নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নায়করাজ রাজ্জাকের প্রাণহীন দেহটি খাটিয়াতে করে কবরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যে কবরে নায়করাজ চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে থাকবেন। খাটিয়ার এক প্রান্তে আছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ঢাকাই ছবির বর্তমান সুপারস্টার শাকিব খান। আরেক প্রান্তে আছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। নায়করাজের তিন পুত্র চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও চিত্রনায়ক সম্র্রাট ছাড়াও খাটিয়া বহন করছেন ঢাকাই ছবির ক্রেজ ফেরদৌস, নব্বইয়ের দশকের পর্দা কাঁপানো নায়ক উজ্জ্বলসহ নায়করাজের সহকর্মী, অনুজ ও ভক্তরা। নায়করাজকে সমাহিত করার পর চিত্রনায়ক শাকিব খানকে বাপ্পারাজ বললেন, জায়েদ খানকে বুকে জড়িয়ে ধরতে। শাকিব কালক্ষেপণ না করে জায়েদ খানকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘জায়েদ তো আমার ছোট ভাই।’
অথচ চলতি বছরের মে মাসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। ঘটনার ব্যাপকতায় শাকিব খানকে পরবর্তীতে নিষিদ্ধও করা হয়। তবে চলচ্চিত্রের শুভাকাক্সিক্ষরা উভয়পক্ষকেই একত্রিত করতে চাইছিলেন। কিন্তু বিষয়টা এতটাই জটিল ছিল যে, ব্যাটে-বলে এক হচ্ছিল না। অবশেষে নায়করাজের মৃত্যুই যেন সব ঘটনার যবনিকা টেনে দিল। শাকিব-জায়েদ একে অপরের বুকে বুক মিলিয়েছেন। পুরো ব্যাপারটা স্বপ্নের মতো মনে হলেও এটাই এখন বাস্তব। আগামীতে সবাইকে নিয়ে পরিপূর্ণ একটি চলচ্চিত্র পরিবারের স্বপ্ন তাই দেখা তো যেতেই পারে।
আবার চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাপরিচালক বদিউল আলম খোকন বেশ কিছু দিন আগে নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। তখন তাৎক্ষণিকভাবে সে কথার প্রতিবাদ করেছিলেন পরিচালক গাজী মাহবুব। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ তিক্ততার সৃষ্টি হয়। নায়করাজের পরিবারও এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু নায়করাজের মৃত্যুর পর এই বদিউল আলম খোকনই এফডিসিতে তিন দিনের জন্য চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এমনকি নায়করাজের মৃত্যুর দিন তাৎক্ষণিকভাবে এফডিসিতে একটি চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধেরও উদ্যোগ নেন।
বলা হচ্ছে, ২০০৮ সালে চিত্রনায়ক মান্না মারা যাওয়ার পর এফডিসিতে আর কারো জানাজায় এত লোক সমাগম হয়নি, যতটা না নায়করাজের জানাজায় হয়েছে। এমন কোনো চলচ্চিত্র শিল্পী নেই যিনি নায়করাজের মৃত্যুতে ছুটে আসেননি।
এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে নায়করাজকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছিলেন সেটি সর্বশেষ উপন্যাসিক ও কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পরই দেখা গিয়েছিল।
খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নায়করাজের জন্য শোক প্রকাশ করেননি। ফেসবুক ওয়ালের সর্বত্র কেবলই নায়করাজ রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা আর স্মৃতিচারণ।
এসব কিছু দেখে তাই বলা যায়, নায়করাজ রাজ্জাক তার জীবদ্দশায় যেভাবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নিজের দাপট দেখিয়েছেন, তেমনি মৃত্যুর পরও তিনি মহানায়ক হয়ে সর্বত্রই তার দাপট দেখালেন। এ জন্যই তাকে বলা যায়, চলচ্চিত্রের অপরাজিত একচ্ছত্র মহারাজা। আর এ রাজাকে তাই প্রতি মুহূর্তে সকলেই মিস করবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২
রিজভী বলেছেন: একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
চুলবুল পান্ডে বলেছেন: নিঃসন্দেহে, রাজনীতিনিরপেক্ষ থাকাও একটা কারণ