![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতক্ষণে হয়তো সবাই ভিডিওটা দেখে ফেলেছেন। না দেখলে এখানে ক্লিক করে দেখে নেন। বগুড়ার একটা পার্ক রেইড দিয়ে অর্ধশত প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে ধরে অপমান এবং জরিমানা করা হয়েছে। দুই একজনের গাঁয়ে হাততোলাও হয়েছে।
আমরা সাধারণ পাবলিক। আইন-কানুন কিছুই বুঝিনা। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট যে যেমনে পারে আমাদের আইন দেখায়। আর্গুমেন্টে গেলেই আইনের ফাঁদে ফেলে আপনার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ণ ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আব্দুল কাদেরের কথা মনে আছে? মাঝরাতে জরুরী কাজ সেরে হলের দিকে ফিরছিল কাদের। রাতে বাইরে বের হওয়া অপরাধ কিনা জানিনা। তবে সে রাতে পুলিশের বর্বর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল কাদেরকে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে কাদের বেঁচে যায়। লিমনের কথা মনে আছে? লিমন, কাদেরসহ এরকম নাম না জানা কতজন যে এই আইন শৃঙ্খলতার স্বেচ্ছাচারিতার স্বীকার হয়েছে বলে শেষ করা যাবে না।
বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে মোটামুটি জানাশোনা এক বড়ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানলাম, বাংলাদেশের কোন আইনেই নাকি নারী-পুরুষ একসাথে পার্কে যাবার ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। জানিনা একসাথে এত যুগল পার্কে গিয়ে তাহলে কি অপরাধ করল? তাদের জরিমানার টাকাই বা কি হিসেবে নেওয়া হল। একজনকে থাপরাইতে দেখলাম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে এভাবে মারার অধিকার কি আইন ভঙ্গ না। ভিডিও দেখে মনে হল মানুষকে জোর-জুলুম-জিম্মি করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। বুঝতে পারলাম, জিম্মি থাকা অবস্থায় কারো আইন নিয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আর্গুমেন্টে যাওয়ার সাহস হয় নি। তবে ভুক্তভোগীরা চাইলে এই ফুটেজের মাধ্যমে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন এখনো।
কিন্তু জানি এমনটা ঘটবে না, কারো সাহস হবে না। ব্যাপারটা কিন্তু শুধু পার্কে বসে প্রেম চালানোর না। ব্যাপারটা নিজের অধিকার বুঝে পাওয়ার- স্বেচ্ছাচারিতার জবাব দেওয়ার। আমরা সেই সাহস হারিয়ে ফেলেছি। তবুও বলব, সচেতন হোন, নিজের অধিকার বুঝে নিন, প্রতিরোধ করুন।
*****
আমি ঋভু সাবর্ণি। ফেসবুকে নিয়মিত নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করছি। প্রোফাইল পরিদর্শনের আমন্ত্রণ সবার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে প্রতিটি ব্লগ পোস্টের নিজের ফেসবুক একাউন্টের লিংক দেয়া হতে বিরত থাকুন। ব্লগনীতিমালা অনুসরণ করুন।
ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।