নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Freelance media worker & professional journalist.

রিজভী

https://www.facebook.com/Rizvibd

রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সংগীতের বিবর্তন: ভিডিও বনাম গান"

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫



খুব বেশি দিন আগের কথা না। ক্যাসেটের যুগের কথা বলছি। তখন ক্যাসেটের দুই পিঠ মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ টি গান থাকতো। একটি ৬০ মিনিট ব্যাপ্তির ক্যাসেটে ১২টি গান থাকবে এটাই যেন স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হতো। আবার কখনো কখনো ৭০ মিনিটের ক্যাসেটও প্রকাশ হতো। সেখানে তখন ন্যূনতম ১৪টি গান থাকতো। এরপর ক্যাসেট যুগের সমাপ্তি ঘটলো। এলো সিডি/ ভিসিডি/ ডিভিডি/ মেমোরী কার্ডের যুগ। আর এখন তো গান শোনার ক্ষেত্রে অপ্রতিদ্বন্ধী মাধ্যম হলো ইউটিউব।

অনুরূপভাবে গানের সংখ্যার ক্ষেত্রেও আমুল পরিবর্তন এলো। অ্যালবামে গানের সংখ্যা কমতে কমতে এখন ১টি-তে এসে পৌঁছেছে। আগে একটি অ্যালবামে ১২টি গানের মধ্যে দেখা যেত ৩/৪ টি গান পছন্দের তালিকায় এসে যেত। এখন সেই বাছাইয়ের সুযোগ কোথায়! ১টি বা ৩টি গানের অ্যালবামে দেখা যায় একটি গানও ভালো নাও লাগতে পারে। ফলে কোন অ‌্যালবামের এই অল্প কয়টি গানের কোনটিই যদি শ্রোতার মনোঃপুত না হয়, তবে শ্রোতার মনে অটোমেটিক ভাবেই সেই শিল্পীর প্রতি একটি নেগেটিভ ইমপ্রেশন গড়ে ওঠে। সেই শিল্পীর আরেকটি অ্যালবামের গান শোনার প্রতি পরে আর আগ্রহ নাও জন্মাতে পারে।

সেজন্য প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পীদের জনপ্রিয়তা কি আসলেই বেড়েছে? নাকি প্রতিযোগীতাটা এখন আরো কঠিন আর অসম হয়ে গেছে?

অ্যালবামে গানের সংখ্যা না বাড়ানোর পেছনে যুক্তি হলো, এতে নাকি অ্যালবামের খরচ বেড়ে যায়। অথচ এখন লাখ টাকা দিয়ে ভিডিও নির্মাণ না করলে নাকি আর দর্শক-শ্রোতাদের কাছে গান জনপ্রিয় করা যায় না! অথচ ভিডিও পেছনে যে টাকা খরচ হয় সেটি দিয়ে তো গান আরো কয়টা করা যায়। তাহলে সকলে গানের চেয়ে ভিডিও'র পেছনে এতো জোর দেয় কেন? উপরন্তু ক্যাসেটের যুগে ভিডিও তেমন ছিল না বললেই চলে। তখন কি গান হিট হয় নি, শিল্পীরাও কি জনপ্রিয় হয় নি?

প্রযুক্তির এডভানটেজ ও ডিজএডভানটেজ উভয়ই আছে। তাই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলাই স্মাটনেস নয়, বরং নিজের স্বকীয়তা টিকিয়ে রেখে চলার মাঝেই হলো আসল স্মাটনেস। ইউটিউবে গিয়ে পুরনো অ্যালবামগুলোর ভিউ দেখুন, তাহলেই বুঝবেন শ্রোতারা আসলে কি পছন্দ করে। তাই সংগীতাঙ্গনের বর্তমান দুরাবস্থার জন্য প্রযুক্তির মিসইউজ দায়ী কিনা সেটাও বোধহয় এখন ভাববার সময় এসেছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: মন্তব্য না করে পারলাম না। আপনি একটা স্মুথ সত্য তুলে ধরেছেন। আর আমাদের মধ্যে যাদের জন্ম ৮০-৯০ এর মাঝে, তারা একাল-সেকালের অনেক কিছুই দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। কলেরগান থেকে শুরু করে হালের ইউটিউব-সাউন্ডক্লাউড পর্যন্ত সবই প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

আমাদের জীবন ক্ষনস্থায়ী। প্রতিটা সময় অত্যন্ত মূল্যবান। তাই আমি মনে করি যে, ৫মিনিট বা ৬ মিনিটের একটা গান শুনবো কিন্তু তার থেকে কোন অনুভূতি বা দর্শন পাব না। সেক্ষেত্রে সময়টা অপচয় হলো।

এখনকার গানগুলো বেশিরভাগই অনুভূতিহীন এবং সেই সাথে ডিজিটাল সিস্টেমের প্রাণহীন মিউজিক।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

রিজভী বলেছেন: একমত।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

শরীফুর রায়হান বলেছেন: এখন শিল্পিদের জনপ্রিয়তা মাপা হয় ইউটিউবের ভিউ এর উপর, তাই তারা ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত, সময় বদলে গেছে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

রিজভী বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.