![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি /বিশেষ্য পদ/ সংযোগ, মিলন; করণ, হেতু, ন্যায় বিচার, পরামর্শ, মন্ত্রণা।
যুক্তিবিজ্ঞান প্রায়ই তিনটি অংশে ভাগ হয় - আবেশক যুক্তি, মনন যুক্তি , এবং ন্যায়িক যুক্তি-।
ইংরেজি লজিক( Logic) বাংলা যুক্তি বিজ্ঞান। কোন কিছু আন্দাজে বলে দেওয়াকে যুক্তি বলেনা। যুক্তি দর্শন শাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত । আপনি যদি কোন বিষয় নিয়ে যুক্তি তুলেন পক্ষে /বিপক্ষে সেটা লজিক্যাল (যুক্তিগত ভাবে প্রমাণিত ও তথ্য যুক্ত থাকা চাই) । আর সেটা যদি কোন ব্যক্তি গুষ্টি সম্পর্কে হয় তাহলে সেটা যুক্তিযুক্ত হওয়া আবশ্যক।
নাস্তিকদের অনেকে আছে নিজেকে বড় যুক্তিবাদী মনে করেন । অথচ তাদের লেখায় কু যুক্তি থাকে বেশি। প্রমাণ ছাড়া, তথ্য ছাড়া একটা বিষয় লিখে ফেললেই সেটা যুক্তি হয়ে যায়না । তারা মনে করেন দর্শন শুধুমাত্র নাস্তিকদের চিন্তার বিষয়। আস্তিক মানুষেরা দর্শনের কিছুই বুঝেনা। এমন কি কোন আস্তিক জ্ঞানী লোক দর্শন শাস্ত্রে জ্ঞানী নন। তাই তারা দর্শনের পাহাড় কাটতে লেগে যান ।
যুক্তির জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো চিন্তা শক্তি। এই চিন্তাশক্তি যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ আমরা না করতে পারি তখনই আমাদের যুক্তি, কু-যুক্তিতে রুপান্তরিত হবে এবং ধাধার মধ্যে পড়ে গিয়ে মাঝপথে আটকে যাবো। ফলে ভ্রান্ত যুক্তি নিয়েই আমরা যুক্তিবাদী হবো এমনটা আমরা আশা করতে পারি না। কেউ কেউ এই ভ্রান্ত যুক্তি দাড় করিয়ে নিজেকে যুক্তিবাদী মনে করেন। এটা কোন জ্ঞানী লোকের কাজ না। তবে তারা নিজের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত জ্ঞানী। তাই তারা নিজেকে যেকোন কিছুই ভাবতে পারেন। নিজেকে তারা যুক্তিবাদী ভাবতেই পারেন, কারণ তাদের প্রতিপক্ষের লোক অতি দুর্বল। প্রতিপক্ষের লোক কিছু না জানলে সে নিজেকে যে কোন কিছুই দাবি করতে পারে। এতে সমস্যা হয়না ।
উদাহরণ, তাল গাছের উপর দিয়ে একটি কাক উড়ে গেল
একটি তাল মাটিতে ঝরে পড়লো
সিদ্ধান্তঃ কাক উড়ে গেল, তাই তালটি মাটিতে ঝড়ে পড়লো।
এভাবে আপনি যুক্তি দিলেন এমন ব্যক্তির সামনে যে জানেনা, তাল গাছের তালের অবস্থা বা যুক্তি কি জিনিস। এখন সে আপনাকে জ্ঞানী ভাবতেই পারে।
ভাত খাওয়ার সময় সালাম মারা গেলো।
ভাত খাওয়ার সময় কালাম মারা গেলো।
ভাত খাওয়ার সময় রুবেল মারা গেল।
ভাত খেতে খেতে রিংকু মারা গেলো।
সিদ্ধান্ত ঃঃ সকল মানুষ ভাত খেয়ে মারা যায়। অথবা ভাত খেলে মানুষ মারা যায়।
আজকের দিনে আপনারা এমন ই যুক্তি দেখাচ্ছেন । এর প্রমাণ হল আজকের সকালে একজন জিহাদের বিষয়ে বিশাল জ্ঞান দান করলেন জাতিকে । তিনি ও তার মহান যুক্তি অমর হয়ে গেল। আপনি জিহাদ সম্পর্কে কিছু না জেনে সিদ্ধান্ত দিলেই সেটা যুক্তি হয়ে গেলো না । আর আপনি যুক্তি দিয়ে মুক্তি পেয়ে গেলেন না । যুক্তি দিতে হলে তার উপাত্ত তথ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা চাই। সিদ্ধান্ত দিতে হলেও আপনাকে সঠিক তথ্য জানতে হবে।
ইসলামী দর্শন মূলত দুই ভাগে বিভক্তঃ কালাম ও ফালসাফা। ফালসাফা গ্রিক শব্দ, এটি গ্রিক দর্শন থেকে উৎসরিত| অপরদিকে কালাম অর্থ কথা বা বক্তব্য, এটি যুক্তিতর্ককে দর্শনে ব্যবহার করে ( উইকিপিডিয়া)
পরীক্ষামুলক যুক্তি দার করাতে আরব আশারিয়া পলিম্যাথ ইবনে আল-হায়থাম (আলহাজেন) দ্বারা বিজ্ঞান পদ্ধতির উন্নয়ন ছিল বিজ্ঞানের দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বুক অব অপটিক্সে ( ১০২৫ খ্রিস্টাব্দ) তাঁর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটি আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অনুরূপ ছিল এবং নিম্নলিখিত পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত ছিল:এর ধাপগুলি ছিলো এইরূপ।
পর্যবেক্ষণ
সমস্যার বিবরণ
অনুমানের প্রণয়ন
পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুমান পরীক্ষা করা
পরীক্ষামূলক ফলাফল বিশ্লেষণ
উপসংহার গঠন করা এবং সূত্রের ব্যাখ্যা
ফলাফল প্রকাশ। (উইকিপিডিয়া)
আপনি যুক্তি দেখান কোন সমস্যা নাই। তবে যে বিষয়ে যুক্তি দেখাবেন, আগে সঠিক পর্যবেক্ষণ করুন, পর্যবেক্ষণ শুধু দুই একটা উদাহরণ দেখলেই হবেনা। আগে জানতে হবে উদাহরণ গুলো সঠিক কি না? আপনি পর্যবেক্ষণ করলেন এমন উদাহরণ যাতে মাত্র ২% তথ্য আছে । ৯৮% তথ্যসূত্র নাই। তাতে যুক্তি ঠিক হবে কি? সমস্যা বিবরণ করতে হবে। সেটা করতে গেলেও আপনাকে ১০০% তথ্য জেনে নিতে হবে। মানে আগে সঠিক পর্যবেক্ষণ জরুরী। আপনি ইংরেজি ডিকশনারি সম্পর্কে বলতে চাইলে অক্সফোর্ড এর ডিকশনারি শুধু দেখলে হবেনা। আর আপনি সেখানে শুধু বাংলাদেশ হতে একটা ১৫ টাকা দামের ডিকশনারি পড়েই বলে দিলেন ডিকশনারিতে সব শব্দ নাই।
আপনি কোন বিষয়ে তথ্য উপাত্ত না পেলে অনুমান প্রণয়ন করতে পারেন। কিন্তু তথ্য উপাত্ত না দেখেই অনুমান নিয়ে সিদ্ধান্ত লিখে ফেলবেন তাহলে যুক্তির সিদ্ধান্ত সঠিক হবে কিভাবে? আপনি ৩০ টাকা দামের একটা বাংলা অবিধান কিনে বলছেন , আরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষার শব্দ নিয়ে কোন গবেষণা করেনা। বাংলা একাডেমি থাকার কোন লাভ নাই । তাহলে আপনার এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক? আপনি তো আসল অবিধান হাতেই নিলেন না । আর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন বাংলা ভাষার কোন ভালো অবিধান নাই। বাংলা একাডেমির কোন দরকার নাই ।
আপনি যখন এতো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, তখন আপনার আগে জানা দরকার। যুক্তি কি৷ কেন এটা উপস্থাপন করা হয়। না জেনে
কোন গ্রন্থ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানোর কোন অধিকার আপনার নাই ।
অধিবিদ্যার মধ্যে আভিসিনা (ইবনে সিনা) সত্যকে সংজ্ঞায়িত করেছেন:
“ মনের অনুরূপ তাই যা বাইরের সাথে যোগাযোগ আছে। ”
আভিসিনা তার অধিবিদ্যার মধ্যে তার সত্যের সংজ্ঞা বর্ধিত করেছেন:
“ একটি জিনিসের সত্য হল প্রতিটি জিনিসের একটি সম্পত্তি যেটি তার নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে এমন কিছু।
”
টমাস অ্যাকুইনাস তার কোডলিবেটার মধ্যে আভিসিনা তার অধিবিদ্যার মধ্যে সত্যের যে সংজ্ঞা দিয়েছিলেন এই একটি ভাষ্য লিখেছেন, যেমন নিম্নরূপ ব্যাখ্যা:
প্রতিটি জিনিসের সত্যতা হল যেমনটি আভিসিনা তার অধিবিদ্যার মধ্যে বলেছিলেন, এটি তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন সম্পত্তি সম্পত্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই তাকে সত্য স্বর্ণ বলা হয় যা সঠিকভাবে স্বর্ণ হচ্ছে এবং এটি প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণের প্রকৃতি অর্জন করে। এখন প্রতিটি জিনিস সঠিকভাবে কিছু প্রকৃতির কারণেই এটি প্রকৃতির সম্পূর্ণ ফর্মের অধীনে দাঁড়ায়, আর এটাই হচ্ছে প্রকৃতি ও প্রকৃতির প্রজাতি।(উইকিপিডিয়া)
মুসলিম যুক্তিবিদগণের মধ্যে উল্লেখ্য আল-ফারাবি, আভিসিনা, আল-গাজ্জালী এবং অন্যান্য।
২)
কিতাবুশ শিফা (Arabic: کتاب الشفاء Kitab Al-Shifaʾ, Latin: Sufficientia) হল ইবনে সিনা কর্তৃক রচিত বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক বিশ্বকোষ। এটি বিজ্ঞান ও দর্শনের উপর ইবনে সিনার প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। আনুমানিক ১০১৪ সালের দিকে তিনি এটি লেখার কাজ শুরু করেন এবং ১০২০ সালে সমাপ্ত করেন ।
ইবনে সিনা যাদের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়েছেন।
জাফর আল-সাদিক, হিপোক্রাতিস, সুশ্রুতা, চারাকা, গ্যালেন, প্লটিনাস, ভারতীয় গণিত শাস্ত্র, ওয়াসিল ইবনে আতা, আল-কিন্দি, মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি, আবু রাইহান আল-বিরুনি, জন ফিলোপোনাস এরিস্টটল, নব্য-প্লেটোবাদ, আল-ফারাবী।
ইবনে সিনার প্রভাবিত হয়ে যারা কাজ করেছেন।
ইবন রুশ্দ, ওমর খৈয়াম, টমাস একুইনাস, আলবার্টাস ম্যাগণাস, হোসেইন নাসর।
তথ্যউপাত্ত +++উইকিপিডিয়া ও ব্লগ।
ছবি গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
কিছু বিশ্লেষণ আমার নিজের করা।
সব শেষে একটা কথাই বলবো। তর্ক বিতর্ক করে আজকাল অনেকেই ফেমাস হয়ে যাচ্ছেন। আপনিও কোন একটা জাতিকে নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে ফেমাস হতে পারবেন। তর্ক করে অনেক ফেসাদ করতে পারবেন। জাতিকে বিভক্ত করতে পারবেন। কারন আজকের দিনের মানুষ না জেনেই মেনে নেয়। কিন্তু আপনি জ্ঞানী হয়ে যাবেন না। আপনার ভুল যুক্তি সঠিক হয়ে যাবেনা। আপনার ভুল যুক্তি গুলো আসল যুক্তিবাদী মানুষেরা ঠিক ধরতে পারবে। আপনি ভুল কথা নিয়ে লাফালাফি করছেন এটা বুঝতে তাদের বেশি সময় লাগবে না। আর ইতিহাস একদিন আপনার ভুল ব্যাখ্যাকে ভুল প্রমাণ করে দিবে । ওইদিন আপনি মূর্খ হিসেবেই প্রমাণিত হবেন। এক দুই দিন ফেমাস হওয়ার নাম জিন্দেগী না । ভুল ব্যাখ্যা আর ভুল যুক্তি তুলে ধরে ফেমাস হলেই বিখ্যাত লেখক হলেই কেউ জ্ঞানী হয়ে যায়না। অনেক লোক আছে তারা জোকস লিখে বিখ্যাত। তবে আপনি তার চাইতেও মূর্খ । আপনার নাম শুধুই ভুল তর্কে বিতর্কে । কোন জ্ঞান আপনার নাই । তাই কোন তথ্য না জেনে আপনি ভুল ব্যাখ্যা করে বিখ্যাত হতে চান । প্রমাণ করতে চান আপনি অনেক কিছুই জানেন।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: না জেনে উদ্ভট উপদেশ দিতেও আমরাও বেশ পটু
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম। উপদেশ টা একান্তভাবে দিবেন। সমস্যা নাই । আপনি আপনার ভাইকে উপদেশ দিতেই পারেন। সে যদি ছোট ভাই হয়
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: তবে উপদেশ টাও যুক্তিযুক্ত হতে হবে। উপদেশ উপদেশ হওয়ার যোগ্য হতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০২
ইফতি সৌরভ বলেছেন: তর্ক- বিতর্ক করে, শুধুই নিজের পক্ষে যায় এমন সূত্রের (reference) উল্লেখ করে নিজ হতে একটু কম বুদ্ধিসম্পন্ন অথবা সমমত বিশিষ্ট মানুষ/সমাজের মধ্যে নিজের ধারণা/মন্তব্য শান্ত/জোরালো/মারমুখী গলায়/ভঙ্গিতে প্রতিষ্ঠিত করাকে বলে যুক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য!!
যুক্তির সাথে মতের মিল না হলে এক শ্রেণী কুযুক্তি শুরু করে ব্যক্তি বিশেষের কুৎসা রটনা করে - একে ক্ষেত্র বিশেষে 'গালি' বলে। হীন কাজটি রাজনীতিবিদ নিজের দলের কারো বিপক্ষে করলে বলে 'বিদ্রোহী/সুবিধাভোগী' আর বিপক্ষ দলে প্রতি করলে বলে 'আদর্শ
রাজনীতি'।
এভাবে যুক্তি একসময় কুযুক্তি, তারপর ব্যক্তিগত আক্রোশ অত:পর দলাদলি শেষে হানাহানি <রক্তারক্তি অবস্থায় শেষ হয় ।
অতএব যুক্তির আগে ভালোভাবে জ্ঞান আরোহণ করে বোঝার উপলব্ধি সম্পূর্ণ হলেই কোন বিষয় নিয়ে তর্ক করা উচিত যা নিখিল বঙ্গে বিরল।
লেখককে ধন্যবাদ যুক্তি নিয়ে জ্ঞান- গর্ভ তথ্য উপস্থাপন করার জন্য।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তর্ক আর যুক্তিতে জয়ী না হয়ে অনেকে মিথ্যা তথ্য ও প্রমাণ কে সত্য বলে প্রচার করে
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: যুক্তির বাইরেও অনেক কিছু আছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: যুক্তি যদি ভালো দিকে হয়। সেটা যেকোন দিককে তুলে ধরতে পারে।
দেখতে হবে যুক্তি টা খন্ডন করছে কে
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখা ভালো লাগেনি, আপনি লজিক বুঝেন বলে মনে হয় না।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: লেখাটা যদি শুধু লজিকের উপর হতো তাহলে আমি যুক্তিবিদ্যার জনকের সংজ্ঞা নিয়ে আসতাম। না আমি তাদের ওই সংজ্ঞা লিখেই শেষ করিনি। অনেক আরব দার্শনিকদের রেফারেন্স টেনেছি। আপনি এই বিষয় টাকে মূর্খতা ভাবতেই পারেন।
তবে তারা অন্য লোকদের কাছে মূর্খ না। বিশেষ করে ইবনে সিনা।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইসলাম হলো ধর্ম, ইহা বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত, ইহা লজিকের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়; লজিকের চোখে দেখলে, ইসলামের অনেক কিছুই ভুল বলে প্রমাণিত হবে; লজিক সম্পর্কে আপনার ধরণা পরিস্কার নয়; ধর্মের বেলায় বিশ্বাসই প্রধান
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনি হঠাৎ ইসলামের এতো প্রেমিক হয়ে গেলেন কেন? ভালোই।
আর আমি শুধু লজিক এর ব্যাখ্যা দিই নি। ইসলামিক দার্শনিক দের ব্যাখ্যা দিয়েছি । আপনি একটু পড়ে মন্তব্য করলে ভালো লাগতো । আমি না হয় জানিনা।
তবে আপনি অর্ধেক পড়েই উত্তর দেন এটা আজ জানলাম।
আমি যে ব্যাখ্যা দিয়েছি সেটা ইসলামিক কিছু লেখকের মতে দর্শন কেমন তার কিছু উদাহরণ। দেখুন তাদের নাম ও আছে
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ইসলাম বিশ্বাস এর উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এই না। যে ইসলামের সব কিছুই প্রমাণ ছাড়া। এটার পিছনেও যুক্তি আছে৷ দর্শন আছে ।
অনেক ইসলামিক পন্ডিতগণ সেটা প্রমাণ করেছেন। তারা ইসলামের যুক্তি তার প্রমাণ ও বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের মিল অমিল তুলে ধরেছেন। যদিও সেসব জ্ঞান আমার মুখস্ত জ্ঞান এ নাই।
তবে সেসব পড়া ও ভিডিও কিছু হলেও দেখার চেষ্টা করি । শুধু অন্ধ বিশ্বাস করাটা এ যুগে খাটে না।
'ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ'
জ্ঞানের চেয়ে কল্পনার গুরুত্ব বেশি। কারণ জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে আর কল্পনার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।’[[[[ ‘অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫)]]]]]
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫)। এ যাবত্কালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন। ছিলেন একজন দার্শনিকও। কেউ কেউ তাকে মানব ইতিহাসের ‘সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী’ বলেও অভিহিত করে থাকেন। থিওরি অব রিলেটিভিটির জনক নোবেলজয়ী এই পদার্থবিদের জন্মদিন ছিল গত ১৪ই মার্চ। অনেকটা নিরবেই যেন চলে গেল দিনটি। কিছুটা দেরিতে হলেও তাকে স্মরণ করে আমাদের আজকের এই লেখা। তারই কিছু কালজয়ী উদ্ধৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে লেখাটি, যেসব উক্তি মানুষের জানার এবং সামনে চলার পাথেয় হয়ে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও সম্ভবত থাকবে:
‘আমি জন্ম সূত্রে একজন ইহুদি, নাগরিকত্বে একজন সুইস এবং চেহারা সুরতে একজন মানুষ। এই শেষ পরিচয়টাই (মানুষ) আমি পছন্দ করবো যে কোন নির্দিষ্ট দেশ বা জাতীয়তার গন্ডিতে আবদ্ধ নয়।’ ‘মেধাবীদের সর্বদা কম মেধাবীদের প্রবল বিরোধিতা মোকাবিলা করে চলতে হয়।’ ‘সম্পদ, খ্যাতি, জনপ্রিয়তা, বিলাসবহুল জীবন- এগুলো আমার কাছে সবসময়ই গৌন। আমি সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী। আমি মনে করি সাধারণভাবে জীবন কাটানো সকলের জন্যই সর্বাপেক্ষা উত্তম, দেহ ও মন- দুটোরই জন্য।’ ‘সবকিছু আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে, শুরু ও শেষ- দুটোই। যে শক্তির বলে এটি হচ্ছে তার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কোনো এক অদৃশ্য বংশীবাদকের রহস্যময় সুরের ছন্দে যেন আমরা নেচে চলেছি।’
‘ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু, আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ।’ ‘জ্ঞানের চেয়ে কল্পনার গুরুত্ব বেশি। কারণ জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে আর কল্পনার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।’ ‘একজন সফল মানুষ হওয়ার চেয়ে একজন মানসম্পন্ন মানুষ হওয়াটা অনেক বেশি জরুরি।’ ‘কর্তৃপক্ষের প্রতি অন্ধ আনুগত্যই হচ্ছে সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু।’ ‘অনবরত প্রশ্ন করে যেতে হবে, প্রশ্ন করা থামিয়ে দেয়া চলবে না।’ ‘জীবন অনেকটা বাইসাইকেল চালানোর মত। ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে তোমাকে এগিয়ে যেতেই হবে।’ ‘যে যত বেশি মেধাবী, পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলাবার ক্ষমতাও তার ততো বেশি।’ ‘দুটো জিনিসের কোনো শেষ নেই- বিশ্ব ব্রহ্মান্ড এবং মানুষের বোকামি। অবশ্য বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।’ (অর্থাত্ বিশ্ব ব্রহ্মান্ড বা ইউনিভার্সের শেষ যদি থেকেও থাকে, মানুষের বোকামির কোনো শেষ নেই)।
সূত্র: নিউজউইক
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমি মনে করি না যে, বিজ্ঞান অবশ্যই স্বভাবগতভাবে ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হবে। বাস্তবে আমি এ দুয়ের মাঝে শক্ত মিল দিখতে পাই। এজন্য আমি বলব, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম হল অন্ধ। উভয়টাই গুরুত্বপূর্ণ, হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে। আমার মনে হয় বিজ্ঞান ও ধর্মের আলোয় যে আলোকিত নয় সে মৃতপ্রায়।" আইনস্টাইন
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন,
কোন যুক্তিতে আপনি আমার গত রাতে করা দু'দুটি মন্তব্য মুছে দিয়েছেন? আপনার যুক্তির গলদ ধরে দিয়েছি বলে? শিরোনাম কারেক্ট করেছেন আমি আপনার শিরোনামের ভুলটি ধরে দেয়াতে অথচ কৃতজ্ঞতা স্বীকার তো করেননি-ই, উল্টো আমার মন্তব্য মুছে দিয়েছেন।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী্। সাহস থাকলে মন্তব্যগুলো মুছতেন না। এরকম কাপুরুষোচিত মানসিকতা নিয়ে অন্যকে জ্ঞান দেয়ার আগে দশবার ভাববেন।
ধন্যবাদ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনি শুধু শিরোনাম নিয়ে লিখেন নি। আর আপনি বলেছেন, আমার ঝগড়া করার অভ্যাস। আমার সেসব অভ্যাস নাই। তাই আপনার মন্তব্য রাখিনি। আপনি শুধুমাত্র বিতর্ক করার জন্যই এসেছেন। আমার কোন ইচ্ছা নাই।
আপনি যা ভেবেছেন সব সময় সেটাই হবে৷ সেইরকম নয়। আপনি ব্যাকরণ ভালো পারেন জানেন, মেনে নিয়েছি আগেই।
তবে আপনি আরো বিতর্ক করবেন এইজন্যই মন্তব্যটা আমার লেখার ধারে কাছেও যায়নি। আর নিজের লেখার মন্তব্য মুছে ফেলতে অনুমতি লাগবে কেন? আপনার মন্তব্য পড়ে অন্য কেউ না পড়েই মন্তব্য করবে।
আর আমার লেখাটা আমার কোন মতামত না যে ভুলে ভরা থাকবে। এটা অনেক দার্শনিকের মতামত। আমি সারমর্ম লিখেছি।
আর আপনি এক কথায় সেটাকে কি বলেছিলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: