নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহুরে মানুষ হওয়ায় বাংলা নববর্ষের সময় গ্রামে খুব বেশি একটা থাকা হয়নি। এর বড় কারণ হলো, সাধারণত এপ্রিল- মে মাসেই আমাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হতো। ফলে কখনো যদি ঈদে বা বছর শেষে যাওয়া না হতো, তবে গ্রামের বাড়িতে সাধারণত যাওয়া হতো পরীক্ষার পরে। সেটাও বোধ করি মে মাসের শেষের দিকে। তবে ঈদ বা বছর শেষে ফাইনাল এক্সামের পরেই সাধারণত গ্রামের বাড়িতে বেশি যাওয়া হতো।
সে যাই হোক, বাংলা নববর্ষের সময়ও কয়েকবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। সময়টা বোধকরি, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ এর মধ্যে হবে। সে সময় এটা উপলব্ধি করেছিলাম যে, বাংলা নববর্ষের যে আয়োজন সেটা মূলত শহরেই বেশি করা হয়। গ্রামের বাংলা নববর্ষের উৎসবটি হয় মূলত দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতাকে কেন্দ্র করে। প্রায় প্রতিটি দোকানই দেখতাম নানা ভাবে সাজানো হতো।
রীতিমতো বিয়ের কার্ডের মতো করে ক্রেতাদের কাছে বকেয়া হিসাবটি পাঠানো হতো। ক্রেতারা দোকানে এসে সেটা শোধ করতেন। কেউ কেউ পুরোটা না দিতে পারলেও অন্তত কিছু টাকা হলেও পরিশোধ করতেন। দোকানদার বা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও দেখতাম সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হতো। মিষ্টির সঙ্গে অনেকে আবার লুচিও দিতেন। আর শেষে পান তো থাকতই।
কেউ কেউ আবার মিষ্টির বাইরে অন্যান্য খাবার, যেমন বাতাসা, মুড়কি, খই, মুড়ি, নাড়ু প্রভৃতি রাখতেন। কেউ টাকা দিয়েই চলে যেতে চাইলে তাকে খাবার পার্সেল করে দেয়া হতো। আমরা ছোটরা যারা বাকির তালিকায় পড়তাম না, তারাও এসব থেকে বঞ্চিত হতাম না। আর পরিচিত কারো দোকান হতো, তবে তো আর কথাই নাই। দেদ্দারছে পেট পুরে লুচি-মিষ্টি খেতে পারতাম।
মোটকথা, সে সময় শহরের বাইরে বাংলা নববর্ষ মানেই ছিল হালখাতা। আর হালখাতা মানেই হলো নানা রকমের খাবারের সম্ভার। অথচ শহুরে জীবনে বাংলা নববর্ষ মানে হলো নানা আয়োজন, উপলক্ষ আর আনুষ্ঠানিকতার ছড়াছড়ি। সেসব আনুষ্ঠানিকতায় প্রাণ থাকুক বা না থাকুক, তাতে কারো কিছু যায় আসে না। আনুষ্ঠানিকতা পালনই হলো যেন মূল কথা।
............................................................................(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুভ নববর্ষ
১৪২৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল