![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
দুনিয়ার সবচেয়ে সম্পদশালী দেশ আফগানিস্থান এখন দুনিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র পীড়িত দেশ।
আফগান যুদ্ধের বয়স ৩৯ বছরে পৌঁছল।এই ৩৯ বছরে সৌভিয়েত রাশিয়া চেষ্টা করেছে তাদের বাগে আনতে এরপর আমেরিকা চেষ্টা করেছে।গত ১৬ বছরে আমেরিকা এই যুদ্ধ পাগল জাতিটাকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি।পারেনি দুনিয়ার সবচেয়ে সম্পদশালী এই দেশটার সম্পদ পরিপূর্ণ ভাবে গ্রাস করতে।পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমেরিকার ভাতের প্লেটে বাগড়া দিচ্ছে এখন রাশিয়া-চীন-পাকিস্থান।সিরিয়া পরিস্থিতিতে রাশিয়া যেমন আমেরিকাকে বাদ দিতে সাথে পেয়েছে তুর্কিকে।আর আফগান পরিস্থিতিতে রাশিয়া পাশে পেয়েছে পাকিস্থানকে।সাথে আরো আছে ‘’ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’’ প্রকল্পের মাতৃগর্ব চীন।চীনের স্বার্থ অবশ্য ভিন্ন জায়গায়।২০১০ সালের আমেরিকা জিওলজিক্যাল সার্ভে-পেন্টাগন-ইউএসএইডের যৌথ সমিক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে আফগানিস্থান হলো লিথিয়ামের সৌদি আরব এবং আফগানিস্থান হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাইনিংয়ের দেশ।কিন্তু এত সব কিছুর পরেও আমেরিকা সেই সম্পদের পূর্ণভাগীদার হতে পারল না।ইতিমধ্যেই চীন আফগানিস্থানের সাথে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে মাইনিংয়ের(কপার)কাজ শুরু করেছে।আফগানিস্থানে আমেরিকার সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা হল হেরোইন/আফিম।আফগানিস্থানে মোট আফিম উৎপাদনের ৬০ ভাগের বাজার হল আমেরিকা।
আফগানিস্থানে মজুদ প্রাকৃতিক সম্পদঃ
প্রমানিত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ- ৫ ট্রিলিয়ন গনফুট।
(Oil & Gas Journal, May 2, 1998). (UPI, John C.K. Daly, Analysis: Afghanistan’s untapped energy, October 24, 2008)
আফগানিস্থানে উৎপাদিত ড্রাগের কারনে পশিমের বাজারে প্রতি বছর ২০০ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়।
Heroin is “Good for Your Health”: Occupation Forces support Afghan Narcotics Trade, Global Research, April 29, 2007)
আমেরিকার দখলের আফগানিস্থানে আফিম উৎপাদন বেড়েছে ৩৫% এর বেশী যার মধ্যে ৬০% বাজার হল আমেরিকায়।
মোট কপার মজুদের পরিমান -৬০ বিলিয়ন টন।
মোট আয়রনের মজুদ-২.২ বিলিয়ন টন।
দুষ্প্রাপ্য আর্থ এলিমেন্ট- ১.৪ মিলিয়ন টন।
প্রমানিত স্বর্ণের মজুদের পরমিনা ৭০০ টনের বেশী।
http://mines.pajhwok.com/.../brief-introduction...
আফগান যুদ্ধের মুল খেলাটা যতটা স্ট্র্যাটেজিক তার থেকে বেশি হল তার সম্পদের নিয়ন্ত্রণ।
এই খেলায় সম্প্রতি রাশিয়া তালেবানদের নিয়ে শান্তি আলোচনার আয়োজন করে যদিও আমেরিকা-ভারত-আফগান সরকার সেটা প্রায় ভয়কট করে।আমেরিকার এখনকার উদ্ধেশ্য হল আফগানিস্থানের খনিজ সম্পদ দিয়ে তার আগ্রাসনের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া।কিন্তু সেটার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালো রাশিয়া-চীন-পাকিস্থান।
ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের ভাষ্য অনুযায়ী আফগানিস্থানে আমেরিকা যে পরিমান সামরিক সদস্য মোতায়েন রেখেছে তা সে বিশ্বযুদ্ধের পর আর কোথায় মোতায়েন করেনি।ওবামার এশিয়া পাইভটের পলিসির নামে আফগান সরকারের সাথে মিলিতারি বেইজ স্থাপনের চুক্তিও করেছিল।ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্থান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বলে ক্ষমতায় আসলে সে ক্ষমতায় আসার পর আরো সৈন্য মোতায়েন করে।এটার একমাত্র উদ্ধেশ্য হল চীনকে আফগানিস্থানের বাইরে রাখা এবং আফগানিস্থান থেকে চীনের উপর নজরদারি করা।কারন আফগানিস্থানে,আমেরিকার মিলিতারি ঘাঁটি হল চীনের পশ্চিম সীমান্তে।
Pivot to Asia ঃ
আফগানিস্তানের মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত আফগান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তির অধীনে ওয়াশিংটন ও তার ন্যাটোর অংশীদাররা আফগানিস্তানে একটি স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে, চীনের পশ্চিমা সীমান্তের কাছাকাছি। এই চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চীন, পাকিস্তান ও ইরানের পাশাপাশি তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত ৯ টি স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি বজায় রাখার অনুমতি দেয়।
তবে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের বিস্তারকে বাধা দেয়নি। ২০১২ সালে কাবুল ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্থানকে সাংহাই কোপারেশান কাউন্সিলে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া, প্রতিবেশী পাকিস্তান-যা এখন সাংহাই কোপারেশান কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্য, চীন এর সাথে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এবং এখন ডোনাল্ড ট্রাম পাকিস্তানকে হুমকি দিচ্ছে, যা বহু বছর ধরে আমেরিকার "অঘোষিত ড্রোন যুদ্ধ"র লক্ষ্যবস্তু ছিল।ইতিমধ্যেই ট্রাম্প পাকিস্থানের জন্য বরাদ্ধ বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা বাতিল করেছে।অন্য কথায়, ভূ-রাজনৈতিক সংমিশ্রণের পরিবর্তনের কারনে পাকিস্তানের পাশাপাশি আফগানিস্তানকে ইউরেশীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং শক্তি অক্ষে একীকরণ করেছে।
চীনের উদ্ধেশ্য হল বেল্ট এন্ড রোড প্রজেক্টের মাধ্যমে আফগানিস্থানকে চীনের পশ্চিম সীমান্তের সাথে যুক্ত করা।তাছাড়া চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মাইনিং কোম্পানি Metallurgical Corporation of China Limited (MCC) লগার প্রদেশে অবস্থিত আফগানদের সবচেয়ে বড় কপার ক্ষেত্র আয়নাকের উন্নয়নের চুক্তি করেছে যেটা মুলত তালেবান নিয়ন্ত্রীত এলাকায় অবস্থিত।২০১০ সালেই আমেরিকা এক রিপোর্টে ঠিক এই ভয়টার কথা উল্লেখ করেছিল যে এনার্জি হাংরি চীন আফগানিস্থানের খনিজ সম্পদের নিয়ুন্ত্রন নিতে পারে যেটা তাদের জন্য একটা থ্রেট।
China and the Battle for Lithium ঃ
চীনা খনি সংগঠনগুলি এখন বিশ্বব্যাপী লিথিয়াম বাজারের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এখনো পর্যন্ত লিথিয়ামের বাজার মুলত তিনটা কোম্পানির হাতে।(Albemarle’s Rockwood Lithium (North Carolina), The Sociedad Quimica y Minera de Chile and FMC Corporation, (Philadelphia)।অস্ট্রেলিয়া,আর্জেন্টিনা এবং চিলির পর চীন হল চতুর্থ লিথিয়াম উৎপাদনকারী দেশ।এদিকে চীনের তিয়াংকি গ্রুপ অস্ট্রেলিয়ার বৃহৎ লিথিয়াম খনি Greenbushes এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
লিথিয়ামের জন্য চীনের এই আগ্রাসি নীতির কারন হল বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে রাশিয়া আফগানিস্থানের এই সম্পদ একা চীনকে ভোগ করতে দিতে রাজি নয়।রাশিয়াও আফগানদের সম্পদে এখন অংশিদারীত্ব চাই যে কারনে চীন এবং পাকিস্থানের সাথে মিলে আমেরিকাকে বাদ দিয়ে তালেবানদের সাথে নিয়ে আফগানিস্থানে স্থিতিশীলতা আনতে চায়।এটা যদি তারা করতে পারে তাহলে সেটা আমেরিকা এবং ভারতের জন্য বড় স্ট্রেটিজিক পরাজয় হবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৬
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ।চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: পোস্টটা বেশ ভালো ছিলো। আরও গুছাইয়া লিখলে পোস্টটা নির্বাচিততে যাইতো গা।