![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্মল সেন। একজন ত্যাগী মানুষ। তাকে চিনতাম সাংবাদিক হিসেবে। ১৯৭৮-৭৯ সালের কথা। তখন থাকতাম খুলনায়। খুলনা সাংবদিক ইউনিয়ন এবং প্রেস ক্লবের সাথে যুক্ত ছিলাম। ঐ সময়ে নির্মল সেন এলেন খুলনাতে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সভায়। পরিচয় হলো। তখন আমাদের দুরন্ত সময়। সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজে থাকবো এটাই ছিল স্বপ্ন। তরুণ বলে নির্মল সেন আমাদের অনেক প্রেরণা দিতেন। কথা বলতেন। সে সময়ে তিনি শ্রমিক আন্দোলনের সাথেও যুক্ত। শ্রমিক কল্যানের সাথে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা আলী রেজা হায়দার খুলনার বিভিন্ন শ্রমিক প্রশিক্ষণে আমাদের যুক্ত করলেন। আলী রেজা হায়দার এবং নির্মল সেন ছিলেন একই ভাবধারার মানুষ। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে সম্পর্ক। নির্মল সেন সবসমযই চাইতেন আমি যেন তার রাজনৈতিক দলে যোগ দেই। কিন্তু আমার তো পথ ভিন্ন। রাজনৈতিক ভিন্ন ধারা থাকলেও তিনি আমাকে তার স্নেহ থেকে কখনো বঞ্চিত করেন নাই।
১৯৮০ সালে খুলনায় ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন ছাত্র শিবিরের আক্রমণে আমি আহত হই। হাসপাতালে যেতে হয়। খবর পেয়ে নির্মল সেন তার প্রতিনিধি হিসেবে হারুণ ভাইকে পাঠান আমাকে দেখতে।
নির্মল সেন চলে গেলেন-- আমি কখনোই তার কথা ভুলতে পারবো না। তিনি একজন বড় সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক ছিলেন, কিন্তু আমার কাছে তিনি আন্তরিকতভাবেই নির্মল দা।
নির্মল দা আপনাকে লাল সালাম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনিকেত মানে গৃহহীন। আর এই সর্বহারা মানুষটির হৃদয় মিশে ছিল সর্বহারাদের সাথে।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
সুনীল সমুদ্র বলেছেন:
নির্মল সেন সম্পর্কে আরো তথ্য-নয়াদিগন্ত রিপোর্ট সূত্র থেকেঃ
নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগষ্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৪২ সাল থেকে। তখন তিনি ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। মহত্মা গান্ধীর ভারত ছাড় আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ১৬ দিন স্কুল গেটে ধর্মঘট করেন।
শৈশব কাল থেকেই নির্মল সেনের লেখা লেখির হাত ছিলো। ৮ম শ্রেনীতে পড়ার সময় হাতে লেখা কমরেড পত্রিকায় তিনি লিখতেন। ১৯৬১ সালে ইত্তেফাক পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় তার কর্মজীবন শুরু হয়। এর পর তিনি ১৯৬২ সালে দৈনিক জেহাদ পত্রিকায় যোগ দেন। পরে ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান, পরবর্তীতে দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। প্রেস ট্রাষ্টের এই পত্রিকাটি বন্ধহওয়ার আগের দিন পর্যন্ত নির্মল সেন এই পত্রিকাই যুক্ত ছিলেন।
১৯৭২-৭৩ সালে নির্মল সেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ১৯৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য।
দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনে নির্মল সেন একাধিক বার জেল খেটেছেন। বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে অনশন করেছেন।
তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্ক, পূর্ব বঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ, মা জন্মভুমি, লেনিন থেকে গর্ভাচেভ, আমার জবানবন্দী, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জীবনে ৭১-এর যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য।
শেষ চার ইচ্ছাঃ
তথ্যসূত্র এখানে-
Click This Link
গত ২২ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে নির্মল সেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড় গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে গ্রামের বাড়িতে বসে নির্মল সেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জীবনের শেষ চার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। কংকন সেন ও গোপালগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, নির্মল সেনের জীবনের শেষ ইচ্ছা নিজ বাড়িতে নারীদের জন্য একটি কলেজ নির্মাণ করা। মৃত্যুর পর তিনি কোনো মেডিকেল কলেজে দেহ দান করতে চেয়েছেন।
সাংবাদিকতা পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি কোনো পুরস্কার দেয়া হয়, তা যেন গ্রহণ করা না হয়। বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের আরেকটি ইচ্ছে হলো, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার মৃত্যুর সময় নির্মল সেনকে যে কথাগুলো বলে গিয়েছিলেন, তা বাম রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা। কংকন সেন আরো বলেন, এই চার ইচ্ছা তিনি লিখে রেখে গেছেন।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫
সাইফ বরকত বলেছেন: ভাল লাগল।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
সুনীল সমুদ্র বলেছেন:
একসময় দৈনিক বাংলা পত্রিকায় 'অনিকেত' এর কলাম অনেক পড়েছি। সুস্পষ্ট, ক্ষুরধার লেখনীর জন্য 'অনিকেত' এর কলাম তখন বহুল পাঠকনন্দিত ।
একসময়ে জানলাম- 'অনিকেত' আর কেউ নয়- নির্মল সেন।
...এমন একজন প্রতিভাবান সাংবাদিক-কলামিষ্টের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।