![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকের বহুল ব্যবহার এবং এর উপর আমাদের নির্ভরশীলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। রেডিও মুন্না টাইপের পেইজ আর এসব পেজে মানুষের লাইকের আধিক্য আর কমেন্টগুলো পড়লেই বোঝা যায় হিন্দি সিরিয়ালের চেয়ে ফেসবুক কত বেশী ক্ষতিকর হয়ে পড়ছে।
দুই বছর আগেও ধারণা ছিল, প্রযুক্তি মানুষের হাতের নাগালে পেলে মানুষের চিন্তা করার অভ্যাস বদলে যাবে। মানুষ উন্নত চিন্তা করতে শিখবে। এখন আরো বেশী শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। লাইকম্যানিয়াক ইয়া বড় সেলিব্রেটি আর পেজ হতে রাজনীতি আর ধর্ম মিশিয়ে পোস্ট দিয়ে পাবলিককে বিভিন্নভাবে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে।
আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের যারা ফেসবুক ইউজ করে, তারা গড়ে ৬ ঘন্টা ফেসবুক ব্যবহার করে। বেশীর ভাগ সময় কাটে তাদের নিউজ ফীড পড়ে। সময়ের কি অদ্ভুত ব্যবহার। অথচ ৬ ঘণ্টায় একটা সুন্দর বই পড়ে ফেলা সম্ভব।
ফেসবুক নিয়ে আমার অনুধাবন গুলোঃ
১. হাল আমলে কোন কিছু ফেস করার চেয়ে ফেসবুকিং-এর গুরুত্ব বেড়েছে।
২. আপনি হয়তো ভাবছেন ফেসবুক আপনার সময় নষ্ট করছে, এর চেয়ে বড় ক্ষতিটা হলো আপনার চিন্তাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
৩. ফেসবুকে "বন্ধু" এবং "পছন্দ" - শব্দদুইটার সবচেয়ে বেশী অপব্যবহার হয়। প্রমাণ আপনার বানানো সকল ফ্রেন্ড আর আপনার লাইক দেওয়া পেজগুলো।
৪. ফেসবুকে আসক্তি আপনার সামাজিকতা নয়, পৃথিবীর প্রতি আপনার বিরক্তি প্রকাশ করে।
৫. আপনার তাই শেয়ার করার কথা ছিল, যা আপনি নিজে। কিন্তু আপনার বেশীরভাগ শেয়ার করা কনটেন্ট আপনার স্বকীয়তাকে মাটিচাঁপা দিচ্ছে।
৬. ফেসবুকে আপনি যা করেন, তা আপনার চরিত্রের বড় অংশ। হয়তো শেয়ার করতে কুন্ঠিত হন।
৭. বন্ধু তালিকার বেশীরভাগই আপনার ছবি বা লেখায় লাইক দিবে না। এর মানে কি? আপনি যত বড় সেলিব্রেটিই হন, আপনার চেহারা বা কথা আপনার বেশীরভাগ ফেসবুক বন্ধুই পছন্দ করে না।
৮. আপনি ফেসবুক ইনকর্পোরেটের একটা পণ্য। ফেসবুক সেলিব্রেটিরা একেকজন ফ্যামিলি সাইজের পণ্য।
৯. আপনি জানেন নতুন কিছু নেই। তবুও ফেসবুকে আপনি দিনের অনেক সময় ব্যয় করবেন। এটা আপনার ধৈর্য্যশক্তির প্রকাশ নয়, আপনার ধৈর্য্যহীনতার পাঠ। আপনি চিন্তাশীল কাজে সময় ব্যয় করা শুরু করলে এটা বুঝতে পারবেন।
ফেসবুক নয়, অরিজিনাল বুক হোক আপনার সময়ের সঙ্গী।
*****
আমি ঋভু সাবর্ণি। ফেসবুকে নিয়মিত নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করছি। প্রোফাইল পরিদর্শনের আমন্ত্রণ সবার জন্য।
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
ঋভু সাবর্ণি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩০
নতুন বলেছেন: এইটা সবাই ফেসবুকে সেয়ার করবে...
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
ঋভু সাবর্ণি বলেছেন: হা হা হা।
ফেসবুক ইউজ করাটা খারাপ না, তবে ব্যবহারের মাত্রা নিয়ে সচেতন হওয়াটা জরুরী।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
নতুন বলেছেন: হুম আপনার লেখার বিষয়টা খুবই ভাল.... সমাজে এমনটাই ঘটছে..
হাতের কাছে ইন্টারনেট... জানার চেস্টা নেই কারুর মাঝে...
ফেসবুকে গুজবের ছবি/গল্পে হাজার হাজার লাইক সেয়ার...
আর বই না পড়লে কেউই কখনো নিজের মনের উন্নতি করতে পারেনা... আমাদের সমাজের নৈতিক অধপতনের কারনও মনেহয় বই না পড়ার কারনে তরান্নিত হচ্ছে...
বই না পড়লে...বিশ্বসাহিত্য না জেনে কখনোই ভাল কিছু হবেনা...
১০ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
ঋভু সাবর্ণি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
কালনী নদী বলেছেন: ফেসবুকে শেয়ার দিছি ,
১০ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
ঋভু সাবর্ণি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৪৫
মোঃ তানজীম বলেছেন: আপনার তাই শেয়ার করার কথা ছিল, যা আপনি নিজে। কিন্তু আপনার বেশীরভাগ শেয়ার করা কনটেন্ট আপনার স্বকীয়তাকে মাটিচাঁপা দিচ্ছে...... সহমত।
১০ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
ঋভু সাবর্ণি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
ফেসবুকের নেশা কেটে গেছে। খুব কম সময়ই সেখানের জন্যে ব্যয় করি।
তাই এই লেখাগুলোই পড়লাম কিন্তু আপনার দেয়া ফেসবুক লিঙ্কও দেখার আগ্রহ পাচ্ছিনা
আশা করি ব্লগেই কথা হবে।
শুভকামনা রইল।
১০ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
ঋভু সাবর্ণি বলেছেন: ফেসবুক ইউজ করাটা খারাপ বলছি না কিন্তু আমি, তবে ব্যবহারের মাত্রা নিয়ে সচেতন হওয়াটা জরুরী।
পড়ার জন্য আর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৮
ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: ঠিক বলেছেন