নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজা সিদ্দিক

রেজা সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগের গণজাগরণ এবং কিছু কথা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

শাহবাগ আন্দোলনের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দোষীদের সর্বোচ্চ দন্ড নিশ্চিত করা। আইন প্রণয়নের পর সেটা করা সহজ হবে। তবে এ জন্য চাপ থাকতেই হবে। জামাত কে নিষিদ্ধ করার আন্দোলনও চালিয়ে যেতে হবে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে পরিণতি অর্জন একটু বেশি কঠিন। বিশেষত সবার মত যদি এক করা না যায়। একটি লক্ষ্য অর্জন করাটাই বড় কথা নয়, সেটাকে টেকসই করাও দরকার।

সেজন্য জামাতকে বন্ধুহীন করা প্রয়োজন। মুস্কিল হলো জামাতের বন্ধুরা জামাতের সাথে এমন সখ্যতা গড়েছে যে জামাতের সাথে তাদের বিচ্ছেদ তারা ভাবতেই পারছে না। কিংবা তাদের মাঝে জামাতই পরোক্ষভাবে আসন গেড়ে বসে আছে।

শাহবাগ আন্দোলনকে তাই সৃজনশীল আন্দোলনের সাথে সাথে কূটনৈতিক কার্যক্রমও পরিচালনা করা প্রয়োজন।

বিশেষত জামাতের সাখে যাদের সখ্যতা আছে এমন দলকে বোঝানো দরকার যে শাহবাগ আন্দোলনটি রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ। আওয়ামী লীগ এখানে এসেছে, বামরাও এসেছে। এমনকি এরশাদও সমর্থন দিচ্ছে। কেবল বিএনপি ও তার জোটের অন্য সদস্যরা আসেনি। দলগতভাবে না এলেও বিএনপির অনেক কর্মী আসছে। শ্লোগান দিচেছ। তার মানে সাধারণ কর্মীরাও এই আবেগের সাথে একমত।

যে কোনো দলনিরপেক্ষ আন্দোলন থেকে সকল রাজনৈতিক দল ফায়দা নিতে চাইবে। আওয়ামী লীগ নিতে চেষ্টা করবে না এমন কোনো কথা নেই। তবে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এ জায়গায় ভূমিকা রাখলে আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টা সফল হবে না।

এই আন্দোলন যখন শুরু হলো তখন কিন্তু তার চেহারাটা একরকম সরকার বিরোধীই ছিল। কারণ পুলিশের সাথে জামাতীদের ফুল বিনিময়, কাদের মোল্লার ফাসি না হওয়া, এবং খালেদা জিয়ার অভিযোগ- আওয়ামী লীগ জামাতের সাথে মিল করে নির্বাচন করে ফেলবে, এই সব মিলিয়ে সরকারের সাথে জামাতের গোপন সমঝোতার কথাই মানুষ ভেবেছিল। আর তাই মানুষ দলে দলে সেখানে গিয়েছে। আওয়ামী নেতারা কিন্তু জনরোষের শিকারও হয়েছে।

অথচ বিএনপি পুরো ঘটনাকে সরকারের সাজানো বলে নিজেকে দূরে রেখে দিল। এই আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন বলে প্রচার চালালো-- একেবারে জামাতী কায়দায়। অথচ কোনো ধর্মবিরোধী কথা এর প্লাটফরম থেকে উচ্চারিত হয়নি। বিএনপির বিরুদ্ধেও কোনো কথা ছিল না। বিএনপি নিজেই এই আন্দোলনকে প্রতিপক্ষ বানিযে ফেললো। এর ফলে তারা আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন।

ভোটের হিসাব করলেও -- বিএনপি যদি জামাতকে ত্যগ করে-- তাহলে জোটের ৩ শতাংশ ভোট কমবে (যদিও তারপরও অনেক জামাত বিএনপি কে ভোট দেবে)। কিন্তু সাধারণ থেকে আরো বেশি ভোট জমা হবে বিএনপির খাতায়। এটা আমার ধারণা।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামাত নিষিদ্ধ হলে- অনেকেই বিএনপিতে যোগ দেবে। এটাও সত্য। তবে বিএনপি যদি সঠিক সময়ে সঠিক ভূমিকা না রাখে তাহলে ইতিহাস তাকেও ক্ষমা করবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

অগাস্টাস লিওনাইডাস বলেছেন: নীতি আর আদ্দর্শের কথা বাদ দিলাম, উনারা অঙ্কেও কাঁচা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আসলে আমরাই হতভাগা। এই সব লোকের হাতেই আমরা দেশটার দায়িত্ব দেই।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: লেখা ভাল লাগল। শুধু দেশের স্বার্থেই না নিজেদের স্বার্থেও বিএনপিকে খুব দ্রুত জামাতের বলয় থেকে বের হওয়াটা জরুরী।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

একুশে২১ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। তাহলে এখন চিন্তা করেন কি পরিমান গাধারা রাজনীতি করে। আমরা আবার তাকে ভোটও দেই, হায় তাইলে আমরাও কত গাধা। ভেবেছি এবার আমার এলাকায় ভালো কোনো লোক না দাড়ালে আমি ভোটই দিতে যাবনা।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৯

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: আমি একজন বিএনপির উপরে অখুশী
তারা কেন জামাতের সঙ্গ ছাড়ছে না
দেশ কলঙ্ক মুক্ত হওয়ার এটাই তো সময়

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৮

ওছামা বলেছেন: দেশের প্রবীনরা তরুদের অকর্মা বলছে বলে, তাই শূধু নিজেদের কর্মা প্রমান করার জন্যে নামকা-ওয়াস্তে আন্দোলোন করা উচিত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.