নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাজন মরে গেছে, প্রথা মরেনি (চক্রবৃদ্ধি সুদের মরন ফাঁদ)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

আগে গ্রামে মহাজনী প্রথা ছিলো। তারা গরীব জনসাধারণকে ঋণদান করতো কোন কিছু গচ্ছিত রেখে। কোন মূল্যবান জিনিস যেমন গয়না জমির কাগজ ; মূল্যবান কোন কিছু হাড়ি পাতিল সব কিছু। একদিন তারা সেই জমি নিজের নামে করে নিতো। অথবা দখল করে নিতো। তবে আজকের দিনেও সেই চক্রবৃদ্ধি ঋণ পদ্ধতি চলে যায়নি সমাজ থেকে।

১)শহরে বিশেষ করে ছোট শহর গুলোতে দূর থেকে যেসব ভাসমান পরিবার আসে। শিল্প এলাকাতে বাস করার জন্য যেসব ভাসমান লোক আসে তারা বেশির ভাগ হয় ঘর বাড়ি নাই। নদীতে ভেসে গেছে, পদ্মা, মেঘনা বা যমুনা নদীর কবলে। বা তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা প্রেমিক প্রেমিকা । অথবা একেবারে গরীব শ্রেণীর কৃষক।

২)এই এলাকা গুলোতে কিছু এমন লোক থাকে তারা কোন কিছু গচ্ছিত নেয়না। তবে রিকশা , গাড়ি এসব ক্রয় করার জন্য ঋণ দেয়। আর সেই গাড়িটাই তাদের কাছে রেখে দেয়।উচ্চ হাড়ে সুদ দিতে হয়। যা চক্রবৃদ্ধি হাড়ে পরিশোধ করতে হয়।

৩) নির্দিষ্ট সময় শেষে অর্জিত সুদ আসলের সাথে যুক্ত হয়ে প্রাপ্ত সুদাসলের উপর পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়ের যে সুদ নির্ণয় করা হয় তাকে চক্রবৃদ্ধি সুদ বলে। যেমন ১০০টাকা ঋণ নিলেন সুদ ১০টাকা। ১০টাকা না দিলে পরবর্তী সপ্তাহে তা হবে ১১০টাকা হতে সুদ। চক্রবৃদ্ধি সুদ হলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদের ভিত্তিতে কাউকে ঋণ দানের পর যদি সে সুদসহ ওই ঋণ নির্ধারিত সময়ে আদায় না করে, তাহলে ওই সুদকে মূলধনের সঙ্গে যোগ করে, তার ওপর সুদ বসানো এবং মেয়াদকাল বাড়িয়ে দেয়া। এতে সুদের দ্বারা সুদ কামানো হয় এবং সুদখোর ব্যক্তি সুদের দ্বারা নিজের মূলধন বহুগুণে বৃদ্ধি করে ফেলে। সুদের এ প্রক্রিয়াটি মহাজনী যুগেও প্রচলিত ছিল।
৪)সরল সুদ হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদের শর্তে কিছু অর্থ প্রদান করা। অতঃপর ঋণগ্রহীতা যদি নির্দিষ্ট সময়ে সুদসহ ওই ঋণ পরিশোধ করে দেয়, তাহলে লেনদেন এ পর্যন্ত শেষ হয়ে যায়। আর যদি পরিশোধ না করে, তাহলে মেয়াদকাল কিছু বাড়িয়ে দেয়া এবং পূর্ব নির্ধারিত হারে বৃদ্ধিকৃত মেয়াদের জন্য সুদ উসুল করা।
৫) এখন বাস্তবে ফিরে আসি। বর্তমানে যে সুদ নেয়া হয় তা সেই প্রথাকেও হাড় মানায়। ১০০০টাকায় ১০০টাকা। কিছু ক্ষেত্রে ২০০টাকা সুদ দিতে হয়। তাও আবার মাসে। মাস শেষে ১০হাজারে ২হাজার টাকা। আর না দিতে পারলে পরের মাসে ১২হাজার টাকার সুদ। দেখা যায় কোন শ্রমিক টাকা নেয়ার পর সুদ সহ না দিতে পারলে তার বাসায় যা আছে সব নিয়ে আসে এই আজকের মহাজন।
৬) কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন হয় যে সুদ যা চাইবে তা দিতে বাধ্য থাকে মানুষ। যেমন যদি চাওয়া থাকে ১হাজার টাকায় ৩০০টাকা দিতে হবে। তো ৩০০টাকাই দিতে হবে। কারন ব্যাংক হতে লোন আনতে গেলে অনেক জামেলা। অনেক কাগজ জমা দিতে হবে। তার উপর কোন ভাসমান ব্যক্তিকে তারা টাকা দিবেনা। ১০০টাকায় যদি ৫০টাকা ১হাজারে ৫০০টাকাও চায়, লোন গ্রহীতা সেই সুদ দিতেও বাধ্য হয়। না দিয়ে উপায় যে নাই
৭) আমাদের সমাজ উন্নত হচ্ছে, ডিজিটাল হচ্ছে, শিক্ষিত হচ্ছে, কারো ঘরে অভাব নাই । সব কিছুই সত্য তার পরেও কিছু নোংড়া ঘটনা ঘটে বিশাল উন্নয়নের পিছনে। কেউ জানেনা।

৮)দেশ শিল্প উন্নত হচ্ছে, শিক্ষা ছড়িয়ে যাচ্ছে, আজো আর্মীদের সৈনিকেরা বাল্য বিবাহ করে। নিজের শিক্ষা কম, উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে পাবেনা। তাই তারা নিজে বাল্য বিবাহ করে আর নিজের মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেয়। তারা মেয়ের জন্য সেনাবাহিনীতে চাকরি করা জামাই ই পছন্দ করে।
৯) দেশে আজো হাজার হাজার গার্মেন্স ফেক্টরিতে শ্রমিক রা কোন শিক্ষার আলো দেখে না। আর তাদের সন্তান শিক্ষা কি জানেও না।
তাদের মনে হয় শিক্ষিত এজন্য করা হয়না। শিক্ষিত হয়ে গেলে গার্মেন্স শ্রমিক হবে কে?

১০)আজো আমরা বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে পারছিনা । কিছু পেশাজীবী লোকদের জন্য। কিছু লোক শিক্ষিত হয় তাদের সার্টিফিকেট থাকে।
তবে তারা মানুষ হয়না। আজো আমরা যৌতুক নামক রোগ থেকে মুক্ত হতে পারলাম না। আপনি হয়তো পেপারে, পত্রিকার পাতায় পাবেন , যৌতুক আর নাই।।। তবে লুকিয়ে লুকিয়ে এই রোগ আজো মানুষকে কষ্ট দেয়। বাল্য বিবাহ এখনো আছে।

মহাজন সুদখোর এখন আর আগের মতো নাই। তারা বাস্তবে আরো হিংস্র হয়ে গেছে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ফোয়ারা বলেছেন:

সুদি মহাজনরা কোন মুখোশে লুকিয়ে আছে

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো মানুষের। এলাকার নেতাই তো এরা

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

নজসু বলেছেন:


গ্রাম এলাকায় এখনো কিছু লোক আছে যারা চড়া সুদে টাকা খাটায়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি।ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনি ১০০০ টাকায় ১০০ টাকার যে হিসেব টা দিলেন এটাতো অনেক কম।আপনাকে বলি, আমাদের গ্রামের বাড়িতে একলোক আছেন যিনি একজন রিকশা চালক।তিনি একদিন আমাকে আমাদের গ্রামেরই অন্য এক লোক সম্পর্কে বললেন,"আমি ঐ লোকটার কাছ থেকে পাচ হাজার টাকা সূদের উপর ধার নিয়েছিলাম।পরবর্তীতে সূদসহ তাকে ৮০০০ টাকা দিতে হয়েছিল।"

বাল্যবিবাহের যে বিষয়টা বললেন এটা ঠিক আছে।আর এটা সেনা সৈনিকেরা শুধু নয়,আমার আপনার মত লক্ষ লক্ষ লোক চায় কম বয়সী একটা মেয়েকে বিয়ে করতে।এক্ষেত্রে অশিক্ষিত,শিক্ষিত,বেকার সকলেই অন্তর্ভুক্ত।আর সেনা বাহিনীর মধ্যে পড়াশোনা হয়।সাধারন সৈনিকেরাও পড়া শোনা করে।আমরা হয়ত জানি না।

যৌতুক বড় খারাপ একটা ব্যাধি যার উৎপত্তি হিন্দু সমাজ থেকে।এটা নিধন করা যায় শুধুমাত্র আইনের প্রয়োগ ঠিক রাখলেই তবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক ই আছে।।।। অইটা মাসে সপ্তাহে, বিভিন্ন হিসেবে ।।।


ধন্যবাদ

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ওইটা উদাহরণ সরুপ ছিল। আমি পরে আরো লিখেছি। দেখুন। ২০০,৩০০ যা ১হাজারে ও লিখেছি। আর ১০হাজারে ২হাজার ৩হাজার হয়।। সেটা সপ্তাহে হয়, মাসে হয়। তাই ৮হাজার হয়েছে। আর চক্রবৃদ্ধি হাড়ে বলেছি। সরল সুদ না

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি। আমার চাচা ও সেনাবাহিনী তে ছিলো। মামাও। এবং কি বোনের স্বামী ও ।।। আমি নিজে এই টুকু আগেই জানি। তবে সেটা সিভিল রা নয়। সব লোক নয়।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের হিংস্রতা দিন দিন আরও বাড়বে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম। তাই মনে হয়।। সেটাই দেখতে পাচ্ছি।।


৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বাস্তব শুনবেন.... আমাদের এখানে ৬০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে সুদাসল সহ একসাথে ৭০০০০ টাকা দিতে দেখেছি। আর সেটাও নাকি একদম স্বল্প লাভে...

এই বিষয়ে আমিও একদিন লিখব... আমাদের সমাজের সুশীলদের নিয়ে লিখব..

অবশ্য সুশীলদের একটু নিজে চেক করার প্রয়োজন আছে.. হিমু হতে পারলে অনায়াসেই চেক করতে পারতাম..

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি আমি একটা পয়েন্ট লিখেছি। আপনারা ক্বেউ সেটা পড়েন নাই। না দেখেই মন্তব্য করেছেন।

আমি বলেছি মাঝে মাঝে তারা যা চায় ঠিক তত টাকা সুদ দিতে লোকেরা বাধ্য থাকে। মানে এর কোন শেষ সীমা নাই।। এটা ১০০০টাকায় ৯০০টাকাও হতে পারে। মানে যা চায় তা দিতে বাধ্য থাকে

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ৬নাম্বার এ দেখুন

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: প্রথমেই দেখেছি ভাই। চক্রবৃদ্ধি সুদও এটার কাছে কিচ্ছুনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি ধন্যবাদ ।। আশা করি আপনি এই বিষয়ে আরো ভালো জানেন। আমার চাইতেও বেশি।।

শুধু একটাই দরখাস্ত আপনার কাছে। প্রতিটা জায়গায় আপনি যেখানেই যাবেন। মানুষকে সচেতন করবেন। আমাদের কিছু করার নাই। আবার অনেক কিছুই আমরা করতে পারি।

ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান তথ্য শেয়ার করেছেন।।। ভালো লাগলো

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: মানুষের জন্য হয়তো আমরা কিছু করতে পারবোনা। করার ক্ষমতা নাই।।
তবে একটা কাজ করতে পারবো। মানুষকে সচেতন করতে পারবো

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমাদের এলাকায় তো আরও সিরিয়াস বিষয় চালু হয়েছে। অপ্রাপ্ত মেয়েদের শুধু কালেমা পড়িয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না থাকছে রেজিষ্ট্রি না থাকছে দেনমোহর। যা খুবই মারাত্মক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। হবেই বা না কেন?

এখন দেখি ক্লাস থ্রি-তে পড়া মেয়েটাও প্রেম করে তিন ছেলের সাথে। ওরা নাটক সিনেমা দেখে দেখে শিখেছে, এটা একটা মজার জিনিস।
একটা ছোট মেয়েকে প্রশ্ন করলাম ," প্রেম করলে কি হয়? সে বলল," বিয়ে হয়। আবার জিজ্ঞেস করলাম," বিয়ে হলে কি হয়? সে বলল," বাচ্চা হয়।
মেয়েটি এত ছোট যে, সে জানে বিয়ে হলে বাচ্চা হয় কিন্তু জানেনা বাচ্চা হওয়ার প্রসিডিউরটা কি।
ল্যাও ঠ্যালা???

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম। হচ্ছে এটা। আমিও শুনেছি। এক বড়ভাই প্রাইভেট পড়াইতো বাসায় গিয়ে। আর থাকতো ছাত্র ম্যাচ ভাড়া করে। তো একদিন এক পিচ্চি মেয়ে তার ম্যাচে এসে হাজির। মেয়ে পড়ে ক্লাস থ্রিতে। এসে বলে তাকে ভালোনা বাসলে সে আত্মহত্যা করবে। আর মরার আগে নোট লিখে মরবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: পোলাপান পাইকা গেছে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.