুচ্ছে।তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০৫০ এর মধ্যে বিশ্ব শক্তিতে পরিনত হওয়া,কিন্তু করোনা তাদের পথকে অনেক সহজ করে দিয়েছে,অপরদিকে আমেরিকাকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে।আমেরিকা নিজেই ডালারকে একটা বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছ কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে।করোনার পরে বিশ্ব ব্যবস্থায় শুরু হবে নতুন পোলারাইজেশন।নড়ে চড়ে বসবে সবাই।