|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 

কলেজের প্রথম দিন,  রিয়াজ  কলেজে তাদের শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করলো    ।  নিজ জেলা শহর থেকে এইখানে এসে সম্মান শ্রেণীতে   ভর্তি হয়েছে । তাই কাউকে চিনেনা।  কক্ষে প্রবেশ করেই চিন্তা করলো কারো সাথে পরিচয় হলে ভালো হয়। কার সাথে গিয়ে বসবে?   দেখলো কক্ষের শেষ প্রান্তে একটা মেয়ে বসে আছে,  পাশেই একটা ছেলে। মনে হল তারা সব থেকে আলাদা বসে আছে ।  মেয়েটি খুব  চটপটে আর কথা বলতে পারে মনে হল। কিন্তু তার পরেও সে সব মেয়েদের থেকে আলাদা ছেলেদের পিছনে বসে আছে কেন?  রিয়াজ সেই শেষ মাথায় গিয়ে বসলো।  
ছেলেটির নাম  হাসান।  ছেলেটিই তাকে বললো। আর হাসান পরিচয় করিয়ে দিলো,  মেয়েটির সাথে,  নাম আশরাফিয়া ।  যেই পরিচয়,  সাথে সাথে সে বলে উঠলো,  আশরাফিয়া নামটা শোনে  অবাক হলে?   বাবার নাম আশরাফ হোসেন। তাই এই নাম ,  কি ভালোনা । 
হাসান বলে উঠলো,  সবাই তাকে আশরাফ ভাই বলে ডাকে।  বিশেষ করে আমাদের ক্লাসের মেয়েরা । আমরা এইস এস সি তে একই কলেজে ছিলাম। 
আশরাফিয়া বললো,  আর তোরে যে সবাই চিপা গলির মাস্তান ডাকে,   সেটাও বল ।  বান্দর মার্কা    কার্বন কপি ডাকে ।  
হাসান ভেংচি কাটলে।  আশরাফিয়া বলে উঠে,  আশরাফিয়া এমন ই,  তোর সমস্যা?       
রিয়াজের সাথে তাদের দুজনের      খুব ভালো পরিচয় পর্ব হয়।   রিয়াজ মেয়েটির এমন খেয়ালিপণা দেখে অবাক আর পাশাপাশি  ভালোও লাগছে।  
মেয়েটি দেখতে ছোট খাট মনেই হয়না সে অনার্সে পড়ে । যে কেউ বলবে স্কুলের ছাত্রী ।  আর আচরণ অনেকটাই  পঞ্চম   শ্রেণির  মেয়েদের মতো ।     
ক্লাসের  ফাঁকে ফাঁকে তার আচরণ আর কথা যেনো রিয়াজের মনে নেশা ধরিয়ে দিচ্ছিলো। এ এক আজব  নেশা ।  কোনদিন ধরা যায়না, ছোয়া যায়না।   বলা যায়না,  দেখা যায়না , । এমন নেশা,  । 
যদিও  আশরাফিয়ার পুরোনো কোন বন্ধু তার সাথে এখন আর বন্ধুত্ব রাখতে চায়না । সেটা তার আচরণের জন্য ,  তার কথার স্টাইলের জন্য আর  সে  জানে অন্য যারা   ( সমাজের চোখে সুন্দরী মেয়ে)  তারা তাকে ভালো চোখে দেখেনা।  তার উপর তাকে  আশরাফ কাকু বলে  ডাকে। 
তার শ্রেষ্ঠ ডায়লগ হল,  
আশরাফিয়া এমন ই ,  তোমাদের কোন সমস্যা? 
বন্ধুত্ব ঃঃ   এই কয়দিনে রিয়াজের সাথে আশরাফিয়ার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে । তারা একসাথে ফুচকা খায়,  কলেজের পুকুর পারে আড্ডা দেয়,   আর  বিজিবি ক্যাম্পের পিছনে তারা তিনজন হাটতে যায় । তাদের সুন্দর মুহুর্ত গুলো  ভালোই কাটে ।             
 
আশরাফিয়ার একটা সুন্দর অভ্যাস আছে,  সে বই পড়তে অনেক ভালোবাসে।   সে রিয়াজকে বলে যেনো তাকে বই এনে দেয়। কারন তার বই কিনে পড়ার ইচ্ছা নাই।  
হাসান বললো,  হ  তোরে বই দিলে ওইটা তুই কোনদিন ফেরত দেসনা। আর যেদিন ফিরিয়ে দেস ততদিনে ওই বইটা জীবন ত্যাগ করেছে। 
এইজন্য কোন মেয়ে তোর সাথে কথা বলেনা। কত জনের বই তুই ধ্বংস করে ফিরিয়ে দিয়েছিস মনে আছে ? 
 ফিরিয়ে দেয়ার পর সেই বই আর পড়ার অবস্থা থাকেনা।   পুরাতন কাগজের দোকানে বিক্রি করে দিতে হয়। 
রিয়াজ বললো আমার বাসায় আছে। তোকে এনে দিবো । ফিরিয়ে না দিলেও সমস্যা নাই । বই  নিয়ে এতো হিসেব চলেনা ।  পড়ার পর ছিড়ে গেলেও  আঠা দিয়ে লাগানো যাবে ।   
আশরাফিয়া উচ্চ  স্বরে হেসে উঠলো।  এটাও তার একটা  চরিত্রের অংশ। সে পুরুষদের মতো উচ্চ কণ্ঠে হেসে উঠে ।  
বললো,  এইনা হলে বন্ধু।  আচ্ছা যা  তোর সব বই আমার । আমাকে এনে দিবি । 
  
আশরাফিয়া একটা ঘুর্ণিঝড়, ।  কথা তার   জীবন্ত  ঢেউ।    ঝাপটা দিয়ে এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় । মনের সব ভাবনা  ভুলিয়ে দিয়ে যায় । 
তার  হাসির সাথে সাথে ,   হাত দিয়ে চুল ঠিক করে বারবার। কালো এই মেয়েটি এতো জাদু জানে । সেটা কারো চোখে ভাসে না ।  
।      
       
      
 ৭ টি
    	৭ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৬
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৬
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: কিছু ঘটনা আমাদের সবসময় জাগিয়ে রাখে। সেটা শেষ হয়ে গেলে আমরাও শেষ হয়ে যাবো
২|  ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:৪৭
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। 
তবে লেখায় আকর্ষন করার মতো কিছু নেই।
  ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  সকাল ৮:২১
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  সকাল ৮:২১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এইটাতো কেবল প্রথন পাতা। প্রথম পাতাতেই সব লিখে ফেললে বাকি পাতায়  কি লিখবো ভাই।
শেষের লাইনের উত্তরটাই তো দিলাম না।  মেয়েটি কি জানে,  এইটা, 
লিখবো,  আগামী পর্ব বড় করে আর সাথে রস কস সব থাকবে
৩|  ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:১০
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: 
দুর্দান্ত ছোট গল্প, কিন্তু শেষ হয়েও হইলনা  শেষ ।
অতৃপ্ত   দ্বিতীয় অংশ আছে কি?
 দ্বিতীয় অংশ আছে কি?
  ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:১৪
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:১৪
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি। এটা কেবল সিনেমার ট্রেইলার এর মতো।
কেবল শুরু করেছি।  সামনে আরো লেখার ইচ্ছা আছে।  তবে লিখতে হলে সময় নিয়ে বড় কিছু লিখতে চাচ্ছি।  শুরু তো করে দিয়েছি ।  এখন গুছিয়ে লিখবো।
  ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:১৫
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:১৫
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । সনয় নিয়ে পড়েছেন লেখাটি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৫
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৫
এপোলো বলেছেন: শেষ হইয়াও হইল না শেষ!